নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছে, তাদের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময় সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে সে সময় একজন ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুজন ছাত্র উপদেষ্টাকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত করে একধরনের অপপ্রচার এবং তাঁদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলব, এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক। গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা গিয়েছেন। সরকার থেকে তাঁরা বের হবেন বা আদৌ বের হবেন কিনা—এটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা, গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতাসহ আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নের ছাত্র উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টা একত্রে কাজ করবে।’
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি জুলাই ঘোষণাপত্রের যে নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছিল, সময় কিন্তু এগোচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে জনমনে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্বস্তি ও আস্থার জায়গা তৈরি হবে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা করা এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের দিকে যাওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কথা ভেবে সকলের সেই দায়িত্বশীল আচরণ করব আমরা এবং আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের দিকে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শুধুই নির্বাচনকালীন সরকার নাকি গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকার একটা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ফলে তার গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা বা আহ্বান থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের দিকে যাবেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিচার এবং সংস্কার কার্যক্রমে এনসিপি সন্তুষ্ট নয় জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘বিচার এবং সংস্কার বিষয়ে যে গতিতে কার্যক্রম চলছে, আমরা (এনসিপি) তাতে সন্তুষ্ট নই।’
তবে সমালোচনার পাশাপাশি সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো পক্ষই সরকারের কাজে বাধা হয়ে না দাঁড়াক। সরকারের সমালোচনা ও সহযোগিতা করুক এবং সরকারও তার কাজের গতি বৃদ্ধি করুক, জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট করুক তার কাজের গতিধারা।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশবিরোধী নানা ধরনের শক্তি বাংলাদেশকে বারবার অনৈক্য ও বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘ভারতীয় মিডিয়ায় নানা ধরনের অপপ্রচার চলছে, আওয়ামী লীগ নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। ফলে বাংলাদেশের এই অনৈক্যের পিছে মূলত রয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ, আওয়ামী লীগ চায় না এই ঐক্য থাকুক। ফলে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত রাখতে হলে আমাদের সেই ঐক্যের জায়গাটা সব সময় ধরে রাখতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল আদালত, এনবিআর, যমুনার সামনে, ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই প্রেক্ষিতে মনে করছেন, যদি ওনাকে জিম্মি করা হয় এবং ওনাকে চাপ প্রয়োগ করে কোনো দাবি আদায় করা হয়, সেটি আসলে সম্ভব না, উনি এটাতে সম্মত নন। গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তীকালে দেশের কিছু মৌলিক পরিবর্তনের জন্য উনি দায়িত্ব নিয়েছেন বলে মনে করেন। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। সেই মৌলিক কাজগুলো বিচার, সংস্কার —এই বিষয়গুলো যদি উনি করতে না পারেন তাহলে আসলে ওনার থেকে কী লাভ?’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি যে প্রতিশ্রুতির জায়গা থেকে এসেছিলেন, সেটি উনি রক্ষা করতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে। দেশে যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, রাজনৈতিক দলগুলো ও বিভিন্ন পক্ষ যদি তাদের কার্যক্রম এভাবে চলমান রাখে, তাহলে ওনার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। যদি নির্বাচনের জন্য এভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটাও তিনি সন্দেহ পোষণ করেছেন। ফলে এর দায়ভার উনি নিতে চান না।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যেহেতু এখন মেয়র বিষয় নিয়ে আদালতের বিভিন্ন ধরনের রায় আসছে এবং সেটা নিয়ে আন্দোলন ও একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, ফলে আমরা মনে করি অতি দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। সেটার জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। আর প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর থেকে জুনের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে আমরা তো সেটা সমর্থন করেছি ৷’
রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া সেনাবাহিনীর কাজ নয় উল্লেখ করে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক-এগারোর বন্দোবস্ত বলতে বোঝায় সেনা-সমর্থিত ও বিদেশি শক্তির প্রভাবে দেশে জনগণ ও গণতন্ত্রবিরোধী একটি সরকার। আমরা ৫ আগস্ট থেকে বারবার এটি স্পষ্ট করেছি, গণ-অভ্যত্থানের সমর্থনে জনগণের পক্ষের সরকার হতে হবে, যারা গণতন্ত্র ও সংস্কার নিশ্চিত করবে। সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। সেনাবাহিনী দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া তার কাজ নয়। তার কাজ দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্রাইসিস মোমেন্টে তারা এখন রাস্তায় আছে, আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখছে।’
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের তালিকা আরও আগে প্রকাশ করলে জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি হতো না জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। গণ-অভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা পালন করছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়। আমরা ১/১১ ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এবং আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, কারও জন্য কোনো ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সে বিষয়টার জন্য আমরা সকলে বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যার যেটা দায়িত্ব, সেটা যাতে সকলে পালন করে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছে, তাদের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময় সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে সে সময় একজন ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুজন ছাত্র উপদেষ্টাকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত করে একধরনের অপপ্রচার এবং তাঁদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলব, এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক। গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা গিয়েছেন। সরকার থেকে তাঁরা বের হবেন বা আদৌ বের হবেন কিনা—এটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা, গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতাসহ আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নের ছাত্র উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টা একত্রে কাজ করবে।’
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি জুলাই ঘোষণাপত্রের যে নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছিল, সময় কিন্তু এগোচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে জনমনে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্বস্তি ও আস্থার জায়গা তৈরি হবে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা করা এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের দিকে যাওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কথা ভেবে সকলের সেই দায়িত্বশীল আচরণ করব আমরা এবং আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের দিকে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শুধুই নির্বাচনকালীন সরকার নাকি গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকার একটা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ফলে তার গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা বা আহ্বান থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের দিকে যাবেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিচার এবং সংস্কার কার্যক্রমে এনসিপি সন্তুষ্ট নয় জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘বিচার এবং সংস্কার বিষয়ে যে গতিতে কার্যক্রম চলছে, আমরা (এনসিপি) তাতে সন্তুষ্ট নই।’
তবে সমালোচনার পাশাপাশি সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো পক্ষই সরকারের কাজে বাধা হয়ে না দাঁড়াক। সরকারের সমালোচনা ও সহযোগিতা করুক এবং সরকারও তার কাজের গতি বৃদ্ধি করুক, জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট করুক তার কাজের গতিধারা।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশবিরোধী নানা ধরনের শক্তি বাংলাদেশকে বারবার অনৈক্য ও বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘ভারতীয় মিডিয়ায় নানা ধরনের অপপ্রচার চলছে, আওয়ামী লীগ নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। ফলে বাংলাদেশের এই অনৈক্যের পিছে মূলত রয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ, আওয়ামী লীগ চায় না এই ঐক্য থাকুক। ফলে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত রাখতে হলে আমাদের সেই ঐক্যের জায়গাটা সব সময় ধরে রাখতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল আদালত, এনবিআর, যমুনার সামনে, ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই প্রেক্ষিতে মনে করছেন, যদি ওনাকে জিম্মি করা হয় এবং ওনাকে চাপ প্রয়োগ করে কোনো দাবি আদায় করা হয়, সেটি আসলে সম্ভব না, উনি এটাতে সম্মত নন। গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তীকালে দেশের কিছু মৌলিক পরিবর্তনের জন্য উনি দায়িত্ব নিয়েছেন বলে মনে করেন। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। সেই মৌলিক কাজগুলো বিচার, সংস্কার —এই বিষয়গুলো যদি উনি করতে না পারেন তাহলে আসলে ওনার থেকে কী লাভ?’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি যে প্রতিশ্রুতির জায়গা থেকে এসেছিলেন, সেটি উনি রক্ষা করতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে। দেশে যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, রাজনৈতিক দলগুলো ও বিভিন্ন পক্ষ যদি তাদের কার্যক্রম এভাবে চলমান রাখে, তাহলে ওনার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। যদি নির্বাচনের জন্য এভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটাও তিনি সন্দেহ পোষণ করেছেন। ফলে এর দায়ভার উনি নিতে চান না।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যেহেতু এখন মেয়র বিষয় নিয়ে আদালতের বিভিন্ন ধরনের রায় আসছে এবং সেটা নিয়ে আন্দোলন ও একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, ফলে আমরা মনে করি অতি দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। সেটার জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। আর প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর থেকে জুনের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে আমরা তো সেটা সমর্থন করেছি ৷’
রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া সেনাবাহিনীর কাজ নয় উল্লেখ করে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক-এগারোর বন্দোবস্ত বলতে বোঝায় সেনা-সমর্থিত ও বিদেশি শক্তির প্রভাবে দেশে জনগণ ও গণতন্ত্রবিরোধী একটি সরকার। আমরা ৫ আগস্ট থেকে বারবার এটি স্পষ্ট করেছি, গণ-অভ্যত্থানের সমর্থনে জনগণের পক্ষের সরকার হতে হবে, যারা গণতন্ত্র ও সংস্কার নিশ্চিত করবে। সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। সেনাবাহিনী দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া তার কাজ নয়। তার কাজ দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্রাইসিস মোমেন্টে তারা এখন রাস্তায় আছে, আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখছে।’
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের তালিকা আরও আগে প্রকাশ করলে জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি হতো না জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। গণ-অভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা পালন করছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়। আমরা ১/১১ ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এবং আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, কারও জন্য কোনো ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সে বিষয়টার জন্য আমরা সকলে বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যার যেটা দায়িত্ব, সেটা যাতে সকলে পালন করে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছে, তাদের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময় সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে সে সময় একজন ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুজন ছাত্র উপদেষ্টাকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত করে একধরনের অপপ্রচার এবং তাঁদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলব, এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক। গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা গিয়েছেন। সরকার থেকে তাঁরা বের হবেন বা আদৌ বের হবেন কিনা—এটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা, গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতাসহ আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নের ছাত্র উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টা একত্রে কাজ করবে।’
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি জুলাই ঘোষণাপত্রের যে নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছিল, সময় কিন্তু এগোচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে জনমনে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্বস্তি ও আস্থার জায়গা তৈরি হবে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা করা এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের দিকে যাওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কথা ভেবে সকলের সেই দায়িত্বশীল আচরণ করব আমরা এবং আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের দিকে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শুধুই নির্বাচনকালীন সরকার নাকি গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকার একটা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ফলে তার গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা বা আহ্বান থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের দিকে যাবেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিচার এবং সংস্কার কার্যক্রমে এনসিপি সন্তুষ্ট নয় জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘বিচার এবং সংস্কার বিষয়ে যে গতিতে কার্যক্রম চলছে, আমরা (এনসিপি) তাতে সন্তুষ্ট নই।’
তবে সমালোচনার পাশাপাশি সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো পক্ষই সরকারের কাজে বাধা হয়ে না দাঁড়াক। সরকারের সমালোচনা ও সহযোগিতা করুক এবং সরকারও তার কাজের গতি বৃদ্ধি করুক, জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট করুক তার কাজের গতিধারা।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশবিরোধী নানা ধরনের শক্তি বাংলাদেশকে বারবার অনৈক্য ও বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘ভারতীয় মিডিয়ায় নানা ধরনের অপপ্রচার চলছে, আওয়ামী লীগ নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। ফলে বাংলাদেশের এই অনৈক্যের পিছে মূলত রয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ, আওয়ামী লীগ চায় না এই ঐক্য থাকুক। ফলে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত রাখতে হলে আমাদের সেই ঐক্যের জায়গাটা সব সময় ধরে রাখতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল আদালত, এনবিআর, যমুনার সামনে, ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই প্রেক্ষিতে মনে করছেন, যদি ওনাকে জিম্মি করা হয় এবং ওনাকে চাপ প্রয়োগ করে কোনো দাবি আদায় করা হয়, সেটি আসলে সম্ভব না, উনি এটাতে সম্মত নন। গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তীকালে দেশের কিছু মৌলিক পরিবর্তনের জন্য উনি দায়িত্ব নিয়েছেন বলে মনে করেন। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। সেই মৌলিক কাজগুলো বিচার, সংস্কার —এই বিষয়গুলো যদি উনি করতে না পারেন তাহলে আসলে ওনার থেকে কী লাভ?’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি যে প্রতিশ্রুতির জায়গা থেকে এসেছিলেন, সেটি উনি রক্ষা করতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে। দেশে যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, রাজনৈতিক দলগুলো ও বিভিন্ন পক্ষ যদি তাদের কার্যক্রম এভাবে চলমান রাখে, তাহলে ওনার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। যদি নির্বাচনের জন্য এভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটাও তিনি সন্দেহ পোষণ করেছেন। ফলে এর দায়ভার উনি নিতে চান না।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যেহেতু এখন মেয়র বিষয় নিয়ে আদালতের বিভিন্ন ধরনের রায় আসছে এবং সেটা নিয়ে আন্দোলন ও একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, ফলে আমরা মনে করি অতি দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। সেটার জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। আর প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর থেকে জুনের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে আমরা তো সেটা সমর্থন করেছি ৷’
রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া সেনাবাহিনীর কাজ নয় উল্লেখ করে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক-এগারোর বন্দোবস্ত বলতে বোঝায় সেনা-সমর্থিত ও বিদেশি শক্তির প্রভাবে দেশে জনগণ ও গণতন্ত্রবিরোধী একটি সরকার। আমরা ৫ আগস্ট থেকে বারবার এটি স্পষ্ট করেছি, গণ-অভ্যত্থানের সমর্থনে জনগণের পক্ষের সরকার হতে হবে, যারা গণতন্ত্র ও সংস্কার নিশ্চিত করবে। সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। সেনাবাহিনী দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া তার কাজ নয়। তার কাজ দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্রাইসিস মোমেন্টে তারা এখন রাস্তায় আছে, আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখছে।’
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের তালিকা আরও আগে প্রকাশ করলে জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি হতো না জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। গণ-অভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা পালন করছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়। আমরা ১/১১ ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এবং আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, কারও জন্য কোনো ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সে বিষয়টার জন্য আমরা সকলে বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যার যেটা দায়িত্ব, সেটা যাতে সকলে পালন করে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছে, তাদের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময় সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে সে সময় একজন ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুজন ছাত্র উপদেষ্টাকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত করে একধরনের অপপ্রচার এবং তাঁদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলব, এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক। গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা গিয়েছেন। সরকার থেকে তাঁরা বের হবেন বা আদৌ বের হবেন কিনা—এটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা, গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতাসহ আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নের ছাত্র উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টা একত্রে কাজ করবে।’
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি জুলাই ঘোষণাপত্রের যে নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছিল, সময় কিন্তু এগোচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে জনমনে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্বস্তি ও আস্থার জায়গা তৈরি হবে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা করা এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের দিকে যাওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কথা ভেবে সকলের সেই দায়িত্বশীল আচরণ করব আমরা এবং আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের দিকে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শুধুই নির্বাচনকালীন সরকার নাকি গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকার একটা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ফলে তার গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা বা আহ্বান থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের দিকে যাবেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিচার এবং সংস্কার কার্যক্রমে এনসিপি সন্তুষ্ট নয় জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘বিচার এবং সংস্কার বিষয়ে যে গতিতে কার্যক্রম চলছে, আমরা (এনসিপি) তাতে সন্তুষ্ট নই।’
তবে সমালোচনার পাশাপাশি সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো পক্ষই সরকারের কাজে বাধা হয়ে না দাঁড়াক। সরকারের সমালোচনা ও সহযোগিতা করুক এবং সরকারও তার কাজের গতি বৃদ্ধি করুক, জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট করুক তার কাজের গতিধারা।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশবিরোধী নানা ধরনের শক্তি বাংলাদেশকে বারবার অনৈক্য ও বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘ভারতীয় মিডিয়ায় নানা ধরনের অপপ্রচার চলছে, আওয়ামী লীগ নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। ফলে বাংলাদেশের এই অনৈক্যের পিছে মূলত রয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ, আওয়ামী লীগ চায় না এই ঐক্য থাকুক। ফলে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত রাখতে হলে আমাদের সেই ঐক্যের জায়গাটা সব সময় ধরে রাখতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল আদালত, এনবিআর, যমুনার সামনে, ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই প্রেক্ষিতে মনে করছেন, যদি ওনাকে জিম্মি করা হয় এবং ওনাকে চাপ প্রয়োগ করে কোনো দাবি আদায় করা হয়, সেটি আসলে সম্ভব না, উনি এটাতে সম্মত নন। গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তীকালে দেশের কিছু মৌলিক পরিবর্তনের জন্য উনি দায়িত্ব নিয়েছেন বলে মনে করেন। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। সেই মৌলিক কাজগুলো বিচার, সংস্কার —এই বিষয়গুলো যদি উনি করতে না পারেন তাহলে আসলে ওনার থেকে কী লাভ?’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি যে প্রতিশ্রুতির জায়গা থেকে এসেছিলেন, সেটি উনি রক্ষা করতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে। দেশে যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, রাজনৈতিক দলগুলো ও বিভিন্ন পক্ষ যদি তাদের কার্যক্রম এভাবে চলমান রাখে, তাহলে ওনার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। যদি নির্বাচনের জন্য এভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটাও তিনি সন্দেহ পোষণ করেছেন। ফলে এর দায়ভার উনি নিতে চান না।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যেহেতু এখন মেয়র বিষয় নিয়ে আদালতের বিভিন্ন ধরনের রায় আসছে এবং সেটা নিয়ে আন্দোলন ও একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, ফলে আমরা মনে করি অতি দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। সেটার জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। আর প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর থেকে জুনের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে আমরা তো সেটা সমর্থন করেছি ৷’
রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া সেনাবাহিনীর কাজ নয় উল্লেখ করে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক-এগারোর বন্দোবস্ত বলতে বোঝায় সেনা-সমর্থিত ও বিদেশি শক্তির প্রভাবে দেশে জনগণ ও গণতন্ত্রবিরোধী একটি সরকার। আমরা ৫ আগস্ট থেকে বারবার এটি স্পষ্ট করেছি, গণ-অভ্যত্থানের সমর্থনে জনগণের পক্ষের সরকার হতে হবে, যারা গণতন্ত্র ও সংস্কার নিশ্চিত করবে। সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। সেনাবাহিনী দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া তার কাজ নয়। তার কাজ দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্রাইসিস মোমেন্টে তারা এখন রাস্তায় আছে, আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখছে।’
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের তালিকা আরও আগে প্রকাশ করলে জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি হতো না জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। গণ-অভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা পালন করছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়। আমরা ১/১১ ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এবং আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, কারও জন্য কোনো ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সে বিষয়টার জন্য আমরা সকলে বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যার যেটা দায়িত্ব, সেটা যাতে সকলে পালন করে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
২৪ মে ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
২৪ মে ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেরেজা করিম, ঢাকা

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ও হঠাৎ করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের সরব ভূমিকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে তাদের মনে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন যাতে না হয়, সে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে—বিএনপির তরফ থেকে এই অভিযোগ আসছে বারবার। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে না হয়।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়—এ বিষয়ে সরকারের ওপর বিএনপির আস্থা আছে। কিন্তু অনেক দলই নির্বাচন পেছানোর জন্য চেষ্টা করছে, নানা রকম কলাকৌশল অবলম্বন করছে বলে বিএনপির কাছে মনে হচ্ছে। ওই সব দলের এ চেষ্টায় একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তখন সরকার বাধ্য হবে নির্বাচন পেছাতে। এ বিষয়টিই বিএনপির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে খানিকটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ওপর এখনো আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে এবং সমর্থনও আছে। নির্বাচন পেছাবে, এখনই আমরা এটা মনে করি না। তবে কিছু মহল কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে আসছে, যেগুলো এখন সামনে আসার কথা নয়। স্বাভাবিক কারণে একধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপি যখন বারবার নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র দেখছে, তখন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো অবস্থান জানান দিচ্ছেন সরকারের দায়িত্বশীল লোকেরা। তাঁরাও বারবার জোর দিয়েই বলে চলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই, এটি প্রতিহত করবে।
