সম্পাদকীয়
জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে, সে ঘটনায় আর যাই হোক আক্কেলের কোনো পরিচয় দেখা যাচ্ছে না। সোজা কথায়, এটা বেআক্কেলি কর্মকাণ্ড। জয়পুরহাট ও রংপুরের নারী ফুটবল দলের মধ্যে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি।
কিন্তু স্থানীয় মসজিদের মুসল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্ররা সে মাঠে ব্যাপক হামলা চালিয়ে নারীদের খেলা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ স্থানীয় টি-স্টার ক্লাবের উদ্যোগে প্রায় দেড় মাস ধরে তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে টিনের বেড়া দিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে তা পুরুষদের। এদিনই প্রথম নারীরা মাঠে নামত, কিন্তু কোন প্ররোচনায় তাদের খেলা বন্ধ করে দিল একদল দুর্বৃত্ত, সেটা নির্ণয় করা দরকার।
নারীদের ফুটবল খেলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মসজিদের মুসল্লিদের ধর্মের কথা বলে যেভাবে উত্তেজিত করা হয়, তাতে বোঝা যায়, এর মধ্যে কোনো দুরভিসন্ধি আছে। এ ঘটনা আমাদের সমাজকে এগিয়ে দেবে নাকি পিছিয়ে দেবে, সেটা অনুমান করে নিতে কষ্ট হয় না। আমাদের মনে পড়ে যাবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দেশে মব জাস্টিস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। এখনো তা কোথাও কোথাও অব্যাহত আছে। শিক্ষকদের অবমাননা, মাজার ভেঙে ফেলা দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে এর সূত্রপাত ঘটেছিল। সবশেষ খেলার মাঠ ভাঙচুর করে মব জাস্টিসের এক নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করা হলো।
‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে কারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে, সে বিষয়ে সরকারি গোয়েন্দা মহল কতটা ওয়াকিবহাল? ১৯৭১ সালেও ধর্মীয় লেবাসে সাধারণ মুক্তিকামী মানুষের ওপর হামলে পড়েছিল এ রকম দুর্বৃত্তরা। এদের অপকর্মকে কঠোর হাতে দমন করা না হলে এরা সাহস পেয়ে যাবে এবং দেশের যত্রতত্র আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। সময় থাকতে এদের প্রতিহত করা দরকার। কিন্তু আমাদের জানা মতে, এ ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করছে যারা, তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এটা খুবই অবাক করা কাণ্ড।
শুধু কি নারীদের ফুটবল খেলা বা মাজার আক্রমণে এই দুর্বৃত্তদের কাজ সীমাবদ্ধ? একেবারেই না। আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের খ্যাতিমান নারী শিল্পীরা কোনো প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করতে গেলেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাঁদের সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই তালিকায় মেহজাবীন, পরীমণি, অপু বিশ্বাসরা রয়েছেন।
দেশে আইনের শাসন বলবৎ থাকার পরও এ রকম ঘটনা কীভাবে ঘটে? স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতাও আছে। তার চেয়েও বড় বিষয়, ধর্ম পালনের চেয়ে ধর্মের নামে অরাজকতা চালানোর কারণেই এ ঘটনাগুলো ঘটছে।
আমাদের দেশে এখনো অনেকেই মনে করেন, নারীরা ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই আটকে থাকবে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার শিকার হন নারীরা। এই অরাজকতার ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। অরাজকতা মানা হবে না, তার সুস্পষ্ট ঘোষণা না থাকলে এই দুর্বৃত্তরা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে থাকবে, যা কাম্য নয়।
জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে, সে ঘটনায় আর যাই হোক আক্কেলের কোনো পরিচয় দেখা যাচ্ছে না। সোজা কথায়, এটা বেআক্কেলি কর্মকাণ্ড। জয়পুরহাট ও রংপুরের নারী ফুটবল দলের মধ্যে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি।
কিন্তু স্থানীয় মসজিদের মুসল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্ররা সে মাঠে ব্যাপক হামলা চালিয়ে নারীদের খেলা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ স্থানীয় টি-স্টার ক্লাবের উদ্যোগে প্রায় দেড় মাস ধরে তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে টিনের বেড়া দিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে তা পুরুষদের। এদিনই প্রথম নারীরা মাঠে নামত, কিন্তু কোন প্ররোচনায় তাদের খেলা বন্ধ করে দিল একদল দুর্বৃত্ত, সেটা নির্ণয় করা দরকার।
নারীদের ফুটবল খেলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মসজিদের মুসল্লিদের ধর্মের কথা বলে যেভাবে উত্তেজিত করা হয়, তাতে বোঝা যায়, এর মধ্যে কোনো দুরভিসন্ধি আছে। এ ঘটনা আমাদের সমাজকে এগিয়ে দেবে নাকি পিছিয়ে দেবে, সেটা অনুমান করে নিতে কষ্ট হয় না। আমাদের মনে পড়ে যাবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দেশে মব জাস্টিস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। এখনো তা কোথাও কোথাও অব্যাহত আছে। শিক্ষকদের অবমাননা, মাজার ভেঙে ফেলা দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে এর সূত্রপাত ঘটেছিল। সবশেষ খেলার মাঠ ভাঙচুর করে মব জাস্টিসের এক নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করা হলো।
‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে কারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে, সে বিষয়ে সরকারি গোয়েন্দা মহল কতটা ওয়াকিবহাল? ১৯৭১ সালেও ধর্মীয় লেবাসে সাধারণ মুক্তিকামী মানুষের ওপর হামলে পড়েছিল এ রকম দুর্বৃত্তরা। এদের অপকর্মকে কঠোর হাতে দমন করা না হলে এরা সাহস পেয়ে যাবে এবং দেশের যত্রতত্র আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। সময় থাকতে এদের প্রতিহত করা দরকার। কিন্তু আমাদের জানা মতে, এ ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করছে যারা, তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এটা খুবই অবাক করা কাণ্ড।
শুধু কি নারীদের ফুটবল খেলা বা মাজার আক্রমণে এই দুর্বৃত্তদের কাজ সীমাবদ্ধ? একেবারেই না। আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের খ্যাতিমান নারী শিল্পীরা কোনো প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করতে গেলেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাঁদের সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই তালিকায় মেহজাবীন, পরীমণি, অপু বিশ্বাসরা রয়েছেন।
দেশে আইনের শাসন বলবৎ থাকার পরও এ রকম ঘটনা কীভাবে ঘটে? স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতাও আছে। তার চেয়েও বড় বিষয়, ধর্ম পালনের চেয়ে ধর্মের নামে অরাজকতা চালানোর কারণেই এ ঘটনাগুলো ঘটছে।
আমাদের দেশে এখনো অনেকেই মনে করেন, নারীরা ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই আটকে থাকবে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার শিকার হন নারীরা। এই অরাজকতার ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। অরাজকতা মানা হবে না, তার সুস্পষ্ট ঘোষণা না থাকলে এই দুর্বৃত্তরা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে থাকবে, যা কাম্য নয়।
ভূ-রাজনীতি এখন আর কূটনৈতিক বৈঠকে করমর্দন, জাতিসংঘে গলাবাজি, কিংবা চায়ের কাপ হাতে ঝকঝকে ছবির শুটিংয়ের নাম নয়। আজকের ভূ-রাজনীতি একেবারে ‘হাই ডেফিনিশন হরর থ্রিলার’—যেখানে প্রতিটি চুক্তিপত্র মানে শুধু উন্নয়ন নয়, আত্মার একটি করে কিস্তি বন্ধক রাখা। মিত্রতা মানে এখন আর বন্ধুত্ব নয়, বরং এক লম্বা ইনস্টলমেন্ট
১ দিন আগেকারণে এই ঐতিহ্যবাহী কারখানাটি ধুঁকছে জনবল আর প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাবে। ৪ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদে উঠে এসেছে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথা। জানা যায়, কারখানার ২ হাজার ৮৫৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৭১৬ জন। ২০১৭ সালে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানাটি আধুনিকায়ন করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায়
১ দিন আগেগৃহযুদ্ধকবলিত মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য শর্ত সাপেক্ষে একটি প্যাসেজ বা করিডর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এর পর থেকে বিষয়টি নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক হচ্ছে।
২ দিন আগে‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ নামে আরও একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে, যার চেয়ারম্যান হয়েছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রধান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। মহাসচিব হিসেবে তাঁর সঙ্গী হয়েছেন সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, যিনি দুই বছর আগে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।
২ দিন আগে