Ajker Patrika

সাগরিকাদের ভাবনায় এখন এশিয়ান কাপ বাছাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, ২১: ১৯
টিম হোটেলে পূজা দাস, সাগরিকা, শান্তি মার্দি ও নবিরন খাতুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
টিম হোটেলে পূজা দাস, সাগরিকা, শান্তি মার্দি ও নবিরন খাতুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

হোটেলের লবিতে ঢুকতেই চোখে পড়ল বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের সঙ্গে কোথাও বেরিয়ে পড়ছেন নারী দলের কোচ পিটার বাটলার। সাংবাদিকদের দেখে মাঝখানে অবশ্য দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু কুশল বিনিময়ের পর আর কোনো দেরি করেননি।

অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হলেও টিম হোটেল ছাড়েনি বাংলাদেশ দল। সামনে অপেক্ষা করছে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাই। ২ আগস্ট লাওসের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগপর্যন্ত তাই এখানেই হবে ক্যাম্প। কারও কারও পরিবার অবশ্য ভেবেছিল, টুর্নামেন্ট শেষেই বাড়ি ফিরবেন ফুটবলাররা। কিন্তু তাঁদের এখন ভাবতে হচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাই নিয়ে।

কিছু দিন আগেই প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে জাতীয় দল। প্রত্যাশা এখন অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়েও এর পুনরাবৃত্তি করা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ৪ গোল করা মোসাম্মৎ সাগরিকা আজ বলেন, ‘এর থেকে আরও ভালো কিছু করতে হবে আমাদের। যে কয় দিন সময় পাব, আমাদের আরও ভালোভাবে তৈরি হতে হবে। তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’

নিষেধাজ্ঞার কারণে তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি সাগরিকা। তবু ৮ গোল করে হয়েছেন আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। তাঁকে নিয়ে তাই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রত্যাশাও বেশি থাকবে। তা অবশ্য বাড়তি চাপ মনে হচ্ছে না তাঁর, ‘আমরা চাই, দেশের মানুষ যেভাবে সমর্থন করছে, তা ধারাবাহিকভাবে করলে ভবিষ্যতে এর থেকে আমরা ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’

৬ আগস্ট স্বাগতিক লাওসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কয়েক দিন বিরতি দিয়ে ৮ আগস্ট পূর্ব তিমুর ও ১০ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে লড়বে তারা। বিশেষ করে, ভয়টা বেশি র‍্যাঙ্কিংয়ের ২১ নম্বরে থাকা দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে। ১২৮-এ থাকা বাংলাদেশের চেয়ে ২১ ধাপ এগিয়ে রয়েছে লাওস (১০৭)। ৩০ ধাপ পিছিয়ে থেকে পূর্ব তিমুরের অবস্থান ১৫৮। প্রতিপক্ষ নিয়ে খুটিনাটি এখনো জানেন না সাগরিকারা, ‘তারা কেমন খেলে তা এখনো দেখিনি। তো আমাদের কোচ যে নির্দেশনা দেন, সেটা মেনে আমাদের খেলতে হবে। ইনশা আল্লাহ আমরা ভালো কিছু করে আসব।’

বাছাই থেকে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের পাশাপাশি সেরা তিন রানার্সআপ জায়গা করে নেবে মূল পর্বে। ডিফেন্ডার নবীরণ খাতুন দিলেন ইতিহাস গড়ার প্রতিশ্রুতি, ‘আমাদের আপুদের খেলা দেখেছেন। আশা করি, আপুদের মতো ভালো করব। উনাদের মতোই পারফরম্যান্স দেখাতে চাই। ইনশা আল্লাহ চ্যাম্পিয়ন হব।’

নবীরণের ক্যারিয়ার স্ট্রাইকার হিসেবে শুরু হলেও বাটলারই তাঁকে রক্ষণে খেলাচ্ছেন। ভিন্ন পজিশনে মানিয়ে নিতে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না তাঁর, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। আপনারা দেখেছেন আমার পাশ থেকে আমি কোনো আক্রমণ হতে দিইনি, যেভাবে হোক আটকেছি। ডিফেন্ডার হিসেবে খেলাটা আমি উপভোগ করছি।’

নবিরনের মতো শান্তি মার্দিরও বদল হয়েছে পজিশন। লেফট উইংয়ে তিনি এখন স্বপ্ন দেখছেন ঋতুপর্ণা চাকমাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার, ‘আমি আগে মিডফিল্ডে খেলতাম। হ্যাটট্রিক করেছি, ভালো খেলেছি। চেষ্টা করব ঋতু আপুর কাছ থেকে আরও শেখার। যেন উনার থেকেও ভালো পারফর্ম করতে পারি।’

রক্ষণের পাশাপাশি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গোলেও ভূমিকা রেখেছেন পূজা দাস। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। পথটা অবশ্য সহজ নয়, ‘আমি চেষ্টা করব এই পারফরম্যান্স ও ধারাবাহিতা ধরে রাখার জন্য। প্রত্যেকটা ম্যাচ চ্যালেঞ্জিং। আমি মাঠে নামার আগে মাথায় রাখি নিজেকে মেলে ধরার ব্যাপারে। পুরোটা কাভার করার জন্য চেষ্টা করব।’

চার ফুটবলারই গতকাল ছিলেন খুনসুটি মেজাজে। তবে শিরোপা জয়ের আনন্দ খুব একটা চোখে পড়েনি। তাঁদের মধ্যেও যে বইছে শোকের ছায়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবন বিলিয়ে দিয়ে উত্তরার মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের বাঁচালেন, কে এই মাহরীন চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান থাকতে পারবেন না, সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেওয়ার সুযোগ

পাচার করা ৭৮১ কোটি টাকা ফেরত দিতে চেয়েও জামিন পেলেন না নাসার চেয়ারম্যান নজরুল

পাইলটের শেষ বার্তা: বিমান ভাসছে না, নিচে পড়ছে

মেয়ের কফিনে বাবার চুমু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত