নতুন একটি গবেষণা দেখা গেছে, আড়াই হাজার বছর আগে আনুমানিক ৭ দশমিক ৫ কিংবা ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ভারতীয় উপমহাদেশ। প্রলয়ংকরী ওই ভূমিকম্পে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উৎস হিসেবে পরিচিত ভারতীয় গঙ্গা নদীর গতিপথই বদলে গিয়েছিল।
স্পেস ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশাল ওই ভূমিকম্পটি এত দিন বিজ্ঞানের কাছে অজানা ছিল। কিন্তু গবেষকেরা সেই ভূমিকম্পের বিপুল শক্তির চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আশপাশের অঞ্চলেই। নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এটি গঙ্গা নদীর মূল প্রবাহের গতিপথই বদলে দিয়েছে। যদিও নদীটির গতিপথ বদলে যাওয়া অংশটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ১১০ মাইল (১৮০ কিলোমিটার) দূরে ছিল।
আকস্মিকভাবে নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘অ্যাভালশন’। গবেষকেরা ইতিপূর্বে এ ধরনের বেশ কিছু অ্যাভালশন শনাক্ত করেছেন। কিন্তু গঙ্গার গতিপথ বদলে যাওয়ার মতো এত বড় অ্যাভালশন আর কোথাও দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন নতুন গবেষণার সহ লেখক এবং কলম্বিয়ার ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরির গবেষণা অধ্যাপক মাইকেল স্টেকলার।
গঙ্গা পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীগুলোর মধ্যে একটি। প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এটি প্রবাহিত হয়েছে। হিমালয় থেকে শুরু হয়ে নদীটি ভারত ও চীনের সীমান্ত এবং পরে ভারতের মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে বাংলাদেশে পদ্মা নামে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে এই নদীটি ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা সহ অন্যান্য প্রধান নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পৃথিবীর বৃহত্তম নদী ব-দ্বীপ গঠন করে বঙ্গোপসাগরে মিলেছে।
স্টেকলার জানান, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পদ্মা নামে প্রবাহিত গঙ্গা নিজে নিজেই গতিপথ পরিবর্তন করছে। এক পাড় ভেঙে অন্য পাড়ের তলদেশে পলি জমে এই পরিবর্তন বছরের পর বছর ধরে খুব ধীরে ধীরে হয়ে থাকে। কিন্তু একটি ভূমিকম্প এই ধরনের একটি বড় পরিবর্তন মুহূর্তের মধ্যেই করে ফেলতে পারে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক লিজ চেম্বারলেইন নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভূ-প্রাণীবিদ এবং সহকারী অধ্যাপক। তাঁর বিবৃতি অনুসারে স্যাটেলাইট চিত্র থেকেই বিজ্ঞানীরা আড়াই হাজার বছর আগের ওই ভূমিকম্পের সূত্র পেয়েছিলেন। চেম্বারলেইন এবং তার সহকর্মীরা পরে ঢাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে পদ্মার সমান্তরালে প্রবাহিত একটি পুরোনো নদীর চিহ্ন দেখতে পান। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য গবেষকেরা পরে সেই অঞ্চলটি আরও ভালো করে অন্বেষণ করেন। এ সময় তাঁরা অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে কর্দমাক্ত মাটির মধ্য দিয়ে বালি প্রবাহের নমুনা খুঁজে পান। তাঁরা ওই নমুনাগুলোকে সিসমাইট হিসাবে চিহ্নিত করেন।
বালি এবং কাদার রাসায়নিক বিশ্লেষণ থেকেই আড়াই হাজার বছর আগের ভূমিকম্পটির সম্পর্কে ধারণা পান গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, ৭ দশমিক ৫ কিংবা ৮ মাত্রার এ ধরনের একটি ভূমিকম্প ১৪ কোটি মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে।
আরও খবর পড়ুন:
নতুন একটি গবেষণা দেখা গেছে, আড়াই হাজার বছর আগে আনুমানিক ৭ দশমিক ৫ কিংবা ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ভারতীয় উপমহাদেশ। প্রলয়ংকরী ওই ভূমিকম্পে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উৎস হিসেবে পরিচিত ভারতীয় গঙ্গা নদীর গতিপথই বদলে গিয়েছিল।
স্পেস ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশাল ওই ভূমিকম্পটি এত দিন বিজ্ঞানের কাছে অজানা ছিল। কিন্তু গবেষকেরা সেই ভূমিকম্পের বিপুল শক্তির চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আশপাশের অঞ্চলেই। নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এটি গঙ্গা নদীর মূল প্রবাহের গতিপথই বদলে দিয়েছে। যদিও নদীটির গতিপথ বদলে যাওয়া অংশটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ১১০ মাইল (১৮০ কিলোমিটার) দূরে ছিল।
আকস্মিকভাবে নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘অ্যাভালশন’। গবেষকেরা ইতিপূর্বে এ ধরনের বেশ কিছু অ্যাভালশন শনাক্ত করেছেন। কিন্তু গঙ্গার গতিপথ বদলে যাওয়ার মতো এত বড় অ্যাভালশন আর কোথাও দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন নতুন গবেষণার সহ লেখক এবং কলম্বিয়ার ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরির গবেষণা অধ্যাপক মাইকেল স্টেকলার।
গঙ্গা পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীগুলোর মধ্যে একটি। প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এটি প্রবাহিত হয়েছে। হিমালয় থেকে শুরু হয়ে নদীটি ভারত ও চীনের সীমান্ত এবং পরে ভারতের মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে বাংলাদেশে পদ্মা নামে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে এই নদীটি ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনা সহ অন্যান্য প্রধান নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পৃথিবীর বৃহত্তম নদী ব-দ্বীপ গঠন করে বঙ্গোপসাগরে মিলেছে।
স্টেকলার জানান, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পদ্মা নামে প্রবাহিত গঙ্গা নিজে নিজেই গতিপথ পরিবর্তন করছে। এক পাড় ভেঙে অন্য পাড়ের তলদেশে পলি জমে এই পরিবর্তন বছরের পর বছর ধরে খুব ধীরে ধীরে হয়ে থাকে। কিন্তু একটি ভূমিকম্প এই ধরনের একটি বড় পরিবর্তন মুহূর্তের মধ্যেই করে ফেলতে পারে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক লিজ চেম্বারলেইন নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভূ-প্রাণীবিদ এবং সহকারী অধ্যাপক। তাঁর বিবৃতি অনুসারে স্যাটেলাইট চিত্র থেকেই বিজ্ঞানীরা আড়াই হাজার বছর আগের ওই ভূমিকম্পের সূত্র পেয়েছিলেন। চেম্বারলেইন এবং তার সহকর্মীরা পরে ঢাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে পদ্মার সমান্তরালে প্রবাহিত একটি পুরোনো নদীর চিহ্ন দেখতে পান। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য গবেষকেরা পরে সেই অঞ্চলটি আরও ভালো করে অন্বেষণ করেন। এ সময় তাঁরা অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে কর্দমাক্ত মাটির মধ্য দিয়ে বালি প্রবাহের নমুনা খুঁজে পান। তাঁরা ওই নমুনাগুলোকে সিসমাইট হিসাবে চিহ্নিত করেন।
বালি এবং কাদার রাসায়নিক বিশ্লেষণ থেকেই আড়াই হাজার বছর আগের ভূমিকম্পটির সম্পর্কে ধারণা পান গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, ৭ দশমিক ৫ কিংবা ৮ মাত্রার এ ধরনের একটি ভূমিকম্প ১৪ কোটি মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে।
আরও খবর পড়ুন:
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
১৪ ঘণ্টা আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
১ দিন আগেবসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
৩ দিন আগেহাসি মানুষের সহজাত এক অভিব্যক্তি। কখনো তা আনন্দের, কখনো সৌজন্যের, আবার কখনো নিছক সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করা একপ্রকার মুখোশ। আমরা প্রতিদিনই নানা ধরনের হাসিমাখা মুখ দেখি। তবে সব হাসিই আসল হাসি নয়। অনেক সময় মুখে হাসি থাকলেও চোখে থাকে না এক ফোঁটা উষ্ণতা। ঠিক তখনই আমাদের মন বলে ওঠে...
৪ দিন আগে