সম্পাদকীয়
শহীদুল জহির প্রথম লিখতে শুরু করেন শহীদুল হক নামে। কিছুদিন লেখালেখি করার পর দেখা গেল, শহীদুল হক নামে লেখককে কেউ চিনতে পারছে না। সে সময় টাইমস পত্রিকার সম্পাদকের নাম ছিল শহীদুল হক, আরেকজন লেখক ছিলেন শহীদুল হক খান নামে। ফলে পাঠক গুলিয়ে ফেলতেন তাঁদের।
এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার একটাই পথ ছিল খোলা। নাম বদলানো। আগের দুজন খ্যাতিমান, তাই নাম বদলাতে হলো অখ্যাত শহীদুল হককে–তিনি হয়ে উঠলেন শহীদুল জহির। জহির নামটা তিনি পেলেন দাদার জহিরউদ্দিন নাম থেকে।
উত্তরাধিকার সূত্রে যে ভাষা আমরা পেয়েছি, সে ভাষা রক্তস্বল্পতায় ভুগে জীর্ণ হয়ে গেছে, ভাষার প্রবাহে নতুন পরিসঞ্চালন লাগবে–এ রকমটাই মনে করতেন শহীদুল জহির। তাঁর লেখায় শুধু সংলাপ নয়, টেক্সটেও যে তিনি পরিবর্তন এনেছিলেন, সে তো তাঁর লেখা পড়লেই দৃশ্যমান হয়।
বহু আগে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ধারাবাহিকভাবে বের হতো মার্জিনে মন্তব্য। সে লেখার মধ্য থেকে একটি লেখা হঠাৎ করে শহীদুল জহিরের মন কেড়ে নিয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, কী লিখব তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, কী লিখব না–সেটা ঠিক করাও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ।’
এই ভাবনা থেকে বের হতে পারেননি শহীদুল জহির। তিনি ভাবেন, কী লিখব না, এমন জিনিস ভূরি ভূরি আছে। তার মধ্য থেকে কী লিখব, তা খুঁজে নিতে সময় লাগে। এরপর তিনি যখন ঠিক করে নেন কী লিখবেন, তখন তা ভিজতে সময় দেন। ভিজলে কাই বানানোর জন্য সময় দেন। এই দীর্ঘ সময়ে ভাবনার অবয়বও বদলে যায় অনেক সময়।
শহীদুল জহিরের গুটিকয় যে লেখা, সেগুলো পড়লে বুঝতে পারা যায়, কতটা যত্ন নিয়ে তিনি তাঁর সাহিত্যের ঘরটি নির্মাণ করেছেন।
সূত্র: শহীদুল জহিরের সঙ্গে কথোপকথন, কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, থিয়েটারওয়ালা, সংখ্যা ২৪, জানুয়ারি-জুন, ২০০৮
শহীদুল জহির প্রথম লিখতে শুরু করেন শহীদুল হক নামে। কিছুদিন লেখালেখি করার পর দেখা গেল, শহীদুল হক নামে লেখককে কেউ চিনতে পারছে না। সে সময় টাইমস পত্রিকার সম্পাদকের নাম ছিল শহীদুল হক, আরেকজন লেখক ছিলেন শহীদুল হক খান নামে। ফলে পাঠক গুলিয়ে ফেলতেন তাঁদের।
এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার একটাই পথ ছিল খোলা। নাম বদলানো। আগের দুজন খ্যাতিমান, তাই নাম বদলাতে হলো অখ্যাত শহীদুল হককে–তিনি হয়ে উঠলেন শহীদুল জহির। জহির নামটা তিনি পেলেন দাদার জহিরউদ্দিন নাম থেকে।
উত্তরাধিকার সূত্রে যে ভাষা আমরা পেয়েছি, সে ভাষা রক্তস্বল্পতায় ভুগে জীর্ণ হয়ে গেছে, ভাষার প্রবাহে নতুন পরিসঞ্চালন লাগবে–এ রকমটাই মনে করতেন শহীদুল জহির। তাঁর লেখায় শুধু সংলাপ নয়, টেক্সটেও যে তিনি পরিবর্তন এনেছিলেন, সে তো তাঁর লেখা পড়লেই দৃশ্যমান হয়।
বহু আগে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ধারাবাহিকভাবে বের হতো মার্জিনে মন্তব্য। সে লেখার মধ্য থেকে একটি লেখা হঠাৎ করে শহীদুল জহিরের মন কেড়ে নিয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, কী লিখব তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, কী লিখব না–সেটা ঠিক করাও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ।’
এই ভাবনা থেকে বের হতে পারেননি শহীদুল জহির। তিনি ভাবেন, কী লিখব না, এমন জিনিস ভূরি ভূরি আছে। তার মধ্য থেকে কী লিখব, তা খুঁজে নিতে সময় লাগে। এরপর তিনি যখন ঠিক করে নেন কী লিখবেন, তখন তা ভিজতে সময় দেন। ভিজলে কাই বানানোর জন্য সময় দেন। এই দীর্ঘ সময়ে ভাবনার অবয়বও বদলে যায় অনেক সময়।
শহীদুল জহিরের গুটিকয় যে লেখা, সেগুলো পড়লে বুঝতে পারা যায়, কতটা যত্ন নিয়ে তিনি তাঁর সাহিত্যের ঘরটি নির্মাণ করেছেন।
সূত্র: শহীদুল জহিরের সঙ্গে কথোপকথন, কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, থিয়েটারওয়ালা, সংখ্যা ২৪, জানুয়ারি-জুন, ২০০৮
দুটো ঘটনা ঘটল পরপর। গোপালগঞ্জ আর চকরিয়ায়। প্রথম ঘটনায় দুঃখজনকভাবে ঝরে পড়েছে পাঁচটি প্রাণ। এই প্রাণহানি এড়ানো যেত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারে এনসিপির একজন নেতার বক্তৃতার সূত্র ধরে বিএনপি মহলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
৭ ঘণ্টা আগে২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু বড় অর্থনীতির দেশ এবং আফ্রিকার কিছু দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তার করেছিল ইউরোপের প্রায় পুরো অঞ্চল, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিস্তৃত অংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশের সঙ্গে।
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন হওয়া এবং না-হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আছে, সংশয়ও আছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হবে বলে আশা করা হলেও এটা নিশ্চিত নয়। এখানে ‘যদি’,‘কিন্তু’ আছে। নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ-উৎসাহ বিএনপির।
৭ ঘণ্টা আগেমনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
১ দিন আগে