সম্পাদকীয়
ঢাকা শহরে পরিবহনের অব্যবস্থাপনার কারণে নগরবাসী কাহিল অনেক আগে থেকেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান সরকারের কিছু উদ্যোগ গ্রহণের কারণে মানুষ আশার আলো দেখতে পেলেও সময়ের সঙ্গে সেই আশাও নিরাশায় পরিণত হয়েছে। মূলত পরিবহনমালিক ও নেতাদের অসহযোগিতার কারণে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে ১৪ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় ‘নেতাদের অসহযোগিতায় থমকে আছে উদ্যোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কিছুদিনের মধ্যে পরিবহন বিশেষজ্ঞ এবং বুয়েটের দুই অধ্যাপকের সঙ্গে ঢাকার যানজট নিয়ে মতবিনিময় করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। তাঁরা সেই বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরে ঢাকা শহরের পুরো পরিবহন রুট এক কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালনা এবং ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলেন। তাঁদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সেই কাজগুলো শুরু হলেও কিছুদিন পর সেই উদ্যোগ থেমে যায়।
মূলত পরিবহনমালিক ও শ্রমিকনেতারা কোনোভাবেই পরিবহনের ভালো উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে দিতে চাইবেন না। এটা হলে তাঁদের অবৈধ আয়-রোজগার ও লুটপাট বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকারও বাসরুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করে তিনটি রুটে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করেছিল। সেই উদ্যোগও বাস্তবায়ন করা যায়নি।
আমরা জানি, দেশে যদি সত্যিকার অর্থে গণপরিবহন বলে কিছু থাকত, তাহলে বেসরকারি বাসমালিকেরা এই নৈরাজ্যকর অবস্থা তৈরি করতে পারতেন না। একই সঙ্গে গণপরিবহনব্যবস্থা গড়ে উঠতে এই চক্র প্রবল বিরোধিতা করে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) বাস চলাচলেও চরম অসহযোগিতা করে আসছেন পরিবহন খাতে একচেটিয়া প্রাধান্য বজায় রাখা বেসরকারি পরিবহন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি ও অসহনীয় যানজট কমছে না।
ঢাকায় গণপরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। অবৈধ, অনুমোদনহীন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন অবাধে চলাচল এবং ব্যস্ত সড়কে যত্রতত্র থামানোর কারণে অসহনীয় যানজট ও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। গণপরিবহন খাতের এই বিশৃঙ্খলা দীর্ঘদিনের অনিয়মের ফসল। এর জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা যেমন দায়ী, তেমনি সরকারও সমানভাবে দায়ী। অতীতের রাজনৈতিক দলগুলোই পরিবহনমালিকসহ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নানা ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ করে দিয়েছে। বাসমালিকেরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের প্রভাবেই চলছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের স্বার্থে একচেটিয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরাই আবার আইন কার্যকরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এসব কারণেই ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে যানবাহন ব্যবস্থাপনার চিত্রটি এত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা এবং যানজট দূর করে স্থবির ঢাকাকে বদলে না দিতে পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই পরিবহন মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য আগে ভাঙতে হবে, তারপর গণপরিবহনের জন্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
ঢাকা শহরে পরিবহনের অব্যবস্থাপনার কারণে নগরবাসী কাহিল অনেক আগে থেকেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান সরকারের কিছু উদ্যোগ গ্রহণের কারণে মানুষ আশার আলো দেখতে পেলেও সময়ের সঙ্গে সেই আশাও নিরাশায় পরিণত হয়েছে। মূলত পরিবহনমালিক ও নেতাদের অসহযোগিতার কারণে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে ১৪ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় ‘নেতাদের অসহযোগিতায় থমকে আছে উদ্যোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কিছুদিনের মধ্যে পরিবহন বিশেষজ্ঞ এবং বুয়েটের দুই অধ্যাপকের সঙ্গে ঢাকার যানজট নিয়ে মতবিনিময় করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। তাঁরা সেই বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরে ঢাকা শহরের পুরো পরিবহন রুট এক কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালনা এবং ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলেন। তাঁদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সেই কাজগুলো শুরু হলেও কিছুদিন পর সেই উদ্যোগ থেমে যায়।
মূলত পরিবহনমালিক ও শ্রমিকনেতারা কোনোভাবেই পরিবহনের ভালো উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে দিতে চাইবেন না। এটা হলে তাঁদের অবৈধ আয়-রোজগার ও লুটপাট বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকারও বাসরুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করে তিনটি রুটে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করেছিল। সেই উদ্যোগও বাস্তবায়ন করা যায়নি।
আমরা জানি, দেশে যদি সত্যিকার অর্থে গণপরিবহন বলে কিছু থাকত, তাহলে বেসরকারি বাসমালিকেরা এই নৈরাজ্যকর অবস্থা তৈরি করতে পারতেন না। একই সঙ্গে গণপরিবহনব্যবস্থা গড়ে উঠতে এই চক্র প্রবল বিরোধিতা করে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) বাস চলাচলেও চরম অসহযোগিতা করে আসছেন পরিবহন খাতে একচেটিয়া প্রাধান্য বজায় রাখা বেসরকারি পরিবহন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি ও অসহনীয় যানজট কমছে না।
ঢাকায় গণপরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। অবৈধ, অনুমোদনহীন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন অবাধে চলাচল এবং ব্যস্ত সড়কে যত্রতত্র থামানোর কারণে অসহনীয় যানজট ও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। গণপরিবহন খাতের এই বিশৃঙ্খলা দীর্ঘদিনের অনিয়মের ফসল। এর জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা যেমন দায়ী, তেমনি সরকারও সমানভাবে দায়ী। অতীতের রাজনৈতিক দলগুলোই পরিবহনমালিকসহ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নানা ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ করে দিয়েছে। বাসমালিকেরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের প্রভাবেই চলছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের স্বার্থে একচেটিয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরাই আবার আইন কার্যকরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এসব কারণেই ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে যানবাহন ব্যবস্থাপনার চিত্রটি এত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা এবং যানজট দূর করে স্থবির ঢাকাকে বদলে না দিতে পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই পরিবহন মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য আগে ভাঙতে হবে, তারপর গণপরিবহনের জন্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
দেশের সংবিধান, পুলিশ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন, বিচারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের নানা আলাপ হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারেরই গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৪ ঘণ্টা আগেঈশ্বরকে এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আমরা। এ কারণে মানবদেহ থাকলেও মনুষ্যত্ব, মানবিকতা নেই কিংবা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। ঈশ্বরকে বোঝার জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই, যদিও আমাদের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটি এখানে আসার কথা ছিল না। শব্দটি প্রযোজ্য নয় এখানে। কিন্তু জন্ম, মৃত্যু ও ধর্মকে পুঁজি করে এক অদৃশ্য নাগপাশে বাঁধা পড়ে
৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এক অংশ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়; বিচার বিভাগে সংস্কার, হাসিনা সরকারের হত্যা-নির্যাতন, গুম-খুন ও দুর্নীতির বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষকরণসহ নানা
৫ ঘণ্টা আগেরুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১ দিন আগে