সম্পাদকীয়
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের প্রত্যাশা যেমন বাড়ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয়েছে যে, এই সরকার প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে ক্রমবর্ধমান চাপে রয়েছে। ৩১ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় এই প্রতিবেদন নিয়ে একটি খবর ছাপা হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম দিকে ব্যাপক সমর্থন পেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের মধ্যে প্রত্যাশা ও হতাশার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। সরকার ক্ষমতায় এসে সাংবিধানিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা বাস্তবায়ন না হলে গণতন্ত্রের পথ আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। আইসিজির প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে আসন্ন নির্বাচনের আগে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার ব্যাপারে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপও বাড়ছে।
বর্তমান সরকারের সামনে দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে—একদিকে দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর বিভক্তি সামাল দেওয়া, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মিত্রদের আস্থা অর্জন করা। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামপন্থী দলগুলোর রাজনৈতিক অবস্থান সরকারকে আরও কঠিন অবস্থায় ফেলতে পারে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার সরকারকে দীর্ঘদিন সমর্থন দিয়ে আসা ভারত এখন নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় কীভাবে নিজেদের কৌশল ঠিক করবে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে ভারতের স্বার্থ জড়িত।
আইসিজির প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও এর সদস্যদেশগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে নানাভাবে সমর্থন দেয়। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং বিরোধী শক্তিগুলো দুর্বল হবে বলে সংস্থাটি মনে করে।
তবে এখানে প্রশ্ন উঠছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা কি শুধুই সহযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি এটি অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা? বাংলাদেশের জনগণ একটি স্থিতিশীল ও কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়, যেখানে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ কম থাকবে।
সরকারের জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। স্বচ্ছ নির্বাচনী ব্যবস্থা, শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো ও অর্থনৈতিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গ্রহণ করা যেতে পারে, তবে তা যেন দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের চাহিদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়।
এ ছাড়া, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সংলাপ এবং মতবিনিময় জোরদার করা প্রয়োজন। এক পক্ষকে দুর্বল করার চেষ্টা করলে স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতের জন্য ভালো বার্তা বহন করবে না।
আইসিজির প্রতিবেদনে উত্থাপিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে স্পষ্ট হয় যে বর্তমান সরকার এক সংকটপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংস্কার কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হলে এটি সরকারের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। তাই সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয় এবং ভবিষ্যতে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের প্রত্যাশা যেমন বাড়ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয়েছে যে, এই সরকার প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে ক্রমবর্ধমান চাপে রয়েছে। ৩১ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় এই প্রতিবেদন নিয়ে একটি খবর ছাপা হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম দিকে ব্যাপক সমর্থন পেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের মধ্যে প্রত্যাশা ও হতাশার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। সরকার ক্ষমতায় এসে সাংবিধানিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা বাস্তবায়ন না হলে গণতন্ত্রের পথ আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। আইসিজির প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে আসন্ন নির্বাচনের আগে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার ব্যাপারে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপও বাড়ছে।
বর্তমান সরকারের সামনে দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে—একদিকে দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর বিভক্তি সামাল দেওয়া, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মিত্রদের আস্থা অর্জন করা। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামপন্থী দলগুলোর রাজনৈতিক অবস্থান সরকারকে আরও কঠিন অবস্থায় ফেলতে পারে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার সরকারকে দীর্ঘদিন সমর্থন দিয়ে আসা ভারত এখন নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় কীভাবে নিজেদের কৌশল ঠিক করবে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে ভারতের স্বার্থ জড়িত।
আইসিজির প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও এর সদস্যদেশগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে নানাভাবে সমর্থন দেয়। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং বিরোধী শক্তিগুলো দুর্বল হবে বলে সংস্থাটি মনে করে।
তবে এখানে প্রশ্ন উঠছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা কি শুধুই সহযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি এটি অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা? বাংলাদেশের জনগণ একটি স্থিতিশীল ও কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়, যেখানে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ কম থাকবে।
সরকারের জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। স্বচ্ছ নির্বাচনী ব্যবস্থা, শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো ও অর্থনৈতিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গ্রহণ করা যেতে পারে, তবে তা যেন দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের চাহিদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়।
এ ছাড়া, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সংলাপ এবং মতবিনিময় জোরদার করা প্রয়োজন। এক পক্ষকে দুর্বল করার চেষ্টা করলে স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতের জন্য ভালো বার্তা বহন করবে না।
আইসিজির প্রতিবেদনে উত্থাপিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে স্পষ্ট হয় যে বর্তমান সরকার এক সংকটপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংস্কার কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হলে এটি সরকারের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। তাই সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয় এবং ভবিষ্যতে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
মুঘল বাদশাহ আওরঙ্গজেব ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দে মুর্শিদকুলি খাঁকে সুবা বাংলার দেওয়ান করেছিলেন। নতুন দেওয়ান দেখলেন, বাংলার জমিদারেরা ঠিকভাবে খাজনা পরিশোধ করেন না। কী করে কর আদায় করা যায়, তা ভাবতে লাগলেন তিনি। প্রশাসনিক প্রধান ছিলেন বাংলার সুবাদার বাদশাহের দৌহিত্র আজিমুশ্শান। তবে রাজস্ব আদায়ে সর্বেসর্বা ছিলেন
৩ ঘণ্টা আগেশিল্পভিত্তিক অর্থনীতি রচনা করতে গিয়ে আমরা নষ্ট করে চলেছি মাটির উর্বরতা শক্তি, নদীপ্রবাহ ও পানি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা সংস্থার এক হিসাব অনুযায়ী, ১৯৭৭ সালে দেশে কৃষিজমি ছিল মোট জমির প্রায় ৮৫ শতাংশ। কিন্তু ২০১০ সালে তা নেমে হয় ৭৫ শতাংশে। আর এ ১৫ বছরে তা নিশ্চয়ই আরও অনেকখানি কমে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআমি যখন সিডনি আসি, তখন বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বিশেষত বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। একসময় যে আমাদের একটি বা একাধিক বইমেলার প্রয়োজন পড়তে পারে, সেটা দূরদর্শী ব্যতীত কারও মাথায় আসেনি। কিন্তু বাংলা, বাঙালি মানেই বিদ্রোহ আর দ্রোহের ভেতর দিয়ে নতুন কোনো ইতিহাস রচনা। সে ইতিহাস যে শুধু দেশের মাটিতে
৩ ঘণ্টা আগেগত বছরের জুলাইয়ের পর থেকেই ছাত্রসমাজকে দেখছি বিভিন্ন অসংগতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। পৃথিবীর সব দেশেই ছাত্র বা তরুণসমাজ কোনো অন্যায়-অবিচার বা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়, এটাই স্বাভাবিক। কোটা সংস্কারের দাবি ছিল যৌক্তিক। এই যৌক্তিক দাবির পক্ষে জুলাই মাসে দেশের ছাত্রসমাজ যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল, সেই আন্দো
৩ ঘণ্টা আগে