চীনের ইউনান প্রদেশের হোংহে এলাকায় ১১ লাখ ৫০ হাজার টনের বিরল খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই বিপুল পরিমাণ খনিজের মজুত চীনের ইলেকট্রনিকস ও বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পকে সমৃদ্ধ করবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশটির অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। গত বৃহস্পতিবার চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চীনা ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (সিজিএস) এই তথ্য জানিয়েছে।
সিজিএস জানিয়েছে, এই খনিতে মধ্যে প্রাসুডাইমিয়াম, নিওডাইমিয়াম, ডাইস্প্রোসিয়াম, টার্বিয়ামসহ আরও কিছু বিরল খনিজ থাকতে পারে। একবার উত্তোলন শুরু হলে এই মজুত থেকে ৪ লাখ ৭০ হাজার টনেরও বেশি অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন খনিজগুলো পাওয়া যেতে পারে।
সর্বশেষ আবিষ্কৃত খনিটি বিরল মৃত্তিকা মৌলের (আরআরই) বিশাল মজুত। এটি ‘আয়ন-অ্যাডসর্বশন’ খনিজগুলো জমা হয়েছে। উল্লেখ্য, আয়ন-অ্যাডসর্বশন এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে পৃথিবীর বিরল উপাদানগুলো প্রাকৃতিকভাবে মাটির খনিজগুলোর ওপর জমা হয় এবং শোষিত হয়ে থাকে। এই খনিজ সাধারণত পুরোনো গ্রানাইট মাটিতে পাওয়া যায়। ফলে এগুলো সহজেই উত্তোলনযোগ্য। আয়ন এক্সচেঞ্জের মতো পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে এগুলো উত্তোলন করা যায়।
নতুন আবিষ্কারটি চীনের খনিজ অনুসন্ধানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই ধরনের প্রথম মজুত ১৯৬৯ সালে দেশটির ঝিয়াংসি প্রদেশে আবিষ্কৃত হয়েছিল।
নতুন খনি থেকে বিরল মৃত্তিকা মৌল উত্তোলন হলে বাণিজ্যিক ইলেকট্রনিকস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক যানবাহনসহ চীনের বিভিন্ন শিল্পকে সমৃদ্ধ করবে।
খনিজ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে চীনের জন্য অত্যন্ত সফল বছর ছিল—২০২৪ সাল। গত বছরের জুলাইয়ে চীনের ভূতত্ত্ববিদেরা মঙ্গোলিয়ার বায়ান ওবো–তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিরল মৃত্তিকা খনির সন্ধান পান। এই খনিতে ওবোনিওবাইট এবং স্ক্যান্ডিও-ফ্লুরো-একমাননাইট নামের দুটি খনিজ পাওয়া গেছে। এই খনিজগুলো সাধারণত নতুন ধরনের শক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, মহাকাশ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামরিক খাতের জন্য মূল্যবান উপাদান ধারণ করে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে চীনের ভূতত্ত্ববিদরা পিংজিয়াং কাউন্টিতে একটি বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার করেছেন। সংবাদ রিপোর্ট অনুযায়ী, ওয়াংগু সোনার খনির নিচে ২ হাজার মিটার গভীরে ৪০টিরও বেশি সোনার স্তর পাওয়া গেছে, যার মোট মজুত প্রায় ৩০০ টন। পুরো এলাকায় সোনার মোট মজুত ১ হাজার টনের বেশি হতে পারে।
সিজিএস একটি জাতীয় জিওকেমিক্যাল বেসলাইন নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। এই নেটওয়ার্কটি চীনকে ব্যাপক তথ্য এবং খনিজ অনুসন্ধান প্রযুক্তি তৈরি করতে সহায়তা করেছে। এর মাধ্যমে, সিজিএস তার উন্নত জিওকেমিক্যাল অনুসন্ধান পরিচালনার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বিরল মৃত্তিকা মৌলের উৎপাদক দেশ হলো চীন। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুযায়ী, এই নতুন আবিষ্কার চীনের বিরল পৃথিবী খনিজ মজুতের তালিকায় আরও যোগ করেছে, যা বর্তমানে ১৭টি ধাতু অক্সাইডসহ ৪৪ মিলিয়ন টন মজুত ধারণ করে। চীনের কাস্টমস এর তথ্য উদ্ধৃত করে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, গত বছরে চীনের বিরল পৃথিবী রপ্তানি ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ হাজার ৪৩১ দশমিক ১ টনে পৌঁছেছে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং
চীনের ইউনান প্রদেশের হোংহে এলাকায় ১১ লাখ ৫০ হাজার টনের বিরল খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই বিপুল পরিমাণ খনিজের মজুত চীনের ইলেকট্রনিকস ও বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পকে সমৃদ্ধ করবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশটির অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। গত বৃহস্পতিবার চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চীনা ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (সিজিএস) এই তথ্য জানিয়েছে।
সিজিএস জানিয়েছে, এই খনিতে মধ্যে প্রাসুডাইমিয়াম, নিওডাইমিয়াম, ডাইস্প্রোসিয়াম, টার্বিয়ামসহ আরও কিছু বিরল খনিজ থাকতে পারে। একবার উত্তোলন শুরু হলে এই মজুত থেকে ৪ লাখ ৭০ হাজার টনেরও বেশি অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন খনিজগুলো পাওয়া যেতে পারে।
সর্বশেষ আবিষ্কৃত খনিটি বিরল মৃত্তিকা মৌলের (আরআরই) বিশাল মজুত। এটি ‘আয়ন-অ্যাডসর্বশন’ খনিজগুলো জমা হয়েছে। উল্লেখ্য, আয়ন-অ্যাডসর্বশন এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে পৃথিবীর বিরল উপাদানগুলো প্রাকৃতিকভাবে মাটির খনিজগুলোর ওপর জমা হয় এবং শোষিত হয়ে থাকে। এই খনিজ সাধারণত পুরোনো গ্রানাইট মাটিতে পাওয়া যায়। ফলে এগুলো সহজেই উত্তোলনযোগ্য। আয়ন এক্সচেঞ্জের মতো পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে এগুলো উত্তোলন করা যায়।
নতুন আবিষ্কারটি চীনের খনিজ অনুসন্ধানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই ধরনের প্রথম মজুত ১৯৬৯ সালে দেশটির ঝিয়াংসি প্রদেশে আবিষ্কৃত হয়েছিল।
নতুন খনি থেকে বিরল মৃত্তিকা মৌল উত্তোলন হলে বাণিজ্যিক ইলেকট্রনিকস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক যানবাহনসহ চীনের বিভিন্ন শিল্পকে সমৃদ্ধ করবে।
খনিজ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে চীনের জন্য অত্যন্ত সফল বছর ছিল—২০২৪ সাল। গত বছরের জুলাইয়ে চীনের ভূতত্ত্ববিদেরা মঙ্গোলিয়ার বায়ান ওবো–তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিরল মৃত্তিকা খনির সন্ধান পান। এই খনিতে ওবোনিওবাইট এবং স্ক্যান্ডিও-ফ্লুরো-একমাননাইট নামের দুটি খনিজ পাওয়া গেছে। এই খনিজগুলো সাধারণত নতুন ধরনের শক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, মহাকাশ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামরিক খাতের জন্য মূল্যবান উপাদান ধারণ করে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে চীনের ভূতত্ত্ববিদরা পিংজিয়াং কাউন্টিতে একটি বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার করেছেন। সংবাদ রিপোর্ট অনুযায়ী, ওয়াংগু সোনার খনির নিচে ২ হাজার মিটার গভীরে ৪০টিরও বেশি সোনার স্তর পাওয়া গেছে, যার মোট মজুত প্রায় ৩০০ টন। পুরো এলাকায় সোনার মোট মজুত ১ হাজার টনের বেশি হতে পারে।
সিজিএস একটি জাতীয় জিওকেমিক্যাল বেসলাইন নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। এই নেটওয়ার্কটি চীনকে ব্যাপক তথ্য এবং খনিজ অনুসন্ধান প্রযুক্তি তৈরি করতে সহায়তা করেছে। এর মাধ্যমে, সিজিএস তার উন্নত জিওকেমিক্যাল অনুসন্ধান পরিচালনার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বিরল মৃত্তিকা মৌলের উৎপাদক দেশ হলো চীন। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুযায়ী, এই নতুন আবিষ্কার চীনের বিরল পৃথিবী খনিজ মজুতের তালিকায় আরও যোগ করেছে, যা বর্তমানে ১৭টি ধাতু অক্সাইডসহ ৪৪ মিলিয়ন টন মজুত ধারণ করে। চীনের কাস্টমস এর তথ্য উদ্ধৃত করে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, গত বছরে চীনের বিরল পৃথিবী রপ্তানি ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ হাজার ৪৩১ দশমিক ১ টনে পৌঁছেছে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং
রঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
৫ ঘণ্টা আগেআইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
১ দিন আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
২ দিন আগে