সম্পাদকীয়
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন বিএনপির কর্মীরা। ভুক্তভোগী এখন হাসপাতালে। অভিযোগ করা হয়নি বলে থানা-পুলিশ জানিয়েছে এবং বলেছে অভিযোগ এলেই তারা ব্যবস্থা নেবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী দল দমনের নামে যেসব অভিযোগ পাওয়া যেত, এই ঘটনা কি তার চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু? একটা অস্থির সময় অতিক্রম করার পর সুস্থির হয়ে দেশ গড়া হবে, সেটাই প্রত্যাশা। আইনের শাসনের অভাব হলে সুশাসন ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষ নতুন করে সবকিছু গড়ে নিতে চায়। রাষ্ট্র সংস্কারের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটাও এই কথাকে সমর্থন করে। কিন্তু বিগত সরকারকে যে কারণে দোষারোপ করা হচ্ছে, সে কারণগুলো যদি এখনো বিদ্যমান থাকে, তাহলে পরিবর্তনটা কী হলো?
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যে খবর আসছে, তাতে দেখা যাচ্ছে দখলদারি, চাঁদাবাজি চলছে আগের মতোই। শুধু চাঁদাবাজের রাজনৈতিক পরিচয় পাল্টেছে। সরকারি অফিস-আদালতে ঘুষ-দুর্নীতির পরিবেশে কতটা বদল এসেছে, তারও একটা পরিসংখ্যান হওয়া দরকার। ভুক্তভোগীরাই সে বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন। জাতীয় জীবনে স্থৈর্যের পরিচয় দিতে না পারলে মানুষের প্রত্যাশার মৃত্যু ঘটবে।
কথায় কথায় যে কাউকে ফ্যাসিবাদী কিংবা ফ্যাসিবাদের দোসর বলে দেওয়ার যে ঐতিহ্য তৈরি হচ্ছে, সেটা কাম্য নয়। গণতন্ত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অঙ্গীকার করে ও সুশাসনের গ্যারান্টি দিয়ে যাঁরা ক্ষমতায় আসেন, কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা যেন তা বেমালুম ভুলে যান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক—এমনটা কেউ চায় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এই প্রশ্নটির দিকে খুব বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে না।
আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখতে পাই, সরকারে যে দলই এসেছে, তারাই বিরোধী দলকে দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি দরকার। সাধারণ জনগণ ভোট দেবে সেই দলকে, যারা তার প্রত্যাশা পূরণ করার অঙ্গীকার করবে। ক্ষমতায় থাকাকালে যদি তারা জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণ নতুন কাউকে বেছে নেবে। যারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল না, তারা কেন পারল না, সে ব্যাখ্যাও দেবে। তাদের সম্পত্তির পরিষ্কার হিসাব দেবে। স্বচ্ছ রাজনীতির জায়গায় কেন আমাদের বারবার দেখতে হবে সরকার পরিবর্তন হলেই বিগত সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের নামে দুর্নীতির মামলা হচ্ছে? দুর্নীতির জন্য প্রশস্ত হওয়া পথটাই তো বন্ধ করতে হবে সবার আগে।
যুবলীগ করতেন বলেই একজন রাজনৈতিক কর্মীর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অবারিত লাইসেন্স কেউ পেয়ে যাবেন কেন? ক্ষমতা প্রয়োগের এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার বিকল্প নেই। অপরাধী হলে আইনের হাতে তুলে দেওয়া বাঞ্ছনীয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়। রাজনৈতিক দলগুলোও যেন তাদের ‘রাগি’ ‘বদমেজাজি’ কর্মীদের সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। নইলে যেই লাউ সেই কদু অবস্থার মধ্যে পতিত জনগণের মুক্তি আসবে কোথা থেকে?
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন বিএনপির কর্মীরা। ভুক্তভোগী এখন হাসপাতালে। অভিযোগ করা হয়নি বলে থানা-পুলিশ জানিয়েছে এবং বলেছে অভিযোগ এলেই তারা ব্যবস্থা নেবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী দল দমনের নামে যেসব অভিযোগ পাওয়া যেত, এই ঘটনা কি তার চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু? একটা অস্থির সময় অতিক্রম করার পর সুস্থির হয়ে দেশ গড়া হবে, সেটাই প্রত্যাশা। আইনের শাসনের অভাব হলে সুশাসন ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষ নতুন করে সবকিছু গড়ে নিতে চায়। রাষ্ট্র সংস্কারের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটাও এই কথাকে সমর্থন করে। কিন্তু বিগত সরকারকে যে কারণে দোষারোপ করা হচ্ছে, সে কারণগুলো যদি এখনো বিদ্যমান থাকে, তাহলে পরিবর্তনটা কী হলো?
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যে খবর আসছে, তাতে দেখা যাচ্ছে দখলদারি, চাঁদাবাজি চলছে আগের মতোই। শুধু চাঁদাবাজের রাজনৈতিক পরিচয় পাল্টেছে। সরকারি অফিস-আদালতে ঘুষ-দুর্নীতির পরিবেশে কতটা বদল এসেছে, তারও একটা পরিসংখ্যান হওয়া দরকার। ভুক্তভোগীরাই সে বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন। জাতীয় জীবনে স্থৈর্যের পরিচয় দিতে না পারলে মানুষের প্রত্যাশার মৃত্যু ঘটবে।
কথায় কথায় যে কাউকে ফ্যাসিবাদী কিংবা ফ্যাসিবাদের দোসর বলে দেওয়ার যে ঐতিহ্য তৈরি হচ্ছে, সেটা কাম্য নয়। গণতন্ত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অঙ্গীকার করে ও সুশাসনের গ্যারান্টি দিয়ে যাঁরা ক্ষমতায় আসেন, কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা যেন তা বেমালুম ভুলে যান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক—এমনটা কেউ চায় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এই প্রশ্নটির দিকে খুব বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে না।
আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখতে পাই, সরকারে যে দলই এসেছে, তারাই বিরোধী দলকে দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি দরকার। সাধারণ জনগণ ভোট দেবে সেই দলকে, যারা তার প্রত্যাশা পূরণ করার অঙ্গীকার করবে। ক্ষমতায় থাকাকালে যদি তারা জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণ নতুন কাউকে বেছে নেবে। যারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল না, তারা কেন পারল না, সে ব্যাখ্যাও দেবে। তাদের সম্পত্তির পরিষ্কার হিসাব দেবে। স্বচ্ছ রাজনীতির জায়গায় কেন আমাদের বারবার দেখতে হবে সরকার পরিবর্তন হলেই বিগত সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের নামে দুর্নীতির মামলা হচ্ছে? দুর্নীতির জন্য প্রশস্ত হওয়া পথটাই তো বন্ধ করতে হবে সবার আগে।
যুবলীগ করতেন বলেই একজন রাজনৈতিক কর্মীর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অবারিত লাইসেন্স কেউ পেয়ে যাবেন কেন? ক্ষমতা প্রয়োগের এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার বিকল্প নেই। অপরাধী হলে আইনের হাতে তুলে দেওয়া বাঞ্ছনীয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়। রাজনৈতিক দলগুলোও যেন তাদের ‘রাগি’ ‘বদমেজাজি’ কর্মীদের সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। নইলে যেই লাউ সেই কদু অবস্থার মধ্যে পতিত জনগণের মুক্তি আসবে কোথা থেকে?
২০ বছর আগে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অটিজম শব্দটির অস্তিত্ব প্রায় খুঁজে পাওয়া যেত না। অটিজম বিষয়ে মানুষের ধারণা সীমিত ছিল। ঠিক সেই সময়ে অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘কানন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল, বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির একটি চারতলা ভাড়া বাড়িতে...
১০ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয় দেশটা বুঝি ট্রায়াল অ্যান্ড এররের ভিত্তিতে চলছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, এমনকি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও নানা ধরনের পরীক্ষামূলক তত্ত্ব দেখতে পাচ্ছি। প্রথমে নতুন কিছু একটা বলা হয় বা চালু করা হয়। তারপর দেখা হয়—কতটা বিতর্ক হয় সেটা নিয়ে।
১৫ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়া ও অস্থায়ী আবাসনসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ফলে কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার পরও প্রত্যাশিত দাবির বাস্তবায়ন না দেখে আবারও...
১৬ ঘণ্টা আগেআকৃষ্ট করেছিল, সে বাণী যেন কথার কথায় পরিণত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ভালো একটি ভবিষ্যতের আশা ক্রমেই ধূসরতার দিকে যাচ্ছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকার মধ্যে থাকা ৫৭টি মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এই মার্কেটগুলো থেকে প্রতি মাসে সেবা খাত...
১৬ ঘণ্টা আগে