লাইছ ত্বোহা, চট্টগ্রাম থেকে
একটু দেরিতে শুরু করলেও বেশ প্রশংসিত হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া বিভাগের নতুন উদ্যোগ। তারা নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট প্রকাশ করেছে বিসিবির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। আর তাতে দর্শকের সুযোগ হচ্ছে বাংলাদেশ দলের অন্দর দেখার। তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন ড্রেসিংরুমের ব্যতিক্রম কিছু ঘটনাও।
পরশু যেমন দেখা গেল কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ড্রেসিংরুমে নাজমুল হোসেন শান্তকে পরিয়ে দিচ্ছেন ‘মেরুন জ্যাকেট’। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে একাধিক পারফরমার ছিলেন এই মেরুন জ্যাকেট গায়ে জড়ানোর। দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে পারফরমার সতীর্থদের পেছনে ফেলে শান্তই পেয়েছেন মেরুন জ্যাকেট। ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে হাথুরুর দেওয়া ভাষণে বোঝা যাচ্ছিল, বাংলাদেশ পরশু যে ‘ক্যারেক্টার’ দেখিয়েছে, এটাই তিনি চান দলের কাছ থেকে। শ্রীলঙ্কা ভালো শুরু করার পরও বাংলাদেশের বোলাররা প্রত্যাবর্তন করেছেন। ব্যাটিংয়েও বাজে শুরুর পর মাহমুদউল্লাহ, শান্ত আর মুশফিকুর রহিমের পাল্টা লড়াই মুগ্ধ করেছে সবাইকে। বিপর্যয়ে ঘুরে দাঁড়ানোই হচ্ছে প্রকৃত যোদ্ধার পরিচয়। দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে ফিরে এই লড়াকু মানসিকতা তৈরির চ্যালেঞ্জটা নিয়েছেন হাথুরু।
খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে কোচরা অনেক কিছুই করেন। হাথুরু যেমন বাংলাদেশ দলে নতুন সংস্কৃতি তৈরি করতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে গুয়াহাটি থেকে বিশেষ বই ‘দ্য টাইগার্স কোড’ তুলে দিচ্ছেন জাতীয় দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের হাতে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সংস্কৃতি কেমন হবে, কীভাবে ক্রিকেটাররা একটা আদর্শ দল হয়ে খেলতে পারবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ব্যক্তিস্বার্থ দূরে রেখে কী করে সবকিছুর ঊর্ধ্বে দলীয় বিশ্বস্ততাকে প্রাধান্য দেওয়া যায়, এটিই টাইগার্স কোডের মূল কথা। শুধু ক্রিকেট নয়, এর বাইরেও একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের জীবনবৈচিত্র্য কেমন হবে সেটি উল্লেখ আছে। মেরুন জ্যাকেট, টাইগার্স কোডের সঙ্গে গত কয়েক মাসে পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে। নতুন কয়েকজন কোচ যুক্ত হয়েছেন এরই মধ্যে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন নেতৃত্বে। নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে সওয়ার হয়ে বাংলাদেশ শুরু করেছে নবযাত্রা।
এই পরিবর্তনের হাওয়ায় বাংলাদেশ যদি পেছন ফেলতে পারে দলকে ঘিরে থাকা কিছু বিতর্ক। মাশরাফি বিন মর্তুজার বিদায়ের পর চার সিনিয়র ক্রিকেটারকে একসঙ্গে খুব কমই পাওয়া গেছে গত চার বছরে। এর মধ্যে যোগ হয়েছে সাকিব-তামিম ইকবালের দ্বন্দ্ব। স্পষ্ট হয়েছে কোচের সঙ্গে তামিমের দূরত্বও। মজার ব্যাপার, গত বছর বাংলাদেশে ফেরার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সিনিয়র ক্রিকেটারদের সামলানো সবচেয়ে কঠিন কাজ হবে কি না। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘নাহ! একেবারেই না।’ এর ঠিক কয়েক মাসের মধ্যেই তামিম-মাহমুদউল্লাহর দলে থাকা-না থাকার পেছনে হাথুরুর ভূমিকা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এখনো যা চলছে।
বিতর্ক-সমালোচনার মধ্যেও হাথুরু নিজের কাজে অটল থেকেছেন। কয়েক মাসের অদল-বদলের সময়ে দলে নতুন সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হাথুরুর ট্রাম্পকার্ড হয়ে এসেছেন ‘লিডার’ শান্ত। ইম্প্যাক্ট, ইনটেন্ট, পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে শান্তই ছিলেন এ দায়িত্ব নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাঠে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জয় এবং একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিজেদের মাঠে টেস্ট জিতেছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। ২০২৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫.০২ গড়ে বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮৪৬ রান শান্তর।
পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়ক হওয়ার পর প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও শান্তর পারফরম্যান্স প্রশংসনীয়। ওয়ানডে সিরিজে আজ তাঁর সামনে রেকর্ড গড়ার সুযোগ। শান্তর নেতৃত্ব প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জেতার লক্ষ্যে আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে স্বাগতিকেরা। শান্ত রান করলেই যে বাংলাদেশ জেতে, সেটি গত পাঁচ মাসে লঙ্কানদের বিপক্ষেই দেখা গেল তিনবার। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে দিল্লিতে আলোচিত ‘টাইমড আউট’ ম্যাচে লঙ্কানদের ৩ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ দল। সে ম্যাচে ৯০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন শান্ত। সিলেটে জেতা টি-টোয়েন্টিতে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর পরশু ওয়ানডে তো দেখাই গেল। অথচ কে বলবে এই শান্ত পুরো বিপিএলে রানখরায় ভুগেছেন।
তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াল, কোচ হাথুরুর সঙ্গেই অধিনায়ক শান্তর রসায়নটা বেশ জমে উঠেছে। এটি যত জমজমাট থাকবে, ততই গৌরবগাথা লিখবে বাংলাদেশ।
একটু দেরিতে শুরু করলেও বেশ প্রশংসিত হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া বিভাগের নতুন উদ্যোগ। তারা নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট প্রকাশ করেছে বিসিবির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। আর তাতে দর্শকের সুযোগ হচ্ছে বাংলাদেশ দলের অন্দর দেখার। তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন ড্রেসিংরুমের ব্যতিক্রম কিছু ঘটনাও।
পরশু যেমন দেখা গেল কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ড্রেসিংরুমে নাজমুল হোসেন শান্তকে পরিয়ে দিচ্ছেন ‘মেরুন জ্যাকেট’। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে একাধিক পারফরমার ছিলেন এই মেরুন জ্যাকেট গায়ে জড়ানোর। দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে পারফরমার সতীর্থদের পেছনে ফেলে শান্তই পেয়েছেন মেরুন জ্যাকেট। ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে হাথুরুর দেওয়া ভাষণে বোঝা যাচ্ছিল, বাংলাদেশ পরশু যে ‘ক্যারেক্টার’ দেখিয়েছে, এটাই তিনি চান দলের কাছ থেকে। শ্রীলঙ্কা ভালো শুরু করার পরও বাংলাদেশের বোলাররা প্রত্যাবর্তন করেছেন। ব্যাটিংয়েও বাজে শুরুর পর মাহমুদউল্লাহ, শান্ত আর মুশফিকুর রহিমের পাল্টা লড়াই মুগ্ধ করেছে সবাইকে। বিপর্যয়ে ঘুরে দাঁড়ানোই হচ্ছে প্রকৃত যোদ্ধার পরিচয়। দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে ফিরে এই লড়াকু মানসিকতা তৈরির চ্যালেঞ্জটা নিয়েছেন হাথুরু।
খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে কোচরা অনেক কিছুই করেন। হাথুরু যেমন বাংলাদেশ দলে নতুন সংস্কৃতি তৈরি করতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে গুয়াহাটি থেকে বিশেষ বই ‘দ্য টাইগার্স কোড’ তুলে দিচ্ছেন জাতীয় দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের হাতে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সংস্কৃতি কেমন হবে, কীভাবে ক্রিকেটাররা একটা আদর্শ দল হয়ে খেলতে পারবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ব্যক্তিস্বার্থ দূরে রেখে কী করে সবকিছুর ঊর্ধ্বে দলীয় বিশ্বস্ততাকে প্রাধান্য দেওয়া যায়, এটিই টাইগার্স কোডের মূল কথা। শুধু ক্রিকেট নয়, এর বাইরেও একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের জীবনবৈচিত্র্য কেমন হবে সেটি উল্লেখ আছে। মেরুন জ্যাকেট, টাইগার্স কোডের সঙ্গে গত কয়েক মাসে পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে। নতুন কয়েকজন কোচ যুক্ত হয়েছেন এরই মধ্যে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন নেতৃত্বে। নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে সওয়ার হয়ে বাংলাদেশ শুরু করেছে নবযাত্রা।
এই পরিবর্তনের হাওয়ায় বাংলাদেশ যদি পেছন ফেলতে পারে দলকে ঘিরে থাকা কিছু বিতর্ক। মাশরাফি বিন মর্তুজার বিদায়ের পর চার সিনিয়র ক্রিকেটারকে একসঙ্গে খুব কমই পাওয়া গেছে গত চার বছরে। এর মধ্যে যোগ হয়েছে সাকিব-তামিম ইকবালের দ্বন্দ্ব। স্পষ্ট হয়েছে কোচের সঙ্গে তামিমের দূরত্বও। মজার ব্যাপার, গত বছর বাংলাদেশে ফেরার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সিনিয়র ক্রিকেটারদের সামলানো সবচেয়ে কঠিন কাজ হবে কি না। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘নাহ! একেবারেই না।’ এর ঠিক কয়েক মাসের মধ্যেই তামিম-মাহমুদউল্লাহর দলে থাকা-না থাকার পেছনে হাথুরুর ভূমিকা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এখনো যা চলছে।
বিতর্ক-সমালোচনার মধ্যেও হাথুরু নিজের কাজে অটল থেকেছেন। কয়েক মাসের অদল-বদলের সময়ে দলে নতুন সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হাথুরুর ট্রাম্পকার্ড হয়ে এসেছেন ‘লিডার’ শান্ত। ইম্প্যাক্ট, ইনটেন্ট, পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে শান্তই ছিলেন এ দায়িত্ব নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাঠে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জয় এবং একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিজেদের মাঠে টেস্ট জিতেছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। ২০২৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫.০২ গড়ে বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮৪৬ রান শান্তর।
পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়ক হওয়ার পর প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও শান্তর পারফরম্যান্স প্রশংসনীয়। ওয়ানডে সিরিজে আজ তাঁর সামনে রেকর্ড গড়ার সুযোগ। শান্তর নেতৃত্ব প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জেতার লক্ষ্যে আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে স্বাগতিকেরা। শান্ত রান করলেই যে বাংলাদেশ জেতে, সেটি গত পাঁচ মাসে লঙ্কানদের বিপক্ষেই দেখা গেল তিনবার। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে দিল্লিতে আলোচিত ‘টাইমড আউট’ ম্যাচে লঙ্কানদের ৩ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ দল। সে ম্যাচে ৯০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন শান্ত। সিলেটে জেতা টি-টোয়েন্টিতে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর পরশু ওয়ানডে তো দেখাই গেল। অথচ কে বলবে এই শান্ত পুরো বিপিএলে রানখরায় ভুগেছেন।
তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াল, কোচ হাথুরুর সঙ্গেই অধিনায়ক শান্তর রসায়নটা বেশ জমে উঠেছে। এটি যত জমজমাট থাকবে, ততই গৌরবগাথা লিখবে বাংলাদেশ।
২০০ মিটার মিডলের সেমিফাইনালেই রেকর্ড গড়েছিলেন লিঁও মারশাঁ। ১ মিনিট ৫২.৬৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন রায়ান লোকটির ১৪ বছরের পুরোনো রেকর্ড। গতকাল ফাইনালে নিজের সেরা টাইমিংকে ছাপিয়ে যেতে না পারলেও ফ্রান্সের এই তারকা সাঁতারু এই ইভেন্টে দ্বিতীয় সেরা টাইমিং গড়েছেন। রেকর্ড গড়া সেমিফাইনালের ২৪ ঘণ্টার
২ ঘণ্টা আগেনানান রেকর্ডের হাতছানি ছিল শুবমান গিলের সামনে। সেসব রেকর্ড ছুঁতে কিংবা ছাড়িয়ে যেতে ভারতের টেস্ট অধিনায়ককে বড় একটি ইনিংসই খেলতে হতো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার সিরিজের শেষ টেস্টে ওভালে আজ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। ৩৫ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে গেছেন। তাতেই তিনি ভেঙে দিয়েছেন সুনীল গাভা
২ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েই জিম্বাবুয়েতে অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে হারিয়েছিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু এই জয়ের ধারা আর গতকাল ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বক্সিংয়ে আজ ছিল শেষদিন। মেয়েদের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণির ফাইনালের দিকেই নজর ছিল বেশি। যেখানে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের বোন আফরা খন্দকারকে হারিয়ে সোনা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস।
৪ ঘণ্টা আগে