নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দফাভিত্তিক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার নিয়ে আমরা আলোচনা চলমান রাখতে চাই। আজ শেষ না হলে পরে আলোচনা হবে। আমরা বোঝাতে চাই, বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে কতটা সিরিয়াস।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের বিরতিতে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জবাব চেয়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্প্রেডশিট দেওয়ার বিষয়টি তিনি বলেন, ‘স্প্রেডশিটে সংক্ষিপ্ত হ্যাঁ/না জবাব দেওয়ার জন্য যে কাগজগুলো দিল, তাতে অনেকটা বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে, মিসলিড করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘স্প্রেডশিট দিয়ে আমাদের ওনারা বিভ্রান্ত করেছেন, মিসলিড করেছেন। এটা দেওয়া উচিত হয়নি।’
বিএনপি সংবিধান, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আজ হার্ড কপি জমা দিয়েছি। এগুলোর ওপর বিস্তারিত আলোচনা চলছে। সংবিধান সংস্কার দিয়ে শুরু করেছি। তারপরে বিচার বিভাগ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। তারপরও আলোচনা চলমান রাখতে চাই। আজ শেষ না হলে পরে আলোচনা হবে। আমরা বোঝাতে চাই, বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে কতটা সিরিয়াস।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত প্রতিবেদনে ১৩১টি প্রস্তাব থাকলেও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটে ৭০ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দফাওয়ারি আলোচনা চলছে। সংবিধানের প্রস্তাবনা হতে শুরু করে প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্রের মূলনীতিসহ সব বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনা করব। বিস্তারিত অগ্রগতি পরে জানতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত মৌলিক প্রস্তাবের বিষয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করব ঐকমত্যে আসার জন্য। বিএনপি সংবিধান সংস্কার কমিশনের ২৫ টিতে একমত, ২৫ টির মতো বিষয়ে আংশিকভাবে একমত। বাকি বিষয়গুলোতে একমত হতে পারিনি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা যেসব বিষয়ে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি, সেসব বিষয়ে কমিশনকে যৌক্তিকভাবে বোঝাব এবং তাদের প্রস্তাবের বিষয়েও আমরা যৌক্তিকভাবে জানতে চাচ্ছি। যেটা যৌক্তিক, সেটা জাতির কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা সেটা অবশ্যই বিবেচনা করব।’
বিচার বিভাগের মতামত নিয়ে প্রতিবেদনে মিসলিড করা হয়েছ দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিস্তারিত প্রতিবেদনের ১৫০টি মতামতের মধ্যে ৮৯ টির বিষয়ে মতামত দিয়েছি। বাকিগুলোর অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমত হওয়া বা মন্তব্যসহ একমত হওয়ার কথা জানিয়েছি।’
হ্যাঁ/না তে মতামত চাওয়া বিষয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদনের বিস্তর ফারাক আছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন দাবি করেন, ‘সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুচ্ছেদের সংশোধনী ব্যতিরেকে বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ জারি করা ততক্ষণ পর্যন্ত অসাংবিধানিক হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তা সংবিধানে গৃহীত হচ্ছে। ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা সংবিধান সম্মত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রইবে। বিচার বিভাগ কর্তৃক সংবিধান লঙ্ঘন সমুচিত হবে না।’
বিএনপি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়া যাতে আইনানুগ ও সাংবিধানিক পদ্ধতিতে হয় সেই জন্য মতামত বিস্তারিত দেব। লিখিতও দিয়েছি।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের অধিকাংশ সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয়ে তারা এমন প্রস্তাব দিয়েছে, যা বাস্তবায়ন করলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন সত্তা বজায় থাকবে না।’ বিএনপির সঙ্গে কমিশনের আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আরও আলোচনা হবে। কারণ আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আগাচ্ছি।’
বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দফাভিত্তিক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার নিয়ে আমরা আলোচনা চলমান রাখতে চাই। আজ শেষ না হলে পরে আলোচনা হবে। আমরা বোঝাতে চাই, বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে কতটা সিরিয়াস।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের বিরতিতে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জবাব চেয়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্প্রেডশিট দেওয়ার বিষয়টি তিনি বলেন, ‘স্প্রেডশিটে সংক্ষিপ্ত হ্যাঁ/না জবাব দেওয়ার জন্য যে কাগজগুলো দিল, তাতে অনেকটা বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে, মিসলিড করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘স্প্রেডশিট দিয়ে আমাদের ওনারা বিভ্রান্ত করেছেন, মিসলিড করেছেন। এটা দেওয়া উচিত হয়নি।’
বিএনপি সংবিধান, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আজ হার্ড কপি জমা দিয়েছি। এগুলোর ওপর বিস্তারিত আলোচনা চলছে। সংবিধান সংস্কার দিয়ে শুরু করেছি। তারপরে বিচার বিভাগ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। তারপরও আলোচনা চলমান রাখতে চাই। আজ শেষ না হলে পরে আলোচনা হবে। আমরা বোঝাতে চাই, বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে কতটা সিরিয়াস।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত প্রতিবেদনে ১৩১টি প্রস্তাব থাকলেও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটে ৭০ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দফাওয়ারি আলোচনা চলছে। সংবিধানের প্রস্তাবনা হতে শুরু করে প্রজাতন্ত্র, রাষ্ট্রের মূলনীতিসহ সব বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনা করব। বিস্তারিত অগ্রগতি পরে জানতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত মৌলিক প্রস্তাবের বিষয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করব ঐকমত্যে আসার জন্য। বিএনপি সংবিধান সংস্কার কমিশনের ২৫ টিতে একমত, ২৫ টির মতো বিষয়ে আংশিকভাবে একমত। বাকি বিষয়গুলোতে একমত হতে পারিনি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা যেসব বিষয়ে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি, সেসব বিষয়ে কমিশনকে যৌক্তিকভাবে বোঝাব এবং তাদের প্রস্তাবের বিষয়েও আমরা যৌক্তিকভাবে জানতে চাচ্ছি। যেটা যৌক্তিক, সেটা জাতির কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা সেটা অবশ্যই বিবেচনা করব।’
বিচার বিভাগের মতামত নিয়ে প্রতিবেদনে মিসলিড করা হয়েছ দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিস্তারিত প্রতিবেদনের ১৫০টি মতামতের মধ্যে ৮৯ টির বিষয়ে মতামত দিয়েছি। বাকিগুলোর অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমত হওয়া বা মন্তব্যসহ একমত হওয়ার কথা জানিয়েছি।’
হ্যাঁ/না তে মতামত চাওয়া বিষয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদনের বিস্তর ফারাক আছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন দাবি করেন, ‘সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুচ্ছেদের সংশোধনী ব্যতিরেকে বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ জারি করা ততক্ষণ পর্যন্ত অসাংবিধানিক হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তা সংবিধানে গৃহীত হচ্ছে। ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা সংবিধান সম্মত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রইবে। বিচার বিভাগ কর্তৃক সংবিধান লঙ্ঘন সমুচিত হবে না।’
বিএনপি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়া যাতে আইনানুগ ও সাংবিধানিক পদ্ধতিতে হয় সেই জন্য মতামত বিস্তারিত দেব। লিখিতও দিয়েছি।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের অধিকাংশ সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয়ে তারা এমন প্রস্তাব দিয়েছে, যা বাস্তবায়ন করলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন সত্তা বজায় থাকবে না।’ বিএনপির সঙ্গে কমিশনের আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আরও আলোচনা হবে। কারণ আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আগাচ্ছি।’
বাংলাদেশের জনগণ যে পরিবর্তনের আশায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেই পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে, প্রয়োজনে তাদেরও রুখে দেওয়া হবে।
১০ ঘণ্টা আগেশফিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সংস্কৃতি নয়, চাঁদাবাজি আমাদের সংস্কৃতি নয়, দখলদারি আমাদের সংস্কৃতি নয়। যে দল তার কর্মীদের এভাবে গড়ে তুলতে পেরেছে, সেই দলের হাতে দেশ এলে ইনশা আল্লাহ দেশ গড়ে তুলতে পারবে। যে দল তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না বা পারবে না, সে দলের হাতে বাংলাদেশের একজন মানুষও নিরাপদ
১ দিন আগেনাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদ বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে শুরু করেছিলাম। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। কারণ, আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ পাইনি। জনগণের পাশে আমাদের আবারও দাঁড়াতে হবে। এলাকায় এলাকায় যে দুর্বৃত্তায়নের
১ দিন আগে‘আমরা খবর পাচ্ছি, যাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে চান, তাঁদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। ওপরে আল্লাহ, নিচে মাটি, জালিমের শাসনের কবর হয়েছে। এনসিপির কোনো নেতা-কর্মীর দিকে চোখ তুলে তাকাবেন না। আমরা গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য একটি রাজনৈতিক দল। আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা করব। কিন্তু পরশ্রীকাতরতা ও হিংসার রাজনীত
১ দিন আগে