সম্পাদকীয়
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে কঠোর হয়েছে সে দেশের সরকার। গত সোমবার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে সন্দেহভাজন যে ১৩১ জনকে ফেরত পাঠানো হয়, তার ৯৬ জনই বাংলাদেশি। শুধু মালয়েশিয়ায়ই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণপ্রত্যাশী বাংলাদেশিরা ভিসা সমস্যায় পড়ছেন। ঘটনাটি উদ্বেগজনক।
খবরের গভীরে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশি মানুষের প্রতি কোনো ধরনের বিদ্বেষ থেকে কোনো দেশ ভিসা-জটিলতার সৃষ্টি করছে না। বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিথ্যা তথ্য, ভুল তথ্য দিয়ে কিংবা চালাকি করতে গিয়েই তাঁরা সন্দেহের মধ্যে পড়ছেন এবং ভিসা পাচ্ছেন না। ভিসা পেলে বিমানবন্দর থেকে তাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
পরিবারে সুখ আনার জন্য বহু ঘাটের জল খেয়ে দরিদ্র মানুষ বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই এজেন্টদের একটি বড় অংশ চাকরি দেওয়ার মিথ্যা কাগজপত্র তৈরি করে এসব শ্রমিককে বিদেশে পাঠায়। যে প্রতিষ্ঠানের নামে ভিসা করানো হয়, সে প্রতিষ্ঠানে চাকরি হয় না। ফলে টিকে থাকার স্বার্থে গোপনে অবৈধ চাকরিতে ঢোকেন অনেকে। এভাবে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশিদের এই অসততার সঙ্গে মালয়েশিয়ারও একটি অসাধু চক্রের আঁতাত আছে। চাকরিপ্রার্থী মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তারা কামিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অবৈধ শ্রমিক ধরা পড়ার পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরিবারের স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ে।
কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অসততার জন্য এই শ্রমবাজার বারবার বন্ধ হয়েছে। কিন্তু তা থেকে কোনো শিক্ষা নেওয়া হয়নি, শ্রমবাজার মুক্ত করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা চলে যাচ্ছে টাউট-বাটপারদের হাতে। ভিজিট ভিসায় যাওয়া অনেক ভ্রমণকারীর দেওয়া তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল পাওয়া যাচ্ছে না বলে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত আসতে হচ্ছে তাঁদের।
মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য অনেকেই এজেন্টের আশ্রয় নেন। ভিসা পাওয়ার জন্য দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পূরণ করার দায়িত্বও পালন করে থাকে এজেন্টরা। ফলে এই এজেন্ট অসত্য তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করছে কি না, সেটা জানার উপায় থাকে না ভিসাপ্রত্যাশীর। ভিসাপ্রত্যাশীদের মধ্যে কেউ কেউ অসত্য তথ্য দিয়ে থাকেন। ফলে এই অসত্য তথ্যের কারণে যাঁরা ইমিগ্রেশনে ধরা পড়ছেন কিংবা কোনো দেশে প্রবেশ করে অবৈধভাবে বসবাস ও চাকরি করছেন, তাঁদের কারণে পুরো বাংলাদেশের বিদেশ ভ্রমণে ইচ্ছুক মানুষ পড়ে যান সন্দেহের আওতায়। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
ভিসা নিয়ে চরম অসততাই আমাদের দেশের মানুষের দুর্দশার মূল কারণ। ১২ জুলাই আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বিদেশ ভ্রমণে ভিসা পাওয়া কঠিন হচ্ছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতেও এ-সংক্রান্ত অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে। জনশক্তিকে এ রকম অসাধুতার সঙ্গে ব্যবহার করা হলে আমাদের দেশের মানুষের ভিসা সমস্যা বাড়তেই থাকবে। বহু আগেই এই অব্যবস্থা ও অসাধুতার লাগাম টেনে ধরা দরকার ছিল। সেটা না হওয়ায় সত্যিই এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এটা কোনো সুখকর সংবাদ নয়।
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে কঠোর হয়েছে সে দেশের সরকার। গত সোমবার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে সন্দেহভাজন যে ১৩১ জনকে ফেরত পাঠানো হয়, তার ৯৬ জনই বাংলাদেশি। শুধু মালয়েশিয়ায়ই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণপ্রত্যাশী বাংলাদেশিরা ভিসা সমস্যায় পড়ছেন। ঘটনাটি উদ্বেগজনক।
খবরের গভীরে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশি মানুষের প্রতি কোনো ধরনের বিদ্বেষ থেকে কোনো দেশ ভিসা-জটিলতার সৃষ্টি করছে না। বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিথ্যা তথ্য, ভুল তথ্য দিয়ে কিংবা চালাকি করতে গিয়েই তাঁরা সন্দেহের মধ্যে পড়ছেন এবং ভিসা পাচ্ছেন না। ভিসা পেলে বিমানবন্দর থেকে তাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
পরিবারে সুখ আনার জন্য বহু ঘাটের জল খেয়ে দরিদ্র মানুষ বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই এজেন্টদের একটি বড় অংশ চাকরি দেওয়ার মিথ্যা কাগজপত্র তৈরি করে এসব শ্রমিককে বিদেশে পাঠায়। যে প্রতিষ্ঠানের নামে ভিসা করানো হয়, সে প্রতিষ্ঠানে চাকরি হয় না। ফলে টিকে থাকার স্বার্থে গোপনে অবৈধ চাকরিতে ঢোকেন অনেকে। এভাবে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশিদের এই অসততার সঙ্গে মালয়েশিয়ারও একটি অসাধু চক্রের আঁতাত আছে। চাকরিপ্রার্থী মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তারা কামিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অবৈধ শ্রমিক ধরা পড়ার পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরিবারের স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়ে।
কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অসততার জন্য এই শ্রমবাজার বারবার বন্ধ হয়েছে। কিন্তু তা থেকে কোনো শিক্ষা নেওয়া হয়নি, শ্রমবাজার মুক্ত করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা চলে যাচ্ছে টাউট-বাটপারদের হাতে। ভিজিট ভিসায় যাওয়া অনেক ভ্রমণকারীর দেওয়া তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল পাওয়া যাচ্ছে না বলে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত আসতে হচ্ছে তাঁদের।
মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য অনেকেই এজেন্টের আশ্রয় নেন। ভিসা পাওয়ার জন্য দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পূরণ করার দায়িত্বও পালন করে থাকে এজেন্টরা। ফলে এই এজেন্ট অসত্য তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করছে কি না, সেটা জানার উপায় থাকে না ভিসাপ্রত্যাশীর। ভিসাপ্রত্যাশীদের মধ্যে কেউ কেউ অসত্য তথ্য দিয়ে থাকেন। ফলে এই অসত্য তথ্যের কারণে যাঁরা ইমিগ্রেশনে ধরা পড়ছেন কিংবা কোনো দেশে প্রবেশ করে অবৈধভাবে বসবাস ও চাকরি করছেন, তাঁদের কারণে পুরো বাংলাদেশের বিদেশ ভ্রমণে ইচ্ছুক মানুষ পড়ে যান সন্দেহের আওতায়। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
ভিসা নিয়ে চরম অসততাই আমাদের দেশের মানুষের দুর্দশার মূল কারণ। ১২ জুলাই আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বিদেশ ভ্রমণে ভিসা পাওয়া কঠিন হচ্ছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতেও এ-সংক্রান্ত অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে। জনশক্তিকে এ রকম অসাধুতার সঙ্গে ব্যবহার করা হলে আমাদের দেশের মানুষের ভিসা সমস্যা বাড়তেই থাকবে। বহু আগেই এই অব্যবস্থা ও অসাধুতার লাগাম টেনে ধরা দরকার ছিল। সেটা না হওয়ায় সত্যিই এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এটা কোনো সুখকর সংবাদ নয়।
সেপ্টেম্বরের বাংলাদেশ অনেক ধরনের প্রশ্ন সামনে রেখে শুরু হয়েছে। এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটছে যে, তা নিয়ে মন্তব্য করার আগেই নতুন কোনো ঘটনা এসে আগের ঘটনাকে ঢেকে দিচ্ছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, কোন ঘটনা কোন দিকে গড়ায়, তা এতটাই অনিশ্চিত...
১৮ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের দৈনিক পত্রিকা ‘দ্য ক্যাচলাইন’-এর গত ১৬ আগস্ট সংখ্যায় ‘ইস্ট পাকিস্তান মাস্ট রিটার্ন: পাকিস্তানস আওয়ার অব রেকনিং আফটার ফিফটি ফোর ইয়ারস’ নামে তাবাসসুম মোয়াজ্জেম খানের লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পাকিস্তানি পত্রিকায় এরূপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ মতামতসংবলিত নিবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার...
১৮ ঘণ্টা আগেগত কয়েক দশকে লেনদেনের ধরনে আমূল পরিবর্তন এসেছে। একসময় অর্থ মানেই ছিল হাতে ধরা কাগজের নোট বা ধাতব কয়েন। বাজারে গেলে টাকা গুনতে হতো, খুচরা জোগাড় করতে হতো, এমনকি অনেক সময় পকেটভর্তি নগদ অর্থ নিয়ে ঘোরাই ছিল স্বাভাবিক। দোকান থেকে শুরু করে বাসাভাড়া বা বেতন—সবকিছুই নগদ টাকার মাধ্যমে সম্পন্ন হতো।
১৯ ঘণ্টা আগেবিগত সরকারের শাসনামলে একটা প্রশ্ন বেশ আলোচিত হতো। এর পরে কী? একটা বক্তব্য চালু ছিল যে নৈরাজ্য দেখা দেবে। তেমনটা ঘটবার আগেই অবশ্য গণ-আন্দোলনের মুখে সরকারের পতন ঘটেছে; কিন্তু পতনের পরে অবস্থাটা এখন যে খুব শান্ত ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তা তো নয়। না হওয়ার প্রধান কারণ এটা যে অভ্যুত্থানের পেছনে কোনো সংগঠিত..
২ দিন আগে