সম্পাদকীয়
ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বালু লুটের হাতবদল হয়েছে মাত্র। আগে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলার প্রভাবশালী নেতারা ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু তুলতেন। এখন তাঁদের আত্মগোপনের সুযোগে বিএনপির স্থানীয় একটি অংশের প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে একইভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় গত রোববার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় যমুনা নদীতে দেদার চলছে বালু উত্তোলন। অসময়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদীতীরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প, মুজিব কেল্লা, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। নতুন করে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে মাদ্রাসা, বসতবাড়ি, রাস্তাসহ কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি। ভাঙন-আতঙ্কে রয়েছেন নদীপারের হাজারো মানুষ।
বিজ্ঞান বলে, সচরাচর বন্যার পরে নদীর পানি নেমে গেলে পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু শিবালয় উপজেলায় এ সময়ে নদীভাঙনের অন্যতম কারণ নদী থেকে ব্যাপকভাবে বালু তোলা।
নদীভাঙন আমাদের দেশে নতুন কোনো দুর্যোগ নয়। এই ভাঙনের কারণে লোকালয়ে ঘটে একধরনের বিপর্যয়। সহায় সম্পত্তির ক্ষতির চেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটে মানুষের মানসিকতার। কারণ, নিজের বাবা-দাদার পৈতৃক ভিটা থেকে অনেককে উচ্ছেদ হয়ে যেতে হয়। সেই সঙ্গে অসময়ে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে পরিবারে খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এর প্রভাব পড়ে ওই এলাকার মানুষের প্রাত্যহিক দিনযাপন এবং অর্থনীতির ওপরও।
নদীভাঙনের শিকার মানুষ যখন জীবন-জীবিকার তাগিদে সবকিছু হারিয়ে অন্য এলাকায় অথবা শহরাঞ্চলে আশ্রয় নেন, তখন এর চাপ ওই এলাকার মানুষ এবং অর্থনীতির ওপর পড়ে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখতে হয়, নদীভাঙন নিয়ে সরকারি মহলের কোথাও কোনো উদ্বেগ দেখা যায় না। প্রতিটি ভাঙন বা ভিটাবাড়ি বিলীন হওয়ার ঘটনাই যেন এই মানুষগুলোর নিয়তি। তাই নদীভাঙন প্রতিরোধে দায়িত্বরতদের সেভাবে এগিয়ে আসতে দেখা যায় না।
জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের পর মানুষের প্রত্যাশা ছিল দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর নানা ঘটনায় স্পষ্ট—দেশের রাজনীতির অপসংস্কৃতির ধারার কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর এক প্রভাবশালীর জায়গায় আরেক প্রভাবশালীর শুধু পরিবর্তন হয়েছে। যাদের কাছে অর্থ ছাড়া মানুষ, প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো মূল্য নেই।
নদীভাঙনের ফলে অবকাঠামো, মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনসহ ভূ-প্রকৃতিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। নদীকে নদীর মতো চলতে না দিলে সে-ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখায়। এটাই নদীপ্রবাহের নিয়ম। কিন্তু কতিপয় লোভী সেসব বুঝতে চায় না।
এখন স্থানীয় প্রভাবশালী মহল যেন অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন করতে না পারে, সেদিকে প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রয়োজনে তাদের আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বালু লুটের হাতবদল হয়েছে মাত্র। আগে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলার প্রভাবশালী নেতারা ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু তুলতেন। এখন তাঁদের আত্মগোপনের সুযোগে বিএনপির স্থানীয় একটি অংশের প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে একইভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় গত রোববার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় যমুনা নদীতে দেদার চলছে বালু উত্তোলন। অসময়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদীতীরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প, মুজিব কেল্লা, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। নতুন করে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে মাদ্রাসা, বসতবাড়ি, রাস্তাসহ কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি। ভাঙন-আতঙ্কে রয়েছেন নদীপারের হাজারো মানুষ।
