নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক ইস্যুতে বিদেশি কূটনৈতিক ব্যক্তিরা গণমাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করে থাকেন। সে সময় বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সেসব দেশের ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করতে হবে। এ জন্য দেশের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এক মতবিনিময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা নিয়ে ওরিয়েন্টেশনের কথা বলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশের সাবেক কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব, লেখক, শিক্ষক ও গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
আজ বেলা ৩টায় এই মতবিনিময় শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কূটনৈতিক শমসের মোবিন চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান, আসাদুজ্জামান নূর, স্বদেশ রায়সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী বলেন, তিনি যখন নিজের গ্রামে কারও বাড়িতে গিয়ে গল্প করেন সে বিষয়গুলো কখনো গণমাধ্যমে আসে না। তিনি নিজেও কখনো সেসব বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা হতে দেখেননি। তাঁদের (এলাকার মানুষ) কাছে গেলে তাঁরা বলেন এলাকার ড্রেনটা ঠিক নেই। জলাবদ্ধতা হয়ে গেছে, লোডশেডিং আছে, জিনিসপত্রের দাম বেশি।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু কেউ কখনো জিজ্ঞেস করে না, এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না অন্য সরকার আসবে। কে নির্বাচনে আসবে বা আসবে না—এই ইস্যু নিয়ে কেউ জিজ্ঞাসা করে না। কিন্তু তিনি যখন টিভি দেখেন, টক শো দেখেন, পত্রিকা পড়েন তখন দেখেন তাঁদের (গ্রামের মানুষের) চিন্তাভাবনার কোনো প্রতিফলন নেই। এখানে আলাপ হয় ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন, আমেরিকার কে আসছে না, আসেনি এগুলো নিয়ে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি গত কয়েক দিনে হিসাব করে দেখেছেন প্রায় ৬৭টা দেশে নির্বাচন হয়েছে জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত। সেসব দেশের নির্বাচন নিয়ে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা ইউএন কোথাও কোনো আলোচনা নেই। কেউ প্রশ্ন করে না। আগামীতে বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে আরও ২২টি দেশে নির্বাচন হবে। সেগুলো স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা ইউএনওতে দেখা যায় না। বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করে।
বাংলাদেশে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চাকরির বাজার তৈরি করা, মুদ্রাস্ফীতি কমানো—এগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ জন্য দেশের পণ্ডিত যারা টক শোতে যান, কলাম লেখেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত—তাঁরা কী চিন্তা করে তা জানার জন্য তাঁদের ডাকা হয়েছিল আজ। তাঁদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। তাঁরা গাইডলাইন দিয়েছেন।
মন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘তাঁরা (বিশিষ্ট ব্যক্তি) আমাদের জানিয়েছেন সাংবাদিকেরা ইউএস অ্যাম্বাসেডরকে প্রশ্ন করলেন, জেনেভা কনভেনশন ভঙ্গ করেছেন ইন্টারনাল ইস্যুর ওপরে। তখন তিনি (ইউএস অ্যাম্বাসেডর) বললেন, তাঁর প্রতিনিধি কথা বলবেন। তখন সঙ্গে সঙ্গে বলা উচিত ছিল যে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে জেনেভা কনভেনশনের ৪১ আর্টিকেলের ভঙ্গ করেছেন কি না।
তিনি আরও বলেন, ‘যখন বাংলাদেশে ১০ বছরে ৭৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে—এটা নিয়ে কথা বলে, তখন বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা জিজ্ঞাসা করে না তাদের দেশে কতজন এমন হত্যা হয়। শুনেছি হাজারখানেক লোক পুলিশ মেরে ফেলে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যখন জিজ্ঞেস করে বাংলাদেশে সব দলের নিয়ে নির্বাচন চায়। তখন আমাদের কেউ জিজ্ঞাসা করে না আপনার ওখানে কেমন নির্বাচন হয়, কত লোক ভোট দেয়। শুনেছি ২৬ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয় না। কোনো সাংবাদিক এটা বলেন না।’
সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে একজন প্রস্তাব করেছেন কীভাবে প্রশ্ন করতে হয়, তার একটা ওরিয়েন্টেশন করা উচিত। এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন আসছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তাঁরা নির্দেশনা দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৪ জন কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা গত ১০ বছরে নির্যাতিত হয়েছে, অর্ধেক কমে গেছে। তাই একটা সেমিনার করতে হবে। কীভাবে কূটনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণ (ম্যানেজ) করা হবে। এমন সব প্রস্তাব এসেছে। মতবিনিময় সভায় নির্বাচন নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সভায় অংশ নেওয়ারা বলেছেন, বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য দেশে এমন বলেন না।
দেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক ইস্যুতে বিদেশি কূটনৈতিক ব্যক্তিরা গণমাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করে থাকেন। সে সময় বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সেসব দেশের ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করতে হবে। এ জন্য দেশের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এক মতবিনিময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা নিয়ে ওরিয়েন্টেশনের কথা বলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশের সাবেক কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব, লেখক, শিক্ষক ও গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
আজ বেলা ৩টায় এই মতবিনিময় শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কূটনৈতিক শমসের মোবিন চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান, আসাদুজ্জামান নূর, স্বদেশ রায়সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী বলেন, তিনি যখন নিজের গ্রামে কারও বাড়িতে গিয়ে গল্প করেন সে বিষয়গুলো কখনো গণমাধ্যমে আসে না। তিনি নিজেও কখনো সেসব বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা হতে দেখেননি। তাঁদের (এলাকার মানুষ) কাছে গেলে তাঁরা বলেন এলাকার ড্রেনটা ঠিক নেই। জলাবদ্ধতা হয়ে গেছে, লোডশেডিং আছে, জিনিসপত্রের দাম বেশি।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু কেউ কখনো জিজ্ঞেস করে না, এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না অন্য সরকার আসবে। কে নির্বাচনে আসবে বা আসবে না—এই ইস্যু নিয়ে কেউ জিজ্ঞাসা করে না। কিন্তু তিনি যখন টিভি দেখেন, টক শো দেখেন, পত্রিকা পড়েন তখন দেখেন তাঁদের (গ্রামের মানুষের) চিন্তাভাবনার কোনো প্রতিফলন নেই। এখানে আলাপ হয় ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন, আমেরিকার কে আসছে না, আসেনি এগুলো নিয়ে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি গত কয়েক দিনে হিসাব করে দেখেছেন প্রায় ৬৭টা দেশে নির্বাচন হয়েছে জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত। সেসব দেশের নির্বাচন নিয়ে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা ইউএন কোথাও কোনো আলোচনা নেই। কেউ প্রশ্ন করে না। আগামীতে বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে আরও ২২টি দেশে নির্বাচন হবে। সেগুলো স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা ইউএনওতে দেখা যায় না। বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করে।
বাংলাদেশে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চাকরির বাজার তৈরি করা, মুদ্রাস্ফীতি কমানো—এগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ জন্য দেশের পণ্ডিত যারা টক শোতে যান, কলাম লেখেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত—তাঁরা কী চিন্তা করে তা জানার জন্য তাঁদের ডাকা হয়েছিল আজ। তাঁদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। তাঁরা গাইডলাইন দিয়েছেন।
মন্ত্রী এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘তাঁরা (বিশিষ্ট ব্যক্তি) আমাদের জানিয়েছেন সাংবাদিকেরা ইউএস অ্যাম্বাসেডরকে প্রশ্ন করলেন, জেনেভা কনভেনশন ভঙ্গ করেছেন ইন্টারনাল ইস্যুর ওপরে। তখন তিনি (ইউএস অ্যাম্বাসেডর) বললেন, তাঁর প্রতিনিধি কথা বলবেন। তখন সঙ্গে সঙ্গে বলা উচিত ছিল যে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে জেনেভা কনভেনশনের ৪১ আর্টিকেলের ভঙ্গ করেছেন কি না।
তিনি আরও বলেন, ‘যখন বাংলাদেশে ১০ বছরে ৭৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে—এটা নিয়ে কথা বলে, তখন বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা জিজ্ঞাসা করে না তাদের দেশে কতজন এমন হত্যা হয়। শুনেছি হাজারখানেক লোক পুলিশ মেরে ফেলে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যখন জিজ্ঞেস করে বাংলাদেশে সব দলের নিয়ে নির্বাচন চায়। তখন আমাদের কেউ জিজ্ঞাসা করে না আপনার ওখানে কেমন নির্বাচন হয়, কত লোক ভোট দেয়। শুনেছি ২৬ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয় না। কোনো সাংবাদিক এটা বলেন না।’
সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে একজন প্রস্তাব করেছেন কীভাবে প্রশ্ন করতে হয়, তার একটা ওরিয়েন্টেশন করা উচিত। এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন আসছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তাঁরা নির্দেশনা দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৪ জন কংগ্রেসম্যান চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা গত ১০ বছরে নির্যাতিত হয়েছে, অর্ধেক কমে গেছে। তাই একটা সেমিনার করতে হবে। কীভাবে কূটনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণ (ম্যানেজ) করা হবে। এমন সব প্রস্তাব এসেছে। মতবিনিময় সভায় নির্বাচন নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সভায় অংশ নেওয়ারা বলেছেন, বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেন। অন্য দেশে এমন বলেন না।
কৃষি খাতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি বিতরণে স্বচ্ছতার জন্য কৃষকদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ইতিমধ্যে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড নীতিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া তৈরি করেছে। গত ৩০ জানুয়ারি ছিল এ বিষয়ে অংশীজনদের মতামত জানানোর শেষ দিন।
২ ঘণ্টা আগেহাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি...
২ ঘণ্টা আগেগতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। তাই রাজধানীর বাংলাবাজারের সৃজনশীল প্রকাশনীগুলো বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পরদিন থেকে বইমেলার শুরু; এ কারণে প্রকাশকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। পিকআপ ও ভ্যানে ওঠানো হচ্ছে নতুন বই। ছাপা, বাঁধাইয়ের কর্মী, শ্রমিক সবাই ব্যস্ত প্রথম দিনে নতুন বই পাঠকের সামনে তুলে ধরার কাজে। গতকাল রাতভ
৮ ঘণ্টা আগেজ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগে