প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করা এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে কারাগারে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে ভিন্ন কথা। শিশু নিপীড়ন এবং শিশুকে অপব্যবহার করার জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদে বলা হচ্ছে, জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে—এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল ও বানোয়াট। ওই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ‘চাইল্ড অ্যাবিউজ ও এক্সপ্লয়টেশনের’ (শিশু নিপীড়ন ও শোষণ) কারণে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে প্রতিদিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। এসব প্রতিবেদন লেখার জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
শামসুজ্জামান ৯ বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়েছিলেন এবং নিজের ভাষ্য ওই শিশুকে দিয়ে বলিয়েছিলেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি অবশ্যই ‘চাইল্ড অ্যাবিউজ ও এক্সপ্লয়টেশন’। দ্বিতীয়ত, মহান স্বাধীনতা দিবসে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করেছেন। এ ধরনের কার্যকলাপও অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রত্যেক নাগরিকের বাক্স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু প্রতারণামূলক কাজের মাধ্যমে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা সৎ সাংবাদিকতার পরিপন্থী।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ ধারায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোতে যেসব অপরাধের কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো—
২৫(খ): যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করিবার, বা বিভ্রান্তি ছড়াইবার, বা তদুদ্দেশ্যে, অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করিতে সহায়তা করেন।
৩১(১): যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যাহা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
৩৫: যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
আরও পড়ুন:
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করা এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে কারাগারে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে ভিন্ন কথা। শিশু নিপীড়ন এবং শিশুকে অপব্যবহার করার জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদে বলা হচ্ছে, জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে—এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল ও বানোয়াট। ওই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ‘চাইল্ড অ্যাবিউজ ও এক্সপ্লয়টেশনের’ (শিশু নিপীড়ন ও শোষণ) কারণে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে প্রতিদিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। এসব প্রতিবেদন লেখার জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
শামসুজ্জামান ৯ বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়েছিলেন এবং নিজের ভাষ্য ওই শিশুকে দিয়ে বলিয়েছিলেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি অবশ্যই ‘চাইল্ড অ্যাবিউজ ও এক্সপ্লয়টেশন’। দ্বিতীয়ত, মহান স্বাধীনতা দিবসে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করেছেন। এ ধরনের কার্যকলাপও অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রত্যেক নাগরিকের বাক্স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু প্রতারণামূলক কাজের মাধ্যমে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা সৎ সাংবাদিকতার পরিপন্থী।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ ধারায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোতে যেসব অপরাধের কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো—
২৫(খ): যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করিবার, বা বিভ্রান্তি ছড়াইবার, বা তদুদ্দেশ্যে, অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, বা প্রচার করেন বা করিতে সহায়তা করেন।
৩১(১): যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যাহা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
৩৫: যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা...
১ মিনিট আগেকরোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার।
২০ মিনিট আগেবাংলাদেশে গুমের ঘটনায় সত্য ও জবাবদিহির পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের অস্বীকারের সংস্কৃতি। আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে গুমকে অস্বীকার করেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও এই অস্বীকারের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে; কারণ, অনেক অভিযুক্ত এখনো ক্ষমতার কেন্দ্রে।
২ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোটিশে জানানো হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ২১ জুন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্ট তৈরির সাক্ষাৎকার শুরু হবে। অনুমিত না নিয়ে সাক্ষাৎকারে অনুপস্থিত থাকা ‘বাঞ্ছনীয়’ নয়।
৫ ঘণ্টা আগে