বিজ্ঞান বলে, সচরাচর বন্যার পরে নদীর পানি নেমে গেলে পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু শিবালয় উপজেলায় এ সময়ে নদীভাঙনের অন্যতম কারণ নদী থেকে ব্যাপকভাবে বালু তোলা।
নদীভাঙন আমাদের দেশে নতুন কোনো দুর্যোগ নয়। এই ভাঙনের কারণে লোকালয়ে ঘটে একধরনের বিপর্যয়। সহায় সম্পত্তির ক্ষতির চেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটে মানুষের মানসিকতার। কারণ, নিজের বাবা-দাদার পৈতৃক ভিটা থেকে অনেককে উচ্ছেদ হয়ে যেতে হয়। সেই সঙ্গে অসময়ে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে পরিবারে খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এর প্রভাব পড়ে ওই এলাকার মানুষের প্রাত্যহিক দিনযাপন এবং অর্থনীতির ওপরও।
নদীভাঙনের শিকার মানুষ যখন জীবন-জীবিকার তাগিদে সবকিছু হারিয়ে অন্য এলাকায় অথবা শহরাঞ্চলে আশ্রয় নেন, তখন এর চাপ ওই এলাকার মানুষ এবং অর্থনীতির ওপর পড়ে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখতে হয়, নদীভাঙন নিয়ে সরকারি মহলের কোথাও কোনো উদ্বেগ দেখা যায় না। প্রতিটি ভাঙন বা ভিটাবাড়ি বিলীন হওয়ার ঘটনাই যেন এই মানুষগুলোর নিয়তি। তাই নদীভাঙন প্রতিরোধে দায়িত্বরতদের সেভাবে এগিয়ে আসতে দেখা যায় না।
জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের পর মানুষের প্রত্যাশা ছিল দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর নানা ঘটনায় স্পষ্ট—দেশের রাজনীতির অপসংস্কৃতির ধারার কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর এক প্রভাবশালীর জায়গায় আরেক প্রভাবশালীর শুধু পরিবর্তন হয়েছে। যাদের কাছে অর্থ ছাড়া মানুষ, প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো মূল্য নেই।
নদীভাঙনের ফলে অবকাঠামো, মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনসহ ভূ-প্রকৃতিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। নদীকে নদীর মতো চলতে না দিলে সে-ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখায়। এটাই নদীপ্রবাহের নিয়ম। কিন্তু কতিপয় লোভী সেসব বুঝতে চায় না।
এখন স্থানীয় প্রভাবশালী মহল যেন অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন করতে না পারে, সেদিকে প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রয়োজনে তাদের আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বাংলাদেশে মৌলবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এক দিক দিয়ে এটা অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত। কেননা বাংলাদেশের অভ্যুদয় ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে প্রত্যাখ্যান ও পরাভূত করে। কিন্তু পরাভূত শক্তি আবার ফিরে এসেছে। তার পরাজয়টা কেবল যে সশস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ঘটেছিল তা নয়, ঘটেছিল আদর্শিকভাবেও। তাহলে কেন তার পুনরুত্থান?
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান সে দেশে বসবাস করা আফগান শরণার্থীদের ব্যাপকভাবে বহিষ্কার করতে শুরু করেছে। চলতি এপ্রিলের মধ্যে ৮০ হাজার শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য রয়েছে পাকিস্তান সরকারের। বলা যায়, এই সিদ্ধান্ত আফগান শরণার্থীদের কাছে বজ্রাঘাতের মতো হয়ে এসেছে। কোথায় যাবে তারা? তালেবানশাসিত আফগানিস্তানে ফেরার মতো অবস্থা
৩ ঘণ্টা আগেআমরা যুদ্ধবিরোধী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বা যেকোনো দেশে যুদ্ধ মানেই মানুষের বিপদ। খেয়াল করবেন, বিশ্ব বদলে গেছে। আগে দুনিয়ার যেকোনো জায়গায় একটা বোমা ফাটলেই মানুষ নড়েচড়ে বসত। খবর হয়ে যেত সারা পৃথিবীতে। এখন আর তেমন হয় না। গাজায় আক্রান্ত সভ্যতা ও মানুষের জীবন। যারা মারছে তারা বেপরোয়া। অথচ মানুষের মনে আফসোস
৩ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় চলবলা ইউনিয়নের শিয়ালখোওয়া এলাকার শিয়ালখোওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শিয়ালখোওয়া উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে সপ্তাহে প্রতি শনি ও বুধবার হাট বসে। এ ছাড়া বাকি পাঁচ দিনই প্রতিষ্ঠানটির মাঠে বসে দৈনিক বাজার। হাটের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল থেকে। সারা দিন চলে বেচাকেনা। এ মাঠে আর
৩ ঘণ্টা আগে