সম্পাদকীয়
এ এক আনন্দের সিরিজ জয়। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি ক্রিকেট-দানবকে বধ করা সহজ কথা নয়। বহুদিন পর বুঝি টেলিভিশনের দিকে দৃষ্টি ছিল দেশবাসীর। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেল প্রবাসী বাঙালিদেরও আনন্দ-উল্লাস। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই উপহার সত্যিই অমূল্য।
ক্রমাগত লকডাউন, কড়া লকডাউন, জীবনে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা ইত্যাদির মধ্যে থাকতে থাকতে জীবনের অর্থ যখন নানাভাবে পাল্টে যাচ্ছিল, সে সময় এ রকম একটি বিজয় পুরো জাতির জন্য এল যেন মরুভূমিতে মরূদ্যান হয়ে।
হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার এক নম্বর দলটি আসেনি। কিন্তু রেকর্ড বুকে লেখা থাকবে, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ম্যাচে হারিয়ে সিরিজ জয় করেছে। এই সিরিজে আমাদের অর্জন কম নয়। সিরিজজুড়ে মোস্তাফিজের বোলিং, মাহমুদউল্লাহর ইতিবাচক অধিনায়কত্ব, টোটাল টিমওয়ার্ক আমাদের দলটিকে নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। শেষ খেলায় একটার পর একটা উইকেট পাওয়ার পথে ভাবলেশহীন সাকিবের চেহারা যতবার দেখা গেছে, ততবারই মনে হয়েছে এই ফরম্যাটের খেলায় বাংলাদেশ বুঝি সাবালক হয়ে উঠছে। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট অর্জন করা ক্রিকেটার হিসেবেও এই সিরিজ সাকিব আল হাসানকে মনে রাখবে।
সেই সঙ্গে এটাও বলতে হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি মানেই যে ব্যাটে-বলে চার-ছয়ের বন্যা, তা থেকেও যেন মুখ ফিরিয়ে রেখেছিল সিরিজটি। বোলারদের অনুগত ছিল মাঠ। এই সিরিজে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া, দুই দলই ছিল তারুণ্যে গতিশীল। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের জায়গায় তরুণদের দলে ঠাঁই দিয়ে তাদের পারফরম্যান্স যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
করোনার সময় বাংলাদেশ সফরে আসার সময় যে শর্তগুলো দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, তার সবগুলোই মেনে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ভালো খেলার স্বার্থে অস্ট্রেলীয়দের দেওয়া জৈব সুরক্ষাবলয়, বিশেষ ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা, খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত না মেলানো ইত্যাদি শর্ত মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ।
আমাদের জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা করোনা আর ডেঙ্গুর ছোবলের মধ্যে তাঁদের পরিবার-পরিজন ফেলে দেশবাসীর মনে একটু আনন্দ দেবেন বলে মাঠে নামলেন, এ ঘটনা কম তাৎপর্যপূর্ণ নয়। অতিমারির এই সময়টাতে জীবনের নানা ক্ষেত্রে হাতে গোনা যে অর্জনগুলো আমাদের সঙ্গী হয়েছে,
তার মধ্যে এই সিরিজ জয় যে ওপরের দিকেই থাকবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ক্রিকেটে বাংলাদেশের রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। টেস্ট ক্রিকেটকে এখনো বশে আনতে না পারলেও ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক, টি-টোয়েন্টিতেও একটু একটু করে আশার আলো দেখাচ্ছে দল। টেস্টে ভালো করার জন্য এখনো অনেক পরিশ্রম করে যেতে হবে। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তৈরির পথটি যেন মসৃণ হয়, সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ জয়ের এই সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন। তারা সামনের দিনগুলোয় আরও আনন্দ দিক ক্রীড়ামোদী মানুষকে, এই রইল আমাদের কামনা। জয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জয়।
এ এক আনন্দের সিরিজ জয়। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি ক্রিকেট-দানবকে বধ করা সহজ কথা নয়। বহুদিন পর বুঝি টেলিভিশনের দিকে দৃষ্টি ছিল দেশবাসীর। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেল প্রবাসী বাঙালিদেরও আনন্দ-উল্লাস। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই উপহার সত্যিই অমূল্য।
ক্রমাগত লকডাউন, কড়া লকডাউন, জীবনে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা ইত্যাদির মধ্যে থাকতে থাকতে জীবনের অর্থ যখন নানাভাবে পাল্টে যাচ্ছিল, সে সময় এ রকম একটি বিজয় পুরো জাতির জন্য এল যেন মরুভূমিতে মরূদ্যান হয়ে।
হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার এক নম্বর দলটি আসেনি। কিন্তু রেকর্ড বুকে লেখা থাকবে, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ম্যাচে হারিয়ে সিরিজ জয় করেছে। এই সিরিজে আমাদের অর্জন কম নয়। সিরিজজুড়ে মোস্তাফিজের বোলিং, মাহমুদউল্লাহর ইতিবাচক অধিনায়কত্ব, টোটাল টিমওয়ার্ক আমাদের দলটিকে নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। শেষ খেলায় একটার পর একটা উইকেট পাওয়ার পথে ভাবলেশহীন সাকিবের চেহারা যতবার দেখা গেছে, ততবারই মনে হয়েছে এই ফরম্যাটের খেলায় বাংলাদেশ বুঝি সাবালক হয়ে উঠছে। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট অর্জন করা ক্রিকেটার হিসেবেও এই সিরিজ সাকিব আল হাসানকে মনে রাখবে।
সেই সঙ্গে এটাও বলতে হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি মানেই যে ব্যাটে-বলে চার-ছয়ের বন্যা, তা থেকেও যেন মুখ ফিরিয়ে রেখেছিল সিরিজটি। বোলারদের অনুগত ছিল মাঠ। এই সিরিজে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া, দুই দলই ছিল তারুণ্যে গতিশীল। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের জায়গায় তরুণদের দলে ঠাঁই দিয়ে তাদের পারফরম্যান্স যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
করোনার সময় বাংলাদেশ সফরে আসার সময় যে শর্তগুলো দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, তার সবগুলোই মেনে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ভালো খেলার স্বার্থে অস্ট্রেলীয়দের দেওয়া জৈব সুরক্ষাবলয়, বিশেষ ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা, খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত না মেলানো ইত্যাদি শর্ত মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ।
আমাদের জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা করোনা আর ডেঙ্গুর ছোবলের মধ্যে তাঁদের পরিবার-পরিজন ফেলে দেশবাসীর মনে একটু আনন্দ দেবেন বলে মাঠে নামলেন, এ ঘটনা কম তাৎপর্যপূর্ণ নয়। অতিমারির এই সময়টাতে জীবনের নানা ক্ষেত্রে হাতে গোনা যে অর্জনগুলো আমাদের সঙ্গী হয়েছে,
তার মধ্যে এই সিরিজ জয় যে ওপরের দিকেই থাকবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ক্রিকেটে বাংলাদেশের রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। টেস্ট ক্রিকেটকে এখনো বশে আনতে না পারলেও ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক, টি-টোয়েন্টিতেও একটু একটু করে আশার আলো দেখাচ্ছে দল। টেস্টে ভালো করার জন্য এখনো অনেক পরিশ্রম করে যেতে হবে। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তৈরির পথটি যেন মসৃণ হয়, সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ জয়ের এই সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন। তারা সামনের দিনগুলোয় আরও আনন্দ দিক ক্রীড়ামোদী মানুষকে, এই রইল আমাদের কামনা। জয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জয়।
দুটো ঘটনা ঘটল পরপর। গোপালগঞ্জ আর চকরিয়ায়। প্রথম ঘটনায় দুঃখজনকভাবে ঝরে পড়েছে পাঁচটি প্রাণ। এই প্রাণহানি এড়ানো যেত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় ঘটনাটিতে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারে এনসিপির একজন নেতার বক্তৃতার সূত্র ধরে বিএনপি মহলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
৭ ঘণ্টা আগে২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু বড় অর্থনীতির দেশ এবং আফ্রিকার কিছু দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তার করেছিল ইউরোপের প্রায় পুরো অঞ্চল, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিস্তৃত অংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশের সঙ্গে।
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন হওয়া এবং না-হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আছে, সংশয়ও আছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হবে বলে আশা করা হলেও এটা নিশ্চিত নয়। এখানে ‘যদি’,‘কিন্তু’ আছে। নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ-উৎসাহ বিএনপির।
৭ ঘণ্টা আগেমনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
১ দিন আগে