ক্রীড়া ডেস্ক
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে গত কদিন ধরেই চলছে সমালোচনা। ক্রিকেটার, কোচ সবাইকেই রীতিমতো ধুয়ে দিচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবং দেশি-বিদেশি ক্রিকেটাররা। অবশেষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) গেল হার্ডলাইনে।
বিসিসিআই গত রাতে ১০টি কঠিন নিয়ম চালু করেছে তাদের ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে। ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্টিং স্টাফ সবাইকে এই নিয়ম মানতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই ১০ নিয়ম
১) ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা বাধ্যতামূলক
বিসিসিআইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে খেলা ও কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য যোগ্য হতে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। যদিও রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো তারকারা এক আইপিএল বাদ দিলে তাঁদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন না বললেই চলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের রঞ্জি ট্রফি তো অনেক দূরের কথা।
২) পরিবারের সঙ্গে সফর করা যাবে না
সকল ক্রিকেটারকে ম্যাচ এবং অনুশীলন সেশনে দলের সঙ্গে ভ্রমণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।। শৃঙ্খলা এবং দলের ঐক্য বজায় রাখতে পরিবারের সঙ্গে আলাদা সফর উৎসাহিত করা হবে না। বিশেষ কোনো দরকারে প্রধান কোচ এবং নির্বাচক কমিটির কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া লাগবে।
৩) অতিরিক্ত সামগ্রী নিয়ে চলাচল করা যাবে না
দলের সঙ্গে সফরের সময় ক্রিকেটাররা নির্দিষ্ট পরিমাণ সামগ্রী নিতে পারবে। এটা বোর্ড নির্ধারণ করবে। অতিরিক্ত কিছু নিলে ক্রিকেটারদের নিজেদেরই খরচ করতে হবে।
৩০ দিনের বেশি বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে লাগেজের নিয়ম
ক্রিকেটার: ৩ স্যুটকেস, ২ কিট ব্যাগ; ওজন সর্বোচ্চ ১৫০ কেজি
সাপোর্ট স্টাফ: ২ বড় স্যুটকেস ও ১ ছোট স্যুটকেস; ওজন সর্বোচ্চ ৮০ কেজি
৩০ দিনের কম বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে লাগেজের নিয়ম
ক্রিকেটার: ২ স্যুটকেস, ২ কিট ব্যাগ; ওজন সর্বোচ্চ ১২০ কেজি
সাপোর্ট স্টাফ: ২ স্যুটকেস; ওজন সর্বোচ্চ ৬০ কেজি
ঘরোয়া সিরিজে লাগেজের নিয়ম
ক্রিকেটার: ২ স্যুটকেস, ২ কিট ব্যাগ; ওজন সর্বোচ্চ ১২০ কেজি
সাপোর্ট স্টাফ: ২ বড় স্যুটকেস, ১ ছোট স্যুটকেস; ওজন সর্বোচ্চ ৬০ কেজি
৪) ব্যক্তিগত স্টাফ নিতে বোর্ডের অনুমতি লাগবে
বিসিসিআই অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত স্টাফ (যেমন, ব্যক্তিগত ম্যানেজার, শেফ, সহকারী, নিরাপত্তা কর্মী) সফর বা সিরিজে নেওয়া যাবে না।
৫) ব্যাগগুলো সেন্টার অব এক্সিলেন্সে (সিওই) পাঠাতে হবে
টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগ করে ক্রিকেটাররা তাঁদের ব্যাগগুলো বেঙ্গালুরুর সেন্টার অব এক্সিলেন্সে (সিওই) পাঠাবেন বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পৃথক ব্যবস্থার কারণে বাড়তি কোনো খরচের দায় ক্রিকেটারদেরই নিতে হবে।
৬) অনুশীলন সেশনে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক
সব ক্রিকেটারকে নির্ধারিত অনুশীলন সেশনে অংশ নিতে হবে এবং একসঙ্গে ভেন্যুতে যেতে হবে।
৭) ব্যক্তিগত শুটিংয়ের অনুমতি নেই
কোনো সিরিজ বা সফরের সময় ব্যক্তিগত শুটিং বা বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এতে করে ক্রিকেটাররা তাদের পারফরম্যান্সের ওপর মনোযোগী হতে পারবেন।
৮) পরিবারকে বিদেশে পুরোটা সময় পাবেন না ক্রিকেটাররা
বিদেশে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে গেলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা সফরের পুরোটা সময় তাঁদের পরিবারকে পাবেন না। ৪৫ দিনের বেশি বিদেশ ভ্রমণে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ ক্রিকেটারের জীবনসঙ্গিনী ও সন্তানেরা (১৮ বছরের নিচে) থাকতে পারবেন।
৯) ভারতীয় বোর্ডের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে
বিসিসিআই এর আনুষ্ঠানিক শুটিং, প্রচারমূলক কাজের ব্যাপারে ক্রিকেটারদের জানতে হবে। এসব অনুষ্ঠানে রোহিত-কোহলিদের থাকতে হবে।
১০) সিরিজ শেষ হওয়া পর্যন্ত দলের সঙ্গে থাকতে হবে
বর্তমানে খুব কম টেস্টই পাঁচ দিন পর্যন্ত মাঠে গড়ায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিন চার দিনে ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। এবার এক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে বিসিসিআই। সিরিজ বা সফরের শেষ পর্যন্ত দলের সঙ্গে থাকতে হবে।
ক্রিকেটারদের এই ১০ নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই। যদি কেউ নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে তাঁকে বিসিসিআই পরিচালিত টুর্নামেন্টগুলোতে খেলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। আইপিএলও থাকছে সেখানে। বিসিসিআইয়ের চুক্তি অনুযায়ী ক্রিকেটাররা যে ম্যাচ ফি পাবেন, সেখান থেকেও টাকা কেটে নেওয়া হবে।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে গত কদিন ধরেই চলছে সমালোচনা। ক্রিকেটার, কোচ সবাইকেই রীতিমতো ধুয়ে দিচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এবং দেশি-বিদেশি ক্রিকেটাররা। অবশেষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) গেল হার্ডলাইনে।
বিসিসিআই গত রাতে ১০টি কঠিন নিয়ম চালু করেছে তাদের ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে। ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্টিং স্টাফ সবাইকে এই নিয়ম মানতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই ১০ নিয়ম
১) ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা বাধ্যতামূলক
বিসিসিআইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে খেলা ও কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য যোগ্য হতে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। যদিও রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো তারকারা এক আইপিএল বাদ দিলে তাঁদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন না বললেই চলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের রঞ্জি ট্রফি তো অনেক দূরের কথা।
২) পরিবারের সঙ্গে সফর করা যাবে না
সকল ক্রিকেটারকে ম্যাচ এবং অনুশীলন সেশনে দলের সঙ্গে ভ্রমণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।। শৃঙ্খলা এবং দলের ঐক্য বজায় রাখতে পরিবারের সঙ্গে আলাদা সফর উৎসাহিত করা হবে না। বিশেষ কোনো দরকারে প্রধান কোচ এবং নির্বাচক কমিটির কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া লাগবে।
৩) অতিরিক্ত সামগ্রী নিয়ে চলাচল করা যাবে না
দলের সঙ্গে সফরের সময় ক্রিকেটাররা নির্দিষ্ট পরিমাণ সামগ্রী নিতে পারবে। এটা বোর্ড নির্ধারণ করবে। অতিরিক্ত কিছু নিলে ক্রিকেটারদের নিজেদেরই খরচ করতে হবে।
৩০ দিনের বেশি বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে লাগেজের নিয়ম
ক্রিকেটার: ৩ স্যুটকেস, ২ কিট ব্যাগ; ওজন সর্বোচ্চ ১৫০ কেজি
সাপোর্ট স্টাফ: ২ বড় স্যুটকেস ও ১ ছোট স্যুটকেস; ওজন সর্বোচ্চ ৮০ কেজি
৩০ দিনের কম বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে লাগেজের নিয়ম
ক্রিকেটার: ২ স্যুটকেস, ২ কিট ব্যাগ; ওজন সর্বোচ্চ ১২০ কেজি
সাপোর্ট স্টাফ: ২ স্যুটকেস; ওজন সর্বোচ্চ ৬০ কেজি
ঘরোয়া সিরিজে লাগেজের নিয়ম
ক্রিকেটার: ২ স্যুটকেস, ২ কিট ব্যাগ; ওজন সর্বোচ্চ ১২০ কেজি
সাপোর্ট স্টাফ: ২ বড় স্যুটকেস, ১ ছোট স্যুটকেস; ওজন সর্বোচ্চ ৬০ কেজি
