Ajker Patrika

পারিবারিক আদালতে বিচারাধীন ৭৪ হাজারের বেশি মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পারিবারিক বিরোধে দ্রুত ও সহজ বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের পারিবারিক আদালতে বর্তমানে ৭৪ হাজারের বেশি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নিষ্পত্তিহীন অবস্থায় রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মামলা। এই দীর্ঘসূত্রতা হাজারো পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর।

আজ সোমবার (১৪ জুলাই) ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে ‘যথাসময়ে বিচার নিশ্চিত করতে পারিবারিক আদালতের পদ্ধতিগত জটিলতা নিরসন’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় বক্তাদের আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা (সেলপ) কর্মসূচি এই কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি পারিবারিক আদালতের দীর্ঘসূত্রতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ২৫৯টি মামলা বিচারাধীন, যার মধ্যে ৫ হাজার ৩৪টি মামলা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। তবে একই সময়ে ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে ১০ হাজার ৮৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। তিনি এটিকে বিচারক এবং বার নেতৃবৃন্দের ইতিবাচক জনমুখী দৃষ্টিভঙ্গির ফল বলে উল্লেখ করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপ্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত অদক্ষতা দূর করতে দেওয়ানি কার্যবিধির সাম্প্রতিক সংশোধনের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা কার্যক্রমের স্তর কমানো হয়েছে, যা অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব ও জটিলতা কমাবে।

প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন ছাড়া কোনো বিচারব্যবস্থা সময়সূচি, জনবল বা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে না। এই কাঠামোগত স্বাধীনতা বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ সংস্কার এবং বৃহত্তর শাসনব্যবস্থার সংস্কার রক্ষায় অপরিহার্য।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। তিনি কর্মশালাকে সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, এখানে বিচার বিভাগ, সরকারি প্রতিষ্ঠান, আইনি সেবা প্রদানকারী সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন। এটি বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারকে ন্যায়বিচারে সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে সবার সম্মিলিত প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করছে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, একটি সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজে প্রত্যেক নারী ও কিশোরী ক্ষতিকর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ না থেকে তার পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগ পায়। সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্র্যাকের বহুমাত্রিক কার্যক্রম উল্লেখ করেন তিনি। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জনগণকে সম্পৃক্ত করা, তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নীতিগত ও আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করা। তিনি জানান, সাধারণ মানুষ, বিশেষত নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, এমন বাধাগুলো দূর করতে কাজ করছে ব্র্যাক।

স্বাগত বক্তব্যে সেলপ ও জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি (জিজেডি) কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে শুধু আদালতের পদ্ধতিগত জটিলতা দূর করতে কাজ করছি না, বরং বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছি। বিচারপ্রার্থী ভুক্তভোগীদের মর্যাদা রক্ষা করে একটি ন্যায়সংগত, সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ার কাজ করছি।’

কর্মশালায় বিচারক, নীতিনির্ধারক, জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা এবং অভিজ্ঞ আইনজীবীরা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে একটি গুদামে রাখা সাড়ে ১৩ টন গুলির খোসা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে একটি গুদামে রাখা সাড়ে ১৩ টন গুলির খোসা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে একটি গুদামে সাড়ে ১৩ টন এমপি কার্তুজ (গুলির খোসা) পাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে তদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছে, আইন মেনে কারখানায় ব্যবহার করার জন্য গুলির খোসাগুলো আনা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে আবুল বাশারের মালিকানাধীন শিহাব এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট এজেন্সির গুদামে ট্রাক থেকে মালপত্র নামানোর সময় শ্রমিকেরা গুলির খোসা দেখতে পান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে স্থানীয়রা শনিবার পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

আবুল বাশার শিহাব বলেন, ‘গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের এমপি কার্তুজগুলো ওই এলাকার মা-বাবা কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিলামে কিনে নেয়। পরে এ প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে আমি কিনে নেই। শুক্রবার রাতে ট্রাকবোঝাই করে গুলির খোসাগুলো এনে বাড়িতে গুদামজাত করি।’

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এমপি কার্তুজগুলো কারখানায় ব্যবহার করার জন্য নিয়ম মেনে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিক্রি করা হয়েছে। শিহাব এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট এজেন্সির মালিক শিহাব এমপি কার্তুজ কেনার বৈধ কাগজপত্র দেখিয়েছেন। এতে কোনো আইনি জটিলতা নেই। তিনি এটা কারখানায় ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানান পুলিশ সুপার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাটগ্রামে অবৈধভাবে মজুত-বিক্রি, ২০০০ বস্তা সার জব্দ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি 
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিভিন্ন সার বিক্রেতার দোকানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিভিন্ন সার বিক্রেতার দোকানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে অবৈধভাবে রাসায়নিক সার বিক্রির সময় অভিযান চালিয়ে ২০০০ বস্তা সার জব্দ ও দুই বিক্রেতাকে ২০ হাজার ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন সার বিক্রেতার দোকানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এই অভিযান চালায়।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন সার বিক্রেতা গুদাম ও দোকানে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সার মজুত করে বেশি দামে খুচরা বিক্রি করছেন—এমন সংবাদ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ।

