ড. জাহিদ হোসেন
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আরেকটা মিটিং হবে। কিন্তু চিঠি তো এসে গেছে। মানে সিদ্ধান্ত তো দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত পরবর্তী পর্যায়ে কতটা নেগোসিয়েশনের সুযোগ আছে, সেইটা তো ওই চিঠিতে পরিষ্কার নয়। যদিও বলছে যে, তোমরা যদি নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসো, আমরা সেটাকে বিবেচনা করব।
প্রথম বিষয় হলো, এখানে কিছু ক্ল্যারিফিকেশন চাওয়া যেতে পারে। ট্রান্সশিপমেন্টের যে কথাগুলো বলা হয়েছে, সে ব্যাপারে। কোনটাকে ট্রান্সশিপমেন্ট ধরা হবে, কোনটাকে ধরা হবে না। ইউএসপিআর এর যে সংজ্ঞা আছে, সেটা জেনারেল সংজ্ঞার সাথে মিলে না। জেনারেল সংজ্ঞা অনুযায়ী একটা বন্দরে মাল নামালেন, আবার আরেকটা জাহাজে ওঠালেন। অর্থাৎ, গন্তব্য বন্দরে যাওয়ার আগে আরেকটা বন্দরে গিয়ে মাল ওঠানামা করানো, এটাই তো ট্রান্সশিপমেন্ট।
প্রয়োগ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব না একটা চিঠিতে। তারা ওই ট্যারিফ শিডিউলটা দেবে যে, তোমার এই সাড়ে ৭ হাজার ট্যারিফলাইনে কোনটাতে কত পড়বে। মানে, ৩৫ শতাংশ তো জেনারেল ট্যারিফ। কিন্তু সেটার এইচএস কোড অনুযায়ী কোনটাতে ৩৫ শতাংশ হবে, কোনটাতে হবে না, এটা বিস্তারিত একটা দেওয়ার কথা। সেখানে ওই ক্লারিফিকেশনগুলো চাইতে হবে। প্রথম প্রশ্ন হবে, যে পলিসিটা তোমরা করেছো, সেটার প্রয়োগটা কীভাবে হবে? প্রথম কাজ এটা সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা পাওয়া।
দ্বিতীয়ত, যেহেতু বলছে যে আলোচনার দুয়ার খোলা আছে, ফলে এই ৩৫ শতাংশ কমাতে হলে সেই অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের প্রস্তাবগুলো তাদের কাছে তুলে ধরা। এখানে একটা স্পর্শকাতর বিষয় আসবে, চীন ওদের (আমেরিকার) টার্গেট। যদি ওদেরকে বলা হয়, আমি চীন থেকে আমদানি কম করব, তোমার থেকে আমদানি বেশি করব। তাহলে ইউএসএ দুয়ারটা খুলবে। কিন্তু চীনের দুয়ারটা বন্ধ হয়ে যাবে। ওখানে একটু সমস্যা আছে। দুইদিক বিবেচনা করতে হবে।
কাউন্টার প্রোপোজাল কিছু দিতে হবে। আমাদের সোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে কী ধরনের রিফর্মস করব, ইউএস সোর্সগুলোকে কতটা প্রায়োরিটাইজ করব কোন জায়গায়, দ্বিপক্ষীয় কোনো চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া যেতে পারে, শিপমেন্ট সম্পর্কে আমাদের সেফগার্ডগুলো কী, ইউএসটিআর রিপোর্টে অন্যান্য যে বিষয়গুলো তোলা হয়েছে, সেইগুলো সম্পর্কে আমাদের অবস্থান কী, ওখানে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, পেটেন্ট ল, কপিরাইট ল, ফ্যাক্টরিতে লেবারদের কন্ডিশন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ওগুলো নিয়ে আমাদের উত্তরগুলা কী, সেগুলো আলোচনায় রাখতে হবে।
এখন তাৎক্ষণিক যে সমস্যা, সেটা হলো আমাদের বিক্রেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা পণ্যের দর-কষাকষি করবে। বিক্রেতাদের সংঘবদ্ধ হয়ে ক্রেতাদের ওপর এই শুল্কের বোঝা কিছুটা চাপাতে হবে। ৩৫ শতাংশের মধ্যে আমরা কতটা দেব, ক্রেতা তার মুনাফা কমিয়ে হোক বা বাজারে মূল্য বাড়িয়ে হোক, সে কতটুকু বহন করবে, এই সমস্যা এখন মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের ব্যবসায়ীরা যদি একে অপরের সাথে গলাকাটা প্রতিযোগিতা করে পুরো ৩৫ শতাংশ শুল্ক নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে নেন, তাহলে পোষাবে না। একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করলে ট্যারিফের বড় বোঝাটা আমাদের ঘাড়েই পড়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা শুল্কের ভার বহন করতে রাজি হবে যদি তারা আর কোনো ভালো বিকল্প না পায়। আমরা যদি এখন ট্যারিফের বোঝার সিংহভাগ ক্রেতাদের ওপরে পার করে দিতে পারি, তাহলে আমাদের রপ্তানি ঠিক থাকবে। ওদের বাজারে যখন দাম বাড়বে, মূল্যস্ফীতি যদি বেড়ে যায়, তখন ওদের স্টক ও বন্ড মার্কেটের প্রতিক্রিয়ার চাপেই নীতি বদলাবে। তখন আর আমাদের এই বাণিজ্যিক ঘাটতি কত হলো, ওটা আর স্ক্রিনে থাকবে না।
খাতভিত্তিক যে হারে শুল্ক আছে, সেগুলোর সঙ্গে নতুন ঘোষিত ৩৫ শতাংশ সব খাতের সঙ্গে যোগ হবে। অর্থাৎ, আগে যে খাতে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, সেটার সঙ্গে ৩৫ শতাংশ যোগ হয়ে হবে ৫০ শতাংশ।
ঘোষিত ট্যারিফের কারণে রপ্তানির ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের ট্যারিফ দিতে হলো না, আমেরিকান ভোক্তাদের থেকে যদি আদায় করা হয়, তাহলে মূল্য বেড়ে যাবে। ভোক্তার চাহিদা কমে যাবে। চাহিদার ওপরে বড় প্রভাব পড়বে না যদি ইন্টারমিডিয়েটারিজ যারা আছে, তারা নিজেদের মুনাফাটাকে কমায়। ফলে যে সিনারিও চিন্তা করা হোক, একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এটাকে প্রশমিত করার জন্য কিছু করা যেতে পারে। এই চিঠি ইস্যু হওয়ার আগে ট্রাম্প প্রশাসন একগুয়েমি আছে, এটা নিয়ে প্রশ্ন নেই। কিন্তু আমরা যে প্রস্তাবগুলো নিয়ে গেছি, নেগোসোসিয়েশন করেছি, সেগুলো মনে হচ্ছে খুব এডহক হয়েছে, খুব সুচিন্তিত ও গোছালোভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।
এই শুল্কারোপ আমাদের কতটা আঘাত করবে, সেটা নির্ভর করছে আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর। আমাদের প্রতিযোগী ভিয়েতনামে ২০ শতাংশ আছে। কিন্তু ভিয়েতনাম ট্রান্সশিপমেন্টের ওপরে আবার ৪০ শতাংশ। ভিয়েতনাম প্রচুর চীনের ইনপুট ব্যবহার করে। কাজেই সেদিক থেকে ভিয়েতনাম আমাদের চেয়ে খুব বেশি সুবিধাজনক স্থানে আছে বলে আমার মনে হয় না।
মিয়ানমারের ৪০ শতাংশ। কাজেই মিয়ানমার আমাদের সঙ্গে আমেরিকার বাজারে গার্মেন্টসে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। কিন্তু ভারতের ওপরে কী হচ্ছে সেটা এখনো ঘোষণা আসেনি। ট্রাম্প একটা থ্রেট দিয়েছেন গতকালকে, ব্রিকস দেশগুলোর যদি অ্যান্টি-আমেরিকান হয়, তাহলে তাদের ওপরে আরও ১০ শতাংশ ক্রেডিট বসাব। ব্রিকসের যে অ্যান্টি-আমেরিকান অবস্থান, ব্রিকস সদস্যরা যদি সেটার সঙ্গে সঙ্গতি রাখেন, আর ভারত তো ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ফলে ভারতের ওপরে কত আসে বা আমাদের প্রতিবেশী প্রতিযোগী দেশের ওপর কত আসে, সেটার ওপর নির্ভর করবে আসলে এটার প্রভাব কী রকম হবে। কারণ, ক্রেতাদের যদি অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকে, আর আমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম সাপ্লাইয়ার আমেরিকান মার্কেটে। তো ওই বাল্ক ভলিউম দেওয়ার মত ক্ষমতা কার আছে? ওইসব দেশের যদি বড় ধরনের ট্যারিফ অ্যাডভান্টেজ না থাকে, তাহলে নেগোসিয়েশনে আমরা সুবিধা পাব। এজন্য আমার মনে হয়, এর শুল্কারোপের প্রভাব এখনো ধোঁয়াসাপূর্ণ।
লেখক: সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আরেকটা মিটিং হবে। কিন্তু চিঠি তো এসে গেছে। মানে সিদ্ধান্ত তো দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত পরবর্তী পর্যায়ে কতটা নেগোসিয়েশনের সুযোগ আছে, সেইটা তো ওই চিঠিতে পরিষ্কার নয়। যদিও বলছে যে, তোমরা যদি নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসো, আমরা সেটাকে বিবেচনা করব।
প্রথম বিষয় হলো, এখানে কিছু ক্ল্যারিফিকেশন চাওয়া যেতে পারে। ট্রান্সশিপমেন্টের যে কথাগুলো বলা হয়েছে, সে ব্যাপারে। কোনটাকে ট্রান্সশিপমেন্ট ধরা হবে, কোনটাকে ধরা হবে না। ইউএসপিআর এর যে সংজ্ঞা আছে, সেটা জেনারেল সংজ্ঞার সাথে মিলে না। জেনারেল সংজ্ঞা অনুযায়ী একটা বন্দরে মাল নামালেন, আবার আরেকটা জাহাজে ওঠালেন। অর্থাৎ, গন্তব্য বন্দরে যাওয়ার আগে আরেকটা বন্দরে গিয়ে মাল ওঠানামা করানো, এটাই তো ট্রান্সশিপমেন্ট।
প্রয়োগ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব না একটা চিঠিতে। তারা ওই ট্যারিফ শিডিউলটা দেবে যে, তোমার এই সাড়ে ৭ হাজার ট্যারিফলাইনে কোনটাতে কত পড়বে। মানে, ৩৫ শতাংশ তো জেনারেল ট্যারিফ। কিন্তু সেটার এইচএস কোড অনুযায়ী কোনটাতে ৩৫ শতাংশ হবে, কোনটাতে হবে না, এটা বিস্তারিত একটা দেওয়ার কথা। সেখানে ওই ক্লারিফিকেশনগুলো চাইতে হবে। প্রথম প্রশ্ন হবে, যে পলিসিটা তোমরা করেছো, সেটার প্রয়োগটা কীভাবে হবে? প্রথম কাজ এটা সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা পাওয়া।
দ্বিতীয়ত, যেহেতু বলছে যে আলোচনার দুয়ার খোলা আছে, ফলে এই ৩৫ শতাংশ কমাতে হলে সেই অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের প্রস্তাবগুলো তাদের কাছে তুলে ধরা। এখানে একটা স্পর্শকাতর বিষয় আসবে, চীন ওদের (আমেরিকার) টার্গেট। যদি ওদেরকে বলা হয়, আমি চীন থেকে আমদানি কম করব, তোমার থেকে আমদানি বেশি করব। তাহলে ইউএসএ দুয়ারটা খুলবে। কিন্তু চীনের দুয়ারটা বন্ধ হয়ে যাবে। ওখানে একটু সমস্যা আছে। দুইদিক বিবেচনা করতে হবে।
কাউন্টার প্রোপোজাল কিছু দিতে হবে। আমাদের সোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে কী ধরনের রিফর্মস করব, ইউএস সোর্সগুলোকে কতটা প্রায়োরিটাইজ করব কোন জায়গায়, দ্বিপক্ষীয় কোনো চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া যেতে পারে, শিপমেন্ট সম্পর্কে আমাদের সেফগার্ডগুলো কী, ইউএসটিআর রিপোর্টে অন্যান্য যে বিষয়গুলো তোলা হয়েছে, সেইগুলো সম্পর্কে আমাদের অবস্থান কী, ওখানে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, পেটেন্ট ল, কপিরাইট ল, ফ্যাক্টরিতে লেবারদের কন্ডিশন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ওগুলো নিয়ে আমাদের উত্তরগুলা কী, সেগুলো আলোচনায় রাখতে হবে।
এখন তাৎক্ষণিক যে সমস্যা, সেটা হলো আমাদের বিক্রেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা পণ্যের দর-কষাকষি করবে। বিক্রেতাদের সংঘবদ্ধ হয়ে ক্রেতাদের ওপর এই শুল্কের বোঝা কিছুটা চাপাতে হবে। ৩৫ শতাংশের মধ্যে আমরা কতটা দেব, ক্রেতা তার মুনাফা কমিয়ে হোক বা বাজারে মূল্য বাড়িয়ে হোক, সে কতটুকু বহন করবে, এই সমস্যা এখন মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের ব্যবসায়ীরা যদি একে অপরের সাথে গলাকাটা প্রতিযোগিতা করে পুরো ৩৫ শতাংশ শুল্ক নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে নেন, তাহলে পোষাবে না। একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করলে ট্যারিফের বড় বোঝাটা আমাদের ঘাড়েই পড়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা শুল্কের ভার বহন করতে রাজি হবে যদি তারা আর কোনো ভালো বিকল্প না পায়। আমরা যদি এখন ট্যারিফের বোঝার সিংহভাগ ক্রেতাদের ওপরে পার করে দিতে পারি, তাহলে আমাদের রপ্তানি ঠিক থাকবে। ওদের বাজারে যখন দাম বাড়বে, মূল্যস্ফীতি যদি বেড়ে যায়, তখন ওদের স্টক ও বন্ড মার্কেটের প্রতিক্রিয়ার চাপেই নীতি বদলাবে। তখন আর আমাদের এই বাণিজ্যিক ঘাটতি কত হলো, ওটা আর স্ক্রিনে থাকবে না।
খাতভিত্তিক যে হারে শুল্ক আছে, সেগুলোর সঙ্গে নতুন ঘোষিত ৩৫ শতাংশ সব খাতের সঙ্গে যোগ হবে। অর্থাৎ, আগে যে খাতে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, সেটার সঙ্গে ৩৫ শতাংশ যোগ হয়ে হবে ৫০ শতাংশ।
ঘোষিত ট্যারিফের কারণে রপ্তানির ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের ট্যারিফ দিতে হলো না, আমেরিকান ভোক্তাদের থেকে যদি আদায় করা হয়, তাহলে মূল্য বেড়ে যাবে। ভোক্তার চাহিদা কমে যাবে। চাহিদার ওপরে বড় প্রভাব পড়বে না যদি ইন্টারমিডিয়েটারিজ যারা আছে, তারা নিজেদের মুনাফাটাকে কমায়। ফলে যে সিনারিও চিন্তা করা হোক, একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এটাকে প্রশমিত করার জন্য কিছু করা যেতে পারে। এই চিঠি ইস্যু হওয়ার আগে ট্রাম্প প্রশাসন একগুয়েমি আছে, এটা নিয়ে প্রশ্ন নেই। কিন্তু আমরা যে প্রস্তাবগুলো নিয়ে গেছি, নেগোসোসিয়েশন করেছি, সেগুলো মনে হচ্ছে খুব এডহক হয়েছে, খুব সুচিন্তিত ও গোছালোভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।
এই শুল্কারোপ আমাদের কতটা আঘাত করবে, সেটা নির্ভর করছে আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর। আমাদের প্রতিযোগী ভিয়েতনামে ২০ শতাংশ আছে। কিন্তু ভিয়েতনাম ট্রান্সশিপমেন্টের ওপরে আবার ৪০ শতাংশ। ভিয়েতনাম প্রচুর চীনের ইনপুট ব্যবহার করে। কাজেই সেদিক থেকে ভিয়েতনাম আমাদের চেয়ে খুব বেশি সুবিধাজনক স্থানে আছে বলে আমার মনে হয় না।
মিয়ানমারের ৪০ শতাংশ। কাজেই মিয়ানমার আমাদের সঙ্গে আমেরিকার বাজারে গার্মেন্টসে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। কিন্তু ভারতের ওপরে কী হচ্ছে সেটা এখনো ঘোষণা আসেনি। ট্রাম্প একটা থ্রেট দিয়েছেন গতকালকে, ব্রিকস দেশগুলোর যদি অ্যান্টি-আমেরিকান হয়, তাহলে তাদের ওপরে আরও ১০ শতাংশ ক্রেডিট বসাব। ব্রিকসের যে অ্যান্টি-আমেরিকান অবস্থান, ব্রিকস সদস্যরা যদি সেটার সঙ্গে সঙ্গতি রাখেন, আর ভারত তো ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ফলে ভারতের ওপরে কত আসে বা আমাদের প্রতিবেশী প্রতিযোগী দেশের ওপর কত আসে, সেটার ওপর নির্ভর করবে আসলে এটার প্রভাব কী রকম হবে। কারণ, ক্রেতাদের যদি অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকে, আর আমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম সাপ্লাইয়ার আমেরিকান মার্কেটে। তো ওই বাল্ক ভলিউম দেওয়ার মত ক্ষমতা কার আছে? ওইসব দেশের যদি বড় ধরনের ট্যারিফ অ্যাডভান্টেজ না থাকে, তাহলে নেগোসিয়েশনে আমরা সুবিধা পাব। এজন্য আমার মনে হয়, এর শুল্কারোপের প্রভাব এখনো ধোঁয়াসাপূর্ণ।
লেখক: সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়
বিবিসি বাংলার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ‘৫ আগস্টে যাত্রাবাড়ীতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫২ জন আন্দোলনকারী নিহত’ শিরোনামে যে বর্ণনা তুলে ধরেছে, তা সামাজিক মাধ্যমে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তেমনি সাংবাদিকতার নিরপেক্ষতা নিয়েও এক নতুন বিতর্ক উত্থাপন করেছে। প্রতিবেদনটি শুধু ৫ আগস্টের ঘটনাকে আলাদা করে তুলে ধরেছে
৪ ঘণ্টা আগেজোসেফ গোয়েবলস ছিলেন হিটলারের নাৎসি জার্মানির তথ্য ও প্রচারবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি ছিলেন মিথ্যাকে ‘সত্য’ বানানোর এক ভয়ংকর কৌশলের রূপকার। গোয়েবলস বিশ্বাস করতেন, ‘একটি বড় মিথ্যাকে বারবার বললে মানুষ একসময় সেটিকে সত্য বলে মেনে নেয়।’ তাঁর এই নীতি দিয়েই নাৎসি জার্মানি কোটি মানুষের চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করেছিল...
৫ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাইয়ের আন্দোলনে একটি স্লোগান শুনে আমি পুলকিত বোধ করেছিলাম। স্লোগানটা ছিল—‘কোটা না মেধা মেধা, মেধা মেধা’। এই স্লোগানের আরেকটি সমার্থক প্রবাদ বাক্য আছে আমাদের সমাজে—‘জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো’। আপনি কার ছেলে বা মেয়ে, কার নাতি বা নাতনি অর্থাৎ পিতা-মাতা বা দাদা-দাদির পরিচয় সূত্রে আপনি...
৫ ঘণ্টা আগেসেই উনিশ শ সাতাশি সালের এক শীতের সকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্রাসনাদার শহরে ক্যাম্পাসের সামনে জড়ো হয়েছিল একদল বিদেশি শিক্ষার্থী। কুবান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল এরা। ছুটির দিনে ভ্রমণে যাচ্ছিল। দুটো বাস প্রস্তুত। কয়েকজন শিক্ষক আর অনেকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে বাস ছুটল তাগানরোগের দিকে...
৫ ঘণ্টা আগে