সম্পাদকীয়
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি পণ্য কমপ্লেক্সে ১৮ অক্টোবর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে তিনটি বড় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটল। এর আগে ১৪ অক্টোবর ঢাকার মিরপুরের রূপনগরের এম এস আলম ট্রেডার্স নামের একটি রাসায়নিক গুদাম ও পাশের একটি পোশাক কারখানায় এবং ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইলস লিমিটেডের একটি কারখানায় আগুন লাগে। তিনটি বড় ধরনের আগুন লাগার ঘটনা ঘটল দু-এক দিনের ব্যবধানে।
এই অগ্নিকাণ্ড শুধু কোটি কোটি টাকার আমদানি পণ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেনি, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
১৯ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের সময় কার্গো ভিলেজে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার পণ্য মজুত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ পণ্যের ক্ষতির কারণে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন। এই ক্ষয়ক্ষতি শুধু টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যাবে না। কারণ, সময়মতো নমুনা বা অ্যাকসেসরিজ হাতে না পাওয়ায় ক্রয়াদেশ হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্য সরকারের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি, ইউকে) পরিচালিত মূল্যায়নে কার্গো নিরাপত্তাব্যবস্থায় শতভাগ নম্বর পেয়েছিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এই স্বীকৃতি কার্গো নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি প্রমাণ করলেও এই অগ্নিকাণ্ড সেই সাফল্যের ওপর এক নেতিবাচক প্রভাব ফেলল।
যদিও এ ধরনের পণ্য আকাশপথে পরিবহনকালে বিমা করা থাকে, কিন্তু বিমার দাবি নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা ব্যবসায়ীদের তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ কমাতে পারবে না। এতে তাঁদের ব্যবসায় বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে।
ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিতকরণ, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং দায়দায়িত্ব চিহ্নিত করার লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর আগেও দেশের নানা জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
এই সংকটময় মুহূর্তে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শুধু ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে সীমাবদ্ধ না থেকে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর প্রভাব কমাতে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যেমন দেশের অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং অভ্যন্তরীণ বিকল্প বন্দরপথ কাজে লাগানোর ওপর জোর দিয়েছে, সেদিকে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতিশীলতা বজায় রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো এবং দ্রুত স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা সরকারের আশু কর্তব্য।
কার্গো ভিলেজের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা একটা আগাম বার্তা। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করার কোনো বিকল্প নেই। এই ক্ষতিকে একটি শিক্ষণীয় বিষয় হিসেবে ধরে, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ও বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষা করা এখন সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি পণ্য কমপ্লেক্সে ১৮ অক্টোবর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে তিনটি বড় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটল। এর আগে ১৪ অক্টোবর ঢাকার মিরপুরের রূপনগরের এম এস আলম ট্রেডার্স নামের একটি রাসায়নিক গুদাম ও পাশের একটি পোশাক কারখানায় এবং ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইলস লিমিটেডের একটি কারখানায় আগুন লাগে। তিনটি বড় ধরনের আগুন লাগার ঘটনা ঘটল দু-এক দিনের ব্যবধানে।
এই অগ্নিকাণ্ড শুধু কোটি কোটি টাকার আমদানি পণ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেনি, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
১৯ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের সময় কার্গো ভিলেজে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার পণ্য মজুত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ পণ্যের ক্ষতির কারণে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন। এই ক্ষয়ক্ষতি শুধু টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যাবে না। কারণ, সময়মতো নমুনা বা অ্যাকসেসরিজ হাতে না পাওয়ায় ক্রয়াদেশ হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্য সরকারের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি, ইউকে) পরিচালিত মূল্যায়নে কার্গো নিরাপত্তাব্যবস্থায় শতভাগ নম্বর পেয়েছিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এই স্বীকৃতি কার্গো নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি প্রমাণ করলেও এই অগ্নিকাণ্ড সেই সাফল্যের ওপর এক নেতিবাচক প্রভাব ফেলল।
যদিও এ ধরনের পণ্য আকাশপথে পরিবহনকালে বিমা করা থাকে, কিন্তু বিমার দাবি নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা ব্যবসায়ীদের তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ কমাতে পারবে না। এতে তাঁদের ব্যবসায় বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে।
ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিতকরণ, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং দায়দায়িত্ব চিহ্নিত করার লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর আগেও দেশের নানা জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
এই সংকটময় মুহূর্তে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শুধু ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে সীমাবদ্ধ না থেকে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর প্রভাব কমাতে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যেমন দেশের অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং অভ্যন্তরীণ বিকল্প বন্দরপথ কাজে লাগানোর ওপর জোর দিয়েছে, সেদিকে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতিশীলতা বজায় রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো এবং দ্রুত স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা সরকারের আশু কর্তব্য।
কার্গো ভিলেজের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা একটা আগাম বার্তা। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করার কোনো বিকল্প নেই। এই ক্ষতিকে একটি শিক্ষণীয় বিষয় হিসেবে ধরে, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ও বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষা করা এখন সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুলাই জাতীয় সনদ সই করা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
৫ ঘণ্টা আগেএ বছর পৃথিবীতে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর। আর মেলবোর্ন আছে চতুর্থ স্থানে। ২৯ বছর আগে এক ভোরবেলায় এ দেশের মাটিতে পা রেখেছিলাম। ট্যাক্সিতে চড়ে যাওয়ার সময় ছবির মতো বাড়িঘর, সামনে বাগান, সারি সারি বৃক্ষ ও সাজানো রাস্তাঘাট দেখে মনে হচ্ছিল আমি কোনো সিনেমার শুটিং...
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকা, জোট রাজনীতি, নারীনীতি, নির্বাচনী প্রতীক ইস্যু থেকে শুরু করে ফান্ডিং ও ‘মেধা বনাম কোটার’ বিতর্ক—এসব বিষয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা..
১ দিন আগেহাসনাত কাইয়ুম সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি। হাওরের মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে কারাভোগ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
১ দিন আগে