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সার মজুত ও বেশি দামে খুচরা বিক্রি করার অপরাধে দহগ্রাম ফায়ার সার্ভিস সড়ক এলাকার মেসার্স ব্রাদার্স ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হায়দার আলী রাসেলের দোকান ও গুদাম থেকে ৫০০ বস্তা ইউরিয়া, ৩০০ বস্তা টিএসপি, ২০০ বস্তা ডিএপি এবং ৩০০ বস্তা এমওপিসহ মোট ১৩০০ বস্তা সার জব্দ করা হয়। এ সময় রাসেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অন্যদিকে একই অপরাধে পাটগ্রাম বাজার থেকে বাইপাস সড়কগামী এলাকার খুচরা সার বিক্রেতা মেসার্স জান্নাত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিলন শেখের দোকান ও গুদাম থেকে ১৮০ বস্তা ইউরিয়া, ৩০০ বস্তা ডিএপি এবং ২২০ বস্তা এমওপিসহ মোট ৭০০ বস্তা সার জব্দ করা হয়। এ সময় মিলনকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জব্দ করা সারগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় দেওয়া হয়। পরে সরকারনির্ধারিত মূল্যে উপজেলার কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করার আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম বলেন, ‘সরকার স্বীকৃত ডিলার না হয়েও বাইরে থেকে সার এনে বেশি দামে বিক্রি করায় বাজারে সারের সার্বিক পরিস্থিতি নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের কাছে যতটুকু সরকারি সার বরাদ্দ আসবে, ততটুকু ন্যায্যমূল্যে কৃষকের হাতে তুলে দিতে কাজ করছি।’

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উত্তম কুমার দাশ বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সার মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী দুই বিক্রেতাকে ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে মজুত করা ২০০০ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। এসব সার পাটগ্রাম উপজেলার কৃষকদের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতলক্ষ্যার ওপর সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শীতলক্ষ্যার ওপর সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শীতলক্ষ্যার ওপর সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে নির্মাণাধীন কদমরসূল সেতুর নকশা পরিবর্তন ও নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর পূর্বপ্রান্তে এই মানববন্ধন হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনের আয়োজন করে নাগরিক সংগঠন ‘বন্দর উন্নয়ন ফোরাম’।

মানববন্ধনে সংগঠনের উপদেষ্টা মাসুদুজ্জামান মাসুদের নেতৃত্বে বক্তব্য দেন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূর উদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, সংগঠনের আহ্বায়ক হাফেজ কবির হোসেন, সদস্যসচিব লতিফ রানা, আইনজীবী ও সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম শিপলু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘বন্দরবাসী বঞ্চিত। কারণ এখনো টাকা দিয়ে তাদের নদী পারাপার হতে হয়। এই সময় এসেও এভাবে নদী পারাপারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমাদের প্রাণের দাবি দ্রুত ভিত্তিতে এই সেতু বাস্তবায়ন করতে হবে। যানজট বা অন্য কোনো দোহাই দিয়ে এই সেতুর কাজ আটকে রাখা যাবে না।’

সংগঠনের উপদেষ্টা বলেন, কদমরসূল সেতু নিয়ে নাসিকের সিইওর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোরিয়ান কোম্পানি সময়মতো সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করবে। আমরা সেই আশ্বাস বিশ্বাস করতে চাই। প্রয়োজনে আমরা শহর ও বন্দরবাসী সিটি করপোরেশনের পাশে থাকব। দাসপ্রথার মতো ঘাটের টেন্ডার দিয়ে মানুষকে জিম্মি করা যাবে না। জনগণের পকেট থেকে টাকা ছিনতাই করা হচ্ছে। আমরা অনুরোধ করব, দ্রুত সেতু বাস্তবায়নের পাশাপাশি এই ধরনের টেন্ডার প্রথা যেন উঠিয়ে দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বন্দর উন্নয়ন ফোরামের সঙ্গে একাগ্রতা প্রকাশ করে ‘পরিবর্তন, বন্দর থানা ক্রীড়া কল্যাণ পরিষদ, বন্দর ক্লাব’সহ বিভিন্ন সংগঠন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মোড়ে ‘শ্রমিক-ছাত্র-পেশাজীবী-নাগরিকবৃন্দ’ আয়োজনে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মোড়ে ‘শ্রমিক-ছাত্র-পেশাজীবী-নাগরিকবৃন্দ’ আয়োজনে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়ারচর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরের বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ মোড়ে ‘শ্রমিক-ছাত্র-পেশাজীবী-নাগরিকবৃন্দ’ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা এমন অভিযোগ তোলেন।

সমাবেশে গণমুক্তি ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিঞা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বিনা টেন্ডারে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে নিউমুরিং টার্মিনাল তুলে দেওয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছিল। গণ-অভ্যুত্থানের পরও বর্তমান সরকার এই চক্রান্ত বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।’

এ সময় অন্য বক্তারা বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে একাধিক বন্দর নেই, দেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি যে বন্দর দিয়ে হয়, সে বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে কেউ তুলে দেয় না। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থানগত কারণে এর সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব-নিরাপত্তার কৌশলগত প্রশ্নও যুক্ত। চট্টগ্রাম বন্দরের মতো কৌশলগত জাতীয় সম্পদ বিদেশিদের না, বেসরকারীকরণও না।’ জাতীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিচালনা করতে হবে বলে সমাবেশে দাবি করা হয়।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি খোরশেদ আলম, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ বিশ্বাস, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান, বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খোকন, ডক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আখতারউদ্দিন সেলিম, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদউদ্দিন শাহীন, গণঅধিকার চর্চা কেন্দ্রের মশিউর রহমান খান, বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার পরিষদের প্রকৌশলী সিঞ্চন ভৌমিক, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুন্নবী কনক, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নেতা সাইফুর রুদ্র, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সভাপতি হুমাযুন কবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রামের নগরের দপ্তর সম্পাদক লাবণী আকতার প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার ডাকে ২৭ অক্টোবর ঢাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে সকালে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) আহূত অনশন ধর্মঘট কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত