সম্পাদকীয়

টাঙ্গুয়ার হাওর হুমকির মুখে, এ রকম একটা খবর বেরিয়েছে আজকের পত্রিকায়। নানা কারণেই বিপন্ন হয়ে উঠছে হাওরটি। এর বেশির ভাগই মানুষ-সৃষ্ট বিপন্নতা। চুরি-চামারি, গায়ের জোর,অভব্য আচরণের কারণেই তৈরি হয়েছে এই হুমকির পরিবেশ।

দেশে মোট ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ৯৯টিতে। এই ৯৯টির মধ্যে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সমস্যায় কণ্টকিত হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি।

প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছে। নিত্যদিন আমাদের কাজের বেশির ভাগ সময়ই কাটে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন ডিভাইসের সঙ্গে। বিশেষ করে স্মার্টফোন এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী।

পটুয়াখালীর সিনেমা হলগুলো দর্শক পাচ্ছে না। লকডাউনের পুরো সময়ই সেগুলো বন্ধ ছিল। এখনো দর্শক হবে না ভেবে খোলার ভরসা পাচ্ছেন না হলমালিকেরা। একটু গভীরে গিয়ে ভাবলে দেখা যায়, যেকোনো বড় আন্দোলনে রাজনীতির সঙ্গী হয় সংস্কৃতি। রাজনীতি ও সংস্কৃতির মিলনেই আন্দোলন দৃঢ়তা পায়

১৫ সেপ্টেম্বর অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে চীনকে মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া একটি ত্রিদেশীয় বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি করেছে, যার নাম ‘এইউকেইউএস’ বা অকাস। এই নতুন চুক্তিকে অনেকে একুশ শতকের স্নায়ুযুদ্ধের সূচনাবিন্দু হিসেবে দেখছেন। এই চুক্তি এমন একসময় ঘটল, যখন সারা

একদিনের পত্রিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীসংক্রান্ত তিনটি খবরই আশা নয়, আশঙ্কা তৈরি করবে পাঠকের মনে। প্রথম খবরের শিরোনাম ‘স্কুলে অনুপস্থিতি আশঙ্কাজনক’। এ খবরে বলা হয়েছে, করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে স্কুল-কলেজ খুললেও শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার আশানুরূপ নয়।

ওরা পাসপোর্ট করবে, ভোগান্তি। ওরা ভিসা নেবে, জালিয়াতি। ওরা বিদেশে যাবে, টিকিট নেই। ওরা যেখানেই যাবে, দুর্ভোগ ওদের পিছু ছাড়ে না। ওরা প্রবাসী। বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচিয়েরাখার শক্তি জোগায় ওরা। অথচ ওদের সমস্যাগুলোর সমাধান হয় না যথাসময়ে। এখন ওদের ভোগান্তি করোনার টিকা নিয়ে।

এক দিনে নিয়োগের ২১টি পরীক্ষা হলো। ভাবা যায়! করোনার কারণে এমনিতেই অফিসপাড়ায় ছাঁটাইয়ের কালো থাবা বিপর্যস্ত করেছে চাকরিজীবীদের, এবার তার সঙ্গে যোগ হলো চাকরিপ্রার্থীদের অসহায়ত্ব। বিবেচনাহীন সিদ্ধান্তে একই দিনে ২১টি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হলো! এ রকম কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে চাকরিপ্রার্থীরা যে ক্ষুব্ধ

নাটোর শব্দটি শুনলেই দুটো প্রতীক ভেসে ওঠে চোখে। বনলতা সেন আর কাঁচাগোল্লা। ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’ বলতে বলতে কত পুরুষ রোমান্সে ভেসে গেল, তার ইয়ত্তা নেই। এই অঞ্চলের কাঁচাগোল্লা নিয়েও যে লেখা হলো কত সহস্র ফিচার আর প্রতিবেদন, সেটাও হিসাব করে বের করা যাবে না।

কোনটা যে তাঁর কাজ, সেটাই বড় রহস্য। তিনি শিক্ষক নাকি রাজনৈতিক নেতা? দেড় বছর পর যখন স্কুল খুলেছে, তখন শিক্ষার্থীদের দেখার জন্য প্রধান শিক্ষকের মন আনচান করবে না? তিনি কি ক্লাস শুরু হওয়ার প্রথম দিন স্কুলে উপস্থিত থেকে স্কুলের সব কাজে নেতৃত্ব দেবেন না? সেটাই তো হওয়ার কথা।

এ যেন রূপকথা! গল্পের নায়ক ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেন তাঁর একটি টাকার মেশিন আছে! সেই মেশিনের একদিক দিয়ে কাগজ দিচ্ছেন আর তা অপরদিক দিয়ে কড়কড়ে টাকার নোট হয়ে বের হচ্ছে!

শিক্ষকেরা আত্মসাৎ করছেন অর্থ, একে অন্যকে সহ্য করতে পারছেন না বলে প্রধান শিক্ষককে নিষিদ্ধ করছেন স্কুলে–এ রকম খবর অলক্ষ্যেই থেকে যায়। খুব একটা মূল্য পায় না। হাজার কাজের ভিড়ে এসব বিষয় নিয়ে ভাবতে যাবে কে?

কারও মজা, কারও মৃত্যু বা চিরজীবনের কান্না। কারও খামখেয়ালিপনা, অন্যের সারা জীবনের অঙ্গহানি। যারা এ মজা বা খামখেয়ালিপনা করে অন্য মানুষের জীবনে কান্না নিয়ে আসে, তারা জানে না যে মজার ছলে তারা যা করে, এটি রীতিমতো অপরাধ। যে অপরাধ অমার্জনীয়।

ই-অরেঞ্জ মিষ্টি নয়, টক–এ কথা বুঝতে একটু সময় লেগেছে। অবিশ্বাস্য অফার দেখেও যাঁরা পানির দামে কিছু কিনতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন, তাঁরা এখন ভুলের মাশুল দিচ্ছেন। প্রতারিত এই মানুষদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা নিজেদের শেষ সম্বলটি বাজি রেখেছিলেন, ফলে তাঁদের অবস্থা মোটেই ভালো নয়।

লেখাপড়া করেছেন চট্টগ্রাম ও খুলনার দুটি মাদ্রাসায়। ‘মুফতি’ সম্পন্ন করে পিরোজপুর সদর উপজেলার একটি মাদ্রাসায় ছয় বছর শিক্ষকতা করেছেন। একটি মসজিদে ইমামতির দায়িত্বও পালন করেছেন। রাগীব আহসান নামের এই ব্যক্তিটি পুরোদস্তুর একজন ধার্মিক মানুষ। হঠাৎ করে নিজের এলাকা পিরোজপুর ছেড়ে ঢাকায় এসে ২০০৭ সালে ৯০০ টাকা বে

ও হেনরির জীবনটা কেমন ছিল, সেটা হয়তো তাঁর গল্পের বইগুলোর ভূমিকায় পাওয়া যাবে। ছোটগল্প লিখে যাঁরা নাম করেছেন বিশ্বজুড়ে, তাঁদের মধ্যে মার্কিন এই লেখকের নাম অবধারিতভাবেই আসবে। রুশ ভাষায় আন্তন চেখভ, বাংলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর ফরাসি ভাষায় মোপাসাঁর কথাও ছোটগল্পের জন্য চিরন্তন হয়ে আছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না সাংসদের বালুর ব্যবসার কারণে। পরিকল্পনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধারের জন্য যমুনা নদীর তীরে ৮৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই অধিকৃত জায়গার একটি বড় অংশই দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও তাঁর ব্যবসায়ের অংশীদার—অভিযোগটা এমনই।