নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সঞ্জু বড়াইক (২৩) ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। আজ সোমবার ভোররাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের রবীন্দ্র ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন সঞ্জু। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, আমি দিনের পর দিন কাউকে ডিস্টার্ব করে গেছি, উল্টো মানুষকে দোষারোপ করা আমার একদম ঠিক হয়নি, আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি দিনের পর দিন অন্যায় করেছি, নিজের দোষ ঢেকে অপরজনকে দোষ দেওয়া আমার ঠিক হয়নি। আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি, আমার কারণে কারও কোনো ক্ষতি হলে সে দায় একান্তই আমার, আমি ক্ষমা চাইছি।’
হলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সঞ্জু ভোরের দিকে ছাদে যান এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। সকাল ৫টা ৩৬ মিনিটে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাঁকে ছাদ থেকে লাফ দিতে দেখেন। এরপর দ্রুত বিষয়টি দারোয়ান ও হল প্রাধ্যক্ষকে জানানো হয়। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোররাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা সঞ্জুকে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রথমে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে শাহবাগ থানা-পুলিশ তাঁর পকেটে থাকা নৃবিজ্ঞান বিভাগের একটি প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে এবং সহপাঠীদের সহযোগিতায় তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করে।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দেবাশীষ পাল জানান, সঞ্জু মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে তাঁর বন্ধুরা জানিয়েছেন। গত দুই দিন তিনি হলে ছিলেন না, ছিলেন এক বাল্যবন্ধুর বাসায়। আজ ভোররাতে হলে ফিরে কিছুক্ষণ পরই ছাদে উঠে যান।
এ বিষয়ে জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ববি বিশ্বাস জানান, সঞ্জুর সাঁওতাল গোষ্ঠীর এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিছু বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কিছুটা মনোমালিন্য চলছিল। এ ছাড়া তিনি আর্থিকভাবেও কিছুটা সমস্যায় ছিলেন। সম্ভবত এসব কারণেই সঞ্জু আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
সঞ্জুর চাচাতো বোন অনুরাধা বাড়াইক বলেন, ‘আমরা সঞ্জুর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।’
সঞ্জুর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায়। তিনি চুনারুঘাট সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। জগন্নাথ হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন তিনি। তাঁর মা স্থানীয় একটি চা-বাগানের শ্রমিক। সম্প্রতি চা-শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্দোলনে সঞ্জু সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সঞ্জু বড়াইক (২৩) ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। আজ সোমবার ভোররাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের রবীন্দ্র ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন সঞ্জু। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, আমি দিনের পর দিন কাউকে ডিস্টার্ব করে গেছি, উল্টো মানুষকে দোষারোপ করা আমার একদম ঠিক হয়নি, আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি দিনের পর দিন অন্যায় করেছি, নিজের দোষ ঢেকে অপরজনকে দোষ দেওয়া আমার ঠিক হয়নি। আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি, আমার কারণে কারও কোনো ক্ষতি হলে সে দায় একান্তই আমার, আমি ক্ষমা চাইছি।’
হলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সঞ্জু ভোরের দিকে ছাদে যান এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। সকাল ৫টা ৩৬ মিনিটে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাঁকে ছাদ থেকে লাফ দিতে দেখেন। এরপর দ্রুত বিষয়টি দারোয়ান ও হল প্রাধ্যক্ষকে জানানো হয়। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোররাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা সঞ্জুকে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রথমে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে শাহবাগ থানা-পুলিশ তাঁর পকেটে থাকা নৃবিজ্ঞান বিভাগের একটি প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে এবং সহপাঠীদের সহযোগিতায় তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করে।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দেবাশীষ পাল জানান, সঞ্জু মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে তাঁর বন্ধুরা জানিয়েছেন। গত দুই দিন তিনি হলে ছিলেন না, ছিলেন এক বাল্যবন্ধুর বাসায়। আজ ভোররাতে হলে ফিরে কিছুক্ষণ পরই ছাদে উঠে যান।
এ বিষয়ে জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ববি বিশ্বাস জানান, সঞ্জুর সাঁওতাল গোষ্ঠীর এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিছু বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কিছুটা মনোমালিন্য চলছিল। এ ছাড়া তিনি আর্থিকভাবেও কিছুটা সমস্যায় ছিলেন। সম্ভবত এসব কারণেই সঞ্জু আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
সঞ্জুর চাচাতো বোন অনুরাধা বাড়াইক বলেন, ‘আমরা সঞ্জুর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।’
সঞ্জুর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায়। তিনি চুনারুঘাট সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। জগন্নাথ হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন তিনি। তাঁর মা স্থানীয় একটি চা-বাগানের শ্রমিক। সম্প্রতি চা-শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্দোলনে সঞ্জু সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
রাজধানীর ওয়ারীর হাটখোলা রোডে এক কিশোরকে মারছিল ছয়-সাতজন মিলে। মাথায় হেলমেট দিয়ে একের পর এক আঘাত করে। ইট দিয়ে মাথায় আঘাতেরও চেষ্টা করা হয়। এই অবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। ছুটে আসেন একজন ট্রাফিক সার্জেন্টও।
৪১ মিনিট আগেপারিবারিক বিরোধে দ্রুত ও সহজ বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের পারিবারিক আদালতে বর্তমানে ৭৪ হাজারের বেশি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নিষ্পত্তিহীন অবস্থায় রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মামলা। এই দীর্ঘসূত্রতা হাজারো পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে...
১ ঘণ্টা আগেটঙ্গী-ঘোড়াশাল-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের গাজীপুরের কালীগঞ্জ বাইপাস মোড় যেন মৃত্যুফাঁদ। গোলচত্বর ও ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে এই মোড়ে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা; ঝরছে প্রাণ। সরু রাস্তা, যানবাহনের ব্যাপক চাপ ও বেপরোয়া গতি—সব মিলিয়ে আতঙ্কের আরেক নাম এই বাইপাস মোড়।
১ ঘণ্টা আগে‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’ এই প্রতিপাদ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও ড্রোন শো। সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় এই আয়োজনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, স্মৃতিচারণা ও সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও ছিল ব্যতিক্রমী ড্রোন প্রদর্শনী।
১ ঘণ্টা আগে