সাদা বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলের লোয়ার অর্ডারের অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন জাকের আলী অনিক। গত বিপিএলে মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ইমপ্যাক্টফুল ব্যাটিং তাঁকে জাতীয় দলে জায়গা করে দেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দারুণ একটা সফরের পর চলতি বিপিএলেও চেষ্টা করছেন। তবে এখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী জ্বলে উঠতে পারেননি জাকের। সামনে আবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। গতকাল চট্টগ্রামে টিম হোটেলে নিজের প্রস্তুতি, প্রত্যাশা ও ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ, চট্টগ্রাম থেকে
প্রশ্ন: ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের জায়গা থেকে গত বিপিএল ও চলতি বিপিএলের পার্থক্য কী?
জাকের আলী অনিক: পার্থক্য বলতে গেলে আমি সব সময় ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করেছি—গত বছরও, এবারও। তবে একটা বড় পরিবর্তন হলো, গত বিপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলাম। এবার বিপিএলে খেলছি জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। পার্থক্যটা মূলত প্রমাণ করার তাগিদ থেকে মান ধরে রাখার চেষ্টা।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে দুর্দান্ত খেলে এসে এবার বিপিএল খেলার কারণে কি নিজের ওপর বাড়তি প্রত্যাশার চাপ তৈরি হয়েছে? হয়ে থাকলে এই চাপ সামলানো কি চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?
জাকের: হ্যাঁ, প্রত্যাশা অবশ্যই বেড়েছে। এখন ফিনিশারের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছি। জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে আত্মবিশ্বাস বাড়লে পারফর্ম করা সহজ হয়ে যায়। তবে পারফরম্যান্সের চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। আমি চেষ্টা করছি সেই চাপকে ইতিবাচকভাবে নিতে। চ্যালেঞ্জ আছে, তবে মানসিক শক্তি ও প্রস্তুতিতে ভরসা রেখে এগোচ্ছি।
প্রশ্ন: ছোট সীমানা ও রানপ্রসবা উইকেটে তো আপনার মতো পাওয়ার হিটারের জন্য দারুণ সুযোগ। তবু ছন্দে ফিরতে বেগ পেতে হচ্ছে কোথায়?
জাকের: বাউন্ডারি ছোট না বড়, এটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়। আমি সব সময় নিজের স্কিলের ওপর মনোযোগ রাখি। বল যদি আমার জোনে আসে, হিট করার চেষ্টা করি। বাউন্ডারি ছোট হলে সুবিধা হতে পারে, তবে সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য। আমার কাছে মূল বিষয় হলো, নিজের পরিকল্পনায় স্থির থাকা এবং সঠিকভাবে তা বাস্তবায়ন করা।
প্রশ্ন: গত বিপিএলে ২০০ ছুঁই ছুঁই (১৯৯) রান করতে আপনার ১৪টি ম্যাচ লেগেছিল। এবার মাত্র ৭ ম্যাচে ১৪৭ রান, রয়েছে ১২টি ছক্কাও। বিপিএল শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
জাকের: আমি সব সময় নিজের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণের চেষ্টা করি। গত বছরের পারফরম্যান্স কেমন ছিল, কতগুলো বাউন্ডারি বা ছক্কা মেরেছি—এসব নিয়ে কাজ করি। এবার সেই তাগিদ থেকে আরও ভালো করার চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: সিলেটের টিম কম্বিনেশন নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী? কখনো মনে হয়েছে, আরও ভালো অপশন থাকলে দলের ফল ভিন্ন হতে পারত?
জাকের: সত্যি বলতে দল হিসেবে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। সবাই একসঙ্গে ভালো করলে ফল ভিন্ন হতে পারত। আমাদের পারফেক্ট কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়া কিছুটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় লড়াই করছে ছন্দে ফিরতে। তবে দলীয় পারফরম্যান্সের উন্নতি অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তিগতভাবে আরও ভালো করতে চাই।
প্রশ্ন: বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সেমিফাইনালে ওঠা কি সম্ভব?
জাকের: আমরা বেশ কয়েকটি ম্যাচ হেরেছি। এতে পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হয়েছে। তবে এখনো সুযোগ রয়েছে। সেমিফাইনালে উঠতে হলে পরের ম্যাচগুলো জিততে হবে। আমরা যদি একসঙ্গে ভালো খেলতে পারি, সেমিফাইনালে ওঠা অসম্ভব নয়।
প্রশ্ন: সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, কতটা রোমাঞ্চিত? টুর্নামেন্টে আপনার লক্ষ্য কী?
জাকের: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আমার কাছে বিশাল সুযোগ। আমি খুবই রোমাঞ্চিত এবং নিজের ভূমিকা নিয়ে প্রস্তুত। লক্ষ্য থাকবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে পারফর্ম করে ম্যাচ জেতানো। দেশের হয়ে এমন মঞ্চে খেলা সব সময় একটি স্বপ্ন।
প্রশ্ন: গত আইসিসি ইভেন্টে আপনার পারফরম্যান্স কিন্তু ভালো হয়নি...
জাকের: গতবার পারফর্ম করতে পারিনি, যা আমার জন্য বড় শিক্ষা হয়ে এসেছে। এবার আমি সেরাটা দিয়ে দলকে ভালো ফল এনে দিতে চাই। আশা করছি, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আমার ক্যারিয়ারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হবে।
প্রশ্ন: ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের জায়গা থেকে গত বিপিএল ও চলতি বিপিএলের পার্থক্য কী?
জাকের আলী অনিক: পার্থক্য বলতে গেলে আমি সব সময় ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করেছি—গত বছরও, এবারও। তবে একটা বড় পরিবর্তন হলো, গত বিপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলাম। এবার বিপিএলে খেলছি জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। পার্থক্যটা মূলত প্রমাণ করার তাগিদ থেকে মান ধরে রাখার চেষ্টা।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে দুর্দান্ত খেলে এসে এবার বিপিএল খেলার কারণে কি নিজের ওপর বাড়তি প্রত্যাশার চাপ তৈরি হয়েছে? হয়ে থাকলে এই চাপ সামলানো কি চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?
জাকের: হ্যাঁ, প্রত্যাশা অবশ্যই বেড়েছে। এখন ফিনিশারের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছি। জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে আত্মবিশ্বাস বাড়লে পারফর্ম করা সহজ হয়ে যায়। তবে পারফরম্যান্সের চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। আমি চেষ্টা করছি সেই চাপকে ইতিবাচকভাবে নিতে। চ্যালেঞ্জ আছে, তবে মানসিক শক্তি ও প্রস্তুতিতে ভরসা রেখে এগোচ্ছি।
প্রশ্ন: ছোট সীমানা ও রানপ্রসবা উইকেটে তো আপনার মতো পাওয়ার হিটারের জন্য দারুণ সুযোগ। তবু ছন্দে ফিরতে বেগ পেতে হচ্ছে কোথায়?
জাকের: বাউন্ডারি ছোট না বড়, এটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়। আমি সব সময় নিজের স্কিলের ওপর মনোযোগ রাখি। বল যদি আমার জোনে আসে, হিট করার চেষ্টা করি। বাউন্ডারি ছোট হলে সুবিধা হতে পারে, তবে সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য। আমার কাছে মূল বিষয় হলো, নিজের পরিকল্পনায় স্থির থাকা এবং সঠিকভাবে তা বাস্তবায়ন করা।
প্রশ্ন: গত বিপিএলে ২০০ ছুঁই ছুঁই (১৯৯) রান করতে আপনার ১৪টি ম্যাচ লেগেছিল। এবার মাত্র ৭ ম্যাচে ১৪৭ রান, রয়েছে ১২টি ছক্কাও। বিপিএল শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
জাকের: আমি সব সময় নিজের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণের চেষ্টা করি। গত বছরের পারফরম্যান্স কেমন ছিল, কতগুলো বাউন্ডারি বা ছক্কা মেরেছি—এসব নিয়ে কাজ করি। এবার সেই তাগিদ থেকে আরও ভালো করার চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: সিলেটের টিম কম্বিনেশন নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী? কখনো মনে হয়েছে, আরও ভালো অপশন থাকলে দলের ফল ভিন্ন হতে পারত?
জাকের: সত্যি বলতে দল হিসেবে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। সবাই একসঙ্গে ভালো করলে ফল ভিন্ন হতে পারত। আমাদের পারফেক্ট কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়া কিছুটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় লড়াই করছে ছন্দে ফিরতে। তবে দলীয় পারফরম্যান্সের উন্নতি অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তিগতভাবে আরও ভালো করতে চাই।
প্রশ্ন: বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সেমিফাইনালে ওঠা কি সম্ভব?
জাকের: আমরা বেশ কয়েকটি ম্যাচ হেরেছি। এতে পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হয়েছে। তবে এখনো সুযোগ রয়েছে। সেমিফাইনালে উঠতে হলে পরের ম্যাচগুলো জিততে হবে। আমরা যদি একসঙ্গে ভালো খেলতে পারি, সেমিফাইনালে ওঠা অসম্ভব নয়।
প্রশ্ন: সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, কতটা রোমাঞ্চিত? টুর্নামেন্টে আপনার লক্ষ্য কী?
জাকের: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আমার কাছে বিশাল সুযোগ। আমি খুবই রোমাঞ্চিত এবং নিজের ভূমিকা নিয়ে প্রস্তুত। লক্ষ্য থাকবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে পারফর্ম করে ম্যাচ জেতানো। দেশের হয়ে এমন মঞ্চে খেলা সব সময় একটি স্বপ্ন।
প্রশ্ন: গত আইসিসি ইভেন্টে আপনার পারফরম্যান্স কিন্তু ভালো হয়নি...
জাকের: গতবার পারফর্ম করতে পারিনি, যা আমার জন্য বড় শিক্ষা হয়ে এসেছে। এবার আমি সেরাটা দিয়ে দলকে ভালো ফল এনে দিতে চাই। আশা করছি, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আমার ক্যারিয়ারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হবে।
প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে উন্মাদনার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছেই। বিশেষ করে হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর অনেক প্রবাসী ফুটবলার এখন আলোচনায়। কানাডা প্রবাসী সমিত সোমের পাশাপাশি এবার কিউবা মিচেলকে খেলানোর চেষ্টায় রয়েছে বাফুফে।
৯ ঘণ্টা আগেআগামীকাল (২০ এপ্রিল) সিলেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এ ভোগান্তির অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ সরাসরি দেখানোর
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল ঘোষণা করেছে। আগামীকাল ঢাকা থেকে কলম্বোর উদ্দেশে রওনা দেবেন যুবারা। সফরে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ছয় ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল।
১০ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার পর থেকে আগ্রহ বেড়েছে ফুটবল নিয়ে। প্রবাসী ফুটবলারদের ঘিরে অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করছে সমর্থকদের। হামজার প্রভাব শুধু ফুটবলেই নয় পড়েছে অন্যান্য খেলাতেও। দেশের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নিতে সকল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে
১১ ঘণ্টা আগে