Ajker Patrika

বাহাত্তরের সংবিধান, জুলাই সনদ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে আইন উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

হুসাইন আহমদ, ঢাকা
আপডেট : ১২ মে ২০২৫, ১৩: ১২
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনায় স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধান বাতিল বা পুনর্লিখনের প্রস্তাব তুলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। বিষয়টি নানামুখী আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের কেউ কেউ ‘বাহাত্তরের সংবিধানের কবর রচনার’ কথা বলে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আজ রোববার রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশনের আয়োজনে ‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন আসিফ নজরুল। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও নাগরিক কোয়ালিশনের সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম। সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান।

প্রস্তাবিত সাতটি বিষয় ছিল : নিম্নকক্ষের ভোটের আনুপাতিক ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন, সাংবিধানিক নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কার্যকরী ভূমিকা ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর চালু, নারীদের সরাসরি নির্বাচনের সুযোগ বৃদ্ধি ও জুলাই সনদকে ভিত্তি করে একটি নতুন সাংবিধানিক রূপরেখা প্রণয়ন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, জাতীয় সংসদ সংবিধান সংশোধন করে, সাংবিধানিক পরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে বহুদিন লাগতে পারে। কোনো দেশে ৮-৯ বছরও লেগেছে। এর মধ্যে সংসদ প্রয়োজনে বাহাত্তরের সংবিধান সংশোধন করবে। নতুন সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সংসদ সংবিধান পরিচালক হিসেবে কাজ করবে।

জুলাই সনদ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংসদের উচ্চকক্ষ, প্রধান বিচারপতির ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা। তাঁর সেই বক্তব্যের চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো:—

বাহাত্তরের সংবিধান ও সংসদের ভূমিকা

নাগরিক জোটের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথরেখা ‘খুবই ভালো হয়েছে’ মন্তব্য করে নিজের বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন আসিফ নজরুল। আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর নজির আছে। এটা খুবই সাংবিধানিক ও বৈধ পদ্ধতি। সংসদই সংবিধান পরিষদের কাজ করবে। নেপাল, শ্রীলঙ্কাতে তা-ই হয়েছে। তবে সংসদ সংবিধান প্রণয়নে খুব অল্প সময় দিতে পারে। সপ্তাহে দুদিন সংবিধান পরিষদের কাজ করে। একটা সংবিধান পরিষদ যে জাতীয় সংসদ হিসেবে কাজ, সে তার সম্পূর্ণ সময়ের খুব বেশি হলে ৫০ শতাংশ সময় এখানে দিতে পারবে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এরকম একটা সংবিধান পরিষদ ৯০ দিনে সংবিধান রচনা করে ফেলবে, এটা মনে হচ্ছে একটু উচ্চাশা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ৯০ দিনের মধ্যে যদি তারা করতে না পারে, তাহলে এক্সিস্টিং কনস্টিটিউশন কন্টিনিউ করবে? এখানে হচ্ছে আমার আপত্তি! শোনেন, জাতীয় সংসদ সংবিধান সংশোধন করে, সংবিধান পরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে এমন উদাহরণ আছে, আট-নয় বছর লেগেছে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে বহুদিন লাগতে পারে। এখন এই পর্যন্ত আমি বাহাত্তরের সংবিধান কন্টিনিউ করব?

তাঁর প্রস্তাব হলো— আগামী নির্বাচন হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জাতীয় সংসদই সংবিধান পরিষদ হিসেবে নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ করবে। নতুন সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বাহাত্তরের সংবিধান চলবে। সংসদ এতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘এটা আপনাদের ইনক্লুড করতে হবে যে গণপরিষদ হিসেবে যখন সে কাজ করবে, সে নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ করতে থাকবে। ওটা করতে আমার ধারণা দু-তিন বছর লাগতে পারে। এই দু-তিন বছর কি আমি বাহাত্তরের সংবিধান বহন করব? এই দু-তিন বছরের জন্য তারা যখন জাতীয় সংসদ হিসেবে কাজ করবে, তখন তারা সংসদের কিছু ফান্ডামেন্টাল এমেন্ডমেন্ট আনবে।’

এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সংসদ সদস্যদের ৮৯ দিন পর্যন্ত সংসদে অনুপস্থিত থাকার সুযোগের মতো মৌলিক বিষয়ে পরিবর্তন আনার ‘সমাজে বহু বছর যাবৎ ঐক্য আছে’ বলে আইন উপদেষ্টা মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এই ফান্ডামেন্টাল জিনিসগুলা যেটা আমরা সবাই সারা জীবন ধরে বলে আসছি— এগুলো জাতীয় সংসদ পরিবর্তন করতেই থাকবে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন কবে হবে— এ জন্য আমি বাহাত্তরের বোঝা কেন বহন করব? এটা আপনাদের অবশ্যই ইনক্লুড করতে হবে।’

জুলাই সনদের ভূমিকা নিয়ে সংশয়

জুলাই সনদ নিয়ে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মত দেন আসিফ নজরুল। তাঁর মতে, সবাই এই সনদের সবকিছুর সঙ্গে একমত হবেন—এমন আশা বাস্তবসম্মত নয়।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্বিতীয় যে পথরেখাটা দিয়েছেন, সেখানে আমার মনে হচ্ছে, টু মাচ এমফেসিস দেওয়া হয়েছে জুলাই সনদের ওপর। জুলাই সনদে কি এত কিছুই থাকবে? এটা কি সংবিধানের ভিত্তি হবে? তাহলে জুলাই সনদ হবে নাকি আমার সন্দেহ আছে! জুলাই সনদের ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে... মনে হচ্ছে, আমরা এটা ধরেই নিয়েছি, সবাই জুলাই সনদের ওপর অনেক কিছুর বিষয়ে একমত হবে। এটা এত সহজ হবে না, হয়তো এমন হতে পারে জুলাই সনদের মোস্ট ফান্ডামেন্টাল জিনিস রাখা সম্ভব হতে পারে। এটা একটু ভেবে দেখেন! বাট নতুন চিন্তা, খুবই ভালো।’

উচ্চকক্ষ গঠনের যুক্তি ও ঝুঁকি

উচ্চকক্ষকে অত্যন্ত ক্ষমতাধর করে তোলার প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে যে ফ্রাঙ্কলি স্পিকিং.. উচ্চকক্ষকে অনেক বেশি ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, এত ক্ষমতাই যদি উচ্চকক্ষকে দেন, তাহলে উচ্চকক্ষে বিএনপি-জামায়াত এবং নাহিদের দল তাদেরকেই নিয়োগ দেবে, যারা দলদাস হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে উচ্চকক্ষের ওপর অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটাকে আপনারা একটু রেশনালাইজ করার চেষ্টা করেন, সবকিছু তারা করতে পারবে কি না।

নতুন কমিশনের পরিবর্তে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করার আহ্বান

আসিফ নজরুল নতুন নতুন কমিশন গঠনের পরিবর্তে উচ্চ আদালত ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোকে কার্যকর করার ওপর জোর দেন। বিশেষ করে, স্বরাষ্ট্র, আইন ও অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর সভাপতিত্ব বিরোধী দলের হাতে দিলে জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন নতুন অনেক কমিশনের প্রস্তাব করা হয়েছে এখানে। আমাদের এখানে তো অলরেডি অনেক কমিশন আছে। আমরা সব সময় যে জিনিসটা বিশ্বাস করি কি আমরা যখন কোনো সংস্কার ভাবনাতেই যাই। আমরা সব সময়, ‘নতুন নতুন কমিশন করতে হবে’ করি। আপনি খেয়াল করে দেখেন, আমরা ছোটবেলা থেকে বলেছি, সরকারের তিনটা অর্গান থাকবে— একটা হচ্ছে এক্সিকিউটিভ, একটা হচ্ছে জুডিশিয়ারি, একটা হচ্ছে সংসদ। আমাদের এখানে সবচেয়ে ফান্ডামেন্টাল যে দুইটা জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান আছে, সবচেয়ে আদিম ফান্ডামেন্টাল একটা হচ্ছে উচ্চ আদালত, আরেকটা হচ্ছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘উচ্চ আদালত আর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে যদি ঠিকমতো গঠন করা যায়, ক্ষমতা দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের এত নতুন নতুন কমিশন লাগে না। আমাদের যে নতুন কমিশনগুলো হয়েছে, দেখেন ইনফরমেশন কমিশন, তারপরে যে আমাদের নতুন কমিশন হয়েছে আপনার হিউম্যান রাইটস কমিশন, কম্পিটিশন কমিশন, কী রেজাল্ট দিয়েছে? আপনারা বরং এক্সিস্টিং যে প্রতিষ্ঠান আছে, সেটাকে আরও কত বেগবান করা যায়...। আপনারা যেমন স্থায়ী কমিটির কথা বলেছেন, স্থায়ী কমিটির ক্ষেত্রে কয়েকটা কমিটির কথা বলেছেন, ওটা যেন অবশ্যই হেডেড বাই বিরোধী দলের নেতা হয়।’

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নয়, ক্ষমতা হ্রাস

নাগরিক জোটের প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই বছর করার প্রস্তাব জনপ্রিয় হলেও সেটি একনায়কতন্ত্র প্রতিরোধে যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল। প্রধানমন্ত্রীর সংবিধানগত ক্ষমতা হ্রাস করাকেই তিনি বেশি গুরুত্ব দেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আরেকটা জিনিস একটু বলি যে, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ যে দুই বছর আপনারা বলেন— এটা খুব জনপ্রিয় দাবি, আমারও দাবি। আমি দেখলাম যেকোনো একটা সময়.. সম্ভবত সালাহউদ্দিন ভাই বা বিএনপির একজনই কোথাও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই বছর পৃথিবীর কোন দেশে আছে? আপনি প্রধানমন্ত্রী দুই বছর বললেই শুধু হবে না, কনভিন্সিং আর্গুমেন্ট করতে হবে তো যে, পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে সেটা বের করেন, বের করে তারপর দেখেন হয় কি না। কারণ প্রধানমন্ত্রী দুই বছরের মেয়াদ কিন্তু কোথাও নাই আসলে। আপনি ইন্ডিয়া বলেন, ইউকে বলেন, কোথাও কিন্তু নাই।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে যে সিস্টেম, দুই বছর দুইটা মেয়াদও যদি রাখেন, একনায়কতন্ত্র সম্ভব। ধরেন দুই মেয়াদের জন্য সালাহউদ্দিন ভাই প্রধানমন্ত্রী হলেন, ধরেন তারপরে দুই মেয়াদে হবে উনার স্ত্রী, তারপরে দুই মেয়াদে হবে উনার সন্তান। শুধু দুই মেয়াদ সলিউশন না। সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট একটা জিনিস প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাটা কমায় দেন। আমি সব সময় একটা জিনিস বলি, ফান্ডামেন্টাল একটা জিনিস, ভারতে বলে যে রাষ্ট্রপতি ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্যাবিনেটের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। আর আমাদের এখানে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। ফলে এই প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাটাকে এড্রেস করেন, মেয়াদটাও নির্দিষ্ট দরকার আছে। কিন্তু কনভিন্সিং আর্গুমেন্টে এস্টাবলিশ করতে হবে।’

প্রধান বিচারপতির ‘অসীম’ ক্ষমতার সমালোচনা

আসিফ নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে একটা মাত্র ব্যক্তিকে স্বাধীনভাবে নিয়োগ করা যায়, চিফ জাস্টিস। রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে নিয়োগ করতে পারে এবং বাংলাদেশের সংবিধানে চিফ জাস্টিসের অসীম ক্ষমতা! আপনারা শুধু প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা দেখেন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সবচেয়ে দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হচ্ছে চিফ জাস্টিস। চিফ জাস্টিস কি করতে পারেন, ইতিহাস তো আপনাদের মনে আছে। যাই হোক, একজন চিফ জাস্টিসের কারণে আমাদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। উনার আবার অন্য রকমভাবে কন্ট্রিবিউশন আছে। তা আমি যে জিনিসটা বলতে চাচ্ছি, চিফ জাস্টিসের যে ক্ষমতা, এই চিফ জাস্টিসের ক্ষমতা আপনার অসীম!’

তাঁর মতে, এটি এককেন্দ্রিক ক্ষমতা, যা রাজনৈতিক অপব্যবহারের ঝুঁকি তৈরি করে। সংবিধান বিষয়ে ২০-২৫ বছরের অধ্যাপনার কথা তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক বলেন, ‘শুধুমাত্র এই কারণে.... শুধুমাত্র এই কারণে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতি— এই দুইটা পদেই দাস শ্রেণির লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এত ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির! যেকোনো বেঞ্চ উনি ভেঙে দিতে পারেন একা! যেকোনো বেঞ্চ পুনর্গঠন করতে পারেন!’

এই ক্ষমতার দলীয় অপব্যবহারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এসে করবে কী? আওয়ামী লীগপন্থী যে জাজগুলো আছে, ওদের সবচেয়ে আনইম্পর্টেন্ট বেঞ্চ দেবে বা বেঞ্চই দেবে না। আর নিজেদের রিক্রুট যারা আছে, তাদেরকে ফান্ডামেন্টাল রাইটস শোনার বা ক্রিমিনাল জুরিসডিকশনের বেঞ্চ, ওগুলি দেবে। বাকিগুলোকে সিভিল ম্যাটার, কোম্পানি ম্যাটার এরকম... নয়তো বেঞ্চই দেবে না। একটা লোক পুরো বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের মানবাধিকারের বিচার কন্ট্রোল করতে পারেন, একটা লোক, জাস্ট চিফ জাস্টিস।’

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, সংবিধান সংস্কার একটি দীর্ঘ, জটিল এবং বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া। এখানে আবেগ নয়, বাস্তবতা ও আইনি ভারসাম্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। জুলাই সনদ কিংবা উচ্চকক্ষ— সবকিছুর ওপর অতিরিক্ত নির্ভর না করে একটি অন্তর্বর্তী সাংবিধানিক রূপরেখার মাধ্যমে ধাপে ধাপে সংস্কারের পথে এগোনোর আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

বাহাত্তরের সংবিধান, জুলাই সনদ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে আইন উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তাকে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত