Ajker Patrika

বাংলাদেশের কাছে হারের পর তোপের মুখে পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের পর বাংলাদেশ দল এখন ফুরফুরে মেজাজে। লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমনরা সিরিজ জয় থেকে কেবল এক ম্যাচ দূরে। ঠিক তার বিপরীত অবস্থা এখন পাকিস্তান দলের। বাংলাদেশের কাছে হারের পর কঠোর সমালোচনা করেছেন সাবেক পাকিস্তানিরা।

টস হেরে গতকাল আগে ব্যাটিং পেয়ে শুরুটা ভালোই হয়েছিল পাকিস্তানের। প্রথম তিন ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে করে ফেলে ৩২ রান। তবে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দারুণ এই শুরু আর ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। সাইম আইয়ুব, হাসান নাওয়াজ, মোহাম্মদ হারিস আউট হয়েছেন সীমানার ধারে ক্যাচ দিয়ে। এমনকি মিরপুরে সফরকারীদের তিন ব্যাটার হয়েছেন রানআউট। সপ্তম উইকেটে খুশদিল শাহ-আব্বাস আফ্রিদির ৩৩ রানের জুটিটাই তাদের ইনিংসে সর্বোচ্চ।

পাকিস্তান ৭ উইকেটে হারের পর এক ইউটিউব চ্যানেলে আলাপ-আলোচনা করেন কামরান আকমল ও বাসিত আলী। আলোচনার এক পর্যায়ে আকমল বলেন, ‘আমার তো ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেই হিসেবে মনে হচ্ছে শট নির্বাচন ভালো হয়নি। তাড়াহুড়ো করছিল বেশি। কোনো জুটি হয়নি।’ পাকিস্তানের ১০ উইকেটের মধ্যে গতকাল তাসকিন আহমেদ আর মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৩ ও ২ উইকেট। যার মধ্যে মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন। স্লোয়ার-কাটারে পাকিস্তানি ব্যাটারদের ভুগিয়েছেন মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসা করে আকমল বলেন, ‘বাংলাদেশের বোলিং পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। মোস্তাফিজ ৪ ওভার বোলিং করে ৬ রানে নিয়েছে ২ উইকেট। তাসকিন ২২-২৩ রান দিয়ে পেয়েছে ৩ উইকেট।’

পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আঘা, সাদা বলের কোচ মাইক হেসন—দুজনই নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে মিরপুরের উইকেটেরও কড়া সমালোচনা করেছেন। পাকিস্তানের এমন বাজে হারের পর কোচিং প্যানেল নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বাসিত। আকমলের সঙ্গে আলাপের সময় বাসিত বলেন, ‘পাকিস্তানে যিনিই প্রধান কোচ হয়ে আসেন, তিনি দলের প্রফেসর হয়ে যান। ভাবেন যে তাঁরটাই শুধু ঠিক। বাকি সবাই ভুল। পিচ নিয়ে কারও কোনো ধারণা নেই।’ বাসিতের মতে ওভারপ্রতি ৭ রান করে নিয়ে শেষের দিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলে স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো পুঁজি পেত পাকিস্তান।

২০১৫ সালে পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। টেস্টে পাকিস্তানকে গত বছর তাদের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সেবার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলে সব সংস্করণেই পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের কীর্তি গড়বে। মিরপুরেই আগামীকাল ও বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত