সম্পাদকীয়
ফেরদৌসী মজুমদারকে চেনা যায় তাঁর প্রাণখোলা হাসিতে। এ রকম প্রাণস্পর্শী হাসি খুব কম মানুষই হাসতে পারেন। সাক্ষাৎকার নিতে গেলে ফেরদৌসী মজুমদারের পাশে যদি রামেন্দু মজুমদার থাকেন, তাহলে দ্বিতীয়জনকে মনে হবে মৌন ঋষি। ফেরদৌসী মজুমদার দু-এক জায়গায় ফুসফুসে বাতাস ঢোকানোর জন্য থামলে রামেন্দু মজুমদার দু-এক কথা বলার সুযোগ পান।
বাইরের খাবার খুব পছন্দ ফেরদৌসী মজুমদারের। জন্মদিনে সাধারণত বাইরে খান। পছন্দ চীনা খাবার। একবার বিলেতে গিয়ে রাতে বাইরে খেয়ে ফিরেছেন। যাঁর বাড়িতে উঠেছিলেন, তিনি তো মহা খাপ্পা। বলছেন, ‘আমি রান্না করলাম আর আপনারা বাইরে থেকে খেয়ে এলেন!’
‘কী রান্না করেছেন?’ ফেরদৌসীর প্রশ্ন।
‘লাউ।’
ফেরদৌসী বললেন, ‘লন্ডনে এসেছি কি লাউ খেতে? স্যান্ডউইচ, পাস্তা—এগুলো খাব এখানে। দেশের খাবার তো দেশেই খাই!’
এই বয়সে এসেও প্রেমময় সম্পর্কে ফাটল ধরেনি ফেরদৌসী-রামেন্দু দম্পতির। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দামাল সময়টায় একবার গলা বসে গেছে ফেরদৌসীর। তিনি ভাবলেন গলায় ক্যানসার! চিকিৎসক পরীক্ষা করে বললেন, এসব কিছু নয়। ঘন ঘন মহড়ার কারণে এই বিপত্তি। বললেন, ‘বাড়ি ফিরে আর কথা বলবেন না।’
কথা বলতে এতটা ভালোবাসেন যিনি, তিনি কোনো কথা বলবেন না! এ কি হয়! খুব মন খারাপ হয়ে গেল ফেরদৌসী মজুমদারের। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ তো মানতে হবে। নইলে গলার অবস্থা তো আরও খারাপ হবে! কথা না বললে যোগাযোগ হবে কী করে? তারও ফয়সালা হলো। যাঁকে দরকার তাঁকে তালি দিয়ে ডাকবেন। এক তালি দিলে আসবে নূরী, দুই তালি দিলে জ্যোৎস্না। তিন তালি দিলে…
রামেন্দু মজুমদার বললেন, ‘আমি আসব কয় তালি দিলে?’
‘তোমাকে আসতে হবে না। আমিই তোমার কাছে যাব।’ বললেন ফেরদৌসী মজুমদার।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, জীবন থেকে নেয়া, পৃষ্ঠা ২২-২৩
ফেরদৌসী মজুমদারকে চেনা যায় তাঁর প্রাণখোলা হাসিতে। এ রকম প্রাণস্পর্শী হাসি খুব কম মানুষই হাসতে পারেন। সাক্ষাৎকার নিতে গেলে ফেরদৌসী মজুমদারের পাশে যদি রামেন্দু মজুমদার থাকেন, তাহলে দ্বিতীয়জনকে মনে হবে মৌন ঋষি। ফেরদৌসী মজুমদার দু-এক জায়গায় ফুসফুসে বাতাস ঢোকানোর জন্য থামলে রামেন্দু মজুমদার দু-এক কথা বলার সুযোগ পান।
বাইরের খাবার খুব পছন্দ ফেরদৌসী মজুমদারের। জন্মদিনে সাধারণত বাইরে খান। পছন্দ চীনা খাবার। একবার বিলেতে গিয়ে রাতে বাইরে খেয়ে ফিরেছেন। যাঁর বাড়িতে উঠেছিলেন, তিনি তো মহা খাপ্পা। বলছেন, ‘আমি রান্না করলাম আর আপনারা বাইরে থেকে খেয়ে এলেন!’
‘কী রান্না করেছেন?’ ফেরদৌসীর প্রশ্ন।
‘লাউ।’
ফেরদৌসী বললেন, ‘লন্ডনে এসেছি কি লাউ খেতে? স্যান্ডউইচ, পাস্তা—এগুলো খাব এখানে। দেশের খাবার তো দেশেই খাই!’
এই বয়সে এসেও প্রেমময় সম্পর্কে ফাটল ধরেনি ফেরদৌসী-রামেন্দু দম্পতির। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দামাল সময়টায় একবার গলা বসে গেছে ফেরদৌসীর। তিনি ভাবলেন গলায় ক্যানসার! চিকিৎসক পরীক্ষা করে বললেন, এসব কিছু নয়। ঘন ঘন মহড়ার কারণে এই বিপত্তি। বললেন, ‘বাড়ি ফিরে আর কথা বলবেন না।’
কথা বলতে এতটা ভালোবাসেন যিনি, তিনি কোনো কথা বলবেন না! এ কি হয়! খুব মন খারাপ হয়ে গেল ফেরদৌসী মজুমদারের। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ তো মানতে হবে। নইলে গলার অবস্থা তো আরও খারাপ হবে! কথা না বললে যোগাযোগ হবে কী করে? তারও ফয়সালা হলো। যাঁকে দরকার তাঁকে তালি দিয়ে ডাকবেন। এক তালি দিলে আসবে নূরী, দুই তালি দিলে জ্যোৎস্না। তিন তালি দিলে…
রামেন্দু মজুমদার বললেন, ‘আমি আসব কয় তালি দিলে?’
‘তোমাকে আসতে হবে না। আমিই তোমার কাছে যাব।’ বললেন ফেরদৌসী মজুমদার।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, জীবন থেকে নেয়া, পৃষ্ঠা ২২-২৩
দুটো ঘটনা ঘটল পরপর। গোপালগঞ্জ আর চকরিয়ায়। প্রথম ঘটনায় দুঃখজনকভাবে ঝরে পড়েছে পাঁচটি প্রাণ। এই প্রাণহানি এড়ানো যেত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারে এনসিপির একজন নেতার বক্তৃতার সূত্র ধরে বিএনপি মহলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
৭ ঘণ্টা আগে২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু বড় অর্থনীতির দেশ এবং আফ্রিকার কিছু দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তার করেছিল ইউরোপের প্রায় পুরো অঞ্চল, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিস্তৃত অংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশের সঙ্গে।
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন হওয়া এবং না-হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আছে, সংশয়ও আছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হবে বলে আশা করা হলেও এটা নিশ্চিত নয়। এখানে ‘যদি’,‘কিন্তু’ আছে। নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ-উৎসাহ বিএনপির।
৭ ঘণ্টা আগেমনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
১ দিন আগে