সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা হচ্ছে, তেমনি কিছু বিষয়ে কূটনৈতিক ব্যর্থতাও দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি সফরে ১০ থেকে ১৩ জুন লন্ডন ছিলেন। এই চার দিনে তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও পার্লামেন্টের স্পিকার ডেভিড হোয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ এবং চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা করেন। এর বাইরে তাঁকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১৫টি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ছিল। তবে তাঁর এই সফরে রাজনৈতিক কারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক। দুজনের এই বৈঠককে দেশের রাজনীতির জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে গত রোববার বলেন, বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানসহ বড় ধরনের যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ডটি তার একটি স্বীকৃতি। ব্রিটিশ রাজা চার্লস ও স্পিকারের সঙ্গে সরকারপ্রধানের মতবিনিময় হয়েছে। একান্ত বৈঠক হওয়ায় এই দুই বৈঠকের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। এর বাইরে পাচার হওয়া অর্থসম্পদ ফেরানোর বিষয়ে অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের একজন সাবেক মন্ত্রীর (সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ) ব্রিটেনের সম্পদ জব্দের ঘোষণা এসেছে। আর প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকটি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভালো বার্তা দেবে। সব মিলিয়ে একটি ভালো সফর হয়েছে।
প্রেস সচিব অর্জনগুলো তুলে ধরলেও প্রধান উপদেষ্টার এই লন্ডন সফরে কিছু কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছিল বলে মনে করে কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আর এই মূল্যায়নটি এসেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক না হওয়াকে ঘিরে।
১০ মাস আগে গত আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাজ্যে যাওয়া ছিল মুহাম্মদ ইউনূসের ১১তম সফর। এসব সফরের প্রায় সবগুলোই ছিল বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে যোগদান। এমন কর্মসূচিতে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক এবং জাপানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে ইউনূসের। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় বেকায়দা পরিস্থিতি তৈরি হয় এবার।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চূড়ান্ত না করে এ নিয়ে ‘আওয়াজ’ তুলে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর।
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে কিয়ার স্টারমারের অস্বীকৃতি জানানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন অতিথি সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানানো সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। অন্যদিকে, দেশটির ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি ও নিজের নেতৃত্বাধীন সরকারের একজন [সাবেক] মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলে তা ফেরত চাওয়া হতে পারে—এমন আশঙ্কা দেখলে যুক্তরাজ্যের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে রাজি হবেন না, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তাঁর কার্যালয় নিশ্চিত করার আগেই বৈঠক হওয়ার কথা বলে বেড়ানো ছিল কূটনৈতিক বিচারে বড় রকম ভুল।
সরকারি কয়েকটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘সাক্ষাৎ হওয়ার’ বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করা ছিল। লন্ডনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ সাক্ষাতের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেন ব্রিটিশরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সরকারপ্রধানের জন্য শোভন নয়, এটা ব্রিটিশদের জানানো হয়। অন্যদিকে ল্যামি হোটেলে এসে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি হননি। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশরা তৃতীয় একটি স্থানে ইউনূসের সঙ্গে ল্যামির সাক্ষাতের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর সাক্ষাৎ হয়নি। ল্যামি অবশ্য পরে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্টকে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাতের জন্য পাঠান।
কেন এ দুটি বৈঠক হলো না, এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পক্ষ প্রশ্ন তুললে ব্রিটিশরা কূটনৈতিক চ্যানেলে জানান, সফরটি মূলত কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের জন্য। তারপরও বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ব্রিটিশ রাজা ও পার্লামেন্টের স্পিকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সুযোগ চাওয়ায় সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ অন্য কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হোটেলে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এর বাইরে যেহেতু সফরটি দ্বিপক্ষীয় নয়, সে কারণে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বৈঠক করবেন না। একই কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোটেলে গিয়ে সফরকারী অতিথির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না।
যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও লেবার পার্টিতে টিউলিপ, স্টারমার ও ল্যামির অবস্থান একই ঘরানায়। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে কারণে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেননি; একই কারণে ডেভিড ল্যামিও সাক্ষাৎ করেননি। প্রধানমন্ত্রী যা করেননি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেন তা করে রাজনৈতিক ঝুঁকি নেবেন?
এদিকে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক তাঁর নিজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থান করাকে একটি বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে দেখছেন। গত রোববার এক এক্স পোস্টে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গত সপ্তাহে লন্ডনে অবস্থান করাকে বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এই সফরে গণতান্ত্রিক সংস্কার, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, জলবায়ু, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ পারস্পরিক আগ্রহের অনেক বিষয় আলোচনায় এসেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা হচ্ছে, তেমনি কিছু বিষয়ে কূটনৈতিক ব্যর্থতাও দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি সফরে ১০ থেকে ১৩ জুন লন্ডন ছিলেন। এই চার দিনে তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও পার্লামেন্টের স্পিকার ডেভিড হোয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ এবং চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা করেন। এর বাইরে তাঁকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১৫টি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ছিল। তবে তাঁর এই সফরে রাজনৈতিক কারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক। দুজনের এই বৈঠককে দেশের রাজনীতির জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে গত রোববার বলেন, বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানসহ বড় ধরনের যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ডটি তার একটি স্বীকৃতি। ব্রিটিশ রাজা চার্লস ও স্পিকারের সঙ্গে সরকারপ্রধানের মতবিনিময় হয়েছে। একান্ত বৈঠক হওয়ায় এই দুই বৈঠকের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। এর বাইরে পাচার হওয়া অর্থসম্পদ ফেরানোর বিষয়ে অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের একজন সাবেক মন্ত্রীর (সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ) ব্রিটেনের সম্পদ জব্দের ঘোষণা এসেছে। আর প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকটি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভালো বার্তা দেবে। সব মিলিয়ে একটি ভালো সফর হয়েছে।
প্রেস সচিব অর্জনগুলো তুলে ধরলেও প্রধান উপদেষ্টার এই লন্ডন সফরে কিছু কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছিল বলে মনে করে কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আর এই মূল্যায়নটি এসেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক না হওয়াকে ঘিরে।
১০ মাস আগে গত আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাজ্যে যাওয়া ছিল মুহাম্মদ ইউনূসের ১১তম সফর। এসব সফরের প্রায় সবগুলোই ছিল বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে যোগদান। এমন কর্মসূচিতে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক এবং জাপানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে ইউনূসের। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় বেকায়দা পরিস্থিতি তৈরি হয় এবার।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চূড়ান্ত না করে এ নিয়ে ‘আওয়াজ’ তুলে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর।
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে কিয়ার স্টারমারের অস্বীকৃতি জানানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন অতিথি সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানানো সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। অন্যদিকে, দেশটির ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি ও নিজের নেতৃত্বাধীন সরকারের একজন [সাবেক] মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলে তা ফেরত চাওয়া হতে পারে—এমন আশঙ্কা দেখলে যুক্তরাজ্যের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে রাজি হবেন না, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তাঁর কার্যালয় নিশ্চিত করার আগেই বৈঠক হওয়ার কথা বলে বেড়ানো ছিল কূটনৈতিক বিচারে বড় রকম ভুল।
সরকারি কয়েকটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘সাক্ষাৎ হওয়ার’ বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করা ছিল। লন্ডনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ সাক্ষাতের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেন ব্রিটিশরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সরকারপ্রধানের জন্য শোভন নয়, এটা ব্রিটিশদের জানানো হয়। অন্যদিকে ল্যামি হোটেলে এসে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি হননি। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশরা তৃতীয় একটি স্থানে ইউনূসের সঙ্গে ল্যামির সাক্ষাতের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর সাক্ষাৎ হয়নি। ল্যামি অবশ্য পরে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্টকে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাতের জন্য পাঠান।
কেন এ দুটি বৈঠক হলো না, এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পক্ষ প্রশ্ন তুললে ব্রিটিশরা কূটনৈতিক চ্যানেলে জানান, সফরটি মূলত কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের জন্য। তারপরও বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ব্রিটিশ রাজা ও পার্লামেন্টের স্পিকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সুযোগ চাওয়ায় সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ অন্য কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হোটেলে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এর বাইরে যেহেতু সফরটি দ্বিপক্ষীয় নয়, সে কারণে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বৈঠক করবেন না। একই কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোটেলে গিয়ে সফরকারী অতিথির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না।
যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও লেবার পার্টিতে টিউলিপ, স্টারমার ও ল্যামির অবস্থান একই ঘরানায়। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে কারণে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেননি; একই কারণে ডেভিড ল্যামিও সাক্ষাৎ করেননি। প্রধানমন্ত্রী যা করেননি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেন তা করে রাজনৈতিক ঝুঁকি নেবেন?
এদিকে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক তাঁর নিজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থান করাকে একটি বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে দেখছেন। গত রোববার এক এক্স পোস্টে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গত সপ্তাহে লন্ডনে অবস্থান করাকে বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এই সফরে গণতান্ত্রিক সংস্কার, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, জলবায়ু, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ পারস্পরিক আগ্রহের অনেক বিষয় আলোচনায় এসেছে।
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা হচ্ছে, তেমনি কিছু বিষয়ে কূটনৈতিক ব্যর্থতাও দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি সফরে ১০ থেকে ১৩ জুন লন্ডন ছিলেন। এই চার দিনে তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও পার্লামেন্টের স্পিকার ডেভিড হোয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ এবং চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা করেন। এর বাইরে তাঁকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১৫টি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ছিল। তবে তাঁর এই সফরে রাজনৈতিক কারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক। দুজনের এই বৈঠককে দেশের রাজনীতির জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে গত রোববার বলেন, বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানসহ বড় ধরনের যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ডটি তার একটি স্বীকৃতি। ব্রিটিশ রাজা চার্লস ও স্পিকারের সঙ্গে সরকারপ্রধানের মতবিনিময় হয়েছে। একান্ত বৈঠক হওয়ায় এই দুই বৈঠকের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। এর বাইরে পাচার হওয়া অর্থসম্পদ ফেরানোর বিষয়ে অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের একজন সাবেক মন্ত্রীর (সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ) ব্রিটেনের সম্পদ জব্দের ঘোষণা এসেছে। আর প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকটি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভালো বার্তা দেবে। সব মিলিয়ে একটি ভালো সফর হয়েছে।
প্রেস সচিব অর্জনগুলো তুলে ধরলেও প্রধান উপদেষ্টার এই লন্ডন সফরে কিছু কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছিল বলে মনে করে কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আর এই মূল্যায়নটি এসেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক না হওয়াকে ঘিরে।
১০ মাস আগে গত আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাজ্যে যাওয়া ছিল মুহাম্মদ ইউনূসের ১১তম সফর। এসব সফরের প্রায় সবগুলোই ছিল বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে যোগদান। এমন কর্মসূচিতে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক এবং জাপানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে ইউনূসের। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় বেকায়দা পরিস্থিতি তৈরি হয় এবার।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চূড়ান্ত না করে এ নিয়ে ‘আওয়াজ’ তুলে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর।
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে কিয়ার স্টারমারের অস্বীকৃতি জানানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন অতিথি সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানানো সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। অন্যদিকে, দেশটির ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি ও নিজের নেতৃত্বাধীন সরকারের একজন [সাবেক] মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলে তা ফেরত চাওয়া হতে পারে—এমন আশঙ্কা দেখলে যুক্তরাজ্যের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে রাজি হবেন না, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তাঁর কার্যালয় নিশ্চিত করার আগেই বৈঠক হওয়ার কথা বলে বেড়ানো ছিল কূটনৈতিক বিচারে বড় রকম ভুল।
সরকারি কয়েকটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘সাক্ষাৎ হওয়ার’ বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করা ছিল। লন্ডনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ সাক্ষাতের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেন ব্রিটিশরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সরকারপ্রধানের জন্য শোভন নয়, এটা ব্রিটিশদের জানানো হয়। অন্যদিকে ল্যামি হোটেলে এসে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি হননি। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশরা তৃতীয় একটি স্থানে ইউনূসের সঙ্গে ল্যামির সাক্ষাতের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর সাক্ষাৎ হয়নি। ল্যামি অবশ্য পরে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্টকে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাতের জন্য পাঠান।
কেন এ দুটি বৈঠক হলো না, এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পক্ষ প্রশ্ন তুললে ব্রিটিশরা কূটনৈতিক চ্যানেলে জানান, সফরটি মূলত কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের জন্য। তারপরও বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ব্রিটিশ রাজা ও পার্লামেন্টের স্পিকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সুযোগ চাওয়ায় সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ অন্য কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হোটেলে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এর বাইরে যেহেতু সফরটি দ্বিপক্ষীয় নয়, সে কারণে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বৈঠক করবেন না। একই কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোটেলে গিয়ে সফরকারী অতিথির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না।
যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও লেবার পার্টিতে টিউলিপ, স্টারমার ও ল্যামির অবস্থান একই ঘরানায়। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে কারণে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেননি; একই কারণে ডেভিড ল্যামিও সাক্ষাৎ করেননি। প্রধানমন্ত্রী যা করেননি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেন তা করে রাজনৈতিক ঝুঁকি নেবেন?
এদিকে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক তাঁর নিজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থান করাকে একটি বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে দেখছেন। গত রোববার এক এক্স পোস্টে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গত সপ্তাহে লন্ডনে অবস্থান করাকে বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এই সফরে গণতান্ত্রিক সংস্কার, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, জলবায়ু, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ পারস্পরিক আগ্রহের অনেক বিষয় আলোচনায় এসেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা হচ্ছে, তেমনি কিছু বিষয়ে কূটনৈতিক ব্যর্থতাও দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি সফরে ১০ থেকে ১৩ জুন লন্ডন ছিলেন। এই চার দিনে তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও পার্লামেন্টের স্পিকার ডেভিড হোয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ এবং চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা করেন। এর বাইরে তাঁকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১৫টি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ছিল। তবে তাঁর এই সফরে রাজনৈতিক কারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক। দুজনের এই বৈঠককে দেশের রাজনীতির জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে গত রোববার বলেন, বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানসহ বড় ধরনের যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ডটি তার একটি স্বীকৃতি। ব্রিটিশ রাজা চার্লস ও স্পিকারের সঙ্গে সরকারপ্রধানের মতবিনিময় হয়েছে। একান্ত বৈঠক হওয়ায় এই দুই বৈঠকের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। এর বাইরে পাচার হওয়া অর্থসম্পদ ফেরানোর বিষয়ে অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের একজন সাবেক মন্ত্রীর (সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ) ব্রিটেনের সম্পদ জব্দের ঘোষণা এসেছে। আর প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকটি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভালো বার্তা দেবে। সব মিলিয়ে একটি ভালো সফর হয়েছে।
প্রেস সচিব অর্জনগুলো তুলে ধরলেও প্রধান উপদেষ্টার এই লন্ডন সফরে কিছু কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছিল বলে মনে করে কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আর এই মূল্যায়নটি এসেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক না হওয়াকে ঘিরে।
১০ মাস আগে গত আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাজ্যে যাওয়া ছিল মুহাম্মদ ইউনূসের ১১তম সফর। এসব সফরের প্রায় সবগুলোই ছিল বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে যোগদান। এমন কর্মসূচিতে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক এবং জাপানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে ইউনূসের। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় বেকায়দা পরিস্থিতি তৈরি হয় এবার।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চূড়ান্ত না করে এ নিয়ে ‘আওয়াজ’ তুলে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর।
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে কিয়ার স্টারমারের অস্বীকৃতি জানানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন অতিথি সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানানো সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। অন্যদিকে, দেশটির ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি ও নিজের নেতৃত্বাধীন সরকারের একজন [সাবেক] মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলে তা ফেরত চাওয়া হতে পারে—এমন আশঙ্কা দেখলে যুক্তরাজ্যের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে রাজি হবেন না, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তাঁর কার্যালয় নিশ্চিত করার আগেই বৈঠক হওয়ার কথা বলে বেড়ানো ছিল কূটনৈতিক বিচারে বড় রকম ভুল।
সরকারি কয়েকটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘সাক্ষাৎ হওয়ার’ বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করা ছিল। লন্ডনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ সাক্ষাতের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেন ব্রিটিশরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সরকারপ্রধানের জন্য শোভন নয়, এটা ব্রিটিশদের জানানো হয়। অন্যদিকে ল্যামি হোটেলে এসে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি হননি। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশরা তৃতীয় একটি স্থানে ইউনূসের সঙ্গে ল্যামির সাক্ষাতের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর সাক্ষাৎ হয়নি। ল্যামি অবশ্য পরে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্টকে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাতের জন্য পাঠান।
কেন এ দুটি বৈঠক হলো না, এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পক্ষ প্রশ্ন তুললে ব্রিটিশরা কূটনৈতিক চ্যানেলে জানান, সফরটি মূলত কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের জন্য। তারপরও বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ব্রিটিশ রাজা ও পার্লামেন্টের স্পিকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সুযোগ চাওয়ায় সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ অন্য কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হোটেলে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এর বাইরে যেহেতু সফরটি দ্বিপক্ষীয় নয়, সে কারণে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বৈঠক করবেন না। একই কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোটেলে গিয়ে সফরকারী অতিথির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না।
যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও লেবার পার্টিতে টিউলিপ, স্টারমার ও ল্যামির অবস্থান একই ঘরানায়। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে কারণে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেননি; একই কারণে ডেভিড ল্যামিও সাক্ষাৎ করেননি। প্রধানমন্ত্রী যা করেননি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেন তা করে রাজনৈতিক ঝুঁকি নেবেন?
এদিকে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক তাঁর নিজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থান করাকে একটি বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে দেখছেন। গত রোববার এক এক্স পোস্টে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গত সপ্তাহে লন্ডনে অবস্থান করাকে বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এই সফরে গণতান্ত্রিক সংস্কার, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, জলবায়ু, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ পারস্পরিক আগ্রহের অনেক বিষয় আলোচনায় এসেছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
২ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
৩ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন মামলাটি অনুমোদন করে। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
দুদক সূত্রটি জানায়, আসামিদের কাছে সম্পদের উৎস ও সম্পদের বিবরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আত্মগোপনে থাকা এই দম্পতি দুদকের নোটিশের জবাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে বলে দুদক সূত্রটি জানিয়েছে।
সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি সরকারের পক্ষে গণমাধ্যমে অন্যতম সক্রিয় মুখ ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত থেকে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস না করেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়, যার ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন মামলাটি অনুমোদন করে। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
দুদক সূত্রটি জানায়, আসামিদের কাছে সম্পদের উৎস ও সম্পদের বিবরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আত্মগোপনে থাকা এই দম্পতি দুদকের নোটিশের জবাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে বলে দুদক সূত্রটি জানিয়েছে।
সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি সরকারের পক্ষে গণমাধ্যমে অন্যতম সক্রিয় মুখ ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত থেকে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস না করেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়, যার ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা...
১৭ জুন ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
২ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
৩ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিরা, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানেরা, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সব জেলা পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।
পুলিশপ্রধান নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কেও প্রচারণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেন। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি গুম কমিশনে অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মামলা রুজু করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। তিনি মামলা তদন্তের গুণগত মান বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিরা, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানেরা, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সব জেলা পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।
পুলিশপ্রধান নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কেও প্রচারণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেন। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি গুম কমিশনে অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মামলা রুজু করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। তিনি মামলা তদন্তের গুণগত মান বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা...
১৭ জুন ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
৩ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এনসিপির দাবি করা শাপলা প্রতীকের বিষয়ে সাংবাদিকেরা কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্বের অবস্থান থেকে ভিন্ন কোনো প্রস্তাব বা তথ্য আমার জানা নেই। কমিশন আগেই বলেছিল, তারা নিজ বিবেচনায় প্রতীক বরাদ্দ করবে।’
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই। যে দলগুলো নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে, কমিশন স্ববিবেচনায় তাদের প্রতীক দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।’
প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার আইনি ব্যাখ্যা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করেছে, এটা তফসিলে রাখার দরকার নাই। এটার ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা চাইলে আইনজ্ঞকে জিজ্ঞেস করতে হবে।’
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশন প্রাথমিকভাবে ২২টি দলকে সম্ভাব্যভাবে যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এসব দলের বিষয়ে মাঠপর্যায় থেকে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।’
স্থানীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াও এই সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এনসিপির দাবি করা শাপলা প্রতীকের বিষয়ে সাংবাদিকেরা কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্বের অবস্থান থেকে ভিন্ন কোনো প্রস্তাব বা তথ্য আমার জানা নেই। কমিশন আগেই বলেছিল, তারা নিজ বিবেচনায় প্রতীক বরাদ্দ করবে।’
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই। যে দলগুলো নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে, কমিশন স্ববিবেচনায় তাদের প্রতীক দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।’
প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার আইনি ব্যাখ্যা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করেছে, এটা তফসিলে রাখার দরকার নাই। এটার ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা চাইলে আইনজ্ঞকে জিজ্ঞেস করতে হবে।’
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশন প্রাথমিকভাবে ২২টি দলকে সম্ভাব্যভাবে যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এসব দলের বিষয়ে মাঠপর্যায় থেকে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।’
স্থানীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াও এই সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা...
১৭ জুন ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
২ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের আপামর জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সর্বমহলের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। সবার প্রত্যাশা—বাংলাদেশ পুলিশ সামনের জাতীয় নির্বাচনে এমন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়।’ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে আপনারা কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নন; আপনারা জনগণের নিরাপত্তা, আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতীক।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের আপামর জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সর্বমহলের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। সবার প্রত্যাশা—বাংলাদেশ পুলিশ সামনের জাতীয় নির্বাচনে এমন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়।’ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে আপনারা কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নন; আপনারা জনগণের নিরাপত্তা, আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতীক।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা...
১৭ জুন ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
২ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
৩ ঘণ্টা আগে