ক্রীড়া ডেস্ক
টি-টোয়েন্টির আবির্ভাবের পর অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেটের দিন বুঝি ফুরিয়ে গেল!
২০ ওভারের ক্রিকেটেই যেখানে উচ্ছ্বাস-হতাশা, আনন্দ-বেদনার জমাট গল্প, সেখানে পাঁচ দিনের ক্রিকেট মাঠে গিয়ে দেখবে কে! বিভিন্ন দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা বিচ্ছিন্নভাবে লাল বলের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের পর দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও হারিয়ে যায়নি টেস্ট ক্রিকেট। সম্প্রতি শেষ হওয়া ভারত-ইংল্যান্ডের লর্ডস টেস্ট কিংবা অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের জ্যামাইকা টেস্ট যেন বলছে—টেস্টের আবেদন ছিল, আছে এবং থাকবে।
টি-টোয়েন্টির আবির্ভাবের ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে দেশে শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ; যা এই সংস্করণে তুমুল জনপ্রিয়তারই পরিচায়ক। কিন্তু এখনো ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ কিংবা বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের ম্যাচে গ্যালারিতে থাকে দর্শকসমাগম। এই যে এখন চলছে ভারত-ইংল্যান্ডের টেস্ট লড়াই, এই লড়াইয়েও দর্শক আসছে মাঠে।
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইংল্যান্ডের কোচ হয়ে আসার পর আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। তাদের এই ‘বাজবল ক্রিকেট’ কখনো কখনো তাদের পরাজয়ের কারণও হয়েছে, কিন্তু অনেক ক্রিকেট পণ্ডিতের অভিমত—এই সময়ের সাদা পোশাকের ক্রিকেটটা এমনই হওয়া উচিত; বিশেষ করে ২০২৩ অ্যাশেজের স্মৃতি অনেক মানুষের মনে এখনো তরতাজা। পাঁচ দিনের খেলা ঠিকভাবে পরিচালিত হলে টেস্টই সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ সংস্করণ—সেই অ্যাশেজ যেন এ কথাই বলে!
শুধু কি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড কিংবা ভারত-ইংল্যান্ড; এক পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, ২০২৩-২৫ টেস্ট চক্রে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ম্যাচেও দর্শক উপস্থিতির হার বেড়েছে। ব্যাট-বলের টান টান লড়াই, চতুর্থ ইনিংসে রানতাড়ার রোমাঞ্চ আর স্পিন-বাউন্সের ভারসাম্যও যেন টেস্ট ক্রিকেটে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে। উইকেট সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারা এবং সে অনুযায়ী খেলার কৌশল সাজানোটাও এখন টেস্টে লড়াইয়ে জেতার আবশ্যিক অনুষঙ্গ হয়ে উঠছে। ক্রিকেটারদের শাণিত পারফরম্যান্সের কারণে অনেক টেস্ট এখন নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছে ম্যাচ পাঁচ দিনে গড়ানোর আগেই। আর পাঁচ দিনে গড়ালেও তাতে থাকছে ‘কী হয়’, ‘কী হয়’ এমন উত্তেজনা।
টেস্ট ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে আইসিসি। গত মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইংল্যান্ড খেলেছে ৪ দিনের টেস্ট। টেস্ট ম্যাচের সময়ের ব্যাপ্তি কমিয়ে আনা ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে কাজ করছে আইসিসি। অনেকে দ্বিস্তরবিশিষ্ট টেস্ট কাঠামো চালু নিয়েও কথা বলছেন। যদিও এই কাঠামো নিয়ে আইসিসির সদস্য অনেক দেশের আপত্তি আছে। তবে লড়াইয়ের তীব্রতা এবং আকর্ষণের কথা মাথায় রেখে ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি টেস্ট খেলার পক্ষে। আকর্ষণ ও লড়াইয়ের তীব্রতা সেখানে বেশি থাকায় সেটি বাণিজ্যিকভাবেও হবে খুব লাভজনক।
বাণিজ্যের কথা বললে আবার টি-টোয়েন্টিই আসে সবার আগে। কিন্তু খেলার সৌন্দর্য, কৌশল আর ধৈর্যের পরীক্ষা যেখানে একসঙ্গে মেলে, তা কেবল টেস্টেই সম্ভব। এর সঙ্গে খেলার উত্তেজনা থাকলে তো কথাই নেই। সেই উত্তেজনাই ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখতে পেয়েছেন ভারত-ইংল্যান্ডের চলতি সিরিজে। তাই এখন বলাই যায়, টেস্ট রোমাঞ্চ হারিয়ে যাওয়ার নয়!
টি-টোয়েন্টির আবির্ভাবের পর অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেটের দিন বুঝি ফুরিয়ে গেল!
২০ ওভারের ক্রিকেটেই যেখানে উচ্ছ্বাস-হতাশা, আনন্দ-বেদনার জমাট গল্প, সেখানে পাঁচ দিনের ক্রিকেট মাঠে গিয়ে দেখবে কে! বিভিন্ন দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা বিচ্ছিন্নভাবে লাল বলের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের পর দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও হারিয়ে যায়নি টেস্ট ক্রিকেট। সম্প্রতি শেষ হওয়া ভারত-ইংল্যান্ডের লর্ডস টেস্ট কিংবা অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের জ্যামাইকা টেস্ট যেন বলছে—টেস্টের আবেদন ছিল, আছে এবং থাকবে।
টি-টোয়েন্টির আবির্ভাবের ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে দেশে শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ; যা এই সংস্করণে তুমুল জনপ্রিয়তারই পরিচায়ক। কিন্তু এখনো ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ কিংবা বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের ম্যাচে গ্যালারিতে থাকে দর্শকসমাগম। এই যে এখন চলছে ভারত-ইংল্যান্ডের টেস্ট লড়াই, এই লড়াইয়েও দর্শক আসছে মাঠে।
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইংল্যান্ডের কোচ হয়ে আসার পর আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। তাদের এই ‘বাজবল ক্রিকেট’ কখনো কখনো তাদের পরাজয়ের কারণও হয়েছে, কিন্তু অনেক ক্রিকেট পণ্ডিতের অভিমত—এই সময়ের সাদা পোশাকের ক্রিকেটটা এমনই হওয়া উচিত; বিশেষ করে ২০২৩ অ্যাশেজের স্মৃতি অনেক মানুষের মনে এখনো তরতাজা। পাঁচ দিনের খেলা ঠিকভাবে পরিচালিত হলে টেস্টই সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ সংস্করণ—সেই অ্যাশেজ যেন এ কথাই বলে!
শুধু কি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড কিংবা ভারত-ইংল্যান্ড; এক পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, ২০২৩-২৫ টেস্ট চক্রে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ম্যাচেও দর্শক উপস্থিতির হার বেড়েছে। ব্যাট-বলের টান টান লড়াই, চতুর্থ ইনিংসে রানতাড়ার রোমাঞ্চ আর স্পিন-বাউন্সের ভারসাম্যও যেন টেস্ট ক্রিকেটে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে। উইকেট সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারা এবং সে অনুযায়ী খেলার কৌশল সাজানোটাও এখন টেস্টে লড়াইয়ে জেতার আবশ্যিক অনুষঙ্গ হয়ে উঠছে। ক্রিকেটারদের শাণিত পারফরম্যান্সের কারণে অনেক টেস্ট এখন নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছে ম্যাচ পাঁচ দিনে গড়ানোর আগেই। আর পাঁচ দিনে গড়ালেও তাতে থাকছে ‘কী হয়’, ‘কী হয়’ এমন উত্তেজনা।
টেস্ট ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে আইসিসি। গত মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইংল্যান্ড খেলেছে ৪ দিনের টেস্ট। টেস্ট ম্যাচের সময়ের ব্যাপ্তি কমিয়ে আনা ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে কাজ করছে আইসিসি। অনেকে দ্বিস্তরবিশিষ্ট টেস্ট কাঠামো চালু নিয়েও কথা বলছেন। যদিও এই কাঠামো নিয়ে আইসিসির সদস্য অনেক দেশের আপত্তি আছে। তবে লড়াইয়ের তীব্রতা এবং আকর্ষণের কথা মাথায় রেখে ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি টেস্ট খেলার পক্ষে। আকর্ষণ ও লড়াইয়ের তীব্রতা সেখানে বেশি থাকায় সেটি বাণিজ্যিকভাবেও হবে খুব লাভজনক।
বাণিজ্যের কথা বললে আবার টি-টোয়েন্টিই আসে সবার আগে। কিন্তু খেলার সৌন্দর্য, কৌশল আর ধৈর্যের পরীক্ষা যেখানে একসঙ্গে মেলে, তা কেবল টেস্টেই সম্ভব। এর সঙ্গে খেলার উত্তেজনা থাকলে তো কথাই নেই। সেই উত্তেজনাই ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখতে পেয়েছেন ভারত-ইংল্যান্ডের চলতি সিরিজে। তাই এখন বলাই যায়, টেস্ট রোমাঞ্চ হারিয়ে যাওয়ার নয়!
ম্যাচের শুরু থেকে অপেক্ষা বাংলাদেশ গোল কখন দেবে। কারণ আগের তিন ম্যাচেই প্রথমার্ধে গোলের দেখা পেয়ে যায় পিটার বাটলারের দল। তাও শুরুর দিকে। গোলের দেখা মিলেছে আজও। সেজন্য অপেক্ষা করতে হয় ৩৩ মিনিট। সেই এক গোলে এগিয়ে ভুটানের বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেদুজনের শুরুটা হয়েছে একই বছরে। এরপর থেকে তাদের নিয়ে তুলনায় তর্কে বেঁধে যান অনেকেই। এবার সেই প্রশ্নই রাখা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার কাছে। শেন ওয়ার্ন নাকি মুত্তিয়া মুরালিধরণ, তাঁর চোখে কে সেরা? টেস্টে ১১৯৫৩ রান করা লারা অবশ্য ওয়ার্নকেই এগিয়ে রাখলেন। তবে এটাও মুরালির মতো...
২ ঘণ্টা আগেঅস্বাভাবিক কিছু দেখলে সেই ব্যাপারে চুপ করে থাকার পাত্র নন মাইকেল ভন। আর ঘটনা যখন ঘটেছে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে, তখন কি তিনি কথা না বলে থাকতে পারেন? আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) কেন শুধু একটা দলকেই শাস্তি দিয়েছে, সেই প্রশ্ন এখন ভনের।
৩ ঘণ্টা আগে২৩ বছর পর লিগ জিতে গত মৌসুম শেষ করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। নতুন মৌসুমের দলবদলে তাই তাদের ওপরই চোখ বেশি। শুরুতে অবশ্য অবাক করে দলের দীর্ঘদিনের সৈনিক সুলেমান দিয়াবাতের সঙ্গে নতুন চুক্তি না করে। তবে মুজাফ্ফর মুজাফ্ফরভকে ধরে রেখেছে সাদা-কালোরা।
৩ ঘণ্টা আগে