গতকাল শুক্রবার মাগুরায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবার।’
সরকারের দিক থেকে বারবার জোর দিয়ে একই কথা বলাতেও আবার খটকা লাগছে বিএনপির নেতাদের মনে। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনে এখনো একটি বিশেষ দলের লোকেরা জায়গা করে নিয়ে আছে, সরকারের মধ্যে সন্দেহভাজন উপদেষ্টা আছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়েও বিএনপির কিছু সুপারিশ আছে। এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কেবল মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির কিছু কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সরকারের লোকজনদের বক্তৃতায় আর কাজে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন বিলম্বে সরকারের ভেতরেই ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটাও একটা সন্দেহের বিষয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে বেশি বেশি বলায় মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে এত গতি বেড়ে গেল কেন!’ নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। সরকারের ভেতর থেকেও সেটায় ইন্ধন আছে। এ রকম ইঙ্গিত আমরা তো পাচ্ছি।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একপর্যায়ে কঠোর অবস্থান নেয় তারা। বিএনপির এই দাবির বিপরীতে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি আসে সরকারের দিক থেকে। এরপর গত জুনে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।
জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান গতকাল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই আমরাও প্রত্যাশা করি, সঠিক সময়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। আমরা আস্থা রাখছি এবং বিশ্বাস করি।’

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ও হঠাৎ করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের সরব ভূমিকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে তাদের মনে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন যাতে না হয়, সে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে—বিএনপির তরফ থেকে এই অভিযোগ আসছে বারবার। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে না হয়।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়—এ বিষয়ে সরকারের ওপর বিএনপির আস্থা আছে। কিন্তু অনেক দলই নির্বাচন পেছানোর জন্য চেষ্টা করছে, নানা রকম কলাকৌশল অবলম্বন করছে বলে বিএনপির কাছে মনে হচ্ছে। ওই সব দলের এ চেষ্টায় একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তখন সরকার বাধ্য হবে নির্বাচন পেছাতে। এ বিষয়টিই বিএনপির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে খানিকটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ওপর এখনো আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে এবং সমর্থনও আছে। নির্বাচন পেছাবে, এখনই আমরা এটা মনে করি না। তবে কিছু মহল কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে আসছে, যেগুলো এখন সামনে আসার কথা নয়। স্বাভাবিক কারণে একধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপি যখন বারবার নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র দেখছে, তখন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো অবস্থান জানান দিচ্ছেন সরকারের দায়িত্বশীল লোকেরা। তাঁরাও বারবার জোর দিয়েই বলে চলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই, এটি প্রতিহত করবে।
গতকাল শুক্রবার মাগুরায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবার।’
সরকারের দিক থেকে বারবার জোর দিয়ে একই কথা বলাতেও আবার খটকা লাগছে বিএনপির নেতাদের মনে। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনে এখনো একটি বিশেষ দলের লোকেরা জায়গা করে নিয়ে আছে, সরকারের মধ্যে সন্দেহভাজন উপদেষ্টা আছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়েও বিএনপির কিছু সুপারিশ আছে। এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কেবল মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির কিছু কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সরকারের লোকজনদের বক্তৃতায় আর কাজে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন বিলম্বে সরকারের ভেতরেই ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটাও একটা সন্দেহের বিষয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে বেশি বেশি বলায় মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে এত গতি বেড়ে গেল কেন!’ নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। সরকারের ভেতর থেকেও সেটায় ইন্ধন আছে। এ রকম ইঙ্গিত আমরা তো পাচ্ছি।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একপর্যায়ে কঠোর অবস্থান নেয় তারা। বিএনপির এই দাবির বিপরীতে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি আসে সরকারের দিক থেকে। এরপর গত জুনে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।
জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান গতকাল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই আমরাও প্রত্যাশা করি, সঠিক সময়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। আমরা আস্থা রাখছি এবং বিশ্বাস করি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
২৪ মে ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
২৪ মে ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১১ ঘণ্টা আগে