নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছে, তাদের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময় সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে সে সময় একজন ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুজন ছাত্র উপদেষ্টাকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত করে একধরনের অপপ্রচার এবং তাঁদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলব, এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক। গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা গিয়েছেন। সরকার থেকে তাঁরা বের হবেন বা আদৌ বের হবেন কিনা—এটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা, গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতাসহ আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নের ছাত্র উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টা একত্রে কাজ করবে।’
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি জুলাই ঘোষণাপত্রের যে নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছিল, সময় কিন্তু এগোচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে জনমনে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্বস্তি ও আস্থার জায়গা তৈরি হবে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা করা এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের দিকে যাওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কথা ভেবে সকলের সেই দায়িত্বশীল আচরণ করব আমরা এবং আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের দিকে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শুধুই নির্বাচনকালীন সরকার নাকি গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকার একটা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ফলে তার গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা বা আহ্বান থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের দিকে যাবেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিচার এবং সংস্কার কার্যক্রমে এনসিপি সন্তুষ্ট নয় জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘বিচার এবং সংস্কার বিষয়ে যে গতিতে কার্যক্রম চলছে, আমরা (এনসিপি) তাতে সন্তুষ্ট নই।’
তবে সমালোচনার পাশাপাশি সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো পক্ষই সরকারের কাজে বাধা হয়ে না দাঁড়াক। সরকারের সমালোচনা ও সহযোগিতা করুক এবং সরকারও তার কাজের গতি বৃদ্ধি করুক, জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট করুক তার কাজের গতিধারা।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশবিরোধী নানা ধরনের শক্তি বাংলাদেশকে বারবার অনৈক্য ও বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘ভারতীয় মিডিয়ায় নানা ধরনের অপপ্রচার চলছে, আওয়ামী লীগ নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। ফলে বাংলাদেশের এই অনৈক্যের পিছে মূলত রয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ, আওয়ামী লীগ চায় না এই ঐক্য থাকুক। ফলে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত রাখতে হলে আমাদের সেই ঐক্যের জায়গাটা সব সময় ধরে রাখতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল আদালত, এনবিআর, যমুনার সামনে, ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই প্রেক্ষিতে মনে করছেন, যদি ওনাকে জিম্মি করা হয় এবং ওনাকে চাপ প্রয়োগ করে কোনো দাবি আদায় করা হয়, সেটি আসলে সম্ভব না, উনি এটাতে সম্মত নন। গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তীকালে দেশের কিছু মৌলিক পরিবর্তনের জন্য উনি দায়িত্ব নিয়েছেন বলে মনে করেন। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। সেই মৌলিক কাজগুলো বিচার, সংস্কার —এই বিষয়গুলো যদি উনি করতে না পারেন তাহলে আসলে ওনার থেকে কী লাভ?’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি যে প্রতিশ্রুতির জায়গা থেকে এসেছিলেন, সেটি উনি রক্ষা করতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে। দেশে যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, রাজনৈতিক দলগুলো ও বিভিন্ন পক্ষ যদি তাদের কার্যক্রম এভাবে চলমান রাখে, তাহলে ওনার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। যদি নির্বাচনের জন্য এভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটাও তিনি সন্দেহ পোষণ করেছেন। ফলে এর দায়ভার উনি নিতে চান না।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যেহেতু এখন মেয়র বিষয় নিয়ে আদালতের বিভিন্ন ধরনের রায় আসছে এবং সেটা নিয়ে আন্দোলন ও একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, ফলে আমরা মনে করি অতি দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। সেটার জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। আর প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর থেকে জুনের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে আমরা তো সেটা সমর্থন করেছি ৷’
রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া সেনাবাহিনীর কাজ নয় উল্লেখ করে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক-এগারোর বন্দোবস্ত বলতে বোঝায় সেনা-সমর্থিত ও বিদেশি শক্তির প্রভাবে দেশে জনগণ ও গণতন্ত্রবিরোধী একটি সরকার। আমরা ৫ আগস্ট থেকে বারবার এটি স্পষ্ট করেছি, গণ-অভ্যত্থানের সমর্থনে জনগণের পক্ষের সরকার হতে হবে, যারা গণতন্ত্র ও সংস্কার নিশ্চিত করবে। সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। সেনাবাহিনী দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া তার কাজ নয়। তার কাজ দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্রাইসিস মোমেন্টে তারা এখন রাস্তায় আছে, আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখছে।’
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের তালিকা আরও আগে প্রকাশ করলে জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি হতো না জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। গণ-অভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা পালন করছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়। আমরা ১/১১ ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এবং আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, কারও জন্য কোনো ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সে বিষয়টার জন্য আমরা সকলে বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যার যেটা দায়িত্ব, সেটা যাতে সকলে পালন করে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছে, তাদের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময় সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে সে সময় একজন ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুজন ছাত্র উপদেষ্টাকে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত করে একধরনের অপপ্রচার এবং তাঁদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলব, এটি খুবই উদ্দেশ্যমূলক। গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা গিয়েছেন। সরকার থেকে তাঁরা বের হবেন বা আদৌ বের হবেন কিনা—এটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রত্যাশা, গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতাসহ আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নের ছাত্র উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টা একত্রে কাজ করবে।’
