মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষাকেন্দ্রের অংশগ্রহণ, পরীক্ষার কিটের মজুত নিশ্চিত করা, হাসপাতাল প্রস্তুত করা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ দেখা যায়নি।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশ বা বিশ্বে করোনা আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এমন ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো এই রোগও থেকে যাবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে, তার বিপরীতে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তাদের কয়েকটি নির্দেশনা—এই শুধু চোখে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গত শুক্রবার দুজন এবং রবি ও সোমবার (গতকাল) একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে চলতি বছরে মোট ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন মারা যান এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যান। তবে ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হন। জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। গতকাল প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪ জন।
হঠাৎ করে রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে।
গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন সরকারি ৩টি হাসপাতালে মোট নমুনার ২১ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনার ৪১ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে সরকারিতে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা কম, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে যেসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ হতে পারে। করোনার প্রতিরোধে সবেচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। রোগটা ছড়াতে না দেওয়া এবং টিকা প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া।
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামূলক তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অন্ততপক্ষে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার বিষয়টি গত কয়েক দিনে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ দেখা যায়নি। যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন করোনা ছড়ানোর উৎস না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত। স্বাভাবিক সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠের তৎপরতা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এই ধরনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছে তারা। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার কিটের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকলে কাউকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। করোনা খুব বেশি ছড়িয়েছে বা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা নয়। আমরা হাসপাতালগুলোয় কিট সরবরাহ করেছি। কিটের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে; আমরা আরও কিটের সংস্থানে কাজ করছি।’

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষাকেন্দ্রের অংশগ্রহণ, পরীক্ষার কিটের মজুত নিশ্চিত করা, হাসপাতাল প্রস্তুত করা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ দেখা যায়নি।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশ বা বিশ্বে করোনা আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এমন ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো এই রোগও থেকে যাবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে, তার বিপরীতে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তাদের কয়েকটি নির্দেশনা—এই শুধু চোখে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গত শুক্রবার দুজন এবং রবি ও সোমবার (গতকাল) একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে চলতি বছরে মোট ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন মারা যান এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যান। তবে ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হন। জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। গতকাল প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪ জন।
হঠাৎ করে রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে।
গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন সরকারি ৩টি হাসপাতালে মোট নমুনার ২১ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনার ৪১ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে সরকারিতে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা কম, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে যেসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ হতে পারে। করোনার প্রতিরোধে সবেচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। রোগটা ছড়াতে না দেওয়া এবং টিকা প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া।
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামূলক তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অন্ততপক্ষে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার বিষয়টি গত কয়েক দিনে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ দেখা যায়নি। যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন করোনা ছড়ানোর উৎস না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত। স্বাভাবিক সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠের তৎপরতা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এই ধরনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছে তারা। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার কিটের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকলে কাউকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। করোনা খুব বেশি ছড়িয়েছে বা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা নয়। আমরা হাসপাতালগুলোয় কিট সরবরাহ করেছি। কিটের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে; আমরা আরও কিটের সংস্থানে কাজ করছি।’
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষাকেন্দ্রের অংশগ্রহণ, পরীক্ষার কিটের মজুত নিশ্চিত করা, হাসপাতাল প্রস্তুত করা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ দেখা যায়নি।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশ বা বিশ্বে করোনা আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এমন ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো এই রোগও থেকে যাবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে, তার বিপরীতে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তাদের কয়েকটি নির্দেশনা—এই শুধু চোখে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গত শুক্রবার দুজন এবং রবি ও সোমবার (গতকাল) একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে চলতি বছরে মোট ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন মারা যান এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যান। তবে ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হন। জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। গতকাল প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪ জন।
হঠাৎ করে রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে।
গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন সরকারি ৩টি হাসপাতালে মোট নমুনার ২১ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনার ৪১ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে সরকারিতে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা কম, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে যেসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ হতে পারে। করোনার প্রতিরোধে সবেচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। রোগটা ছড়াতে না দেওয়া এবং টিকা প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া।
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামূলক তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অন্ততপক্ষে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার বিষয়টি গত কয়েক দিনে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ দেখা যায়নি। যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন করোনা ছড়ানোর উৎস না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত। স্বাভাবিক সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠের তৎপরতা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এই ধরনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছে তারা। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার কিটের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকলে কাউকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। করোনা খুব বেশি ছড়িয়েছে বা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা নয়। আমরা হাসপাতালগুলোয় কিট সরবরাহ করেছি। কিটের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে; আমরা আরও কিটের সংস্থানে কাজ করছি।’

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষাকেন্দ্রের অংশগ্রহণ, পরীক্ষার কিটের মজুত নিশ্চিত করা, হাসপাতাল প্রস্তুত করা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ দেখা যায়নি।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশ বা বিশ্বে করোনা আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে এমন ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে অন্যান্য সংক্রামক রোগের মতো এই রোগও থেকে যাবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বাড়লে যেন সরকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই সঙ্গে চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা গেছে, তার বিপরীতে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তাদের কয়েকটি নির্দেশনা—এই শুধু চোখে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর গত শুক্রবার দুজন এবং রবি ও সোমবার (গতকাল) একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়। তাতে চলতি বছরে মোট ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ জন মারা যান এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যান। তবে ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হন। জুনের প্রথম ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। গতকাল প্রকাশিত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ২৮৪ জন।
হঠাৎ করে রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে।
গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই দিন সরকারি ৩টি হাসপাতালে মোট নমুনার ২১ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনার ৪১ শতাংশ পরীক্ষা হয়েছে সরকারিতে।
ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা কম, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে যেসব ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত, যেমন হৃদ্রোগ, কিডনি, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস, তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে করোনা ভয়াবহ হতে পারে। করোনার প্রতিরোধে সবেচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা। রোগটা ছড়াতে না দেওয়া এবং টিকা প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া।
সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতা দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামূলক তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অন্ততপক্ষে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার বিষয়টি গত কয়েক দিনে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ দেখা যায়নি। যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন করোনা ছড়ানোর উৎস না হয়, তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত। স্বাভাবিক সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠের তৎপরতা নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এই ধরনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য কিটের মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা করছে তারা। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।
নমুনা পরীক্ষার কিটের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেন, ‘উপসর্গ না থাকলে কাউকে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। করোনা খুব বেশি ছড়িয়েছে বা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা নয়। আমরা হাসপাতালগুলোয় কিট সরবরাহ করেছি। কিটের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে; আমরা আরও কিটের সংস্থানে কাজ করছি।’

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৮ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার।
১৭ জুন ২০২৫
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৮ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার।
১৭ জুন ২০২৫
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৮ ঘণ্টা আগেআয়নাল হোসেন, ঢাকা

ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রতারণার শিকার ওমরাহযাত্রীরা প্রতিকার চেয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। আর একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ত্রুটিগুলো লিখিতভাবে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ ওঠা তিন এজেন্সির একটি হলো দেশ ও বিদেশ হজ এজেন্সি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওমরাহ যাত্রীরা হলেন আজহারুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, নূর মোহাম্মদ, মো. খোরশেদ আলম, খোদেজা আলম, কোহিনুর আক্তার, রহিমা আক্তার, সারোয়ার আলম চৌধুরী ফরিদা ইয়াসমিন লাভলী, শফিকুল আলম ও শাহেনা আকতার। এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁদের দেওয়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ওমরাহ পালনকালে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সুনির্দিষ্ট হোটেল বুকিং না থাকা, নিজ উদ্যোগে হোটেলে লাগেজ বহন, হোটেল ব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তি, সংকীর্ণ আবাসস্থল, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, হজের পাঁচ দিন বাস সার্ভিসে চরম অব্যবস্থাপনা এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশন।
জানতে চাইলে দেশ ও বিদেশ এজেন্সির মালিক এহসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওমরাহ যাত্রীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। কয়েকজন টাকা বকেয়া রেখেই ওমরাহ পালনে যান। এ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
মো. শামীম হোসেন নামের একজন অভিযোগ করেন ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস এজেন্সির কাছে। তিনজনে ওমরা পালনের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা জমা দেন। অফিসে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখেন। এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস প্রতিষ্ঠানের কাছে ধর্ম মন্ত্রণালয় নোটিশ পাঠায়। এতে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষে শুনানির জন্য ডাকা হয়। শুনানিতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে ধরে নেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে ইচ্ছুক নয়। পরে জমা দেওয়া টাকার মধ্যে২ লাখ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহনেওয়াজ নামের অন্য একটি ব্যক্তি লাইম স্টোন রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, জনপ্রতি ১ লাখ ৭০ হাজার করে তিনজনের জন্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওমরাহ পালনে যান তাঁরা। মদিনায় ৪ দিন ও মক্কায় ১০ দিন রাখার শর্তে টাকা দেওয়া হয়। এজেন্সি মদিনায় ফ্লাইট না দিয়ে জেদ্দায় ফ্লাইট দেয়। এরপর জেদ্দা-মদিনায় যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ রিয়াল করে আদায় করে। মদিনায় হোটেল নিম্নমানের দেওয়া হয়। একই কক্ষে নারী-পুরুষকে রাখা হয়। মক্কায়ও নিম্নমানের হোটেল দেওয়া হয়। সেখানেও নারী-পুরুষকে একত্রে রাখা হয়। মক্কা থেকে ফ্লাইট না দিয়ে মদিনা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট দেওয়া হয়।

ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রতারণার শিকার ওমরাহযাত্রীরা প্রতিকার চেয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। আর একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ত্রুটিগুলো লিখিতভাবে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ ওঠা তিন এজেন্সির একটি হলো দেশ ও বিদেশ হজ এজেন্সি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওমরাহ যাত্রীরা হলেন আজহারুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, নূর মোহাম্মদ, মো. খোরশেদ আলম, খোদেজা আলম, কোহিনুর আক্তার, রহিমা আক্তার, সারোয়ার আলম চৌধুরী ফরিদা ইয়াসমিন লাভলী, শফিকুল আলম ও শাহেনা আকতার। এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁদের দেওয়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ওমরাহ পালনকালে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সুনির্দিষ্ট হোটেল বুকিং না থাকা, নিজ উদ্যোগে হোটেলে লাগেজ বহন, হোটেল ব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তি, সংকীর্ণ আবাসস্থল, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, হজের পাঁচ দিন বাস সার্ভিসে চরম অব্যবস্থাপনা এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশন।
জানতে চাইলে দেশ ও বিদেশ এজেন্সির মালিক এহসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওমরাহ যাত্রীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। কয়েকজন টাকা বকেয়া রেখেই ওমরাহ পালনে যান। এ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
মো. শামীম হোসেন নামের একজন অভিযোগ করেন ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস এজেন্সির কাছে। তিনজনে ওমরা পালনের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা জমা দেন। অফিসে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখেন। এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস প্রতিষ্ঠানের কাছে ধর্ম মন্ত্রণালয় নোটিশ পাঠায়। এতে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষে শুনানির জন্য ডাকা হয়। শুনানিতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে ধরে নেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে ইচ্ছুক নয়। পরে জমা দেওয়া টাকার মধ্যে২ লাখ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহনেওয়াজ নামের অন্য একটি ব্যক্তি লাইম স্টোন রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, জনপ্রতি ১ লাখ ৭০ হাজার করে তিনজনের জন্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওমরাহ পালনে যান তাঁরা। মদিনায় ৪ দিন ও মক্কায় ১০ দিন রাখার শর্তে টাকা দেওয়া হয়। এজেন্সি মদিনায় ফ্লাইট না দিয়ে জেদ্দায় ফ্লাইট দেয়। এরপর জেদ্দা-মদিনায় যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ রিয়াল করে আদায় করে। মদিনায় হোটেল নিম্নমানের দেওয়া হয়। একই কক্ষে নারী-পুরুষকে রাখা হয়। মক্কায়ও নিম্নমানের হোটেল দেওয়া হয়। সেখানেও নারী-পুরুষকে একত্রে রাখা হয়। মক্কা থেকে ফ্লাইট না দিয়ে মদিনা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার।
১৭ জুন ২০২৫
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৮ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করবেন।
আনসার ও ভিডিপির সদরদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রস্তুতির কথা জানান।
বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজি সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করছে। তিনি বলেন, ‘এবার ভোট কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তারা সদরদপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবে। ফলে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা থাকবে।’
এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, কিউআর কোড এবং কর্মতথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দায়িত্ব পালনের দক্ষতা, অবস্থান ও আচরণ রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যদের মৌলিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে লিডারশিপ ট্রেনিং, অ্যাডভান্স ট্রেনিং এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত।
মহাপরিচালক জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই বা তিনদিনের রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের কৌশল শেখানো হবে; নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং পেশাগত ভূমিকায় একনিষ্ঠ সদস্যদের নির্বাচন করার জন্য পুরোনো সদস্যদের তথ্য ফিল্টারিং করা হবে; বাহিনীতে তরুণ ও কর্মক্ষম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর করা হয়েছে; বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ; নারী-পুরুষ সমানভাবে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও জানান, এবার নির্বাচনী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিজি বলেন, এখন থেকে আনসার বাহিনী ব্যক্তিনির্ভর নয় বরং সিস্টেম নির্ভর হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আনসার বাহিনীর বৃহত্তর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাহিনীটি শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, বরং সারাবছরই উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ আনসার সদস্যের মধ্যে ৫৯ লাখই স্বেচ্ছাসেবক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্যরা দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (যেমন ড্রাইভিং, নার্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) সহায়তা পাচ্ছেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করবেন।
আনসার ও ভিডিপির সদরদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রস্তুতির কথা জানান।
বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজি সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করছে। তিনি বলেন, ‘এবার ভোট কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তারা সদরদপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবে। ফলে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা থাকবে।’
এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, কিউআর কোড এবং কর্মতথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দায়িত্ব পালনের দক্ষতা, অবস্থান ও আচরণ রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যদের মৌলিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে লিডারশিপ ট্রেনিং, অ্যাডভান্স ট্রেনিং এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত।
মহাপরিচালক জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই বা তিনদিনের রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের কৌশল শেখানো হবে; নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং পেশাগত ভূমিকায় একনিষ্ঠ সদস্যদের নির্বাচন করার জন্য পুরোনো সদস্যদের তথ্য ফিল্টারিং করা হবে; বাহিনীতে তরুণ ও কর্মক্ষম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর করা হয়েছে; বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ; নারী-পুরুষ সমানভাবে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও জানান, এবার নির্বাচনী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিজি বলেন, এখন থেকে আনসার বাহিনী ব্যক্তিনির্ভর নয় বরং সিস্টেম নির্ভর হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আনসার বাহিনীর বৃহত্তর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাহিনীটি শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, বরং সারাবছরই উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ আনসার সদস্যের মধ্যে ৫৯ লাখই স্বেচ্ছাসেবক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্যরা দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (যেমন ড্রাইভিং, নার্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) সহায়তা পাচ্ছেন।

করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি দেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে। উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করোনা প্রতিরোধে মাঠে জোরেশোরে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার।
১৭ জুন ২০২৫
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে