Ajker Patrika

টি-টোয়েন্টিতে ঝোড়ো ব্যাটিং করতে পারে বাংলাদেশও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টি-টোয়েন্টিতে এখন ঝড় তুলতে পারেন বাংলাদেশের ব্যাটাররাও। ছবি: বিসিবি
টি-টোয়েন্টিতে এখন ঝড় তুলতে পারেন বাংলাদেশের ব্যাটাররাও। ছবি: বিসিবি

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই তো চার-ছক্কার ফুলঝুরি। খেলাটা যত কম ওভারের হয়, ততই যেন সেটা ব্যাটারদের খেলা হয়ে ওঠে। আর দর্শকেরা মাঠেই আসেন রানের বন্যা দেখতে।

এখানেই বাংলাদেশ যেন পেছনের সারির দল। ব্যাটিং দুর্বলতায় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ পায়ের তলায় খুব একটা শক্ত জমিন খুঁজে পায়নি। টেস্টের মতো এই সংস্করণেও তাদের নিরন্তর সংগ্রামের গল্প। মাঝেমধ্যে সাফল্য আসে বটে, সেটা বেশির ভাগই নিজস্ব কিছু সূত্র প্রয়োগ করে। মিরপুরের লো স্কোরিং ম্যাচ সে কৌশলের বড় উদাহরণ।

এখনকার টি-টোয়েন্টির চাহিদা আকর্ষণীয় স্ট্রাইকরেট, পাওয়ার হিটিং, ক্লিন হিটিং, ইম্প্যাক্ট ব্যাটিং কিংবা ফিনিশিং—সব জায়গায় ঘাটতি বাংলাদেশ দলে। সেই ঘাটতি পূরণের একটাই আভাসই যেন মিলছে বর্তমান দলে। তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ওপেনিং জুটিতে নতুন এক বার্তাই দিয়েছেন, যাঁরা শুরুতেই ম্যাচের গতি নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। এ বছর দুই ওপেনারের স্ট্রাইকরেটই ১৫০ ছাড়ানো, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মানদণ্ডে যথেষ্ট প্রশংসনীয়। এ পর্যন্ত এই বছর জুনিয়র তামিম ৪০টি ছক্কা মেরেছেন। তাঁর পুরো দল এর অর্ধেকও ছক্কা মারতে পারেনি। এ বছর অন্তত ৫টি -টোয়েন্টি খেলেছেন, এ রকম ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেটে ইমনের স্ট্রাইকরেট সবচেয়ে বেশি—১৬৩.৮৫। তানজিদের যেটি ১৫১.৯৬। শামীম পাটোয়ারীর স্ট্রাইকরেট ১৪৭.৮২।

আকর্ষণীয় স্ট্রাইকরেটে এখন আন্তর্জাতিক ব্যাটারদের সঙ্গে সমান পাল্লা দিচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ২০ ওভারের ক্রিকেটে লম্বা সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কোনো সেঞ্চুরি ছিল না। গত বছর শারজায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে সে অপেক্ষার অবসান ঘটেছে ইমনের মাধ্যমে। মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ইমন অপরাজিত থেকে একাই মেরেছেন ছয়টি ছক্কা। পরশু ইমন প্রথম

ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টি খেলতে এ দক্ষতা থাকতেই হবে। আর আল্লাহর রহমতে আমাদের সবার এই দক্ষতা আছে। একেবারে শেষে যে ব্যাটার নামে, ওরও ছয় মারার দক্ষতা আছে। এটা আরও যত বেশি রপ্ত করতে পারব, তত ভালো।’

পাওয়ার প্লেতেও বাংলাদেশের রান তোলার মনোভাব বদলেছে। শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রতি ম্যাচেই প্রথম ছয় ওভারে বাংলাদেশ প্রায় ৯ রানরেটে রান তুলেছে। ইনিংসের শেষভাগে বাংলাদেশ ভুগেছে ফিনিশার সংকটেও। এ জায়গাতেও দেখা দিচ্ছে নতুন আশার আলো। জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী আশা দিচ্ছেন ফিনিশিং ভূমিকায়। দুজনের স্ট্রাইকরেটই ১৪০ ছাড়ানো, শেষ পাঁচ ওভারে বিগ হিটিংয়ে তাঁদের দক্ষতা চোখে পড়ার মতো। শ্রীলঙ্কা সিরিজে শামীম কখনো লিটনের সঙ্গে, কখনো নাঈম শেখের সঙ্গে গড়ে তুলেছেন ম্যাচের চেহারা বদলে দেওয়া কার্যকর জুটি। শামীমের ২০ বলে ৩০-৪০ রানের ঝড়ই ঘুরিয়ে দিচ্ছে ম্যাচ।

আকর্ষণীয় স্ট্রাইকরেট আর ক্লিন হিটিংয়ে দক্ষতা দেখা গেলেও বাংলাদেশের চিন্তা থেকে যাচ্ছে ইনিংসের মাঝের ওভারগুলোয়। এ সময়ে স্ট্রাইক রোটেশনের হার বাড়ানোর দক্ষতা বাড়লে ২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ পায়ের তলায় খুঁজে পাবে শক্ত মাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত