ক্রীড়া ডেস্ক
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে গতকাল। সামনের দিনগুলোয় শীর্ষ পাঁচ লিগের লড়াইয়ে চোখ থাকবে সবার। আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে নান্দনিক গোলগুলোও। যার কিছু নিশ্চিতভাবেই আসবে মাথা অর্থাৎ হেড থেকে। এর মধ্যে পুরোনো সেই প্রশ্ন আবার সামনে এসেছে, হেড দিয়ে করা এসব গোল কতটা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ?
প্রশ্নটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন গবেষণা জানিয়েছে, ফুটবলের হেড মস্তিষ্কে বড় ক্ষতি করতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, সাবেক ফুটবলারদের ডিমেনশিয়ায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা সাধারণ মানুষের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ বেশি। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রশ্ন তুলেছেন ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগোর গবেষক ড. উইলি স্টেওয়ার্ট। তাঁর প্রশ্ন হচ্ছে, ফুটবলে হেড আদৌ জরুরি কি না? শুনতে একটু অদ্ভুত মনে হলেও এই প্রশ্নকে বিবেচনায় নিতেই হবে।
ফুটবলে হেডিং একটু অদ্ভুতই। আর কোনো খেলায় মাথাকে ফুটবলের মতো এতটা সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হয় না। সেটিও কোনো প্রতিরক্ষা বর্ম ছাড়াই। এমনকি বক্সিংয়ের কথাও বলতে পারি। এ খেলায় মাথা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। কিন্তু সেখানেও মাথা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় বর্ম থাকে।
ইতিহাসের এমন সময়ও ছিল যখন হেড মোটেই যৌক্তিক কিছু বলে মনে করা হতো না। কথিত আছে, বার্সেলোনায় একবার স্থানীয় কাতালান দল ব্রিটেনের একটি দলের মুখোমুখি হয়েছিল। সেখানে প্রতিপক্ষকে হেড দিতে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন কাতালান দলটির খেলোয়াড়েরা। ঝুঁকি থাকার পরও ফুটবলে হেড যথেষ্ট জনপ্রিয় ও কার্যকর স্কিল মনে করা হয়।
১৯৯০ দশকের দিকে একটা গুজব বেশ ছড়িয়েছিল। অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল, একবার বল হেড দিলে মস্তিষ্কের তিনটি করে কোষ মরে যায়। এই ধারণা একেবারেই সত্যি নয় এবং বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত নয়। তবু এটি মিথ্যা নয় যে, ফুটবলে হেড মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রশ্ন হচ্ছে, হেডের ঝুঁকির তুলনায় প্রয়োজনীয়তাটা আসলে বেশি কি না? যদিও বিষয়টা সহজও না। যেকোনো শারীরিক কসরতের সঙ্গেই ঝুঁকি জড়িয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিংয়ে জুলেস বিয়ানচি আর ক্রিকেটে ফিলিপ হিউজের মতো খেলোয়াড়েরা মাথায় আঘাত পেয়েই মারা গেছেন। এমন উদাহরণ চাইলে আরও দেওয়া যাবে। এসব ঘটনার পর অবশ্য সুরক্ষা নীতিতে কিছু পরিবর্তনও আনা হয়েছে। কিন্তু এ জন্য খেলাটা আমূল বদলে ফেলা হয়নি। এসব খেলায় অংশ নেওয়া সবাই এই ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত।
ফুটবলের হেডের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। এখানে ঝুঁকিটা আকস্মিক দুর্ঘটনার নয়, বরং খেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ বারবার করায় দীর্ঘ মেয়াদে একটা ঝুঁকি তৈরি হয়। এখানেই প্রশ্নটি আসে যে হেড আসলে কতটা জরুরি? হেড সাধারণত গোল করা ও গোল বাঁচাতে খুবই জরুরি একটি কাজ। মৌসুমের ১৫–২০ শতাংশ গোল আসে হেড থেকে।
এটি মৌসুমের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবার এই হেড দিয়েই ডিফেন্ডাররা অনেক গোল প্রতিহত করে থাকেন।
এমন উপযোগিতা থাকার পরও পেশাদার ক্লাবগুলোও হেড নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদলাতে শুরু করেছে। ক্লাবগুলো তাদের খেলোয়াড়দের বলেছে সপ্তাহপ্রতি অনুশীলনে ১০টির বেশি উচ্চতর শক্তির হেড না নিতে।
তারা অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে নির্দেশনা আকারে না দিয়ে পরামর্শের আকারে দিয়েছে। কিন্তু এভাবে গুনে গুনে হেড দেওয়া আদৌ সম্ভব কি না, সে প্রশ্নও থেকেই যায়।
হেডকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, বক্সের বাইরের হেড ও বক্সের ভেতরের হেড। বক্সের বাইরের হেড নিষিদ্ধ করে সমস্যা সমাধান কি সম্ভব?
পরিসংখ্যান বলছে, যদি এখনই বক্সের বাইরের হেড নিষিদ্ধ করা হয় তবে সব মিলিয়ে ৭৪ শতাংশ হেড কমিয়ে আনা সম্ভব। আর বক্সের বাইরের এসব হেড বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয়।
হেডের ঝুঁকি কমানোর এটি একটি কার্যকর উপায় হতে পারে।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে গতকাল। সামনের দিনগুলোয় শীর্ষ পাঁচ লিগের লড়াইয়ে চোখ থাকবে সবার। আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে নান্দনিক গোলগুলোও। যার কিছু নিশ্চিতভাবেই আসবে মাথা অর্থাৎ হেড থেকে। এর মধ্যে পুরোনো সেই প্রশ্ন আবার সামনে এসেছে, হেড দিয়ে করা এসব গোল কতটা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ?
প্রশ্নটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন গবেষণা জানিয়েছে, ফুটবলের হেড মস্তিষ্কে বড় ক্ষতি করতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, সাবেক ফুটবলারদের ডিমেনশিয়ায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা সাধারণ মানুষের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ বেশি। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রশ্ন তুলেছেন ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগোর গবেষক ড. উইলি স্টেওয়ার্ট। তাঁর প্রশ্ন হচ্ছে, ফুটবলে হেড আদৌ জরুরি কি না? শুনতে একটু অদ্ভুত মনে হলেও এই প্রশ্নকে বিবেচনায় নিতেই হবে।
ফুটবলে হেডিং একটু অদ্ভুতই। আর কোনো খেলায় মাথাকে ফুটবলের মতো এতটা সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হয় না। সেটিও কোনো প্রতিরক্ষা বর্ম ছাড়াই। এমনকি বক্সিংয়ের কথাও বলতে পারি। এ খেলায় মাথা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। কিন্তু সেখানেও মাথা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় বর্ম থাকে।
ইতিহাসের এমন সময়ও ছিল যখন হেড মোটেই যৌক্তিক কিছু বলে মনে করা হতো না। কথিত আছে, বার্সেলোনায় একবার স্থানীয় কাতালান দল ব্রিটেনের একটি দলের মুখোমুখি হয়েছিল। সেখানে প্রতিপক্ষকে হেড দিতে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন কাতালান দলটির খেলোয়াড়েরা। ঝুঁকি থাকার পরও ফুটবলে হেড যথেষ্ট জনপ্রিয় ও কার্যকর স্কিল মনে করা হয়।
১৯৯০ দশকের দিকে একটা গুজব বেশ ছড়িয়েছিল। অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল, একবার বল হেড দিলে মস্তিষ্কের তিনটি করে কোষ মরে যায়। এই ধারণা একেবারেই সত্যি নয় এবং বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত নয়। তবু এটি মিথ্যা নয় যে, ফুটবলে হেড মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রশ্ন হচ্ছে, হেডের ঝুঁকির তুলনায় প্রয়োজনীয়তাটা আসলে বেশি কি না? যদিও বিষয়টা সহজও না। যেকোনো শারীরিক কসরতের সঙ্গেই ঝুঁকি জড়িয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিংয়ে জুলেস বিয়ানচি আর ক্রিকেটে ফিলিপ হিউজের মতো খেলোয়াড়েরা মাথায় আঘাত পেয়েই মারা গেছেন। এমন উদাহরণ চাইলে আরও দেওয়া যাবে। এসব ঘটনার পর অবশ্য সুরক্ষা নীতিতে কিছু পরিবর্তনও আনা হয়েছে। কিন্তু এ জন্য খেলাটা আমূল বদলে ফেলা হয়নি। এসব খেলায় অংশ নেওয়া সবাই এই ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত।
ফুটবলের হেডের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। এখানে ঝুঁকিটা আকস্মিক দুর্ঘটনার নয়, বরং খেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ বারবার করায় দীর্ঘ মেয়াদে একটা ঝুঁকি তৈরি হয়। এখানেই প্রশ্নটি আসে যে হেড আসলে কতটা জরুরি? হেড সাধারণত গোল করা ও গোল বাঁচাতে খুবই জরুরি একটি কাজ। মৌসুমের ১৫–২০ শতাংশ গোল আসে হেড থেকে।
এটি মৌসুমের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবার এই হেড দিয়েই ডিফেন্ডাররা অনেক গোল প্রতিহত করে থাকেন।
এমন উপযোগিতা থাকার পরও পেশাদার ক্লাবগুলোও হেড নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদলাতে শুরু করেছে। ক্লাবগুলো তাদের খেলোয়াড়দের বলেছে সপ্তাহপ্রতি অনুশীলনে ১০টির বেশি উচ্চতর শক্তির হেড না নিতে।
তারা অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে নির্দেশনা আকারে না দিয়ে পরামর্শের আকারে দিয়েছে। কিন্তু এভাবে গুনে গুনে হেড দেওয়া আদৌ সম্ভব কি না, সে প্রশ্নও থেকেই যায়।
হেডকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, বক্সের বাইরের হেড ও বক্সের ভেতরের হেড। বক্সের বাইরের হেড নিষিদ্ধ করে সমস্যা সমাধান কি সম্ভব?
পরিসংখ্যান বলছে, যদি এখনই বক্সের বাইরের হেড নিষিদ্ধ করা হয় তবে সব মিলিয়ে ৭৪ শতাংশ হেড কমিয়ে আনা সম্ভব। আর বক্সের বাইরের এসব হেড বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয়।
হেডের ঝুঁকি কমানোর এটি একটি কার্যকর উপায় হতে পারে।
রাজপুত্র ফিরে এসেছেন। সাও পাওলোর সান্তোস শহরে মানুষের ব্যতিব্যস্ততা বেড়ে গেছে। ভারী বর্ষণ উপেক্ষা করে শহরের মানুষ জড়ো হতে থাকে সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোয়। রাজপত্রকে বরণ করে নিতে হবে যে! সেই রাজপুত্র নেইমার।
৮ মিনিট আগেচলমান বিপিএলে ফিক্সিং ইস্যুতে ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার গুঞ্জনে সরগরম দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। গণমাধ্যমে এ নিয়ে ছড়ানো নানা খবরের প্রেক্ষিতে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বিজয় বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন এবং নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
২০ মিনিট আগেচলতি বিপিএলে ফিক্সিং ইস্যু নিয়ে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিভিন্ন ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পর বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকু) এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন ইউনিট যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও এই ইস্যুতে তীব্র অসন্তোষের...
১ ঘণ্টা আগেসিরিজ আগেই হেরেছে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল সান্ত্বনার জয়। সঙ্গে ধবলধোলাই এড়ানো। তবে পরিচিত সেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেভাবে লড়াইটুকুও করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে আরও একটি বড় ব্যবধানের হারে ধবলধোলাইয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের।
৩ ঘণ্টা আগে