সম্পাদকীয়
বিয়ের আনন্দ নিমেষে পরিণত হলো কান্নায়। ৫৫ জন মিলে কনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বর-কনেকে আনতে। কিন্তু বর্ষণের কারণে তাঁরা ঠাঁই নিয়েছিলেন পথের এক বাড়িতে। সেখানেই বজ্রপাত।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের।
করোনাকালে এত মানুষ বিয়েসংক্রান্ত কারণে এক হতে হবে কেন–এ রকম প্রশ্নের জন্ম হতে পারত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা এতটাই মর্মান্তিক যে, আপাতত যে কারণে বিপদটা এসেছে, সেই কারণটি নিয়েই কথা বলা দরকার।
বজ্রপাতের মতো প্রকৃতির আঘাত প্রতিরোধের কোনো হাতিয়ার আমাদের নেই। বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশেষ করে, ঝড়ের মৌসুমে বজ্রপাতের ঘটনা বেড়ে চলেছে। বজ্রপাত নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে জনমনে। প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করা যেহেতু সাধ্যের বাইরে, কাজেই এই বিষয়ে সচেতনতার বিকল্প কিছু নেই।
পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বজ্রপাতে দেশে প্রতিবছর গড়ে ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে বজ্রপাতে সবচেয়ে বড় প্রাণহানি ঘটে ২০১৬ সালে। সে বছর সাড়ে তিন শর বেশি মানুষ বজ্রপাতে প্রাণ হারান। ২০১৬ সালের পরে বছরে গড় মৃত্যু দুই শর নিচে থাকলেও গত তিন বছরে তা আবার বেড়েছে। ২০১৮-২০—এই তিন বছরে বজ্রপাতে বছরে গড়ে মৃত্যু দুই শর বেশি। তবে বজ্রপাতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। বজ্রপাতে তাৎক্ষণিক মৃত্যুর হিসাবটা জানা গেলেও বজ্রাহতরা যে পরবর্তী সময়ে মারা যান, সেটা অজানা থেকে যায়। গবেষণা বলছে, বজ্রাহতদের মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ পরে মারা যান। ২০২০ সালে বজ্রপাতে দেশে ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ সময়ে বজ্রাহত হন সাড়ে তিন শর বেশি মানুষ। সেই হিসাবে বজ্রাহতদের মধ্য থেকে গত বছরেই কমপক্ষে আরও ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ বজ্রপাতে এক বছরেই দেশে প্রায় পাঁচ শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু সেই মৃত্যুর হিসাবটা অজানাই থেকে যাচ্ছে।
ব্যাপারটা ভয়াবহ। কিন্তু ভাগ্যের হাতে নিজেকে ছেড়ে দিলে চলবে না। বজ্রপাত প্রতিরোধের কিছু না থাকলেও আগাম সতর্ক বার্তা প্রাণহানি রোধ করতে পারে। দুঃখের বিষয়, এর জন্য নেওয়া উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখেনি। মোটা অর্থ ব্যয় করে ২০১৭ সালে দেশের আটটি স্থানে ‘লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর’ স্থাপন করা হয়। সেগুলো সচল না হওয়ায় এখনো কোনো সুফল আসেনি। বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সারা দেশে তালগাছ লাগানোর উদ্যোগও সফলতার মুখ দেখেনি।
ঘন ঘন বজ্রপাত হওয়ার সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি জনগণের মধ্যে বজ্রপাতবিষয়ক সচেতনতা বাড়ানো। এই কাজগুলো এখনো ঠিকভাগে হচ্ছে না। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা জরুরি।
বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এখন তা আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, সেটার জন্য সরকারকেই বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে।
বিয়ের আনন্দ নিমেষে পরিণত হলো কান্নায়। ৫৫ জন মিলে কনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বর-কনেকে আনতে। কিন্তু বর্ষণের কারণে তাঁরা ঠাঁই নিয়েছিলেন পথের এক বাড়িতে। সেখানেই বজ্রপাত।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের।
করোনাকালে এত মানুষ বিয়েসংক্রান্ত কারণে এক হতে হবে কেন–এ রকম প্রশ্নের জন্ম হতে পারত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা এতটাই মর্মান্তিক যে, আপাতত যে কারণে বিপদটা এসেছে, সেই কারণটি নিয়েই কথা বলা দরকার।
বজ্রপাতের মতো প্রকৃতির আঘাত প্রতিরোধের কোনো হাতিয়ার আমাদের নেই। বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশেষ করে, ঝড়ের মৌসুমে বজ্রপাতের ঘটনা বেড়ে চলেছে। বজ্রপাত নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে জনমনে। প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করা যেহেতু সাধ্যের বাইরে, কাজেই এই বিষয়ে সচেতনতার বিকল্প কিছু নেই।
পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বজ্রপাতে দেশে প্রতিবছর গড়ে ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে বজ্রপাতে সবচেয়ে বড় প্রাণহানি ঘটে ২০১৬ সালে। সে বছর সাড়ে তিন শর বেশি মানুষ বজ্রপাতে প্রাণ হারান। ২০১৬ সালের পরে বছরে গড় মৃত্যু দুই শর নিচে থাকলেও গত তিন বছরে তা আবার বেড়েছে। ২০১৮-২০—এই তিন বছরে বজ্রপাতে বছরে গড়ে মৃত্যু দুই শর বেশি। তবে বজ্রপাতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। বজ্রপাতে তাৎক্ষণিক মৃত্যুর হিসাবটা জানা গেলেও বজ্রাহতরা যে পরবর্তী সময়ে মারা যান, সেটা অজানা থেকে যায়। গবেষণা বলছে, বজ্রাহতদের মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ পরে মারা যান। ২০২০ সালে বজ্রপাতে দেশে ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ সময়ে বজ্রাহত হন সাড়ে তিন শর বেশি মানুষ। সেই হিসাবে বজ্রাহতদের মধ্য থেকে গত বছরেই কমপক্ষে আরও ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ বজ্রপাতে এক বছরেই দেশে প্রায় পাঁচ শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু সেই মৃত্যুর হিসাবটা অজানাই থেকে যাচ্ছে।
ব্যাপারটা ভয়াবহ। কিন্তু ভাগ্যের হাতে নিজেকে ছেড়ে দিলে চলবে না। বজ্রপাত প্রতিরোধের কিছু না থাকলেও আগাম সতর্ক বার্তা প্রাণহানি রোধ করতে পারে। দুঃখের বিষয়, এর জন্য নেওয়া উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখেনি। মোটা অর্থ ব্যয় করে ২০১৭ সালে দেশের আটটি স্থানে ‘লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর’ স্থাপন করা হয়। সেগুলো সচল না হওয়ায় এখনো কোনো সুফল আসেনি। বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সারা দেশে তালগাছ লাগানোর উদ্যোগও সফলতার মুখ দেখেনি।
ঘন ঘন বজ্রপাত হওয়ার সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি জনগণের মধ্যে বজ্রপাতবিষয়ক সচেতনতা বাড়ানো। এই কাজগুলো এখনো ঠিকভাগে হচ্ছে না। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা জরুরি।
বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এখন তা আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, সেটার জন্য সরকারকেই বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে।
দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের
১ দিন আগেগত এপ্রিল মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। যদিও এই হামলার শুরুটা ভারতের দিক থেকে হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, বাণিজ্য ও যাতায়াত বন্ধ করে দেয়
১ দিন আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
১ দিন আগেগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
২ দিন আগে