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি জুলাই ঘোষণাপত্রের যে নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছিল, সময় কিন্তু এগোচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা উচিত। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে প্রকাশ করা উচিত। তাহলে জনমনে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্বস্তি ও আস্থার জায়গা তৈরি হবে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জুলাই ঘোষণাপত্র, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা করা এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু সমাধানের দিকে যাওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কথা ভেবে সকলের সেই দায়িত্বশীল আচরণ করব আমরা এবং আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের দিকে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শুধুই নির্বাচনকালীন সরকার নাকি গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমরা (এনসিপি) মনে করি এই অন্তর্বর্তী সরকার একটা গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ফলে তার গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা বা আহ্বান থাকবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানের দিকে যাবেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিচার এবং সংস্কার কার্যক্রমে এনসিপি সন্তুষ্ট নয় জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘বিচার এবং সংস্কার বিষয়ে যে গতিতে কার্যক্রম চলছে, আমরা (এনসিপি) তাতে সন্তুষ্ট নই।’
তবে সমালোচনার পাশাপাশি সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো পক্ষই সরকারের কাজে বাধা হয়ে না দাঁড়াক। সরকারের সমালোচনা ও সহযোগিতা করুক এবং সরকারও তার কাজের গতি বৃদ্ধি করুক, জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট করুক তার কাজের গতিধারা।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশবিরোধী নানা ধরনের শক্তি বাংলাদেশকে বারবার অনৈক্য ও বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘ভারতীয় মিডিয়ায় নানা ধরনের অপপ্রচার চলছে, আওয়ামী লীগ নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। ফলে বাংলাদেশের এই অনৈক্যের পিছে মূলত রয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ, আওয়ামী লীগ চায় না এই ঐক্য থাকুক। ফলে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত রাখতে হলে আমাদের সেই ঐক্যের জায়গাটা সব সময় ধরে রাখতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল আদালত, এনবিআর, যমুনার সামনে, ড. মুহম্মদ ইউনূস সেই প্রেক্ষিতে মনে করছেন, যদি ওনাকে জিম্মি করা হয় এবং ওনাকে চাপ প্রয়োগ করে কোনো দাবি আদায় করা হয়, সেটি আসলে সম্ভব না, উনি এটাতে সম্মত নন। গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তীকালে দেশের কিছু মৌলিক পরিবর্তনের জন্য উনি দায়িত্ব নিয়েছেন বলে মনে করেন। এটাই জনগণের প্রত্যাশা। সেই মৌলিক কাজগুলো বিচার, সংস্কার —এই বিষয়গুলো যদি উনি করতে না পারেন তাহলে আসলে ওনার থেকে কী লাভ?’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি যে প্রতিশ্রুতির জায়গা থেকে এসেছিলেন, সেটি উনি রক্ষা করতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে। দেশে যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, রাজনৈতিক দলগুলো ও বিভিন্ন পক্ষ যদি তাদের কার্যক্রম এভাবে চলমান রাখে, তাহলে ওনার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। যদি নির্বাচনের জন্য এভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হতে যাচ্ছে এটাও তিনি সন্দেহ পোষণ করেছেন। ফলে এর দায়ভার উনি নিতে চান না।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যেহেতু এখন মেয়র বিষয় নিয়ে আদালতের বিভিন্ন ধরনের রায় আসছে এবং সেটা নিয়ে আন্দোলন ও একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে, ফলে আমরা মনে করি অতি দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। সেটার জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। আর প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর থেকে জুনের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে আমরা তো সেটা সমর্থন করেছি ৷’
রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া সেনাবাহিনীর কাজ নয় উল্লেখ করে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক-এগারোর বন্দোবস্ত বলতে বোঝায় সেনা-সমর্থিত ও বিদেশি শক্তির প্রভাবে দেশে জনগণ ও গণতন্ত্রবিরোধী একটি সরকার। আমরা ৫ আগস্ট থেকে বারবার এটি স্পষ্ট করেছি, গণ-অভ্যত্থানের সমর্থনে জনগণের পক্ষের সরকার হতে হবে, যারা গণতন্ত্র ও সংস্কার নিশ্চিত করবে। সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। সেনাবাহিনী দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া তার কাজ নয়। তার কাজ দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্রাইসিস মোমেন্টে তারা এখন রাস্তায় আছে, আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখছে।’
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের তালিকা আরও আগে প্রকাশ করলে জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি হতো না জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। গণ-অভ্যুত্থান এবং তার পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা পালন করছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিভিন্ন সময় দেখেছি, সেনাবাহিনীর সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনো কখনো তৈরি হয়। আমরা ১/১১ ঘটনা জানি। এসব ঘটনা কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য এবং আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, কারও জন্য কোনো ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। সে বিষয়টার জন্য আমরা সকলে বিবেচনা করি। যার যেটা কাজ, যার যেটা দায়িত্ব, সেটা যাতে সকলে পালন করে।’
জালাল উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘খুনি শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয় নাই। তার দোসররা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। বর্তমান সরকার এই দোসরদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে। গত দুই দিন আগে গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পলাতক...
২ ঘণ্টা আগেজনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পরিবর্তনই ‘টেকসই’ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না, যদি জনগণের ম্যান্ডেট না থাকে। ১০ জন লোক ঢাকায় বসে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবে না।’
২০ ঘণ্টা আগেফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকাতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হলেও পরিকল্পিতভাবে তা ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। ফেব্রুয়ারির
২১ ঘণ্টা আগেজিয়াউর রহমান কাদের নিয়ে দল গঠন করেছেন জানেন? শাহ আজিজ। তিনি ছিলেন এক নম্বর রাজাকার। জিয়াউর রহমান তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। অথচ আজ বিএনপি স্লোগান দেয়, এই দেশে রাজাকার থাকবে না! কী আজিব জাহেল! আওয়ামী লীগের বিএনপির ওপর ক্ষোভটাই ছিল—জিয়াউর রহমান রাজাকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
২১ ঘণ্টা আগে