আব্দুর রাজ্জাক
গত বছরের জুলাইয়ের পর থেকেই ছাত্রসমাজকে দেখছি বিভিন্ন অসংগতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। পৃথিবীর সব দেশেই ছাত্র বা তরুণসমাজ কোনো অন্যায়-অবিচার বা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়, এটাই স্বাভাবিক। কোটা সংস্কারের দাবি ছিল যৌক্তিক। এই যৌক্তিক দাবির পক্ষে জুলাই মাসে দেশের ছাত্রসমাজ যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল, সেই আন্দোলনে সাড়া দিয়েছিল সর্বস্তরের মানুষ। দাবি আদায় হয়েছে, আন্দোলনের বিজয় হয়েছে, ছাত্রদের বিজয় হয়েছে। এই বিজয়কে সুসংহত করার জন্য প্রথম থেকেই উচিত ছিল মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার দাবি তোলা।
আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা বহু ভাগে বিভক্ত। একেবারে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে শিশুরা। বড় বড় শহরকেন্দ্রিক কিছু উন্নতমানের কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে, সেখানে ইংরেজি মাধ্যমে পশ্চিমা ধাঁচের শিক্ষা দেওয়া হয়। তারপর আছে দেশীয় কারিকুলামের ইংরেজি ভার্সন, উন্নত পদ্ধতিতে দেশীয় কারিকুলামের শিক্ষাব্যবস্থা। আছে মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা, আছে কওমি ঘরানা, শুধু মুখস্থবিদ্যার মাধ্যমে কিছু আরবি শিক্ষা দেওয়া।
ইংলিশ মাধ্যমের যে শিক্ষাব্যবস্থা দেওয়া হয়, সেই শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করে সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষের সন্তানেরা। এরা সাধারণত ও লেভেল, এ লেভেল পাস করে বিদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যায়, এই শ্রেণির ছাত্ররা বাংলাদেশে খুব কমই ফিরে আসে। দেশীয় কারিকুলামের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো স্কুলে পড়াশোনা করে বাংলাদেশেই হয়তো ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তারপর অনেকে বিদেশে যায়। অধিকাংশই দেশের মধ্যে ভালো কোনো পেশায় নিজেদের নিয়োজিত রাখে। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা এ দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ছেলেমেয়ে। বাস্তবতা হলো, এই শ্রেণির প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ছেলেমেয়েরা যে শিক্ষা গ্রহণ করে, সেই শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজে ভালো কোনো কাজ পাওয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এই শ্রেণির মানুষ একেবারেই অবহেলিত থাকে, তারা বড়জোর তথাকথিত প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষকে ধর্মশিক্ষা দেয় অথবা ধর্মীয় কোনো কাজে নিয়োজিত হয়। সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো, আমাদের দেশের এখনো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পরিবারের সন্তানেরা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পায় না।
আমাদের দেশের বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিতে অথবা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের মানসম্মত অফিস এক্সিকিউটিভ দরকার, সেই ধরনের মানসম্মত দক্ষ কর্মী বাহিনী এখনো বের হচ্ছে না। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া অনেক কর্মী আমরা পাচ্ছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে তারা টিকে থাকতে পারছে না। ভালো ইংরেজি জানা, ভালো কম্পিউটার অ্যাকাউন্টেন্সিসহ দক্ষ পেশাজীবী চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
ছাত্রদের দাবিদাওয়া ছাড়াও আমাদের দেশের শিক্ষাঙ্গন বিভিন্ন ধরনের রাজনীতিতে জড়িত। নিজস্ব দাবিদাওয়া ছাড়াও জাতীয় রাজনীতির অনেক কিছুই ছাত্ররা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। রাজনীতিবিদেরাও এই ছাত্রদের মাধ্যমে অনেক কিছু পরিচালনা করতে চান। ছাত্ররা অবশ্যই তাদের দাবিদাওয়া, ন্যায্য চাওয়া-পাওয়ার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করবে। তাই বলে কারোর দাবার ঘুঁটি হবে, এটা কিন্তু কাম্য নয়।
