Ajker Patrika

শুধু গোপালগঞ্জ নয়, দেশের কোথাও আওয়ামী লীগকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না: খেলাফত মজলিস ‎

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৪৮
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আজ শুক্রবার আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আজ শুক্রবার আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎শুধু গোপালগঞ্জ নয়, দেশের কোথাও আওয়ামী লীগকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ যে ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। যেখানেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ পাওয়া যাবে, জনগণ তাদের প্রতিরোধ করবে।’

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

‎জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘খুনি শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয় নাই। তার দোসরেরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। বর্তমান সরকার এই দোসরদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

‘দুই দিন আগে গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গোপালগঞ্জে যারা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ করে, তারা যে ন্যক্কারজনক হামলা করেছে, এই হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নাই। শুধু গোপালগঞ্জ নয়, সারা বাংলাদেশের কোথাও আওয়ামী লীগকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। যেখানেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ পাওয়া যাবে, জনগণ তাদের প্রতিরোধ করবে।’

যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসরদের রক্ষা করার ও পুনর্বাসনের চিন্তা করেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন চলবে বলে জানান জালালুদ্দীন আহমদ।

‎‎ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় চালু করার অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলছি, এখনো সময় আছে, অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের কোথাও মানবাধিকার কার্যালয় দেখতে চায় না। যেকোনো মূল্যে এই সিদ্ধান্ত আমরা সরকারকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করব।’

তিনি বলেন, ‘দেশে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য চলছে। আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। তারা যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করত, আরেকটি গ্রুপ সেখানে গিয়ে দখল করে বসে আছে। সরকারকে বলি, শক্তিশালী সরকার হন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব। বাংলাদেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান হবে না।’

‎জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ‘দৃশ্যমান নয়’ মন্তব্য করে মহাসচিব বলেন, ‘২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে আমরা জীবন দিয়েছি। ২০২১ ও ২০২৪ সালেও আমরা জীবন দিয়েছি। খুনি শেখ হাসিনা শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জুলাই-আগস্টে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার অত্যাচারে ঘরের শিশু পর্যন্ত রক্ষা পাই নাই।

‘এক বছর হয়ে গেল বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বারবার বলে আসছি, আপনারা খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করুন, একটি দৃশ্যমান পর্যায়ে নিয়ে আসুন। এখনো আমরা খুনি হাসিনার বিচার দৃশ্যমান দেখতে পারছি না। দেশের জনগণ খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলতে দেখতে চায়। অবিলম্বে দু-একটি হত্যার রায় জাতি প্রত্যাশা করে।’

‎এ সময় সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত