নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মঞ্চটা সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের পর তৈরি ছিল। তৃতীয় ম্যাচে হারে বেড়েছিল অপেক্ষা। সেই অপেক্ষা আর শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বাড়াল না বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ৬ উইকেটে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে ও আগস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর এবার কিউই-বধ; প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে টানা তিনটি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
বোলিংয়ে কাল শুরুটা করেছিলেন নাসুম আহমেদ। উইকেট-উৎসবে পরে যোগ দেন মোস্তাফিজুর রহমান। কিউইদের ৮ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন এ দুই বাঁহাতি। লক্ষ্যটা ৯৪ রানের হলেও মিরপুরের মন্থর উইকেটে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল স্বাগতিকেরা। ৪৮ বলে ৪৩ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের প্রান্তে পৌঁছে তবেই ফিরেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ম্যাচ-সেরা হয়েছেন ঘূর্ণি জাদুতে কিউইদের নাকাল করা নাসুম। জয়ের কৃতিত্ব অবশ্য সব বোলারকেই ভাগাভাগি করে দিলেন মাহমুদউল্লাহ। সাধুবাদ জানালেন ব্যাটসম্যানদের প্রচেষ্টাকেও। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডকে কম রানে আটকে রাখার কাজটা বোলাররা দারুণ করেছে। নাসুম, মেহেদী, মোস্তাফিজসহ সব বোলার দারুণ বোলিং করেছে।’
বল হাতে এদিন শুরুতেই নিউজিল্যান্ডকে ধাক্কা দেন নাসুম। ১৬ রানে কিউইদের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ম্যাচটা বাংলাদেশের দিকে নিয়ে আসেন এই স্পিনার। এরপর মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজরা আরও চেপে ধরেন কিউই ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটিংয়ে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগই পায়নি সফরকারীরা।
শ্লথ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের মতো সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশকেও। ৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ম্যাচকে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবু এই জয়ে ব্যাটসম্যানদের প্রচেষ্টা বড় করেই দেখছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছে। মিডল অর্ডারে আমাদের ভালো জুটির প্রয়োজন ছিল। আমি ও নাঈম চেষ্টা করেছি। নাঈম ভালো ব্যাটিং করেছে, আফিফও ভালো করেছে। আমরা জুটি গড়ে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব টিম ম্যানেজমেন্ট ও ছেলেদের।’
সিরিজ জিতলেও থামতে নারাজ মাহমুদউল্লাহ। শেষ ম্যাচ জিতে ব্যবধানটা ৪-১ করতে উন্মুখ তিনি, ‘এখনো আরেকটি সুযোগ আছে। আশা করি, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই ম্যাচও জেতার চেষ্টা করব।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন নাসুম। সিরিজ জেতা ম্যাচে হয়েছেন ম্যাচ-সেরাও। নিজের সাফল্যের রহস্য জানাতে গিয়ে নাসুম বলেছেন, ‘সিরিজ জিতে খুশি। অধিনায়কের কাছ থেকে কোনো চাপ ছিল না। চেষ্টা করেছিলাম যত কম রান দেওয়া যায়। উইকেট বেশ টার্নিং ছিল। আমার মনোযোগ ছিল জায়গায় বল করে যাওয়া।’
এই সিরিজ জয়গুলো বিশ্বকাপে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে জানিয়ে নাসুম আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা, আমরা ম্যাচ জিতছি। আর ম্যাচ জিতলে এমনিতেই আত্মবিশ্বাস উঁচুতে থাকে। আমরা ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে যাচ্ছি, অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেশি থাকবে। আমার বিশ্বাস, আমরা অনেক ভালো করব।
তৃতীয় ম্যাচ জিতে সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত সিরিজ হাতছাড়া করেছে নিউজিল্যান্ড। সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে হতাশ কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বলেছেন, ‘শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারানোর পরও তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। মাহমুদউল্লাহ যেভাবে শেষ করেছে, এ জন্য তাদের কৃতিত্ব দিতে হয়। যেভাবে আমরা শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে গেছি, তাতে তৃপ্ত।’
মঞ্চটা সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের পর তৈরি ছিল। তৃতীয় ম্যাচে হারে বেড়েছিল অপেক্ষা। সেই অপেক্ষা আর শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বাড়াল না বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ৬ উইকেটে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে ও আগস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর এবার কিউই-বধ; প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে টানা তিনটি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
বোলিংয়ে কাল শুরুটা করেছিলেন নাসুম আহমেদ। উইকেট-উৎসবে পরে যোগ দেন মোস্তাফিজুর রহমান। কিউইদের ৮ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন এ দুই বাঁহাতি। লক্ষ্যটা ৯৪ রানের হলেও মিরপুরের মন্থর উইকেটে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল স্বাগতিকেরা। ৪৮ বলে ৪৩ রানের লড়াকু এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের প্রান্তে পৌঁছে তবেই ফিরেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ম্যাচ-সেরা হয়েছেন ঘূর্ণি জাদুতে কিউইদের নাকাল করা নাসুম। জয়ের কৃতিত্ব অবশ্য সব বোলারকেই ভাগাভাগি করে দিলেন মাহমুদউল্লাহ। সাধুবাদ জানালেন ব্যাটসম্যানদের প্রচেষ্টাকেও। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডকে কম রানে আটকে রাখার কাজটা বোলাররা দারুণ করেছে। নাসুম, মেহেদী, মোস্তাফিজসহ সব বোলার দারুণ বোলিং করেছে।’
বল হাতে এদিন শুরুতেই নিউজিল্যান্ডকে ধাক্কা দেন নাসুম। ১৬ রানে কিউইদের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ম্যাচটা বাংলাদেশের দিকে নিয়ে আসেন এই স্পিনার। এরপর মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজরা আরও চেপে ধরেন কিউই ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটিংয়ে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগই পায়নি সফরকারীরা।
শ্লথ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের মতো সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশকেও। ৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ম্যাচকে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবু এই জয়ে ব্যাটসম্যানদের প্রচেষ্টা বড় করেই দেখছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছে। মিডল অর্ডারে আমাদের ভালো জুটির প্রয়োজন ছিল। আমি ও নাঈম চেষ্টা করেছি। নাঈম ভালো ব্যাটিং করেছে, আফিফও ভালো করেছে। আমরা জুটি গড়ে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব টিম ম্যানেজমেন্ট ও ছেলেদের।’
সিরিজ জিতলেও থামতে নারাজ মাহমুদউল্লাহ। শেষ ম্যাচ জিতে ব্যবধানটা ৪-১ করতে উন্মুখ তিনি, ‘এখনো আরেকটি সুযোগ আছে। আশা করি, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই ম্যাচও জেতার চেষ্টা করব।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন নাসুম। সিরিজ জেতা ম্যাচে হয়েছেন ম্যাচ-সেরাও। নিজের সাফল্যের রহস্য জানাতে গিয়ে নাসুম বলেছেন, ‘সিরিজ জিতে খুশি। অধিনায়কের কাছ থেকে কোনো চাপ ছিল না। চেষ্টা করেছিলাম যত কম রান দেওয়া যায়। উইকেট বেশ টার্নিং ছিল। আমার মনোযোগ ছিল জায়গায় বল করে যাওয়া।’
এই সিরিজ জয়গুলো বিশ্বকাপে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে জানিয়ে নাসুম আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা, আমরা ম্যাচ জিতছি। আর ম্যাচ জিতলে এমনিতেই আত্মবিশ্বাস উঁচুতে থাকে। আমরা ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে যাচ্ছি, অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেশি থাকবে। আমার বিশ্বাস, আমরা অনেক ভালো করব।
তৃতীয় ম্যাচ জিতে সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত সিরিজ হাতছাড়া করেছে নিউজিল্যান্ড। সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে হতাশ কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বলেছেন, ‘শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারানোর পরও তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। মাহমুদউল্লাহ যেভাবে শেষ করেছে, এ জন্য তাদের কৃতিত্ব দিতে হয়। যেভাবে আমরা শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে গেছি, তাতে তৃপ্ত।’
ডায়েরির পাতার পাশে সাঁটানো হলুদ এক চিরকুটে লেখা, ‘২০২৫ এর ঐ বছর শেষ হবার আগে আমার সেঞ্চুরি থাকবে ৫০ টা।’ উপরে তারিখটি ছিল ৮ এপ্রিল, ২০১৪। ১১ বছর আগে নিজের করা সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্যিতে রূপ দিলেন এনামুল হক বিজয়। স্বীকৃত ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০ সেঞ্চুরির মালিক হলেন..
১৩ মিনিট আগেটেস্টে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে মুখোমুখি হয়েছে চার বছর পর। ২০২১ সালে হারারের পর এবার তারা খেলছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সিলেটে আজ শুরু হওয়া প্রথম টেস্টে সকালে ধাক্কা খেলেও সেই ধাক্কা বাংলাদেশ কাটিয়ে ওঠে ঠিকই। কিন্তু হঠাৎ ধসের সেই রোগ থেকে তো আর বাংলাদেশ সহসা বের হতে পারছে না।
১ ঘণ্টা আগেএকটু এদিক-সেদিক হলে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশের পরিবর্তে উঠত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত নিগার সুলতানা জ্যোতির বাংলাদেশ কেটেছে মূলপর্বের টিকিট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সেরা একাদশে নাম আছেন দুই বাংলাদেশি।
২ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর অভিষেক হয়েছে, সমিত সোমও দুয়ারে কড়া নাড়ছেন। এবার আলোচনায় আরেক প্রবাসী ফুটবলার কিউবা মিচেল। জুনে বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে খেলানো চেষ্টা করছে বাফুফে। কিউবাও মৌখিকভাবে খেলার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে