নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে পৃথক্করণ খসড়া অধ্যাদেশ না জানিয়েই অনুমোদনের পরে ফুঁসে উঠেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাজস্ব খাতের প্রধান এ সংস্থার পৃথক্করণ চান না তাঁরা। এনবিআর বহাল রেখে সংস্কার চান কর্মকর্তারা। এর ধারাবাহিকতায় ঐক্য গঠন করে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনে নামছেন তাঁরা।
আজ সোমবার এনবিআরের সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী মঙ্গলবার থেকে এনবিআরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ট্যাক্স, কাস্টমস-ভ্যাট ক্যাডার কর্মকর্তা এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি যৌথ প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘এনবিআর সংস্কার পরিষদ’। মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে শুরু হবে আন্দোলন।
তবে পরিষদের কোনো আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এনবিআরের কাস্টমস-ভ্যাট এবং আয়কর—এই দুই ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচ থেকে কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে কমিটি কিংবা নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে।
এনবিআর বিলুপ্তি হয়ে রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন থেকে সরাসরি চলে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বিলুপ্তিতে এনবিআরের মাঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জোরালো আপত্তি নেই। তবে আপত্তি হলো এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ গঠনের মাধ্যমে একটি ‘বিশেষ ক্যাডারের’ আধিপত্যকে পাকাপোক্ত করার বিরুদ্ধে তাঁরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তুমুল বিরোধিতার মধ্যেই বিলুপ্ত হচ্ছে এনবিআর। বিলুপ্তি ও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন এনবিআরের দুই ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সঙ্গে অংশীজন হিসেবে কর আইনজীবীরাও রয়েছেন।
২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর এনবিআর সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি গঠন করেছিল সরকার। দেশে বিভিন্ন সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশে কোনো গোপনীয়তা না থাকলেও এই কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশে শুরু থেকেই ছিল গোপনীয়তা। অভিযোগ আছে, এই কমিটি সরকারের কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল, খসড়া অধ্যাদেশে তার খুব বেশি রাখা হয়নি।
পরামর্শক কমিটির সদস্য ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ ও আমিনুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে রিপোর্ট দিয়েছি, সেভাবে আইনের খসড়া হয়নি। আমরা যে সুপারিশ দিয়েছি, সেখান থেকে সরকার কতটুকু নেবে, সে ব্যাপারে আমাদের কোনো হাত নেই।’
তবে দুই ক্যাডারের কর্মকর্তা ও অংশীজনদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই এনবিআর পৃথক্করণ খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদনের পর সোমবার অধ্যাদেশের গেজেট জারি হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বড় জমায়েত করেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তাদের প্রশ্ন—এনবিআরের সংস্কার না করে পৃথক্করণের নামে সংস্থাটি বিলুপ্ত করে আদতে কার লাভ হচ্ছে। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে ‘একটি বিশেষ ক্যাডারের’ কর্মকর্তা সর্বোচ্চ পদে আসীন। নতুন করে দুটি বিভাগ করে আরও একজনকে বসানোর জন্যই তড়িঘড়ি অধ্যাদেশটি করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমান বাস্তবতায় এটা ক্যাডার সার্ভিসের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এনবিআরের দুই ক্যাডারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই এই অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হলে কঠোর আন্দোলনের কথাও জানান তাঁরা।
অস্তিত্বের সংকট উপলব্ধি করে কর্মকর্তারা এদিন এনবিআরে জড়ো হন। কর্মকর্তাদের অভিযোগ, খসড়া অধ্যাদেশটির ভেটিং কৌশলে দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই খসড়া বাতিল ও এনবিআর বিলুপ্ত না করার দাবি জানানো হয়েছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, এনবিআর সংস্কারের প্রতিটি ধাপে চরম গোপনীয়তা নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। তবে গোপনীয়তা সত্ত্বেও খসড়া অধ্যাদেশ প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরই মধ্যে খসড়া অধ্যাদেশ বাতিল চেয়ে আলাদা বিবৃতিও দিয়েছে কাস্টমস ও আয়কর ক্যাডারদের সংগঠন।
এ ছাড়া দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার থেকে রাজস্ব ভবনে প্রায় প্রতিদিন জড়ো হচ্ছেন এনবিআরে কর্মরত দুই ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কাস্টমস ও আয়করের নন-ক্যাডার কর্মকর্তারাও।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে পৃথক্করণ খসড়া অধ্যাদেশ না জানিয়েই অনুমোদনের পরে ফুঁসে উঠেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাজস্ব খাতের প্রধান এ সংস্থার পৃথক্করণ চান না তাঁরা। এনবিআর বহাল রেখে সংস্কার চান কর্মকর্তারা। এর ধারাবাহিকতায় ঐক্য গঠন করে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনে নামছেন তাঁরা।
আজ সোমবার এনবিআরের সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী মঙ্গলবার থেকে এনবিআরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ট্যাক্স, কাস্টমস-ভ্যাট ক্যাডার কর্মকর্তা এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি যৌথ প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘এনবিআর সংস্কার পরিষদ’। মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে শুরু হবে আন্দোলন।
তবে পরিষদের কোনো আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এনবিআরের কাস্টমস-ভ্যাট এবং আয়কর—এই দুই ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচ থেকে কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে কমিটি কিংবা নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে।
এনবিআর বিলুপ্তি হয়ে রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন থেকে সরাসরি চলে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বিলুপ্তিতে এনবিআরের মাঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জোরালো আপত্তি নেই। তবে আপত্তি হলো এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ গঠনের মাধ্যমে একটি ‘বিশেষ ক্যাডারের’ আধিপত্যকে পাকাপোক্ত করার বিরুদ্ধে তাঁরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তুমুল বিরোধিতার মধ্যেই বিলুপ্ত হচ্ছে এনবিআর। বিলুপ্তি ও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন এনবিআরের দুই ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সঙ্গে অংশীজন হিসেবে কর আইনজীবীরাও রয়েছেন।
২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর এনবিআর সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি গঠন করেছিল সরকার। দেশে বিভিন্ন সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশে কোনো গোপনীয়তা না থাকলেও এই কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশে শুরু থেকেই ছিল গোপনীয়তা। অভিযোগ আছে, এই কমিটি সরকারের কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল, খসড়া অধ্যাদেশে তার খুব বেশি রাখা হয়নি।
পরামর্শক কমিটির সদস্য ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ ও আমিনুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে রিপোর্ট দিয়েছি, সেভাবে আইনের খসড়া হয়নি। আমরা যে সুপারিশ দিয়েছি, সেখান থেকে সরকার কতটুকু নেবে, সে ব্যাপারে আমাদের কোনো হাত নেই।’
তবে দুই ক্যাডারের কর্মকর্তা ও অংশীজনদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই এনবিআর পৃথক্করণ খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদনের পর সোমবার অধ্যাদেশের গেজেট জারি হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বড় জমায়েত করেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তাদের প্রশ্ন—এনবিআরের সংস্কার না করে পৃথক্করণের নামে সংস্থাটি বিলুপ্ত করে আদতে কার লাভ হচ্ছে। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে ‘একটি বিশেষ ক্যাডারের’ কর্মকর্তা সর্বোচ্চ পদে আসীন। নতুন করে দুটি বিভাগ করে আরও একজনকে বসানোর জন্যই তড়িঘড়ি অধ্যাদেশটি করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমান বাস্তবতায় এটা ক্যাডার সার্ভিসের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এনবিআরের দুই ক্যাডারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই এই অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হলে কঠোর আন্দোলনের কথাও জানান তাঁরা।
অস্তিত্বের সংকট উপলব্ধি করে কর্মকর্তারা এদিন এনবিআরে জড়ো হন। কর্মকর্তাদের অভিযোগ, খসড়া অধ্যাদেশটির ভেটিং কৌশলে দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই খসড়া বাতিল ও এনবিআর বিলুপ্ত না করার দাবি জানানো হয়েছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, এনবিআর সংস্কারের প্রতিটি ধাপে চরম গোপনীয়তা নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। তবে গোপনীয়তা সত্ত্বেও খসড়া অধ্যাদেশ প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরই মধ্যে খসড়া অধ্যাদেশ বাতিল চেয়ে আলাদা বিবৃতিও দিয়েছে কাস্টমস ও আয়কর ক্যাডারদের সংগঠন।
এ ছাড়া দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার থেকে রাজস্ব ভবনে প্রায় প্রতিদিন জড়ো হচ্ছেন এনবিআরে কর্মরত দুই ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কাস্টমস ও আয়করের নন-ক্যাডার কর্মকর্তারাও।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরিণত হয়। গত জুলাইয়ের এই অভ্যুত্থানে অনেক দল, সংগঠন, প্ল্যাটফর্ম, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দূরত্ব ও অস্থিরতা দিন দিন বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এই প্রজ্ঞাপন যেসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না—তা উল্লেখ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি এই বিধি-নিষেধ জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনতুন সিআইডি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ। সোমবার (১২ মে) সিআইডি প্রধান হিসেবে যোগদান করেন তিনি। সিআইডির ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত এক পোস্টে এই তথ্য জানা যায়।
৫ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। এরপরই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে কমিশন সভা হয়।
৮ ঘণ্টা আগে