এখন ছাত্ররা দেখতে পাচ্ছে লেখাপড়া করার চেয়ে যদি আন্দোলন-সংগ্রাম করে নেতা হওয়া যায়, প্রভাবশালী কারও চোখে পড়া যায়, সমাজে নিজেদের নাম প্রচার করা যায়, সংবাদপত্র-টেলিভিশনে তাদের দেখা যায়; তাহলে অতি তাড়াতাড়ি অল্প বয়সে তারা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই লেখাপড়ার আগ্রহ কমিয়ে এখন রাতারাতি বড় পদে যাওয়ার নেশায় চেপে বসেছে তাদের।
এত বড় ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়ে গেল। আন্দোলন সফল করায় আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। কিন্তু তারা নিজেদের আসল যে কাজ—লেখাপড়া করা, মানসম্মত বিদ্যা অর্জন করা, যে বিদ্যা বাস্তবমুখী, যে বিদ্যার মাধ্যমে আমরা দেশ-বিদেশ জয় করতে পারি—সেই ধরনের মানসম্মত শিক্ষার জন্য তারা কোনো আন্দোলন করছে না। এমনকি একটি কথাও শুনছি না ছাত্রনেতাদের মুখ থেকে। মাসের পর মাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, পরীক্ষা হচ্ছে না, ছাত্ররা বই পাচ্ছে না, বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-স্কুলে আন্তর্জাতিক মানের কারিকুলাম চালু হচ্ছে না, এই ব্যাপারে কারও যেন কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তো অবশ্যই জানে, পশ্চিমা বিশ্বসহ অগ্রসরমাণ বিশ্বে কী ধরনের কারিকুলাম চালু আছে। এই ধরনের বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবসম্মত কারিকুলামের জন্য কেন কোনো দাবি চাওয়া হচ্ছে না, সেটা বোধগম্য নয়। আমরা আশা করব, ছাত্রদের মধ্য থেকে এখন দাবি উঠবে—কোনো সেশনজট নয়, মানসম্মত শিক্ষা দিতে হবে, নিয়মিত ক্লাস হতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-স্কুলে শিক্ষকেরা কোনো রকম ক্লাস বর্জন করবেন না, ছাত্ররা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সপ্তাহে কমপক্ষে চার ঘণ্টা বেশি ক্লাস করে তাদের পেছনের যে ঘাটতি ছিল, সেটা মিটিয়ে নেবে।
ছাত্রদের পক্ষ থেকে কোনো নেতিবাচক আন্দোলন আমরা আর দেখতে চাই না। যেমন পরীক্ষা ছাড়া পাস করা, সিলেবাস কমিয়ে আনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। এ রকম নেতিবাচক আন্দোলন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে পেছন দিকে নিয়ে যাবে। ছাত্রদের মনে রাখতে হবে, মানুষকে বড় হতে হয় ছোট থেকে। যেকোনো কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের বেলায় বিসিএস অথবা কোনো পরীক্ষা দিয়ে এন্ট্রি পর্যায়ের ছোট পদ থেকেই আরম্ভ করতে হয়। প্রথমেই সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব হওয়া যায় না; কোনো ব্যাংকের জিএম, এমডি; কোনো সংস্থার চেয়ারম্যান, পরিচালক হওয়া যায় না।
ছাত্ররা যদি ২৫-২৬ বছর বয়সেই কোনো বিভাগের মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পায় বা দায়িত্ব জোর করে গ্রহণ করে, সেই মন্ত্রণালয় বিভাগ কিন্তু ঠিকমতো চলবে না। কোনো এক সময় ওই সব বিভাগ স্থবির হয়ে পড়বে, দেশ স্থবির হয়ে যাবে, জাতি হিসেবে আমরাও স্থবির হয়ে যাব। তাই সময় থাকতে শিক্ষার মানোন্নয়নের ব্যাপারে নজর দিতে হবে। এখন আন্দোলন হোক বৈষম্যের শিক্ষাব্যবস্থা দূর করে সব জনগোষ্ঠীর জন্য একই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা।
গত বছরের জুলাইয়ের পর থেকেই ছাত্রসমাজকে দেখছি বিভিন্ন অসংগতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। পৃথিবীর সব দেশেই ছাত্র বা তরুণসমাজ কোনো অন্যায়-অবিচার বা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়, এটাই স্বাভাবিক। কোটা সংস্কারের দাবি ছিল যৌক্তিক। এই যৌক্তিক দাবির পক্ষে জুলাই মাসে দেশের ছাত্রসমাজ যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল, সেই আন্দোলনে সাড়া দিয়েছিল সর্বস্তরের মানুষ। দাবি আদায় হয়েছে, আন্দোলনের বিজয় হয়েছে, ছাত্রদের বিজয় হয়েছে। এই বিজয়কে সুসংহত করার জন্য প্রথম থেকেই উচিত ছিল মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার দাবি তোলা।
আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা বহু ভাগে বিভক্ত। একেবারে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে শিশুরা। বড় বড় শহরকেন্দ্রিক কিছু উন্নতমানের কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে, সেখানে ইংরেজি মাধ্যমে পশ্চিমা ধাঁচের শিক্ষা দেওয়া হয়। তারপর আছে দেশীয় কারিকুলামের ইংরেজি ভার্সন, উন্নত পদ্ধতিতে দেশীয় কারিকুলামের শিক্ষাব্যবস্থা। আছে মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা, আছে কওমি ঘরানা, শুধু মুখস্থবিদ্যার মাধ্যমে কিছু আরবি শিক্ষা দেওয়া।
ইংলিশ মাধ্যমের যে শিক্ষাব্যবস্থা দেওয়া হয়, সেই শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করে সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষের সন্তানেরা। এরা সাধারণত ও লেভেল, এ লেভেল পাস করে বিদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যায়, এই শ্রেণির ছাত্ররা বাংলাদেশে খুব কমই ফিরে আসে। দেশীয় কারিকুলামের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো স্কুলে পড়াশোনা করে বাংলাদেশেই হয়তো ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তারপর অনেকে বিদেশে যায়। অধিকাংশই দেশের মধ্যে ভালো কোনো পেশায় নিজেদের নিয়োজিত রাখে। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা এ দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ছেলেমেয়ে। বাস্তবতা হলো, এই শ্রেণির প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ছেলেমেয়েরা যে শিক্ষা গ্রহণ করে, সেই শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজে ভালো কোনো কাজ পাওয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এই শ্রেণির মানুষ একেবারেই অবহেলিত থাকে, তারা বড়জোর তথাকথিত প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষকে ধর্মশিক্ষা দেয় অথবা ধর্মীয় কোনো কাজে নিয়োজিত হয়। সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো, আমাদের দেশের এখনো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পরিবারের সন্তানেরা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পায় না।
আমাদের দেশের বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিতে অথবা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের মানসম্মত অফিস এক্সিকিউটিভ দরকার, সেই ধরনের মানসম্মত দক্ষ কর্মী বাহিনী এখনো বের হচ্ছে না। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া অনেক কর্মী আমরা পাচ্ছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে তারা টিকে থাকতে পারছে না। ভালো ইংরেজি জানা, ভালো কম্পিউটার অ্যাকাউন্টেন্সিসহ দক্ষ পেশাজীবী চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
ছাত্রদের দাবিদাওয়া ছাড়াও আমাদের দেশের শিক্ষাঙ্গন বিভিন্ন ধরনের রাজনীতিতে জড়িত। নিজস্ব দাবিদাওয়া ছাড়াও জাতীয় রাজনীতির অনেক কিছুই ছাত্ররা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। রাজনীতিবিদেরাও এই ছাত্রদের মাধ্যমে অনেক কিছু পরিচালনা করতে চান। ছাত্ররা অবশ্যই তাদের দাবিদাওয়া, ন্যায্য চাওয়া-পাওয়ার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করবে। তাই বলে কারোর দাবার ঘুঁটি হবে, এটা কিন্তু কাম্য নয়।
এখন ছাত্ররা দেখতে পাচ্ছে লেখাপড়া করার চেয়ে যদি আন্দোলন-সংগ্রাম করে নেতা হওয়া যায়, প্রভাবশালী কারও চোখে পড়া যায়, সমাজে নিজেদের নাম প্রচার করা যায়, সংবাদপত্র-টেলিভিশনে তাদের দেখা যায়; তাহলে অতি তাড়াতাড়ি অল্প বয়সে তারা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তাই লেখাপড়ার আগ্রহ কমিয়ে এখন রাতারাতি বড় পদে যাওয়ার নেশায় চেপে বসেছে তাদের।
এত বড় ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়ে গেল। আন্দোলন সফল করায় আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। কিন্তু তারা নিজেদের আসল যে কাজ—লেখাপড়া করা, মানসম্মত বিদ্যা অর্জন করা, যে বিদ্যা বাস্তবমুখী, যে বিদ্যার মাধ্যমে আমরা দেশ-বিদেশ জয় করতে পারি—সেই ধরনের মানসম্মত শিক্ষার জন্য তারা কোনো আন্দোলন করছে না। এমনকি একটি কথাও শুনছি না ছাত্রনেতাদের মুখ থেকে। মাসের পর মাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, পরীক্ষা হচ্ছে না, ছাত্ররা বই পাচ্ছে না, বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-স্কুলে আন্তর্জাতিক মানের কারিকুলাম চালু হচ্ছে না, এই ব্যাপারে কারও যেন কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তো অবশ্যই জানে, পশ্চিমা বিশ্বসহ অগ্রসরমাণ বিশ্বে কী ধরনের কারিকুলাম চালু আছে। এই ধরনের বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবসম্মত কারিকুলামের জন্য কেন কোনো দাবি চাওয়া হচ্ছে না, সেটা বোধগম্য নয়। আমরা আশা করব, ছাত্রদের মধ্য থেকে এখন দাবি উঠবে—কোনো সেশনজট নয়, মানসম্মত শিক্ষা দিতে হবে, নিয়মিত ক্লাস হতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-স্কুলে শিক্ষকেরা কোনো রকম ক্লাস বর্জন করবেন না, ছাত্ররা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সপ্তাহে কমপক্ষে চার ঘণ্টা বেশি ক্লাস করে তাদের পেছনের যে ঘাটতি ছিল, সেটা মিটিয়ে নেবে।
ছাত্রদের পক্ষ থেকে কোনো নেতিবাচক আন্দোলন আমরা আর দেখতে চাই না। যেমন পরীক্ষা ছাড়া পাস করা, সিলেবাস কমিয়ে আনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। এ রকম নেতিবাচক আন্দোলন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে পেছন দিকে নিয়ে যাবে। ছাত্রদের মনে রাখতে হবে, মানুষকে বড় হতে হয় ছোট থেকে। যেকোনো কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের বেলায় বিসিএস অথবা কোনো পরীক্ষা দিয়ে এন্ট্রি পর্যায়ের ছোট পদ থেকেই আরম্ভ করতে হয়। প্রথমেই সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব হওয়া যায় না; কোনো ব্যাংকের জিএম, এমডি; কোনো সংস্থার চেয়ারম্যান, পরিচালক হওয়া যায় না।
ছাত্ররা যদি ২৫-২৬ বছর বয়সেই কোনো বিভাগের মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পায় বা দায়িত্ব জোর করে গ্রহণ করে, সেই মন্ত্রণালয় বিভাগ কিন্তু ঠিকমতো চলবে না। কোনো এক সময় ওই সব বিভাগ স্থবির হয়ে পড়বে, দেশ স্থবির হয়ে যাবে, জাতি হিসেবে আমরাও স্থবির হয়ে যাব। তাই সময় থাকতে শিক্ষার মানোন্নয়নের ব্যাপারে নজর দিতে হবে। এখন আন্দোলন হোক বৈষম্যের শিক্ষাব্যবস্থা দূর করে সব জনগোষ্ঠীর জন্য একই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা।
মুঘল বাদশাহ আওরঙ্গজেব ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দে মুর্শিদকুলি খাঁকে সুবা বাংলার দেওয়ান করেছিলেন। নতুন দেওয়ান দেখলেন, বাংলার জমিদারেরা ঠিকভাবে খাজনা পরিশোধ করেন না। কী করে কর আদায় করা যায়, তা ভাবতে লাগলেন তিনি। প্রশাসনিক প্রধান ছিলেন বাংলার সুবাদার বাদশাহের দৌহিত্র আজিমুশ্শান। তবে রাজস্ব আদায়ে সর্বেসর্বা ছিলেন
৩ ঘণ্টা আগেশিল্পভিত্তিক অর্থনীতি রচনা করতে গিয়ে আমরা নষ্ট করে চলেছি মাটির উর্বরতা শক্তি, নদীপ্রবাহ ও পানি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা সংস্থার এক হিসাব অনুযায়ী, ১৯৭৭ সালে দেশে কৃষিজমি ছিল মোট জমির প্রায় ৮৫ শতাংশ। কিন্তু ২০১০ সালে তা নেমে হয় ৭৫ শতাংশে। আর এ ১৫ বছরে তা নিশ্চয়ই আরও অনেকখানি কমে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআমি যখন সিডনি আসি, তখন বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বিশেষত বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। একসময় যে আমাদের একটি বা একাধিক বইমেলার প্রয়োজন পড়তে পারে, সেটা দূরদর্শী ব্যতীত কারও মাথায় আসেনি। কিন্তু বাংলা, বাঙালি মানেই বিদ্রোহ আর দ্রোহের ভেতর দিয়ে নতুন কোনো ইতিহাস রচনা। সে ইতিহাস যে শুধু দেশের মাটিতে
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের প্রত্যাশা যেমন বাড়ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয়েছে যে, এই সরকার প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে ক্রমবর্ধমান চাপে রয়েছে। ৩১ জ
৩ ঘণ্টা আগে