মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষাকেন্দ্রের অংশগ্রহণ, পরীক্ষার কিটের মজুত নিশ্চিত করা, হাসপাতাল প্রস্তুত করা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ দেখা যায়নি।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশ বা বিশ্বে করোনা আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এমন ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো এই রোগও থেকে যাবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে, তার বিপরীতে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তাদের কয়েকটি নির্দেশনা—এই শুধু চোখে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গত শুক্রবার দুজন এবং রবি ও সোমবার (গতকাল) একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে চলতি বছরে মোট ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন মারা যান এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যান। তবে ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হন। জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। গতকাল প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪ জন।
হঠাৎ করে রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে।
গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন সরকারি ৩টি হাসপাতালে মোট নমুনার ২১ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনার ৪১ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে সরকারিতে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা কম, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে যেসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ হতে পারে। করোনার প্রতিরোধে সবেচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। রোগটা ছড়াতে না দেওয়া এবং টিকা প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া।
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামূলক তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অন্ততপক্ষে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার বিষয়টি গত কয়েক দিনে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ দেখা যায়নি। যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন করোনা ছড়ানোর উৎস না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত। স্বাভাবিক সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠের তৎপরতা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এই ধরনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছে তারা। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার কিটের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকলে কাউকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। করোনা খুব বেশি ছড়িয়েছে বা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা নয়। আমরা হাসপাতালগুলোয় কিট সরবরাহ করেছি। কিটের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে; আমরা আরও কিটের সংস্থানে কাজ করছি।’
করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষাকেন্দ্রের অংশগ্রহণ, পরীক্ষার কিটের মজুত নিশ্চিত করা, হাসপাতাল প্রস্তুত করা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ দেখা যায়নি।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশ বা বিশ্বে করোনা আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এমন ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো এই রোগও থেকে যাবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে, তার বিপরীতে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তাদের কয়েকটি নির্দেশনা—এই শুধু চোখে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গত শুক্রবার দুজন এবং রবি ও সোমবার (গতকাল) একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে চলতি বছরে মোট ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন মারা যান এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যান। তবে ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হন। জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। গতকাল প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪ জন।
হঠাৎ করে রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে।
গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন সরকারি ৩টি হাসপাতালে মোট নমুনার ২১ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনার ৪১ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে সরকারিতে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা কম, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে যেসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ হতে পারে। করোনার প্রতিরোধে সবেচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। রোগটা ছড়াতে না দেওয়া এবং টিকা প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া।
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামূলক তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অন্ততপক্ষে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার বিষয়টি গত কয়েক দিনে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ দেখা যায়নি। যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন করোনা ছড়ানোর উৎস না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত। স্বাভাবিক সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠের তৎপরতা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এই ধরনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছে তারা। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার কিটের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকলে কাউকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। করোনা খুব বেশি ছড়িয়েছে বা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা নয়। আমরা হাসপাতালগুলোয় কিট সরবরাহ করেছি। কিটের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে; আমরা আরও কিটের সংস্থানে কাজ করছি।’
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে আইন সংশোধনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। সোমবার (১৬ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫৯তম অধিবেশনে তাঁর বার্ষিক বক্তব্যে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে মাঠ প্রশাসন ঠিক করতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। এমনটাই ধারণা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। তাঁরা বলছেন, এমন ভাবনার কারণেই ২১ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) তিন মাস আগে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেও তাঁদের ডিসি পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে গুমের ঘটনায় সত্য ও জবাবদিহির পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের অস্বীকারের সংস্কৃতি। আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে গুমকে অস্বীকার করেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও এই অস্বীকারের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে; কারণ, অনেক অভিযুক্ত এখনো ক্ষমতার কেন্দ্রে।
৮ ঘণ্টা আগে