নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিবন্ধন হারানো রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অন্য নামে আসলেও তাদের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তবে আদালত যদি কোনো আদেশ দেন সে ক্ষেত্রে মানতেই হবে ইসিকে। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এমন মন্তব্য করেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। তাই ওই দলের ব্যক্তিরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই।’
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে তখন ইসি থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। পরে ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সালে গেজেট হয়।
জামায়াত ইসলামের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, এই ধরনের প্রশ্নের কোনো উত্তর হয় না। তবে যেহেতু আদালত বলেছেন, তাহলে দেওয়া কোনো সুযোগ নেই।
যদি নতুন করে আবেদন করে একই মানুষ, কিন্তু ভিন্ন দল; তাহলে কী সুযোগ আছে-এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘একই মানুষ আসবে কি-না, তাতো আর বলতে পারব না। যারা আবেদন করছেন, যদি দেখি যে ক্রাইটেরিয়া মেলে না, তাহলে তো দিতে পারব না।’
অন্য নামেও হলে কি নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ আছে, এই প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘অন্য নামে হলেও তো জিনিস তো একই। দলের গঠনতন্ত্র যদি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ হয়, তাহলে তো কোনো সুযোগ নেই। কোর্ট যদি কোনো আদেশ দেয় সেটা ভিন্ন কথা। কোর্টের আদেশ তো মানতে হবে।’
নতুন দল সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট কি গোয়েন্দার সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয়—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত নয়। আইনে আছে আমাদের কর্মকর্তারাই তদন্ত করবেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ইসি আলমগীর কথা বলেন নির্বাচন প্রসঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, ‘কোনো দল নির্বাচনে আসা, না আসা গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই অধিকার আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারব না। তারা কী ধরনের সহযোগিতা চায় তা আমাদের কাছে এসে বলতে হবে এবং এমন সহায়তা চাইবে যেটা নির্বাচন কমিশনের দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এখন একটা দল যদি বলে আমাদের ফান্ড দিতে হবে, সেটা দেওয়ার ক্ষমতা তো আমাদের নেই। যারা আলোচনা করেছেন ইভিএমে নিয়ে, মতামত দিয়েছে তাদেরকেই আমরা আমলে নিয়েছি। বিএনপি তো আলোচনায় আসেনি। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে ইভিএমের পক্ষেই বেশি বলেছেন।’
১৫০ আসনের ইভিএমে ভোট করার বিষয়ে আলমগীর বলেন, ‘ইসি সচিবালয় বলেছে সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা। বর্তমানে যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অস্থিরতা আছে। এখন কতটুকু কেনা সম্ভব হবে সেটা বলতে পারছি না। আমরা বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ইভিএম নিই। তারাও তো নিজেরা তৈরি করে না, বিদেশে থেকে আনে। সচিবালয় বলেছে আগামী তিন মাসের মধ্যে তারা প্রজেক্ট করতে পারবে। পরবর্তীতে ক্রয় ও প্রশিক্ষণে তারা যেতে পারবে বলে মনে করছে। যদি বিদেশ থেকে আনতে এবং ফান্ড নিয়ে কোনো সমস্যা না হয় তাহলে ১৫০ আসনে সম্ভব।’
নিবন্ধন হারানো রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অন্য নামে আসলেও তাদের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তবে আদালত যদি কোনো আদেশ দেন সে ক্ষেত্রে মানতেই হবে ইসিকে। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এমন মন্তব্য করেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। তাই ওই দলের ব্যক্তিরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই।’
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে তখন ইসি থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। পরে ২৯ অক্টোবর ২০১৮ সালে গেজেট হয়।
জামায়াত ইসলামের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, এই ধরনের প্রশ্নের কোনো উত্তর হয় না। তবে যেহেতু আদালত বলেছেন, তাহলে দেওয়া কোনো সুযোগ নেই।
যদি নতুন করে আবেদন করে একই মানুষ, কিন্তু ভিন্ন দল; তাহলে কী সুযোগ আছে-এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘একই মানুষ আসবে কি-না, তাতো আর বলতে পারব না। যারা আবেদন করছেন, যদি দেখি যে ক্রাইটেরিয়া মেলে না, তাহলে তো দিতে পারব না।’
অন্য নামেও হলে কি নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ আছে, এই প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘অন্য নামে হলেও তো জিনিস তো একই। দলের গঠনতন্ত্র যদি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ হয়, তাহলে তো কোনো সুযোগ নেই। কোর্ট যদি কোনো আদেশ দেয় সেটা ভিন্ন কথা। কোর্টের আদেশ তো মানতে হবে।’
নতুন দল সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট কি গোয়েন্দার সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয়—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত নয়। আইনে আছে আমাদের কর্মকর্তারাই তদন্ত করবেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ইসি আলমগীর কথা বলেন নির্বাচন প্রসঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, ‘কোনো দল নির্বাচনে আসা, না আসা গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই অধিকার আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারব না। তারা কী ধরনের সহযোগিতা চায় তা আমাদের কাছে এসে বলতে হবে এবং এমন সহায়তা চাইবে যেটা নির্বাচন কমিশনের দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এখন একটা দল যদি বলে আমাদের ফান্ড দিতে হবে, সেটা দেওয়ার ক্ষমতা তো আমাদের নেই। যারা আলোচনা করেছেন ইভিএমে নিয়ে, মতামত দিয়েছে তাদেরকেই আমরা আমলে নিয়েছি। বিএনপি তো আলোচনায় আসেনি। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে ইভিএমের পক্ষেই বেশি বলেছেন।’
১৫০ আসনের ইভিএমে ভোট করার বিষয়ে আলমগীর বলেন, ‘ইসি সচিবালয় বলেছে সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা। বর্তমানে যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অস্থিরতা আছে। এখন কতটুকু কেনা সম্ভব হবে সেটা বলতে পারছি না। আমরা বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ইভিএম নিই। তারাও তো নিজেরা তৈরি করে না, বিদেশে থেকে আনে। সচিবালয় বলেছে আগামী তিন মাসের মধ্যে তারা প্রজেক্ট করতে পারবে। পরবর্তীতে ক্রয় ও প্রশিক্ষণে তারা যেতে পারবে বলে মনে করছে। যদি বিদেশ থেকে আনতে এবং ফান্ড নিয়ে কোনো সমস্যা না হয় তাহলে ১৫০ আসনে সম্ভব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, আগামী এপ্রিলের মধ্যেই দেশ নির্বাচিত সরকার পাবে, এবং এরপর বর্তমান সরকার চুপচাপ সরে যাবে। গত ১২ জুন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান আরও বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও
২ ঘণ্টা আগেগত ঈদুল আজহা ঘিরে মাত্র ১২ দিনে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭ জন। সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানির এই চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের দ্বিতীয় দিনের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহতদের জন্য সরকার যে সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সেসব সুবিধা নিলে দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে সরকারের জারি করা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ...
১৫ ঘণ্টা আগে