Ajker Patrika

নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে হাসপাতালে নিলেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২০: ২৫
Thumbnail image
নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে হাসপাতালে নেন তারেক রহমান। ছবি: স্ক্রিনশট

উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ‘লন্ডন ক্লিনিক’ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে মাকে (খালেদা জিয়া) নিজে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার এ তথ্য জানিয়েছেন। সেখানে আজ বুধবার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আজ বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে বহনকরী কাতারি আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যায় সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালে। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

চেয়ারপারসনের প্রেস উইং জানায়, লন্ডনের স্থানীয় বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তারেক রহমান মাকে নিয়ে লন্ডন ক্লিনিকের উদ্দেশে রওনা হন। বেলা ১১টা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছান তাঁরা।

এর আগে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছালে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান বড় ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ স্ত্রী জুবাইদা রহমান পরিবারের সদস্যরাসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। খালেদা জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজটি অবতরণের অনেক আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন তারেক রহমানসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

হুইলচেয়ারে থাকা খালেদা জিয়া গভীর মমতায় জড়িয়ে ধরেন ছেলে তারেক রহমানকে। সাড়ে সাত বছর পর মা–ছেলের সাক্ষাতে বিমানবন্দরে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান। এ সময় স্ত্রী জুবাইদা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।

খালেদা জিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হজরত আলী খান।

লন্ডনের স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা জানান, খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরে প্রবাসী বাংলাদেশি নেতা-কর্মীদের সমবেত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এরপরও কিছু নেতা-কর্মী খালেদা জিয়াকে একনজর দেখতে বিমানবন্দরে যান। তীব্র ঠান্ডার মধ্যে বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত