Ajker Patrika

সংসদের বৈধতা নিয়ে কোনো কথা বিএনপির মুখে মানায় না: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদের বৈধতা নিয়ে কোনো কথা বিএনপির মুখে মানায় না: কাদের

নির্বাচন ও সংসদের বৈধতা নিয়ে কোনো কথা বিএনপির মুখে মানায় না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিএনপি কীভাবে ছেলে খেলা করেছে জনগণ সেটি অতীতে প্রত্যক্ষ করেছে। বিএনপি নেতারা আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। সেখানে জাতির কপালে কলঙ্কের তিলক এঁকে দেওয়ার জন্য নিজেদের কুৎসিত প্রতিবিম্ব দেখতে পাবেন। জাতীয় ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টির জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিশুদ্ধতার প্রয়াস নিন, তারপর সরকারের সমালোচনা করুন। 

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সব সময় ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করে আসছে। দেশ ও জনগণ নয়, তাদের কাছে মুখ্য হলো যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। ক্ষমতা ফিরে পেতে বিএনপি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের নীলনকশায় জড়িত বলেই কথায় কথায় তারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে লুটপাট আর অনিয়মতন্ত্র চালু করে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পদে পদে বাধা সৃষ্টি করেছে। 

পাতানো নির্বাচন আওয়ামী লীগ করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য পাতানো নির্বাচন আওয়ামী লীগ করে না। পাতানো রাজনৈতিক খেলা বিএনপির রাজনৈতিক ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি। ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন যারা করেছিল, একই ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান যারা করেছিল, দলীয় লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে যারা গোপনে বিচারপতিদের বয়স সীমা বাড়িয়েছিল তারাই পাতানো খেলা আর গোপন ষড়যন্ত্রের কারিগর। 

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি নেতারা কথায় কথায় ২০১৮ সালের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংসদ প্রশ্ন তোলে। অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল এবং দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিল। সংসদে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংসদ অবৈধ হলে তাদের সদস্যরা কীভাবে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করছে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিদিন সংসদে বক্তব্য রাখছে? আসলে বিএনপির রাজনীতি দ্বি চারিতার রাজনীতি। তাদের রাজনীতি জন্মলগ্ন থেকে জনবিরোধী ও ক্ষমতালিপ্সু নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। 

দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্র ও বিদেশি প্রভুদের সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর বিএনপি নেতারা তাল হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি তোলে, আবার সরকারের পক্ষ থেকে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হলে বিরোধিতা করে। 

রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা নেই বিএনপির বলে দাবি করে কাদের বলেন, ‘সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ীই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোন সরকারের অধীনে হবে তা সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে। আমরা বারবার বলে আসছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের উচ্চ আদালত কর্তৃক একটি মীমাংসিত ইস্যু। গণতান্ত্রিক দেশের মতোই সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন হবে। আমরা মনে করি, নির্বাচন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য শেখ হাসিনা সরকারের যে উদ্যোগ বিএনপি নেতারা সরকারের সে উদ্যোগে মূল্যবান মতামত দিতে পারে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কূটনৈতিক পাসপোর্টকে রাতারাতি অর্ডিনারি বানিয়ে দেওয়া পরিচালক বরখাস্ত

এবার সরানো হলো জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে

৩৫ বছর ভারতে, স্বামী–সন্তান রেখে দেশে ফেরার নোটিশ পেলেন পাকিস্তানি সারদা

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি: প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত