সম্পাদকীয়
বিশেষ করে শীত এলেই ঢাকার বাতাসের মান বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে। চলতি বছরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। টানা কয়েক দিন বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় দূষণের শীর্ষে ছিল ঢাকা। উদ্বেগজনক ব্যাপারটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়।
৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল ২৭৯, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। দূষণের মাত্রার সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ১২৬টি দূষিত শহরের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছেছে আমাদের প্রিয় রাজধানী। গতকাল দূষণের মাত্রা কমে ২৪১ হলেও টানা দুই দিন অনড় ছিল ঢাকার অবস্থান।
ঢাকার বায়ুদূষণের মূল কারণ হলো ধুলাবালু। পাশাপাশি ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং যানবাহনের ধোঁয়া থেকেই এই শহরের বাতাস বেশি দূষিত হয়। বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) মতে, স্কোর ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত আর স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে সতর্কতাসহ জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার অবস্থা এখন ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন স্টাডিজের ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পরিচালিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৩০ শতাংশ বেশি দূষণ হয় অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাস্তা কাটা ও নির্মাণকাজের কারণে। এরপর ইটভাটা ও কলকারখানার ধোঁয়ায় ২৯ শতাংশ এবং যানবাহনের কালো ধোঁয়ার কারণে ১৫ শতাংশ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ দূষণের এই কারণগুলো দূর করা জরুরি হলেও সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।
ঢাকার বাতাস দূষণের মাত্রা একদিনে এতটা খারাপ হয়নি। গত বছরও এ সময়ে ঢাকার ধুলাবালু নিয়ন্ত্রণের জন্য সকালবেলা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানো হতো। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পরেও সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
ঢাকার বায়ুদূষণের আরেকটি কারণ হলো, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিশাল বিশাল ভবন নির্মাণ করা। সেসব কাজ আধুনিক কোনো পদ্ধতি মেনে করা হয় না। আবার ঢাকা শহরে অনেক বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ বা আনফিট যানবাহন চলে, যা থেকে অস্বাস্থ্যকর কালো ধোঁয়া নির্গত হয়। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো মেগাসিটিতে আনফিট গাড়ি চালানোর সুযোগ নেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে সে গাড়িগুলো দেদার চলছে।
আমাদের দেশে দূষণ রোধে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং ১৯৯৭ সালে পরিবেশদূষণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। পরিবেশ আদালত চালু করা হয় ২০০০ সালে। পরিবেশদূষণ রোধে হাইকোর্টেরও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
এখনকার বাস্তবতায় আইনের বাস্তবায়ন ছাড়া ঢাকার দূষণ রোধ করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতাও বাড়াতে হবে। সবার আগে দরকার বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার জন্য যথার্থ পরিকল্পনা গ্রহণ। এ কাজে রাজউকের ভূমিকাও থাকা উচিত।
ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করার জন্য গালভরা বুলি নয়, প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।
বিশেষ করে শীত এলেই ঢাকার বাতাসের মান বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে। চলতি বছরেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। টানা কয়েক দিন বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় দূষণের শীর্ষে ছিল ঢাকা। উদ্বেগজনক ব্যাপারটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকায়।
৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল ২৭৯, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। দূষণের মাত্রার সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ১২৬টি দূষিত শহরের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছেছে আমাদের প্রিয় রাজধানী। গতকাল দূষণের মাত্রা কমে ২৪১ হলেও টানা দুই দিন অনড় ছিল ঢাকার অবস্থান।
ঢাকার বায়ুদূষণের মূল কারণ হলো ধুলাবালু। পাশাপাশি ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং যানবাহনের ধোঁয়া থেকেই এই শহরের বাতাস বেশি দূষিত হয়। বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) মতে, স্কোর ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত আর স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে সতর্কতাসহ জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার অবস্থা এখন ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন স্টাডিজের ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পরিচালিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৩০ শতাংশ বেশি দূষণ হয় অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাস্তা কাটা ও নির্মাণকাজের কারণে। এরপর ইটভাটা ও কলকারখানার ধোঁয়ায় ২৯ শতাংশ এবং যানবাহনের কালো ধোঁয়ার কারণে ১৫ শতাংশ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ দূষণের এই কারণগুলো দূর করা জরুরি হলেও সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।
ঢাকার বাতাস দূষণের মাত্রা একদিনে এতটা খারাপ হয়নি। গত বছরও এ সময়ে ঢাকার ধুলাবালু নিয়ন্ত্রণের জন্য সকালবেলা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাস্তায় পানি ছিটানো হতো। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পরেও সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
ঢাকার বায়ুদূষণের আরেকটি কারণ হলো, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিশাল বিশাল ভবন নির্মাণ করা। সেসব কাজ আধুনিক কোনো পদ্ধতি মেনে করা হয় না। আবার ঢাকা শহরে অনেক বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ বা আনফিট যানবাহন চলে, যা থেকে অস্বাস্থ্যকর কালো ধোঁয়া নির্গত হয়। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো মেগাসিটিতে আনফিট গাড়ি চালানোর সুযোগ নেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে সে গাড়িগুলো দেদার চলছে।
আমাদের দেশে দূষণ রোধে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং ১৯৯৭ সালে পরিবেশদূষণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। পরিবেশ আদালত চালু করা হয় ২০০০ সালে। পরিবেশদূষণ রোধে হাইকোর্টেরও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
এখনকার বাস্তবতায় আইনের বাস্তবায়ন ছাড়া ঢাকার দূষণ রোধ করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতাও বাড়াতে হবে। সবার আগে দরকার বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার জন্য যথার্থ পরিকল্পনা গ্রহণ। এ কাজে রাজউকের ভূমিকাও থাকা উচিত।
ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করার জন্য গালভরা বুলি নয়, প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।
দেশ কোন পথে যাত্রা করেছে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে দেশের জনগণ। এক বছর আগে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে যে ঐক্য দেখা দিয়েছিল, এখন সেই ঐক্যের ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না কোথাও। বিভিন্ন দল তাদের নিজেদের পথ বেছে নিয়েছে। একে অন্যের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন দল বিভিন্ন...
১৮ ঘণ্টা আগে‘জুলাই আন্দোলনের সময় যাঁরা রাজপথে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই নারীরা আজ ঘরে বসে আছেন। তাঁরা মুখ লুকিয়ে ফেলেছেন। এটা আমাদের জন্য ভালো বার্তা নয়।’—মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের এই বক্তব্য শুধু হতাশার প্রকাশ নয়, বরং এক ব্যর্থ সময়ের স্বীকারোক্তি। নারী যখন রাষ্ট্রবিরোধী নয়, বরং রাষ্ট্র
১৮ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে কঠোর হয়েছে সে দেশের সরকার। গত সোমবার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে সন্দেহভাজন যে ১৩১ জনকে ফেরত পাঠানো হয়, তার ৯৬ জনই বাংলাদেশি। শুধু মালয়েশিয়ায়ই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণপ্রত্যাশী বাংলাদেশিরা ভিসা সমস্যায় পড়ছেন। ঘটনাটি উদ্বেগজনক।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়। এই আন্দোলন কেবল রাজপথের ঘটনা ছিল না; এর পেছনে ছিল এক গভীর সাংস্কৃতিক জাগরণ। অথচ আজ, এই ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে আমরা এক বিষণ্ন চিত্র দেখছি। যে রাষ্ট্র এই আন্দোলনের ফসল, সেই রাষ্ট্রই যেন বই, লেখক আর পাঠকের অস্তিত্বক
১ দিন আগে