৪) ব্যক্তিগত স্টাফ নিতে বোর্ডের অনুমতি লাগবে
বিসিসিআই অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত স্টাফ (যেমন, ব্যক্তিগত ম্যানেজার, শেফ, সহকারী, নিরাপত্তা কর্মী) সফর বা সিরিজে নেওয়া যাবে না।
৫) ব্যাগগুলো সেন্টার অব এক্সিলেন্সে (সিওই) পাঠাতে হবে
টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগ করে ক্রিকেটাররা তাঁদের ব্যাগগুলো বেঙ্গালুরুর সেন্টার অব এক্সিলেন্সে (সিওই) পাঠাবেন বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পৃথক ব্যবস্থার কারণে বাড়তি কোনো খরচের দায় ক্রিকেটারদেরই নিতে হবে।
৬) অনুশীলন সেশনে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক
সব ক্রিকেটারকে নির্ধারিত অনুশীলন সেশনে অংশ নিতে হবে এবং একসঙ্গে ভেন্যুতে যেতে হবে।
৭) ব্যক্তিগত শুটিংয়ের অনুমতি নেই
কোনো সিরিজ বা সফরের সময় ব্যক্তিগত শুটিং বা বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এতে করে ক্রিকেটাররা তাদের পারফরম্যান্সের ওপর মনোযোগী হতে পারবেন।
৮) পরিবারকে বিদেশে পুরোটা সময় পাবেন না ক্রিকেটাররা
বিদেশে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে গেলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা সফরের পুরোটা সময় তাঁদের পরিবারকে পাবেন না। ৪৫ দিনের বেশি বিদেশ ভ্রমণে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ ক্রিকেটারের জীবনসঙ্গিনী ও সন্তানেরা (১৮ বছরের নিচে) থাকতে পারবেন।
৯) ভারতীয় বোর্ডের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে
বিসিসিআই এর আনুষ্ঠানিক শুটিং, প্রচারমূলক কাজের ব্যাপারে ক্রিকেটারদের জানতে হবে। এসব অনুষ্ঠানে রোহিত-কোহলিদের থাকতে হবে।
১০) সিরিজ শেষ হওয়া পর্যন্ত দলের সঙ্গে থাকতে হবে
বর্তমানে খুব কম টেস্টই পাঁচ দিন পর্যন্ত মাঠে গড়ায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিন চার দিনে ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। এবার এক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে বিসিসিআই। সিরিজ বা সফরের শেষ পর্যন্ত দলের সঙ্গে থাকতে হবে।
ক্রিকেটারদের এই ১০ নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই। যদি কেউ নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে তাঁকে বিসিসিআই পরিচালিত টুর্নামেন্টগুলোতে খেলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। আইপিএলও থাকছে সেখানে। বিসিসিআইয়ের চুক্তি অনুযায়ী ক্রিকেটাররা যে ম্যাচ ফি পাবেন, সেখান থেকেও টাকা কেটে নেওয়া হবে।
প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে উন্মাদনার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছেই। বিশেষ করে হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর অনেক প্রবাসী ফুটবলার এখন আলোচনায়। কানাডা প্রবাসী সমিত সোমের পাশাপাশি এবার কিউবা মিচেলকে খেলানোর চেষ্টায় রয়েছে বাফুফে।
৯ ঘণ্টা আগেআগামীকাল (২০ এপ্রিল) সিলেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এ ভোগান্তির অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ সরাসরি দেখানোর
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল ঘোষণা করেছে। আগামীকাল ঢাকা থেকে কলম্বোর উদ্দেশে রওনা দেবেন যুবারা। সফরে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ছয় ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল।
১০ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার পর থেকে আগ্রহ বেড়েছে ফুটবল নিয়ে। প্রবাসী ফুটবলারদের ঘিরে অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করছে সমর্থকদের। হামজার প্রভাব শুধু ফুটবলেই নয় পড়েছে অন্যান্য খেলাতেও। দেশের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নিতে সকল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে
১১ ঘণ্টা আগে