সম্পাদকীয়
ঘটনাটি ঘুরিয়ে দিয়েছিল প্রেমেন্দ্র মিত্রের জীবনের মোড়।
কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে এসেছিলেন পড়াশোনা করতে। ছিমছাম ছোট শহরটাকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। পড়তেন আর্টসে, সায়েন্সে পড়ার বাসনা হলো। প্রথমবার ঢাকায় এসেছিলেন কলকাতার মেসে থাকা বড় ভাই টেনদার সঙ্গে। কলকাতা থেকে স্টিমারযাত্রার এক দারুণ গল্প আছে। সেটা এড়িয়ে আমরা বরং ঢুকে যেতে পারি ঢাকার সূত্রাপুরের ১১ নম্বর কাগজিটোলায়। এটাই টেনদার বাবা রাধারমণ ঘোষের বাড়ি। সেই বাড়ির বাইরের ঘরটিতেই ছিল গোটা দশেক আলমারিতে ভরা বই আর বই! ঢাকায় মেডিসিনে পড়লে কলকাতার মতো এমবি সার্টিফিকেট মিলবে না, মিলবে এলএমএস সার্টিফিকেট। তাতে কিছু আসে-যায় না। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ছিল অগ্রাধিকার, প্রেমেন্দ্র থাকলেন ওয়েটিং লিস্টে। অপেক্ষা না করে ভর্তি হয়ে গেলেন জগন্নাথ কলেজে।
এখানেই গড়া হতে পারত জীবনের ভিত, কিন্তু কিছুদিন পর কলকাতায় বেড়াতে গিয়ে ২৮ নম্বর গোবিন্দ ঘোষাল লেনের মেসে উঠে এক অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা হলো তাঁর। যাঁর ঘরে উঠেছিলেন, তিনি ছুটির দিনে বাড়ি গিয়েছিলেন। বালিশের ওপরে এক গর্তে ছিল পুরোনো কাগজের তাড়া। সেগুলো মাথায় এসে পড়তে পারে ভেবে সরিয়ে রাখতে গিয়েই একটা পুরোনো পোস্টকার্ডের দিকে নজর গেল প্রেমেন্দ্রর। এক নববধূ গত সপ্তাহে স্বামী বাড়ি আসেনি বলে অনুযোগ করে লিখেছে চিঠি। সেই সরল চিঠিটি দারুণভাবে নাড়িয়ে দিল প্রেমেন্দ্রর হৃদয়। সে রাতেই কাগজ-কলম নিয়ে বসে গেলেন। ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত লিখলেন দুটো গল্প। প্রথমটির নাম ‘শুধু কেরানি’, দ্বিতীয়টি ‘গোপনচারিণী’। সকালেই গল্প দুটো পাঠিয়ে দিলেন ‘প্রবাসী’তে। কয়েক মাস বাদে দুটো গল্পই ছাপা হলো প্রবাসীর পাতায়। এরপর কল্লোলে বের হলো দুটো গল্পেরই প্রশংসাসূচক রিভিউ। প্রেমেন্দ্রর লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেওয়ার ভাবনার এখানেই শুরু।
সূত্র: প্রেমেন্দ্র মিত্র, নানা রঙে বোনা, স্মৃতিকথা ও অন্যান্য, পৃষ্ঠা ১১০-১১৭
ঘটনাটি ঘুরিয়ে দিয়েছিল প্রেমেন্দ্র মিত্রের জীবনের মোড়।
কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে এসেছিলেন পড়াশোনা করতে। ছিমছাম ছোট শহরটাকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। পড়তেন আর্টসে, সায়েন্সে পড়ার বাসনা হলো। প্রথমবার ঢাকায় এসেছিলেন কলকাতার মেসে থাকা বড় ভাই টেনদার সঙ্গে। কলকাতা থেকে স্টিমারযাত্রার এক দারুণ গল্প আছে। সেটা এড়িয়ে আমরা বরং ঢুকে যেতে পারি ঢাকার সূত্রাপুরের ১১ নম্বর কাগজিটোলায়। এটাই টেনদার বাবা রাধারমণ ঘোষের বাড়ি। সেই বাড়ির বাইরের ঘরটিতেই ছিল গোটা দশেক আলমারিতে ভরা বই আর বই! ঢাকায় মেডিসিনে পড়লে কলকাতার মতো এমবি সার্টিফিকেট মিলবে না, মিলবে এলএমএস সার্টিফিকেট। তাতে কিছু আসে-যায় না। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ছিল অগ্রাধিকার, প্রেমেন্দ্র থাকলেন ওয়েটিং লিস্টে। অপেক্ষা না করে ভর্তি হয়ে গেলেন জগন্নাথ কলেজে।
এখানেই গড়া হতে পারত জীবনের ভিত, কিন্তু কিছুদিন পর কলকাতায় বেড়াতে গিয়ে ২৮ নম্বর গোবিন্দ ঘোষাল লেনের মেসে উঠে এক অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা হলো তাঁর। যাঁর ঘরে উঠেছিলেন, তিনি ছুটির দিনে বাড়ি গিয়েছিলেন। বালিশের ওপরে এক গর্তে ছিল পুরোনো কাগজের তাড়া। সেগুলো মাথায় এসে পড়তে পারে ভেবে সরিয়ে রাখতে গিয়েই একটা পুরোনো পোস্টকার্ডের দিকে নজর গেল প্রেমেন্দ্রর। এক নববধূ গত সপ্তাহে স্বামী বাড়ি আসেনি বলে অনুযোগ করে লিখেছে চিঠি। সেই সরল চিঠিটি দারুণভাবে নাড়িয়ে দিল প্রেমেন্দ্রর হৃদয়। সে রাতেই কাগজ-কলম নিয়ে বসে গেলেন। ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত লিখলেন দুটো গল্প। প্রথমটির নাম ‘শুধু কেরানি’, দ্বিতীয়টি ‘গোপনচারিণী’। সকালেই গল্প দুটো পাঠিয়ে দিলেন ‘প্রবাসী’তে। কয়েক মাস বাদে দুটো গল্পই ছাপা হলো প্রবাসীর পাতায়। এরপর কল্লোলে বের হলো দুটো গল্পেরই প্রশংসাসূচক রিভিউ। প্রেমেন্দ্রর লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেওয়ার ভাবনার এখানেই শুরু।
সূত্র: প্রেমেন্দ্র মিত্র, নানা রঙে বোনা, স্মৃতিকথা ও অন্যান্য, পৃষ্ঠা ১১০-১১৭
দুটো ঘটনা ঘটল পরপর। গোপালগঞ্জ আর চকরিয়ায়। প্রথম ঘটনায় দুঃখজনকভাবে ঝরে পড়েছে পাঁচটি প্রাণ। এই প্রাণহানি এড়ানো যেত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারে এনসিপির একজন নেতার বক্তৃতার সূত্র ধরে বিএনপি মহলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
৭ ঘণ্টা আগে২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু বড় অর্থনীতির দেশ এবং আফ্রিকার কিছু দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তার করেছিল ইউরোপের প্রায় পুরো অঞ্চল, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিস্তৃত অংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশের সঙ্গে।
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন হওয়া এবং না-হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আছে, সংশয়ও আছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হবে বলে আশা করা হলেও এটা নিশ্চিত নয়। এখানে ‘যদি’,‘কিন্তু’ আছে। নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ-উৎসাহ বিএনপির।
৭ ঘণ্টা আগেমনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
১ দিন আগে