অনলাইন ডেস্ক
সেই একই গল্প ফিরে আসছে বারবার। ভারতের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও বদলায়নি ব্যাটিংয়ের চিত্র। প্রতিকূলতার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জাকের আলী ও তাওহীদ হৃদয়। জাকের আজও একই ভূমিকা রাখেন, তবে হৃদয়ের জায়গাটা নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বাকিরা থিতু হওয়ার পরিবর্তে উল্টো বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন নিজেদের উইকেট।
ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠেও শোনা গেল হতাশা—বাংলাদেশ আসলে কী করতে চাইছে? রাওয়ালপিন্ডির পিচ ব্যাটিং স্বর্গ হিসেবেই পরিচিত। এখানে চোখ বন্ধ করেও রান করা সম্ভব—এমনটা বললে হয়তো ভুল হবে না। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং দৃশ্যপট ছিল উল্টো। একের পর এক ভুল শটে ব্যাটাররা যেন প্রতিপক্ষের কাজ সহজ করে দিলেন। ধারাভাষ্যকারদের ব্যাটিংয়ের টোটকা সব ব্যর্থ করে দিয়ে যেন আত্মাহুতির প্রতিযোগিতায় নামল বাংলাদেশ দল!
শান্ত একপ্রান্তে একটু ধৈর্য দেখালেও তিনিও শেষ পর্যন্ত দলীয় সংগ্রহকে বড় জায়গায় নিতে পারেননি। ১১০ বলে ৯ চারে ৭৭ রানে বিদায় নেন তিনি। তানজিদ তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো শান্তও নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। তাঁর বিদায়ের পর আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল—ব্যাটিং ধসের এই চক্র থেকে বাংলাদেশের বের হতে না পারার চিত্র।
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন শান্তর আউট দেখে ঠাট্টার সুরে বললেন—শান্ত যেন ‘পুল শট অনুশীলন’ করছিলেন! ২০২২ সাল থেকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকা, তখন কিউই ধারাভাষ্যকার ইয়ান স্মিথ ও সাইমন ডুল একটু অবাক হলেন। তালিকার শীর্ষে শান্ত (১,৪৪৭ রান), আর দ্বিতীয় স্থানে লিটন দাস (১,২৩৪ রান, ৪৬ ইনিংসে)। এই তথ্য দেখে তারা প্রশ্ন তুললেন—লিটন কোথায়?
সেখানে থাকা আতহার আলী খানম অবশ্য নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করলেন, কেন লিটন দলে নেই। আতহার বললেন, ‘আমি যদি নির্বাচক হতাম, তাহলে লিটন দাসকে অবশ্যই দলে রাখতাম। এত বড় টুর্নামেন্টে তাকে বাইরে রাখার প্রশ্নই ওঠে না।’
কিউই ধারাভাষ্যকাররা আতহারের বক্তব্য শুনে বিস্ময়ের সুরে বললেন, ‘ওকে, ওকে!’ —অর্থাৎ, তারা বোঝাতে চাইলেন, লিটনকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই দ্বিধান্বিত তারা!
বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার আরেকটি বড় প্রমাণ ছিল তাদের স্পিনের বিপক্ষে দুর্বলতা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার আগে পার্ট-টাইম স্পিনার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। সেই ব্রেসওয়েল যেন জম হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের কাছে। ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে তিনি শিকার করেন ৪ উইকেট। ব্রেসওয়েলের মতো অখ্যাত স্পিনারকে কেন সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ, তা বোঝা যায় পরিসংখ্যান দেখলেই। ২০২২ সাল থেকে ওয়ানডেতে স্পিনারদের বিপক্ষে বাংলাদেশের গড় স্ট্রাইক রেট মাত্র ৭৫.৬— যা সবচেয়ে কম। এমনকি জিম্বাবুয়ের মতো দলেরও (৮১.৮) স্ট্রাইক রেট বাংলাদেশের চেয়ে ভালো!
ফলে শান্তর ৭৭ রানের ইনিংসও যেন হারিয়ে গেল আরও একটি ব্যর্থতার গল্পে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজও বাংলাদেশ ছন্দে ফিরতে পারল না, বরং ব্যাটিং ধসের পরিচিত দৃশ্যই মলিন করল সমর্থকদের মুখ।
সেই একই গল্প ফিরে আসছে বারবার। ভারতের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও বদলায়নি ব্যাটিংয়ের চিত্র। প্রতিকূলতার মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জাকের আলী ও তাওহীদ হৃদয়। জাকের আজও একই ভূমিকা রাখেন, তবে হৃদয়ের জায়গাটা নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বাকিরা থিতু হওয়ার পরিবর্তে উল্টো বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন নিজেদের উইকেট।
ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠেও শোনা গেল হতাশা—বাংলাদেশ আসলে কী করতে চাইছে? রাওয়ালপিন্ডির পিচ ব্যাটিং স্বর্গ হিসেবেই পরিচিত। এখানে চোখ বন্ধ করেও রান করা সম্ভব—এমনটা বললে হয়তো ভুল হবে না। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং দৃশ্যপট ছিল উল্টো। একের পর এক ভুল শটে ব্যাটাররা যেন প্রতিপক্ষের কাজ সহজ করে দিলেন। ধারাভাষ্যকারদের ব্যাটিংয়ের টোটকা সব ব্যর্থ করে দিয়ে যেন আত্মাহুতির প্রতিযোগিতায় নামল বাংলাদেশ দল!
শান্ত একপ্রান্তে একটু ধৈর্য দেখালেও তিনিও শেষ পর্যন্ত দলীয় সংগ্রহকে বড় জায়গায় নিতে পারেননি। ১১০ বলে ৯ চারে ৭৭ রানে বিদায় নেন তিনি। তানজিদ তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো শান্তও নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। তাঁর বিদায়ের পর আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল—ব্যাটিং ধসের এই চক্র থেকে বাংলাদেশের বের হতে না পারার চিত্র।
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন শান্তর আউট দেখে ঠাট্টার সুরে বললেন—শান্ত যেন ‘পুল শট অনুশীলন’ করছিলেন! ২০২২ সাল থেকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকা, তখন কিউই ধারাভাষ্যকার ইয়ান স্মিথ ও সাইমন ডুল একটু অবাক হলেন। তালিকার শীর্ষে শান্ত (১,৪৪৭ রান), আর দ্বিতীয় স্থানে লিটন দাস (১,২৩৪ রান, ৪৬ ইনিংসে)। এই তথ্য দেখে তারা প্রশ্ন তুললেন—লিটন কোথায়?
সেখানে থাকা আতহার আলী খানম অবশ্য নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করলেন, কেন লিটন দলে নেই। আতহার বললেন, ‘আমি যদি নির্বাচক হতাম, তাহলে লিটন দাসকে অবশ্যই দলে রাখতাম। এত বড় টুর্নামেন্টে তাকে বাইরে রাখার প্রশ্নই ওঠে না।’
কিউই ধারাভাষ্যকাররা আতহারের বক্তব্য শুনে বিস্ময়ের সুরে বললেন, ‘ওকে, ওকে!’ —অর্থাৎ, তারা বোঝাতে চাইলেন, লিটনকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই দ্বিধান্বিত তারা!
বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার আরেকটি বড় প্রমাণ ছিল তাদের স্পিনের বিপক্ষে দুর্বলতা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার আগে পার্ট-টাইম স্পিনার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। সেই ব্রেসওয়েল যেন জম হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের কাছে। ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে তিনি শিকার করেন ৪ উইকেট। ব্রেসওয়েলের মতো অখ্যাত স্পিনারকে কেন সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ, তা বোঝা যায় পরিসংখ্যান দেখলেই। ২০২২ সাল থেকে ওয়ানডেতে স্পিনারদের বিপক্ষে বাংলাদেশের গড় স্ট্রাইক রেট মাত্র ৭৫.৬— যা সবচেয়ে কম। এমনকি জিম্বাবুয়ের মতো দলেরও (৮১.৮) স্ট্রাইক রেট বাংলাদেশের চেয়ে ভালো!
ফলে শান্তর ৭৭ রানের ইনিংসও যেন হারিয়ে গেল আরও একটি ব্যর্থতার গল্পে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজও বাংলাদেশ ছন্দে ফিরতে পারল না, বরং ব্যাটিং ধসের পরিচিত দৃশ্যই মলিন করল সমর্থকদের মুখ।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল কোচ সালাহ উদ্দিনকে এখন কথা বলতে হচ্ছে যথেষ্ট রক্ষণাত্মক সুরে। গতকাল দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা দলের সিনিয়র সহকারী কোচকে ঘুরেফিরে কথা বলতে হলো ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে। একটা দল টেস্ট গত এক বছরে ১৮ ইনিংসের ৯ বারই ২০০ রানের নিচে অলআউট...
৩ মিনিট আগেএএইচএফ কাপে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম ম্যাচে কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় পুষ্কর ক্ষিসা মিমোর দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়াকে হারাতে গিয়ে ঘাম ছুটে গেল। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু শেষ মিনিটে ফজলে রাব্বির গোলে ৩-২ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বকাপে দল সংখ্যা বাড়ানো আলোচনা উঠেছে আবারও। ২০২৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে ৪৮ দল। তবে ২০৩০ বিশ্বকাপে দল সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৪ করার প্রস্তাব দিয়েছে লাতিন আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন। প্রস্তাবটি বিশ্লেষণের পর্যায়ে রেখেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। তবে বিশ্বকাপ ৬৪ দলের হলে আয়োজনে কোনো সমস্যা...
২ ঘণ্টা আগেডায়েরির পাতার পাশে সাঁটানো হলুদ এক চিরকুটে লেখা, ‘২০২৫ এর ঐ বছর শেষ হবার আগে আমার সেঞ্চুরি থাকবে ৫০ টা।’ উপরে তারিখটি ছিল ৮ এপ্রিল, ২০১৪। ১১ বছর আগে নিজের করা সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্যিতে রূপ দিলেন এনামুল হক বিজয়। স্বীকৃত ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০ সেঞ্চুরির মালিক হলেন..
২ ঘণ্টা আগে