সম্পাদকীয়
করোনা যেন পিছু ছাড়ছে না। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালিয়ে আবারও নতুনভাবে আবির্ভূত হচ্ছে মরণব্যাধি এ মহামারি। আজকের পত্রিকায় খবর এসেছে—বিশ্বব্যাপী আবারও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট তাণ্ডব শুরু করেছে। একটি ভ্যারিয়েন্ট সহনীয় হতে না হতে ডেলটা প্লাস নামের করোনার আরেকটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভয় ধরিয়ে দিতে শুরু করেছে সবার মধ্যে। এরই মধ্যে জানা গেছে, বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তদের প্রায় ৯০ শতাংশ ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের শিকার।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এবার ডেলটার পরিবর্তিত রূপ ডেলটা প্লাস বা এওয়াই ৪.২ ভ্যারিয়েন্টটি যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অন্তত ৩০টি দেশে ছড়িয়ে গেছে। এর সংক্রমণের তীব্রতা ডেলটার চেয়ে ১০-১৫ শতাংশ বেশি। ভারতে ইতিমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এই ধরনে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ না থাকায় এটি যেকোনো সময় আসতে পারে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এ জন্য এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্তদের ৬ শতাংশই ডেলটা প্লাস ধরনের বলে জানিয়েছে বিবিসি। দেশটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা ডেলটা প্লাস কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। এদিকে কেমব্রিজ ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেনেটিক ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, অন্যান্য ধরনের তুলনায় মূল ডেলটা ৬০ শতাংশ বেশি দ্রুত ছড়ায়। তার চেয়েও ১০-১৫ শতাংশ দ্রুত বিস্তার ঘটায় ডেলটা প্লাস।
এটা স্বাভাবিকভাবেই এখন সবার উদ্বেগের বিষয়। কারণ, ভারত থেকে সহজেই তা বাংলাদেশে বিস্তার ঘটতে পারে। তা ছাড়া, এখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। কখন
কীভাবে তা বাংলাদেশে ছড়াবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশেষজ্ঞরাও বিষয়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল বলছেন।
এখন দেখার বিষয়, করোনার এ নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় বাংলাদেশ কতটুকু প্রস্তুত। কারণ, এর আগেও যতবার করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আঘাত হেনেছে, ততবারই বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়েছে পরে। আগে থেকে এর ভয়াবহতা বা একে কার্যকরভাবে মোকাবিলার মতো যথাযথ পরিকল্পনা বা পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরে যখন সংক্রমণ বাড়তে থাকে, মানুষ মরতে থাকে, তখন তোড়জোড় শুরু হয়।
দেশে টিকা দেওয়া চলছে, এরই মধ্যে কয়েক কোটি মানুষ দুই ডোজ টিকা দিয়েছেন। আরও টিকা আসছে। এদিক থেকে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে টিকা দিলেই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আঘাত করবে না, এটা বলা যাচ্ছে না। কারণ, যুক্তরাজ্যে কমবেশি প্রায় সবাই টিকা নিয়েছেন। তারপরও সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বাংলাদেশে এখন সবাই করোনা চলে গেছে মনে করে নির্ভার চলাফেরা করছেন, অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেন না, স্বাস্থ্যবিধিও মানেন না। এ ব্যাপারে সবার আরও সতর্ক হওয়া দরকার।
করোনা যেন পিছু ছাড়ছে না। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালিয়ে আবারও নতুনভাবে আবির্ভূত হচ্ছে মরণব্যাধি এ মহামারি। আজকের পত্রিকায় খবর এসেছে—বিশ্বব্যাপী আবারও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট তাণ্ডব শুরু করেছে। একটি ভ্যারিয়েন্ট সহনীয় হতে না হতে ডেলটা প্লাস নামের করোনার আরেকটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভয় ধরিয়ে দিতে শুরু করেছে সবার মধ্যে। এরই মধ্যে জানা গেছে, বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তদের প্রায় ৯০ শতাংশ ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের শিকার।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এবার ডেলটার পরিবর্তিত রূপ ডেলটা প্লাস বা এওয়াই ৪.২ ভ্যারিয়েন্টটি যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অন্তত ৩০টি দেশে ছড়িয়ে গেছে। এর সংক্রমণের তীব্রতা ডেলটার চেয়ে ১০-১৫ শতাংশ বেশি। ভারতে ইতিমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এই ধরনে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ না থাকায় এটি যেকোনো সময় আসতে পারে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এ জন্য এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্তদের ৬ শতাংশই ডেলটা প্লাস ধরনের বলে জানিয়েছে বিবিসি। দেশটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা ডেলটা প্লাস কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। এদিকে কেমব্রিজ ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেনেটিক ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে, অন্যান্য ধরনের তুলনায় মূল ডেলটা ৬০ শতাংশ বেশি দ্রুত ছড়ায়। তার চেয়েও ১০-১৫ শতাংশ দ্রুত বিস্তার ঘটায় ডেলটা প্লাস।
এটা স্বাভাবিকভাবেই এখন সবার উদ্বেগের বিষয়। কারণ, ভারত থেকে সহজেই তা বাংলাদেশে বিস্তার ঘটতে পারে। তা ছাড়া, এখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। কখন
কীভাবে তা বাংলাদেশে ছড়াবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশেষজ্ঞরাও বিষয়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল বলছেন।
এখন দেখার বিষয়, করোনার এ নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় বাংলাদেশ কতটুকু প্রস্তুত। কারণ, এর আগেও যতবার করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আঘাত হেনেছে, ততবারই বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়েছে পরে। আগে থেকে এর ভয়াবহতা বা একে কার্যকরভাবে মোকাবিলার মতো যথাযথ পরিকল্পনা বা পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরে যখন সংক্রমণ বাড়তে থাকে, মানুষ মরতে থাকে, তখন তোড়জোড় শুরু হয়।
দেশে টিকা দেওয়া চলছে, এরই মধ্যে কয়েক কোটি মানুষ দুই ডোজ টিকা দিয়েছেন। আরও টিকা আসছে। এদিক থেকে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে টিকা দিলেই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আঘাত করবে না, এটা বলা যাচ্ছে না। কারণ, যুক্তরাজ্যে কমবেশি প্রায় সবাই টিকা নিয়েছেন। তারপরও সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বাংলাদেশে এখন সবাই করোনা চলে গেছে মনে করে নির্ভার চলাফেরা করছেন, অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেন না, স্বাস্থ্যবিধিও মানেন না। এ ব্যাপারে সবার আরও সতর্ক হওয়া দরকার।
রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিবছর বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়নের সময় মাঝে মাঝে সংবাদ চোখে পড়ে যে প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটা পড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, খাল ও জলাভূমি ভরাট হচ্ছে, নির্মাণস্থলে নির্মাণকাজের ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এমনকি কোনো কোনো প্রকল্প গ্রহণের ফলে পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব...
২০ ঘণ্টা আগেপাহাড় রক্ষা করা যখন খুবই জরুরি, তখন সে পাহাড় কেটে গোটা অঞ্চলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে একদল দুর্বৃত্ত। খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা হচ্ছে, অথচ সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
২০ ঘণ্টা আগে১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন শেখ মুজিবুর রহমান জেলে ছিলেন, তাঁকে করা হয়েছিল দলের যুগ্ম সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে শামসুল হক অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
২ দিন আগে