সম্পাদকীয়
হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। যে পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ধৈর্য, সে পরিস্থিতিতে মাথা গরম করা রাজনীতি কোনো দেশকে স্বস্তি দিতে পারে না। এমনিতেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক, তার ওপর যদি নতুন নতুন সংকট এসে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে, তাহলে তা সেই অরাজকতাকেই উসকে দেয়।
আওয়ামী লীগ সরকারকে যারা আগস্ট মাসে হটিয়ে দিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক ধরনের মতবাদের মানুষ ছিল। এখন সেই মতবাদের মানুষেরা রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাইছে। যারা ক্ষমতায় আছে কিংবা যারা ক্ষমতায় থাকা রাজনীতির কাছে মদদ পাচ্ছে, তারা একধরনের রাজনীতি করছে, যারা ক্ষমতাপ্রত্যাশী, তারা একধরনের রাজনীতি করছে এবং যারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে, তারা আরেক ধরনের রাজনীতি করছে। সেটাই স্বাভাবিক। রাজনীতির মাঠ যাঁরা গরম করছেন, তাঁরা আমজনতাকে কতটা সমীহ করে চলছেন, সেটা তাঁরাই জানেন কিন্তু জনগণ তাদের নিজের মতো করেই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছে। জনতার এই শক্তিকে অগ্রাহ্য করা কারও জন্যই ঠিক হবে না।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এরই মধ্যে নতুন গঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনীর ব্যাপারে তিনি যা বলেছেন, সেটা খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার। এর আগে ২০ মার্চ সরকারপ্রধান ড. ইউনূস ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা এই অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। আওয়ামী লীগের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশের আদালতে তাঁদের বিচার করা হবে।
দলের গঠনতন্ত্র বা আদর্শিক রূপরেখায় দলটি নিষিদ্ধ হওয়ার মতো কোনো উপাদান আছে কি না, সেটাই যাচাই করে দেখতে হয়। যদি গঠনতন্ত্রে দেশবিরোধী বা মানবতাবিরোধী কোনো ধারা না থাকে, তাহলে কোনো দলকে কোন বিচারে নিষিদ্ধ করার দাবি করা হবে? আন্তর্জাতিক সমাজে এ রকম দাবির কোনো মূল্য নেই। বরং জোর করে দলকে নিষিদ্ধ করার দাবির মধ্যেই ফ্যাসিবাদী আচরণের আভাস পাওয়া যায়। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যখন জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল, তখনো একই যুক্তিতে জামায়াতকে রাজনীতিতে বহাল রাখার পক্ষে সোচ্চার হয়েছিল অনেকে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত অপরাধ করেছিল। সেই বিশাল অপরাধের জন্য তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি, তারপরও তারা রাজনীতিতে সমাসীন হয়েছে।
রাজনীতির মাঠে এখন যারা সোচ্চার, তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শগুলো পরিষ্কার হওয়া দরকার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তাদের সম্পর্কগুলো বিবেচনা করেই জনগণের উচিত হবে কোনো মত সমর্থন করা। দেশ ও দেশের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে পড়লে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া নাগরিক কর্তব্য।
হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। যে পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ধৈর্য, সে পরিস্থিতিতে মাথা গরম করা রাজনীতি কোনো দেশকে স্বস্তি দিতে পারে না। এমনিতেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক, তার ওপর যদি নতুন নতুন সংকট এসে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে, তাহলে তা সেই অরাজকতাকেই উসকে দেয়।
আওয়ামী লীগ সরকারকে যারা আগস্ট মাসে হটিয়ে দিয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেক ধরনের মতবাদের মানুষ ছিল। এখন সেই মতবাদের মানুষেরা রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাইছে। যারা ক্ষমতায় আছে কিংবা যারা ক্ষমতায় থাকা রাজনীতির কাছে মদদ পাচ্ছে, তারা একধরনের রাজনীতি করছে, যারা ক্ষমতাপ্রত্যাশী, তারা একধরনের রাজনীতি করছে এবং যারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে, তারা আরেক ধরনের রাজনীতি করছে। সেটাই স্বাভাবিক। রাজনীতির মাঠ যাঁরা গরম করছেন, তাঁরা আমজনতাকে কতটা সমীহ করে চলছেন, সেটা তাঁরাই জানেন কিন্তু জনগণ তাদের নিজের মতো করেই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছে। জনতার এই শক্তিকে অগ্রাহ্য করা কারও জন্যই ঠিক হবে না।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এরই মধ্যে নতুন গঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনীর ব্যাপারে তিনি যা বলেছেন, সেটা খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার। এর আগে ২০ মার্চ সরকারপ্রধান ড. ইউনূস ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা এই অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। আওয়ামী লীগের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশের আদালতে তাঁদের বিচার করা হবে।
দলের গঠনতন্ত্র বা আদর্শিক রূপরেখায় দলটি নিষিদ্ধ হওয়ার মতো কোনো উপাদান আছে কি না, সেটাই যাচাই করে দেখতে হয়। যদি গঠনতন্ত্রে দেশবিরোধী বা মানবতাবিরোধী কোনো ধারা না থাকে, তাহলে কোনো দলকে কোন বিচারে নিষিদ্ধ করার দাবি করা হবে? আন্তর্জাতিক সমাজে এ রকম দাবির কোনো মূল্য নেই। বরং জোর করে দলকে নিষিদ্ধ করার দাবির মধ্যেই ফ্যাসিবাদী আচরণের আভাস পাওয়া যায়। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যখন জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল, তখনো একই যুক্তিতে জামায়াতকে রাজনীতিতে বহাল রাখার পক্ষে সোচ্চার হয়েছিল অনেকে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত অপরাধ করেছিল। সেই বিশাল অপরাধের জন্য তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি, তারপরও তারা রাজনীতিতে সমাসীন হয়েছে।
রাজনীতির মাঠে এখন যারা সোচ্চার, তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শগুলো পরিষ্কার হওয়া দরকার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তাদের সম্পর্কগুলো বিবেচনা করেই জনগণের উচিত হবে কোনো মত সমর্থন করা। দেশ ও দেশের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে পড়লে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া নাগরিক কর্তব্য।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, যেখানে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত খসড়া আইনে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, শুধু রণাঙ্গনে...
১ ঘণ্টা আগে১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতটি শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম নির্মম রাত। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামক পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ঢাকা শহরকে পরিণত করেছিল মৃত্যুপুরীতে। নিরীহ মানুষের ওপর বর্বর আক্রমণ চালিয়ে তারা ভেবেছিল...
১ ঘণ্টা আগেঐকমত্য কমিশনে বিএনপির পক্ষ থেকে মতামত দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রস্তাবনা। সেটি পুরোপুরি পরিবর্তন বা সংশোধনের...
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকার তিনের পাতায় রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানের একটা ছবি ছাপা হয়েছে। তিন সারিতে দখল হয়ে গেছে গুলিস্তানের রাস্তা। সামান্য সরু একচিলতে রাস্তা রয়েছে ফাঁকা, সেখান দিয়েই অতিকষ্টে চলছে যানবাহন। হানিফ উড়ালসেতু থেকে নামছে যে যান...
১ ঘণ্টা আগে