নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত ঈদুল আজহা ঘিরে মাত্র ১২ দিনে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭ জন। সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানির এই চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন।
আজ বুধবার ১৮ জুন সকালে ঈদুল আজহা উদ্যাপনকালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক,৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৩৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দেশের মানব সম্পদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ক্ষতির পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক দুর্ঘটনার তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসে না।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ছিলেন ৪৭ জন এবং শিশু ৬৩ জন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়—১০৭ জন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। পাশাপাশি, দুর্ঘটনায় ৪৪ জন পথচারী, ৫১ জন চালক ও সহকারীও প্রাণ হারিয়েছেন।
যানবাহনভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল আরোহী, থ্রি-হুইলার ও স্থানীয়ভাবে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের আরোহীদের প্রাণহানি সবচেয়ে বেশি। ঈদের সময় কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া বাইক চালানো এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ব্যবহার পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তোলে। ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির হার ছিল ৫৪ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে—১৩৬টি (৩৯ দশমিক ১৯ শতাংশ), এরপর আঞ্চলিক সড়কে ১২১টি এবং শহরাঞ্চলে ৫৬টি দুর্ঘটনা।
বিভাগ ওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে—১১৬টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে, যেখানে কোনো মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণে উঠে আসে, এবার ঈদের আগে ও পরে ঢাকা থেকে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ এবং সারা দেশে প্রায় ৪ কোটির বেশি মানুষ যাতায়াত করেছেন। ছুটি কম থাকায় একসঙ্গে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। গণপরিবহন সংকটে তাঁরা বাধ্য হয়ে বাসের ছাদে, ট্রাকে, পিকআপে ও ইজিবাইকসহ অনিরাপদ যানবাহনে যাত্রা করেন।
সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিকল হওয়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, চালকদের বিশ্রাম হীনভাবে গাড়ি চালানো, যানবাহনের টায়ার ফাটা, ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং বৈরী আবহাওয়া—সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা ছিল সবচেয়ে বিপজ্জনক এক অভিজ্ঞতা।
এবারের ঈদযাত্রায় একাধিক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এক পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছেন এমন ঘটনা ঘটেছে। ছয়টি ঘটনায় পিতা-পুত্র, তিনটিতে স্বামী-স্ত্রী এবং একটিতে মা-ছেলে একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি নিরাপদ ও স্বাভাবিক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে মধ্য-মেয়াদি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। এর আওতায় রেলপথ ও নদীপথের উন্নয়ন, বিআরটিসির রুট সম্প্রসারণ, ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের চলাচল বন্ধ, পোশাকশ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি প্রদান এবং চালকদের চাকরি সুরক্ষাসহ পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, দেশের সড়ক পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থাপনা এবং কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণেই এই প্রাণহানি ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
গত ঈদুল আজহা ঘিরে মাত্র ১২ দিনে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭ জন। সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানির এই চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন।
আজ বুধবার ১৮ জুন সকালে ঈদুল আজহা উদ্যাপনকালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক,৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৩৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দেশের মানব সম্পদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ক্ষতির পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক দুর্ঘটনার তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসে না।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ছিলেন ৪৭ জন এবং শিশু ৬৩ জন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়—১০৭ জন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। পাশাপাশি, দুর্ঘটনায় ৪৪ জন পথচারী, ৫১ জন চালক ও সহকারীও প্রাণ হারিয়েছেন।
যানবাহনভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল আরোহী, থ্রি-হুইলার ও স্থানীয়ভাবে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের আরোহীদের প্রাণহানি সবচেয়ে বেশি। ঈদের সময় কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া বাইক চালানো এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ব্যবহার পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তোলে। ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির হার ছিল ৫৪ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে—১৩৬টি (৩৯ দশমিক ১৯ শতাংশ), এরপর আঞ্চলিক সড়কে ১২১টি এবং শহরাঞ্চলে ৫৬টি দুর্ঘটনা।
বিভাগ ওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে—১১৬টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে, যেখানে কোনো মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণে উঠে আসে, এবার ঈদের আগে ও পরে ঢাকা থেকে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ এবং সারা দেশে প্রায় ৪ কোটির বেশি মানুষ যাতায়াত করেছেন। ছুটি কম থাকায় একসঙ্গে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। গণপরিবহন সংকটে তাঁরা বাধ্য হয়ে বাসের ছাদে, ট্রাকে, পিকআপে ও ইজিবাইকসহ অনিরাপদ যানবাহনে যাত্রা করেন।
সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিকল হওয়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, চালকদের বিশ্রাম হীনভাবে গাড়ি চালানো, যানবাহনের টায়ার ফাটা, ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং বৈরী আবহাওয়া—সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা ছিল সবচেয়ে বিপজ্জনক এক অভিজ্ঞতা।
এবারের ঈদযাত্রায় একাধিক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এক পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছেন এমন ঘটনা ঘটেছে। ছয়টি ঘটনায় পিতা-পুত্র, তিনটিতে স্বামী-স্ত্রী এবং একটিতে মা-ছেলে একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি নিরাপদ ও স্বাভাবিক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে মধ্য-মেয়াদি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। এর আওতায় রেলপথ ও নদীপথের উন্নয়ন, বিআরটিসির রুট সম্প্রসারণ, ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের চলাচল বন্ধ, পোশাকশ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি প্রদান এবং চালকদের চাকরি সুরক্ষাসহ পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, দেশের সড়ক পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থাপনা এবং কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণেই এই প্রাণহানি ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত ঈদুল আজহা ঘিরে মাত্র ১২ দিনে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭ জন। সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানির এই চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন।
আজ বুধবার ১৮ জুন সকালে ঈদুল আজহা উদ্যাপনকালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক,৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৩৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দেশের মানব সম্পদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ক্ষতির পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক দুর্ঘটনার তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসে না।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ছিলেন ৪৭ জন এবং শিশু ৬৩ জন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়—১০৭ জন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। পাশাপাশি, দুর্ঘটনায় ৪৪ জন পথচারী, ৫১ জন চালক ও সহকারীও প্রাণ হারিয়েছেন।
যানবাহনভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল আরোহী, থ্রি-হুইলার ও স্থানীয়ভাবে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের আরোহীদের প্রাণহানি সবচেয়ে বেশি। ঈদের সময় কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া বাইক চালানো এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ব্যবহার পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তোলে। ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির হার ছিল ৫৪ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে—১৩৬টি (৩৯ দশমিক ১৯ শতাংশ), এরপর আঞ্চলিক সড়কে ১২১টি এবং শহরাঞ্চলে ৫৬টি দুর্ঘটনা।
বিভাগ ওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে—১১৬টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে, যেখানে কোনো মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণে উঠে আসে, এবার ঈদের আগে ও পরে ঢাকা থেকে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ এবং সারা দেশে প্রায় ৪ কোটির বেশি মানুষ যাতায়াত করেছেন। ছুটি কম থাকায় একসঙ্গে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। গণপরিবহন সংকটে তাঁরা বাধ্য হয়ে বাসের ছাদে, ট্রাকে, পিকআপে ও ইজিবাইকসহ অনিরাপদ যানবাহনে যাত্রা করেন।
সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিকল হওয়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, চালকদের বিশ্রাম হীনভাবে গাড়ি চালানো, যানবাহনের টায়ার ফাটা, ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং বৈরী আবহাওয়া—সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা ছিল সবচেয়ে বিপজ্জনক এক অভিজ্ঞতা।
এবারের ঈদযাত্রায় একাধিক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এক পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছেন এমন ঘটনা ঘটেছে। ছয়টি ঘটনায় পিতা-পুত্র, তিনটিতে স্বামী-স্ত্রী এবং একটিতে মা-ছেলে একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি নিরাপদ ও স্বাভাবিক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে মধ্য-মেয়াদি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। এর আওতায় রেলপথ ও নদীপথের উন্নয়ন, বিআরটিসির রুট সম্প্রসারণ, ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের চলাচল বন্ধ, পোশাকশ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি প্রদান এবং চালকদের চাকরি সুরক্ষাসহ পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, দেশের সড়ক পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থাপনা এবং কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণেই এই প্রাণহানি ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
গত ঈদুল আজহা ঘিরে মাত্র ১২ দিনে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭ জন। সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানির এই চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন।
আজ বুধবার ১৮ জুন সকালে ঈদুল আজহা উদ্যাপনকালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংগঠনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক,৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৩৪৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দেশের মানব সম্পদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ক্ষতির পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক দুর্ঘটনার তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসে না।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ছিলেন ৪৭ জন এবং শিশু ৬৩ জন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়—১০৭ জন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। পাশাপাশি, দুর্ঘটনায় ৪৪ জন পথচারী, ৫১ জন চালক ও সহকারীও প্রাণ হারিয়েছেন।
যানবাহনভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল আরোহী, থ্রি-হুইলার ও স্থানীয়ভাবে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের আরোহীদের প্রাণহানি সবচেয়ে বেশি। ঈদের সময় কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া বাইক চালানো এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ব্যবহার পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তোলে। ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির হার ছিল ৫৪ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে—১৩৬টি (৩৯ দশমিক ১৯ শতাংশ), এরপর আঞ্চলিক সড়কে ১২১টি এবং শহরাঞ্চলে ৫৬টি দুর্ঘটনা।
বিভাগ ওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে—১১৬টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে, যেখানে কোনো মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণে উঠে আসে, এবার ঈদের আগে ও পরে ঢাকা থেকে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ এবং সারা দেশে প্রায় ৪ কোটির বেশি মানুষ যাতায়াত করেছেন। ছুটি কম থাকায় একসঙ্গে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। গণপরিবহন সংকটে তাঁরা বাধ্য হয়ে বাসের ছাদে, ট্রাকে, পিকআপে ও ইজিবাইকসহ অনিরাপদ যানবাহনে যাত্রা করেন।
সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিকল হওয়া, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, চালকদের বিশ্রাম হীনভাবে গাড়ি চালানো, যানবাহনের টায়ার ফাটা, ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং বৈরী আবহাওয়া—সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা ছিল সবচেয়ে বিপজ্জনক এক অভিজ্ঞতা।
এবারের ঈদযাত্রায় একাধিক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এক পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছেন এমন ঘটনা ঘটেছে। ছয়টি ঘটনায় পিতা-পুত্র, তিনটিতে স্বামী-স্ত্রী এবং একটিতে মা-ছেলে একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি নিরাপদ ও স্বাভাবিক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে মধ্য-মেয়াদি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। এর আওতায় রেলপথ ও নদীপথের উন্নয়ন, বিআরটিসির রুট সম্প্রসারণ, ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের চলাচল বন্ধ, পোশাকশ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি প্রদান এবং চালকদের চাকরি সুরক্ষাসহ পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, দেশের সড়ক পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থাপনা এবং কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণেই এই প্রাণহানি ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
২ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
৪ ঘণ্টা আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
৬ ঘণ্টা আগেআপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর করার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে ড. শরীফ ভূঁইয়া আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, তাতে নানা ত্রুটি রয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, বিচারপতিরা রায় দিতে গিয়ে সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করেছেন, এমনকি সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এর ফলে তাঁরা বিচারিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েছিলেন, যা রায়টির একটি মৌলিক ত্রুটি।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, অনেকে মনে করেন, ২০০৬–০৮ সালের রাজনৈতিক সংকট ও সেনাসমর্থিত সরকারের উত্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু এটি সঠিক নয়। ওই সংকট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ত্রুটির কারণে নয়, বরং তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক বিধান না মেনে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল। সংবিধান লঙ্ঘনের ফলে সেই সংকটের জন্ম হয়।
এ সময় আদালতে প্রশ্ন ওঠে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এর প্রভাব পড়বে কি না। জবাবে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সরকার একটি ভিন্ন সাংবিধানিক বাস্তবতায় গঠিত—এটি সংবিধানের লিখিত অনুচ্ছেদের অধীনে নয়, বরং বিপ্লবপরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্রীয় শূন্যতা থেকে উদ্ভূত। জনগণ এই সরকারকে তিনটি ম্যান্ডেট দিয়েছেন—দেশ পরিচালনা, সংস্কার বাস্তবায়ন ও নির্বাচন আয়োজনের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও বর্তমান সরকারের মেয়াদ বা দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আদালতে আরও একটি প্রশ্ন ওঠে—যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে?
ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, না, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হয়। বর্তমান সংসদ এক বছরের বেশি আগে বিলুপ্ত হয়েছে, তাই সেই সাংবিধানিক ‘ট্রিগারিং’ সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনরুজ্জীবিত হলেও এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এটি কেবল পরবর্তী সংসদ ভেঙে গেলে কার্যকর হতে পারে।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায় যদি আপিল বিভাগ বাতিল করেন, তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অংশ হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হবে—এ জন্য নতুন কোনো আইন করতে সংসদের প্রয়োজন হবে না। এটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত একটি নীতি।
আদালত গাইডলাইন দিতে পারে কি না—এ প্রশ্নে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আদালত রায়ে উল্লেখ করতে পারেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই আগামী নির্বাচন আয়োজন করবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে তার পরের অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনে। তবে নির্দেশনা না দিলেও সংবিধানের ৫৮(সি) ধারার বিধান অনুযায়ী এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
শরীফ ভূঁইয়া শেষ বক্তব্যে বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে। সংবিধানের কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুযোগ নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর করার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে ড. শরীফ ভূঁইয়া আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, তাতে নানা ত্রুটি রয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, বিচারপতিরা রায় দিতে গিয়ে সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করেছেন, এমনকি সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এর ফলে তাঁরা বিচারিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েছিলেন, যা রায়টির একটি মৌলিক ত্রুটি।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, অনেকে মনে করেন, ২০০৬–০৮ সালের রাজনৈতিক সংকট ও সেনাসমর্থিত সরকারের উত্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু এটি সঠিক নয়। ওই সংকট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ত্রুটির কারণে নয়, বরং তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক বিধান না মেনে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল। সংবিধান লঙ্ঘনের ফলে সেই সংকটের জন্ম হয়।
এ সময় আদালতে প্রশ্ন ওঠে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এর প্রভাব পড়বে কি না। জবাবে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সরকার একটি ভিন্ন সাংবিধানিক বাস্তবতায় গঠিত—এটি সংবিধানের লিখিত অনুচ্ছেদের অধীনে নয়, বরং বিপ্লবপরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্রীয় শূন্যতা থেকে উদ্ভূত। জনগণ এই সরকারকে তিনটি ম্যান্ডেট দিয়েছেন—দেশ পরিচালনা, সংস্কার বাস্তবায়ন ও নির্বাচন আয়োজনের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও বর্তমান সরকারের মেয়াদ বা দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আদালতে আরও একটি প্রশ্ন ওঠে—যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে?
ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, না, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হয়। বর্তমান সংসদ এক বছরের বেশি আগে বিলুপ্ত হয়েছে, তাই সেই সাংবিধানিক ‘ট্রিগারিং’ সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনরুজ্জীবিত হলেও এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এটি কেবল পরবর্তী সংসদ ভেঙে গেলে কার্যকর হতে পারে।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায় যদি আপিল বিভাগ বাতিল করেন, তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অংশ হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হবে—এ জন্য নতুন কোনো আইন করতে সংসদের প্রয়োজন হবে না। এটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত একটি নীতি।
আদালত গাইডলাইন দিতে পারে কি না—এ প্রশ্নে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আদালত রায়ে উল্লেখ করতে পারেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই আগামী নির্বাচন আয়োজন করবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে তার পরের অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনে। তবে নির্দেশনা না দিলেও সংবিধানের ৫৮(সি) ধারার বিধান অনুযায়ী এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
শরীফ ভূঁইয়া শেষ বক্তব্যে বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে। সংবিধানের কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুযোগ নেই।
গত ঈদুল আজহা ঘিরে মাত্র ১২ দিনে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭ জন। সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানির এই চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন।
১৮ জুন ২০২৫এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
৪ ঘণ্টা আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ দুই মাসের জন্য প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও রুহুল কাইয়ুম।
এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪ সংশোধন করে সভাপতি পদ শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তার আলোকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত ওই প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধানটি বৈষম্যমূলক। এ কারণেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
গত সেপ্টেম্বর জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয় এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সভাপতি হতে পারবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ দুই মাসের জন্য প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও রুহুল কাইয়ুম।
এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪ সংশোধন করে সভাপতি পদ শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তার আলোকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত ওই প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধানটি বৈষম্যমূলক। এ কারণেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
গত সেপ্টেম্বর জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয় এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সভাপতি হতে পারবেন।
গত ঈদুল আজহা ঘিরে মাত্র ১২ দিনে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭ জন। সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানির এই চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন।
১৮ জুন ২০২৫তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
২ ঘণ্টা আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আইআরআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জে ফাসনারের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বৈঠকে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
ঢাকা সফর শেষে আইআরআই শিগগির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি। আইআরআইয়ের পর্যবেক্ষক দলের সাক্ষাতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদল ইসির সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আইআরআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জে ফাসনারের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বৈঠকে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
ঢাকা সফর শেষে আইআরআই শিগগির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান তিনি। আইআরআইয়ের পর্যবেক্ষক দলের সাক্ষাতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদল ইসির সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আইআরআই।
গত ঈদুল আজহা ঘিরে মাত্র ১২ দিনে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭ জন। সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানির এই চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন।
১৮ জুন ২০২৫তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
২ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
৪ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কা
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে জারি করা অফিস আদেশে সই করেছেন যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ।
আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকার শুল্কায়ন টিমসমূহ ও এর অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে দুর্যোগপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ২৪-২৫ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) অফিস খোলা থাকবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের কার্যক্রম সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত চলে। তবে আগামী এক সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টাই চলবে। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাধারণত ছুটির দিন, কিন্তু বিশেষভাবে ওই দিনেও কার্যক্রম চলবে।’
ঢাকা কাস্টম হাউসের নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতী, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহি নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্রপ্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভূঁইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগপরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে জারি করা অফিস আদেশে সই করেছেন যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ।
আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকার শুল্কায়ন টিমসমূহ ও এর অধিক্ষেত্রের এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে দুর্যোগপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ২৪-২৫ অক্টোবর (শুক্র ও শনিবার) অফিস খোলা থাকবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার সুমন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমাদের কার্যক্রম সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত চলে। তবে আগামী এক সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টাই চলবে। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাধারণত ছুটির দিন, কিন্তু বিশেষভাবে ওই দিনেও কার্যক্রম চলবে।’
ঢাকা কাস্টম হাউসের নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতী, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহি নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্রপ্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভূঁইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’
গত ঈদুল আজহা ঘিরে মাত্র ১২ দিনে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭ জন। সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানির এই চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন।
১৮ জুন ২০২৫তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
২ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
৪ ঘণ্টা আগেবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদলের সদস্য জন ফ্লুহার্টি জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে