ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা
রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এই উদ্যোগ বর্তমান সরকারই কার্যকর করতে চায়। সেই লক্ষ্যে কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা ধাপে ধাপে কাজগুলো সম্পন্ন করছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্থগিত থাকা ভর্তি কার্যক্রম শেষ করাই এখন তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। চলতি মাসের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বাকি কাজও চলমান থাকবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে অবশিষ্ট কাজগুলোও শেষ করা হবে। কমিটির কাজ সম্পন্ন হলে এই সরকারের আমলেই যাত্রা শুরু করতে পারে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকেবি)।
সাত কলেজ-সংক্রান্ত বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজের নেতৃত্বে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে, তাদের চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদ ২৯ এপ্রিল শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং আরও শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যাতে নির্ভুলভাবে অবশিষ্ট কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের পর সরকার এই কলেজগুলো পরিচালনায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘সাত কলেজের বিষয়টি জটিল হলেও এর একটি ন্যায্য সমাধানের জন্য শুরু থেকেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কলেজগুলোর সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত একটি আইনানুগ অন্তর্বর্তী প্রশাসন ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই প্রশাসনের অধীনেই সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও আইন তৈরির জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। প্রয়োজনে কমিটির কাজে আরও বিশেষজ্ঞ পরামর্শক যুক্ত করা যেতে পারে এবং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধিতেও কোনো অসুবিধা নেই। এ কাজ শেষ হলে বর্তমান সরকারের আমলেই একটি অধ্যাদেশ জারি করা সম্ভব হবে। অধ্যাদেশ জারি হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। আমার ধারণা, পরবর্তী সরকারও এটি অনুমোদন করবে।’
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, চার মাসের মধ্যে ইউজিসির কমিটি কাজ শেষ করতে না পারায় তাঁরা হতাশ। তাই গত ১৭ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সরকারকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করতে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন, যা শেষ হয়েছে সোমবার (১৬ জুন)। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো অধ্যাদেশসংক্রান্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। গত ২৯ এপ্রিল এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘শুরু থেকেই সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শিক্ষার্থীরা সহায়তা করে আসছে। কিন্তু আমরা কর্তৃপক্ষের কাজে গড়িমসি লক্ষ করছি। ইউজিসিকে চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল, যা এক-দুই মাস আগে শেষ হয়ে গেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। এখন আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম ও লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি মডেল খসড়াও তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এই খসড়ায় মতামত দেবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী ও এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে পৃথক করার উদ্দেশ্য শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কলেজগুলোর স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রেখে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও এই কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোর মানেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম ও লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি মডেল খসড়াও তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এই খসড়ায় মতামত দেবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী ও এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে পৃথক করার উদ্দেশ্য শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কলেজগুলোর স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রেখে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও এই কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোর মানেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
সাত কলেজের দায়িত্ব নিয়েই নতুন প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরির তাগিদ দিয়েছেন। অধ্যাপক ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজের এখন দুটি প্রধান কাজ রয়েছে। একটি হলো বিদ্যমান কাঠামোকে কার্যকরভাবে চালিয়ে যাওয়া, অন্যটি হলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আইনগত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। দুটি কাজই সমন্বিতভাবে করতে হবে, যাতে একটির জন্য অন্যটি বাধাগ্রস্ত না হয়।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ‘নতুন প্রশাসক দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনি কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবার বসবো এবং আলোচনা করব।’
আরও খবর পড়ুন:
রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এই উদ্যোগ বর্তমান সরকারই কার্যকর করতে চায়। সেই লক্ষ্যে কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা ধাপে ধাপে কাজগুলো সম্পন্ন করছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্থগিত থাকা ভর্তি কার্যক্রম শেষ করাই এখন তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। চলতি মাসের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বাকি কাজও চলমান থাকবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে অবশিষ্ট কাজগুলোও শেষ করা হবে। কমিটির কাজ সম্পন্ন হলে এই সরকারের আমলেই যাত্রা শুরু করতে পারে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকেবি)।
সাত কলেজ-সংক্রান্ত বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজের নেতৃত্বে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে, তাদের চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদ ২৯ এপ্রিল শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং আরও শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যাতে নির্ভুলভাবে অবশিষ্ট কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের পর সরকার এই কলেজগুলো পরিচালনায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘সাত কলেজের বিষয়টি জটিল হলেও এর একটি ন্যায্য সমাধানের জন্য শুরু থেকেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কলেজগুলোর সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত একটি আইনানুগ অন্তর্বর্তী প্রশাসন ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই প্রশাসনের অধীনেই সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও আইন তৈরির জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। প্রয়োজনে কমিটির কাজে আরও বিশেষজ্ঞ পরামর্শক যুক্ত করা যেতে পারে এবং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধিতেও কোনো অসুবিধা নেই। এ কাজ শেষ হলে বর্তমান সরকারের আমলেই একটি অধ্যাদেশ জারি করা সম্ভব হবে। অধ্যাদেশ জারি হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। আমার ধারণা, পরবর্তী সরকারও এটি অনুমোদন করবে।’
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, চার মাসের মধ্যে ইউজিসির কমিটি কাজ শেষ করতে না পারায় তাঁরা হতাশ। তাই গত ১৭ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সরকারকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করতে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন, যা শেষ হয়েছে সোমবার (১৬ জুন)। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো অধ্যাদেশসংক্রান্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। গত ২৯ এপ্রিল এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘শুরু থেকেই সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শিক্ষার্থীরা সহায়তা করে আসছে। কিন্তু আমরা কর্তৃপক্ষের কাজে গড়িমসি লক্ষ করছি। ইউজিসিকে চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল, যা এক-দুই মাস আগে শেষ হয়ে গেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। এখন আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম ও লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি মডেল খসড়াও তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এই খসড়ায় মতামত দেবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী ও এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে পৃথক করার উদ্দেশ্য শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কলেজগুলোর স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রেখে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও এই কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোর মানেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম ও লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি মডেল খসড়াও তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এই খসড়ায় মতামত দেবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী ও এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে পৃথক করার উদ্দেশ্য শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কলেজগুলোর স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রেখে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও এই কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোর মানেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
সাত কলেজের দায়িত্ব নিয়েই নতুন প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরির তাগিদ দিয়েছেন। অধ্যাপক ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজের এখন দুটি প্রধান কাজ রয়েছে। একটি হলো বিদ্যমান কাঠামোকে কার্যকরভাবে চালিয়ে যাওয়া, অন্যটি হলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আইনগত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। দুটি কাজই সমন্বিতভাবে করতে হবে, যাতে একটির জন্য অন্যটি বাধাগ্রস্ত না হয়।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ‘নতুন প্রশাসক দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনি কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবার বসবো এবং আলোচনা করব।’
আরও খবর পড়ুন:
লিসেনিংয়ে যখন প্রশ্নের ফোকাস ক্রিয়াপদ বা বিশেষণের ওপর হয়, তখন রেকর্ডিংয়ে মূল অর্থ ঠিক রেখে সেটিকে সরাসরি না বলে অন্য যেকোনোভাবে প্রকাশ করে থাকে।
১ দিন আগেডেঙ্গু ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোতে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। আজ রোববার (১৫ জুন) মাউশির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
২ দিন আগেআপনাকে একসঙ্গে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে হবে, দুটি প্রধান দায়িত্ব পালনে কোনো জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন?
২ দিন আগেভালোবাসা সব সময় শব্দ চায় না; বিশেষ করে সেই ভালোবাসা, যা এক নীরব আত্মত্যাগে প্রতিদিন গড়ে তোলে আমাদের স্বপ্ন, সাহস আর সাফল্যের ভিত্তি। তিনি আমাদের চোখে কখনো কাঁদেন না, ক্লান্তিও দেখান না, কিন্তু আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের পেছনে থাকে তাঁর নিরলস প্রেরণা। তিনি আমাদের বাবা।
২ দিন আগে