নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টস জিতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন পাল্লেকেলের অতীত রেকর্ড আর শুকনো উইকেট দেখে। এই উইকেটে টিকে গেলে বড় স্কোর না হওয়ার কোনো কারণই নেই। তবে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মেঘলা আবহাওয়াও। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে যতটা ভাবা হচ্ছে, তত বড় স্কোর না-ও হতে পারে। হয়নি। বাংলাদেশের ব্যাটাররা পারেননি বোলারদের লড়াইয়ের বিপক্ষে বড় পুঁজি এনে দিতে।
বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডার ধাক্কা খেয়েছিল এশিয়া কাপের বেশ আগেই। প্রথমে চোটের কাছে হার মেনে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম ইকবাল। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল লিটন দাসের দিকে। তামিমের পর এই পজিশনে তাঁর পরিসংখ্যানই সমৃদ্ধ। কিন্তু কপাল মন্দ হলে যা হয়, জ্বরে দলের সঙ্গে এশিয়া কাপে রওনা দিতে পারেননি লিটন। তাঁর জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলেও জ্বর থেকে সেরে না ওঠায় বিকল্প ভাবতে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। দুই অভিজ্ঞ ওপেনারের অনুপস্থিতি বেশ ভালোভাবেই টের পেল বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে গতকাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একপ্রকার ধসেই পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপের কোনো জবাবই যেন ছিল না সাকিব আল হাসানের দলের কাছে। সাত ব্যাটারের রান দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগে ফেরা বাংলাদেশের জরাজীর্ণ স্কোরকার্ডই বলে দিচ্ছে লঙ্কান বোলারদের সামনে কতটা অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ৮৯ রান এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। তাঁর ১২২ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার। যদিও শান্ত আউট হতে পারতেন ব্যক্তিগত ২ রানে। পেসার কাসুন রাজিথার বলে মিড অনে তাঁর ক্যাচ মিস করেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শান্তর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। এর জন্য অবশ্য ৪১ বল খেলতে হয়েছে তাঁকে। সর্বোচ্চ আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চের মাঝে পার্থক্যই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশ স্কোরকার্ডের আসল চিত্র।
বাংলাদেশের ইনিংসে দুই অঙ্ক পার করেছেন আর মাত্র দুজন। ওপেনার নাঈম শেখ ১৬ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ রান। নাঈম এর আগে খেলেছেন মাত্র চারটি ওয়ানডে। আরেক ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম মাত্রই আন্তর্জাতিক মঞ্চে পা রাখলেন। তাঁর শুরুটাও হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতো। লিটন দাসের পরিবর্তে তুলনামূলক অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়কে উড়িয়ে নেওয়া হলেও লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে নামানো হয়নি তাঁকে। বাংলাদেশের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপ আর শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ—শেষ বিজয়টা অবশ্য লঙ্কানদের। এদিন কিছুটা নতুন সাজে সাজানো হয়েছিল বাংলাদেশের একাদশ। তিন স্পিনারকে খেলাতে একাদশে জায়গা হয়নি আফিফ হোসেন কিংবা শামীম হোসেন পাটওয়ারীর। সাতে মেহেদী হাসান মিরাজের পর আটে জায়গা পান দুই বছর পর একাদশে ফেরা অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।
যদিও ফেরাটা রাঙাতে পারেননি মেহেদী। ১৬ বলে তাঁর রান ৬। ওপেনিংয়ের মতো লোয়ার মিডল অর্ডারের দুর্বলতাও ফুটে উঠেছে স্পষ্ট। অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপে লোয়ার মিডল অর্ডারে আফিফ কিংবা শামীমকে খেলানো যেত কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। ওয়ানডে সুপার লিগে তিনে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা দলটা হঠাৎ কেমন ছন্নছাড়া মনে হচ্ছে এই হতশ্রী ব্যাটিংয়ে। ২০২৩ সালে চারটি ওয়ানডে সিরিজের দুটিই হেরেছে বাংলাদেশ। দুটিই ওয়ানডেতে দুর্গ বানিয়ে তোলা ঘরের মাঠে। বছরের শুরুতে ইংল্যান্ড এবং সর্বশেষ আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এই সময়ে কিছুটা পালাবদলের মধ্যে দিয়েও গেছে দল। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে তামিম ইকবালের অবসর, ফিরে আসা, অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা, নতুন করে সাকিবের দায়িত্ব গ্রহণ—এ বিষয়গুলো দলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। গতকাল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বিবর্ণ চেহারা কিছু বিষয় আবার নতুন করে সামনে আনছে, বিশ্বকাপের আগে যা মোটেও ভালো খবর নয়।
টস জিতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন পাল্লেকেলের অতীত রেকর্ড আর শুকনো উইকেট দেখে। এই উইকেটে টিকে গেলে বড় স্কোর না হওয়ার কোনো কারণই নেই। তবে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মেঘলা আবহাওয়াও। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে যতটা ভাবা হচ্ছে, তত বড় স্কোর না-ও হতে পারে। হয়নি। বাংলাদেশের ব্যাটাররা পারেননি বোলারদের লড়াইয়ের বিপক্ষে বড় পুঁজি এনে দিতে।
বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডার ধাক্কা খেয়েছিল এশিয়া কাপের বেশ আগেই। প্রথমে চোটের কাছে হার মেনে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম ইকবাল। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল লিটন দাসের দিকে। তামিমের পর এই পজিশনে তাঁর পরিসংখ্যানই সমৃদ্ধ। কিন্তু কপাল মন্দ হলে যা হয়, জ্বরে দলের সঙ্গে এশিয়া কাপে রওনা দিতে পারেননি লিটন। তাঁর জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলেও জ্বর থেকে সেরে না ওঠায় বিকল্প ভাবতে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। দুই অভিজ্ঞ ওপেনারের অনুপস্থিতি বেশ ভালোভাবেই টের পেল বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে গতকাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একপ্রকার ধসেই পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপের কোনো জবাবই যেন ছিল না সাকিব আল হাসানের দলের কাছে। সাত ব্যাটারের রান দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগে ফেরা বাংলাদেশের জরাজীর্ণ স্কোরকার্ডই বলে দিচ্ছে লঙ্কান বোলারদের সামনে কতটা অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ৮৯ রান এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। তাঁর ১২২ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার। যদিও শান্ত আউট হতে পারতেন ব্যক্তিগত ২ রানে। পেসার কাসুন রাজিথার বলে মিড অনে তাঁর ক্যাচ মিস করেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শান্তর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। এর জন্য অবশ্য ৪১ বল খেলতে হয়েছে তাঁকে। সর্বোচ্চ আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চের মাঝে পার্থক্যই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশ স্কোরকার্ডের আসল চিত্র।
বাংলাদেশের ইনিংসে দুই অঙ্ক পার করেছেন আর মাত্র দুজন। ওপেনার নাঈম শেখ ১৬ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ রান। নাঈম এর আগে খেলেছেন মাত্র চারটি ওয়ানডে। আরেক ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম মাত্রই আন্তর্জাতিক মঞ্চে পা রাখলেন। তাঁর শুরুটাও হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতো। লিটন দাসের পরিবর্তে তুলনামূলক অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়কে উড়িয়ে নেওয়া হলেও লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে নামানো হয়নি তাঁকে। বাংলাদেশের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপ আর শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ—শেষ বিজয়টা অবশ্য লঙ্কানদের। এদিন কিছুটা নতুন সাজে সাজানো হয়েছিল বাংলাদেশের একাদশ। তিন স্পিনারকে খেলাতে একাদশে জায়গা হয়নি আফিফ হোসেন কিংবা শামীম হোসেন পাটওয়ারীর। সাতে মেহেদী হাসান মিরাজের পর আটে জায়গা পান দুই বছর পর একাদশে ফেরা অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।
যদিও ফেরাটা রাঙাতে পারেননি মেহেদী। ১৬ বলে তাঁর রান ৬। ওপেনিংয়ের মতো লোয়ার মিডল অর্ডারের দুর্বলতাও ফুটে উঠেছে স্পষ্ট। অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপে লোয়ার মিডল অর্ডারে আফিফ কিংবা শামীমকে খেলানো যেত কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। ওয়ানডে সুপার লিগে তিনে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা দলটা হঠাৎ কেমন ছন্নছাড়া মনে হচ্ছে এই হতশ্রী ব্যাটিংয়ে। ২০২৩ সালে চারটি ওয়ানডে সিরিজের দুটিই হেরেছে বাংলাদেশ। দুটিই ওয়ানডেতে দুর্গ বানিয়ে তোলা ঘরের মাঠে। বছরের শুরুতে ইংল্যান্ড এবং সর্বশেষ আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এই সময়ে কিছুটা পালাবদলের মধ্যে দিয়েও গেছে দল। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে তামিম ইকবালের অবসর, ফিরে আসা, অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা, নতুন করে সাকিবের দায়িত্ব গ্রহণ—এ বিষয়গুলো দলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। গতকাল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বিবর্ণ চেহারা কিছু বিষয় আবার নতুন করে সামনে আনছে, বিশ্বকাপের আগে যা মোটেও ভালো খবর নয়।
২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে আয়োজক পাকিস্তান। তবে শেষ মুহূর্তে সাইম আইয়ুবকে ছাড়াই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত স্কোয়াড ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেগলে আজ তৃতীয় দিনে খেলেছে শুধু বৃষ্টি। এতটাই বৃষ্টির দাপট ছিল যে শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে কেবল ২৭ ওভার। তবে অস্ট্রেলিয়া এক ইনিংসে যে রানের পাহাড় গড়ছে, তাতেই লঙ্কানদের হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা।
১৩ ঘণ্টা আগেঅনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ভারত এক অভ্যাসে পরিণত করেছে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম দুইবারই ফাইনালে উঠল ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। নিকি প্রসাদের নেতৃত্বাধীন দলটির ফাইনালে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৪ ঘণ্টা আগেনিত্যনতুন রেকর্ডে নাম লেখানো যেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দারুণ এক অভ্যাসে পরিণত করেছেন। গোলের রেকর্ডের পাশাপাশি অন্যান্য রেকর্ডেও উঠে যায় তাঁর নাম। এবার যে রেকর্ড পর্তুগিজ ফুটবলার গড়েছেন তাতে আছেন শুধু নিজেই।
১৫ ঘণ্টা আগে