অনলাইন ডেস্ক
জুলাই অভ্যুত্থানকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিচার ও দল হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ‘আপত্তিকর স্লোগান’ ওঠার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি পক্ষ সচেতনভাবে এটি করেছে। এর দায় এনসিপি নেবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড জাতীয় ঐক্য নবায়নের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে বলেও উল্লেখ করে দলটি।
আজ সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে জুলাই মঞ্চ থেকে ‘গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’-এ ধরনের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। এ ছাড়া সেখানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় একটি পক্ষের বাধা দেওয়ার খবরও এসেছে।
এনসিপি এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলেছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা, এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করার দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মত, পক্ষ এবং সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করলেও একটি পক্ষ সচেতনভাবে দলীয় স্লোগান এবং বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রাম বিরোধী স্লোগান দিয়েছে। যা জুলাই পরবর্তী সময়ে সাম্প্রতিক আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য নবায়নের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।
আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির কোনো সদস্য সাম্প্রতিক আন্দোলনে দলীয় স্লোগান কিংবা এই জনপদের মানুষের সংগ্রাম ও ইতিহাস বিরোধী কোনো স্লোগান দেয়নি। ফলে যেসব আপত্তিকর স্লোগান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষটিকেই বহন করতে হবে। এনসিপিকে এর সঙ্গে জড়ানো সম্পূর্ণ অহেতুক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। বরং এনসিপি সদস্যদের বক্তৃতা ও স্লোগানে এই জনপদের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায়সমূহ তথা ১৯৪৭,১৯৭১ এবং ২০২৪-এর প্রতিফলন ছিল। আমরা আরও লক্ষ করেছি, আন্দোলনকারীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সময় একটি পক্ষ আপত্তি জানালেও তারা দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায়সমূহ তথা, ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ এর যথাযথ স্বীকৃতি এবং মর্যাদা বাংলাদেশে রাজনীতি করার পূর্বশর্ত। যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, আমরা চাই তারা নিজেদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান জাতির সামনে ব্যাখ্যা করে জাতীয় সমঝোতা ও ঐক্যকে সুদৃঢ় করবে এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে সহযোগী হবে।
বিগত ফ্যাসিবাদী জমানায় নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষে চব্বিশের অভ্যুত্থানে যারা ভূমিকা পালন করেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের আবশ্যিকভাবে ‘বাংলাদেশপন্থী’ ভূমিকা পালন করে যেতে হবে। এনসিপি মনে করে, কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষের পূর্বেকার রাজনৈতিক অবস্থান বা আদর্শের কারণে ইতিপূর্বের বিভাজন ও অনৈক্যের রাজনীতির সূত্রপাত ঘটলে, সংশ্লিষ্ট দল বা পক্ষের দায় রয়েছে বাংলাদেশের মানুষের সামনে নিজেদের সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাতীয় ঐক্যের পথে হাঁটার। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুজিববাদকে সামগ্রিকভাবে পরাস্ত করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
জুলাই অভ্যুত্থানকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিচার ও দল হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ‘আপত্তিকর স্লোগান’ ওঠার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি পক্ষ সচেতনভাবে এটি করেছে। এর দায় এনসিপি নেবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড জাতীয় ঐক্য নবায়নের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে বলেও উল্লেখ করে দলটি।
আজ সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে জুলাই মঞ্চ থেকে ‘গোলাম আযমের বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’-এ ধরনের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। এ ছাড়া সেখানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় একটি পক্ষের বাধা দেওয়ার খবরও এসেছে।
এনসিপি এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলেছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা, এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করার দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মত, পক্ষ এবং সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করলেও একটি পক্ষ সচেতনভাবে দলীয় স্লোগান এবং বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রাম বিরোধী স্লোগান দিয়েছে। যা জুলাই পরবর্তী সময়ে সাম্প্রতিক আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য নবায়নের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।
আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির কোনো সদস্য সাম্প্রতিক আন্দোলনে দলীয় স্লোগান কিংবা এই জনপদের মানুষের সংগ্রাম ও ইতিহাস বিরোধী কোনো স্লোগান দেয়নি। ফলে যেসব আপত্তিকর স্লোগান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষটিকেই বহন করতে হবে। এনসিপিকে এর সঙ্গে জড়ানো সম্পূর্ণ অহেতুক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। বরং এনসিপি সদস্যদের বক্তৃতা ও স্লোগানে এই জনপদের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায়সমূহ তথা ১৯৪৭,১৯৭১ এবং ২০২৪-এর প্রতিফলন ছিল। আমরা আরও লক্ষ করেছি, আন্দোলনকারীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সময় একটি পক্ষ আপত্তি জানালেও তারা দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক সংগ্রামের অধ্যায়সমূহ তথা, ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ এর যথাযথ স্বীকৃতি এবং মর্যাদা বাংলাদেশে রাজনীতি করার পূর্বশর্ত। যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, আমরা চাই তারা নিজেদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান জাতির সামনে ব্যাখ্যা করে জাতীয় সমঝোতা ও ঐক্যকে সুদৃঢ় করবে এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে সহযোগী হবে।
বিগত ফ্যাসিবাদী জমানায় নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষে চব্বিশের অভ্যুত্থানে যারা ভূমিকা পালন করেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের আবশ্যিকভাবে ‘বাংলাদেশপন্থী’ ভূমিকা পালন করে যেতে হবে। এনসিপি মনে করে, কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষের পূর্বেকার রাজনৈতিক অবস্থান বা আদর্শের কারণে ইতিপূর্বের বিভাজন ও অনৈক্যের রাজনীতির সূত্রপাত ঘটলে, সংশ্লিষ্ট দল বা পক্ষের দায় রয়েছে বাংলাদেশের মানুষের সামনে নিজেদের সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাতীয় ঐক্যের পথে হাঁটার। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুজিববাদকে সামগ্রিকভাবে পরাস্ত করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
আজ রাত ১১টার দিকে ডা. শফিকুর রহমান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে নিজের স্বাস্থ্যগত অবস্থার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, তাঁর অসুস্থতার কারণে সমাবেশে যে বিঘ্ন ঘটেছে, সে জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
৩ মিনিট আগেসংসদের নিম্নকক্ষ, উচ্চকক্ষ ও সংরক্ষিত নারী আসন—সব ক্ষেত্রেই ভোটের সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চায় জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি দলের অবস্থান এর বিপক্ষে। এই অবস্থায় পিআর পদ্ধতিতে ভোটের ঘোষণা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত। সেই দাবি মানা না হলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে
১ ঘণ্টা আগেসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে হেঁটে বের হন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁকে হাসপাতালে যেতে বলেছেন, সে জন্য তিনি এসেছেন।
১ ঘণ্টা আগে