আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে সমস্যা হয়। কোনো বড় শহরেই যথেষ্ট জলাশয় ও হাইড্রেন্ট নেই। রয়েছে সরঞ্জামের সংকটও।
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক আর অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনার মতো দুর্ঘটনা হোক তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার, ত্রাণ, রক্তদানের মতো কাজে হাত দিতে হয় স্থানীয় সাধারণ মানুষকেই। সাধারণ মানুষের অদক্ষতা ও পেশাদার বাহিনীর দেরিতে পৌঁছানোর কারণে অনেক সময়ই প্রাণহানি ন্যূনতম রাখা সম্ভব হয় না।
সেই সঙ্গে রয়েছে উৎসুক জনতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আসার পর এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখের সামনে মোবাইল ক্যামেরা ধরে ফুটেজ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এতেও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সামলানোর মতো যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মোতায়েন করাও সম্ভব হয় না।
সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার হৃদয়বিদারক ঘটনাটিতেও আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি। বাংলাদেশে কেন যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই এমন বিশৃঙ্খলা দেখতে হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন। অথচ ‘হাডসনের মিরাকল’-এর মতো ঘটনাগুলোর দিকে যদি তাকাই, যেখানে সুসংগঠিত প্রস্তুতি ও দায়িত্বশীলতা কীভাবে বিপর্যয়কে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
‘হাডসনের মিরাকল’: প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত
২০০৯ সালে নিউইয়র্কের লা গারডিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি এয়ারবাস এ৩২০-এর দুটি ইঞ্জিন পাখির আঘাতে বিকল হয়ে যায়। ১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন সালি সুলেনবার্গার নিউইয়র্কের হাডসন নদীর বরফশীতল পানিতে বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করান। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের প্রতিটি যাত্রী ও ক্রু বেঁচে যান। এই ঘটনাকে অনেকে অলৌকিক বললেও, পাইলট সালি নিজেই ব্যাখ্যা করেছিলেন যে এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না, বরং ছিল ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা প্রস্তুতির ফলাফল’।

সালি ব্যাখ্যা করেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট জেফ্রি স্কাইলস প্রায় কোনো কথা না বলেই তাঁদের নিজ নিজ কাজ সুচারুভাবে করেছেন। কারণ তাঁরা একে অপরের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। ইঞ্জিন বিকল হওয়া বা পানিতে অবতরণের জন্য তাঁদের একটি সুনির্দিষ্ট চেকলিস্ট ছিল, তাঁরা ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি রুট নির্দেশ করে। যখন ‘ব্রেস ফর ইমপ্যাক্ট’ বা ‘এভাকুয়েট’-এর মতো নির্দেশনা দেওয়া হয়, তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা নিজেদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে দ্রুত কেবিন প্রস্তুত করেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। এমনকি নদীর ওপর নামার বিষয়টিও তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পরিবর্তন করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ধারকারী ফেরি বোট চালকেরা প্রতি মাসেই প্রশিক্ষণ নেন। বছরে একবার সিমুলেটর দিয়ে উদ্ধার অভিযান অনুশীলন করেন তাঁরা। বিমানটি হাডসন নদীতে অবতরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাঁরা। ফায়ারবোট, পুলিশ হেলিকপ্টার এবং শহরের হাসপাতালগুলো—সবাই প্রস্তুত ছিল। এমনকি অফ-ডিউটি চিকিৎসক, নার্সদেরও ডেকে আনা হয়েছিল। সালি জোর দিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট কেবল তাঁদের কাজ করেছেন। কিন্তু ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, ১৫০ জন যাত্রী, উদ্ধারকারী বোট এবং জল ও স্থল উভয় জায়গার ফার্স্ট রেসপন্ডাররা সবাই তাঁদের নির্ধারিত কাজ নিখুঁতভাবে করেছেন। এই সম্মিলিত ও নিখুঁত প্রস্তুতির ফলাফলই ছিল ‘মিরাকল’।
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনা
‘হাডসনের মিরাকল’-এর এই চিত্র, আর বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাটি মিলিয়ে দেখুন, আলাদা এক বাস্তবতা উঠে এসেছে। সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। এফোঁড়-ওফোঁড় করে যায় ভবন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায়। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জীবন ও ভবিষ্যৎ এক মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
এর পরের ঘটনাপ্রবাহ কেমন ছিল—উদ্ধারে অনেক সময় লেগেছে। আগুন আধপোড়া শিশু-কিশোরদের পাঁজাকোলা করে উদ্ধার করতে দেখা গেছে। সেখানে জরুরি চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা ছিল না। যদিও পরে ফায়ার সার্ভিস অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও করেছিল। শত শত উৎসুক জনতা উদ্ধারে হাত না লাগিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃতদেহ গুম করার গুজব ছড়িয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি অনেক ছবি ছড়ানো হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শোডাউন করেছেন। চিকিৎসকের কোনো পরামর্শ ও আহ্বান ছাড়াই রক্তদাতাদের ভিড়ও সমস্যা তৈরি করেছে। হাসপাতালেও উৎসুক জনতা ভিড় দেখা গেছে। অথচ এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের নিবিড় ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা জরুরি। অব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য দেরিও একজনের জীবন কেড়ে নিতে পারে।
দুর্ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো—দুর্ঘটনার পর সমাজ ও রাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। কিছু দেশ প্রস্তুত থাকে, যাতে প্রাণহানি কমানো যায়, আর কিছু দেশে বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়।
পাইলট সালি বলেছিলেন, ‘১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে হাডসনে বিমান নামানোর পরেও কোনো প্রাণহানি না হওয়া কোনো অলৌকিকতা ছিল না। এটা ছিল সিস্টেম, বছরের পর বছর ট্রেনিং, প্রস্তুতি আর দায়িত্বশীলতার ফলাফল।’

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে সমস্যা হয়। কোনো বড় শহরেই যথেষ্ট জলাশয় ও হাইড্রেন্ট নেই। রয়েছে সরঞ্জামের সংকটও।
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক আর অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনার মতো দুর্ঘটনা হোক তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার, ত্রাণ, রক্তদানের মতো কাজে হাত দিতে হয় স্থানীয় সাধারণ মানুষকেই। সাধারণ মানুষের অদক্ষতা ও পেশাদার বাহিনীর দেরিতে পৌঁছানোর কারণে অনেক সময়ই প্রাণহানি ন্যূনতম রাখা সম্ভব হয় না।
সেই সঙ্গে রয়েছে উৎসুক জনতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আসার পর এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখের সামনে মোবাইল ক্যামেরা ধরে ফুটেজ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এতেও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সামলানোর মতো যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মোতায়েন করাও সম্ভব হয় না।
সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার হৃদয়বিদারক ঘটনাটিতেও আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি। বাংলাদেশে কেন যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই এমন বিশৃঙ্খলা দেখতে হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন। অথচ ‘হাডসনের মিরাকল’-এর মতো ঘটনাগুলোর দিকে যদি তাকাই, যেখানে সুসংগঠিত প্রস্তুতি ও দায়িত্বশীলতা কীভাবে বিপর্যয়কে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
‘হাডসনের মিরাকল’: প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত
২০০৯ সালে নিউইয়র্কের লা গারডিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি এয়ারবাস এ৩২০-এর দুটি ইঞ্জিন পাখির আঘাতে বিকল হয়ে যায়। ১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন সালি সুলেনবার্গার নিউইয়র্কের হাডসন নদীর বরফশীতল পানিতে বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করান। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের প্রতিটি যাত্রী ও ক্রু বেঁচে যান। এই ঘটনাকে অনেকে অলৌকিক বললেও, পাইলট সালি নিজেই ব্যাখ্যা করেছিলেন যে এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না, বরং ছিল ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা প্রস্তুতির ফলাফল’।

সালি ব্যাখ্যা করেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট জেফ্রি স্কাইলস প্রায় কোনো কথা না বলেই তাঁদের নিজ নিজ কাজ সুচারুভাবে করেছেন। কারণ তাঁরা একে অপরের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। ইঞ্জিন বিকল হওয়া বা পানিতে অবতরণের জন্য তাঁদের একটি সুনির্দিষ্ট চেকলিস্ট ছিল, তাঁরা ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি রুট নির্দেশ করে। যখন ‘ব্রেস ফর ইমপ্যাক্ট’ বা ‘এভাকুয়েট’-এর মতো নির্দেশনা দেওয়া হয়, তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা নিজেদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে দ্রুত কেবিন প্রস্তুত করেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। এমনকি নদীর ওপর নামার বিষয়টিও তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পরিবর্তন করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ধারকারী ফেরি বোট চালকেরা প্রতি মাসেই প্রশিক্ষণ নেন। বছরে একবার সিমুলেটর দিয়ে উদ্ধার অভিযান অনুশীলন করেন তাঁরা। বিমানটি হাডসন নদীতে অবতরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাঁরা। ফায়ারবোট, পুলিশ হেলিকপ্টার এবং শহরের হাসপাতালগুলো—সবাই প্রস্তুত ছিল। এমনকি অফ-ডিউটি চিকিৎসক, নার্সদেরও ডেকে আনা হয়েছিল। সালি জোর দিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট কেবল তাঁদের কাজ করেছেন। কিন্তু ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, ১৫০ জন যাত্রী, উদ্ধারকারী বোট এবং জল ও স্থল উভয় জায়গার ফার্স্ট রেসপন্ডাররা সবাই তাঁদের নির্ধারিত কাজ নিখুঁতভাবে করেছেন। এই সম্মিলিত ও নিখুঁত প্রস্তুতির ফলাফলই ছিল ‘মিরাকল’।
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনা
‘হাডসনের মিরাকল’-এর এই চিত্র, আর বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাটি মিলিয়ে দেখুন, আলাদা এক বাস্তবতা উঠে এসেছে। সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। এফোঁড়-ওফোঁড় করে যায় ভবন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায়। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জীবন ও ভবিষ্যৎ এক মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
এর পরের ঘটনাপ্রবাহ কেমন ছিল—উদ্ধারে অনেক সময় লেগেছে। আগুন আধপোড়া শিশু-কিশোরদের পাঁজাকোলা করে উদ্ধার করতে দেখা গেছে। সেখানে জরুরি চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা ছিল না। যদিও পরে ফায়ার সার্ভিস অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও করেছিল। শত শত উৎসুক জনতা উদ্ধারে হাত না লাগিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃতদেহ গুম করার গুজব ছড়িয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি অনেক ছবি ছড়ানো হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শোডাউন করেছেন। চিকিৎসকের কোনো পরামর্শ ও আহ্বান ছাড়াই রক্তদাতাদের ভিড়ও সমস্যা তৈরি করেছে। হাসপাতালেও উৎসুক জনতা ভিড় দেখা গেছে। অথচ এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের নিবিড় ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা জরুরি। অব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য দেরিও একজনের জীবন কেড়ে নিতে পারে।
দুর্ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো—দুর্ঘটনার পর সমাজ ও রাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। কিছু দেশ প্রস্তুত থাকে, যাতে প্রাণহানি কমানো যায়, আর কিছু দেশে বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়।
পাইলট সালি বলেছিলেন, ‘১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে হাডসনে বিমান নামানোর পরেও কোনো প্রাণহানি না হওয়া কোনো অলৌকিকতা ছিল না। এটা ছিল সিস্টেম, বছরের পর বছর ট্রেনিং, প্রস্তুতি আর দায়িত্বশীলতার ফলাফল।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে সমস্যা হয়। কোনো বড় শহরেই যথেষ্ট জলাশয় ও হাইড্রেন্ট নেই। রয়েছে সরঞ্জামের সংকটও।
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক আর অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনার মতো দুর্ঘটনা হোক তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার, ত্রাণ, রক্তদানের মতো কাজে হাত দিতে হয় স্থানীয় সাধারণ মানুষকেই। সাধারণ মানুষের অদক্ষতা ও পেশাদার বাহিনীর দেরিতে পৌঁছানোর কারণে অনেক সময়ই প্রাণহানি ন্যূনতম রাখা সম্ভব হয় না।
সেই সঙ্গে রয়েছে উৎসুক জনতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আসার পর এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখের সামনে মোবাইল ক্যামেরা ধরে ফুটেজ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এতেও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সামলানোর মতো যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মোতায়েন করাও সম্ভব হয় না।
সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার হৃদয়বিদারক ঘটনাটিতেও আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি। বাংলাদেশে কেন যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই এমন বিশৃঙ্খলা দেখতে হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন। অথচ ‘হাডসনের মিরাকল’-এর মতো ঘটনাগুলোর দিকে যদি তাকাই, যেখানে সুসংগঠিত প্রস্তুতি ও দায়িত্বশীলতা কীভাবে বিপর্যয়কে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
‘হাডসনের মিরাকল’: প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত
২০০৯ সালে নিউইয়র্কের লা গারডিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি এয়ারবাস এ৩২০-এর দুটি ইঞ্জিন পাখির আঘাতে বিকল হয়ে যায়। ১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন সালি সুলেনবার্গার নিউইয়র্কের হাডসন নদীর বরফশীতল পানিতে বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করান। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের প্রতিটি যাত্রী ও ক্রু বেঁচে যান। এই ঘটনাকে অনেকে অলৌকিক বললেও, পাইলট সালি নিজেই ব্যাখ্যা করেছিলেন যে এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না, বরং ছিল ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা প্রস্তুতির ফলাফল’।

সালি ব্যাখ্যা করেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট জেফ্রি স্কাইলস প্রায় কোনো কথা না বলেই তাঁদের নিজ নিজ কাজ সুচারুভাবে করেছেন। কারণ তাঁরা একে অপরের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। ইঞ্জিন বিকল হওয়া বা পানিতে অবতরণের জন্য তাঁদের একটি সুনির্দিষ্ট চেকলিস্ট ছিল, তাঁরা ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি রুট নির্দেশ করে। যখন ‘ব্রেস ফর ইমপ্যাক্ট’ বা ‘এভাকুয়েট’-এর মতো নির্দেশনা দেওয়া হয়, তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা নিজেদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে দ্রুত কেবিন প্রস্তুত করেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। এমনকি নদীর ওপর নামার বিষয়টিও তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পরিবর্তন করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ধারকারী ফেরি বোট চালকেরা প্রতি মাসেই প্রশিক্ষণ নেন। বছরে একবার সিমুলেটর দিয়ে উদ্ধার অভিযান অনুশীলন করেন তাঁরা। বিমানটি হাডসন নদীতে অবতরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাঁরা। ফায়ারবোট, পুলিশ হেলিকপ্টার এবং শহরের হাসপাতালগুলো—সবাই প্রস্তুত ছিল। এমনকি অফ-ডিউটি চিকিৎসক, নার্সদেরও ডেকে আনা হয়েছিল। সালি জোর দিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট কেবল তাঁদের কাজ করেছেন। কিন্তু ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, ১৫০ জন যাত্রী, উদ্ধারকারী বোট এবং জল ও স্থল উভয় জায়গার ফার্স্ট রেসপন্ডাররা সবাই তাঁদের নির্ধারিত কাজ নিখুঁতভাবে করেছেন। এই সম্মিলিত ও নিখুঁত প্রস্তুতির ফলাফলই ছিল ‘মিরাকল’।
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনা
‘হাডসনের মিরাকল’-এর এই চিত্র, আর বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাটি মিলিয়ে দেখুন, আলাদা এক বাস্তবতা উঠে এসেছে। সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। এফোঁড়-ওফোঁড় করে যায় ভবন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায়। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জীবন ও ভবিষ্যৎ এক মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
এর পরের ঘটনাপ্রবাহ কেমন ছিল—উদ্ধারে অনেক সময় লেগেছে। আগুন আধপোড়া শিশু-কিশোরদের পাঁজাকোলা করে উদ্ধার করতে দেখা গেছে। সেখানে জরুরি চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা ছিল না। যদিও পরে ফায়ার সার্ভিস অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও করেছিল। শত শত উৎসুক জনতা উদ্ধারে হাত না লাগিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃতদেহ গুম করার গুজব ছড়িয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি অনেক ছবি ছড়ানো হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শোডাউন করেছেন। চিকিৎসকের কোনো পরামর্শ ও আহ্বান ছাড়াই রক্তদাতাদের ভিড়ও সমস্যা তৈরি করেছে। হাসপাতালেও উৎসুক জনতা ভিড় দেখা গেছে। অথচ এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের নিবিড় ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা জরুরি। অব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য দেরিও একজনের জীবন কেড়ে নিতে পারে।
দুর্ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো—দুর্ঘটনার পর সমাজ ও রাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। কিছু দেশ প্রস্তুত থাকে, যাতে প্রাণহানি কমানো যায়, আর কিছু দেশে বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়।
পাইলট সালি বলেছিলেন, ‘১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে হাডসনে বিমান নামানোর পরেও কোনো প্রাণহানি না হওয়া কোনো অলৌকিকতা ছিল না। এটা ছিল সিস্টেম, বছরের পর বছর ট্রেনিং, প্রস্তুতি আর দায়িত্বশীলতার ফলাফল।’

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে সমস্যা হয়। কোনো বড় শহরেই যথেষ্ট জলাশয় ও হাইড্রেন্ট নেই। রয়েছে সরঞ্জামের সংকটও।
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক আর অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনার মতো দুর্ঘটনা হোক তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার, ত্রাণ, রক্তদানের মতো কাজে হাত দিতে হয় স্থানীয় সাধারণ মানুষকেই। সাধারণ মানুষের অদক্ষতা ও পেশাদার বাহিনীর দেরিতে পৌঁছানোর কারণে অনেক সময়ই প্রাণহানি ন্যূনতম রাখা সম্ভব হয় না।
সেই সঙ্গে রয়েছে উৎসুক জনতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আসার পর এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখের সামনে মোবাইল ক্যামেরা ধরে ফুটেজ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এতেও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সামলানোর মতো যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মোতায়েন করাও সম্ভব হয় না।
সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার হৃদয়বিদারক ঘটনাটিতেও আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি। বাংলাদেশে কেন যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই এমন বিশৃঙ্খলা দেখতে হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন। অথচ ‘হাডসনের মিরাকল’-এর মতো ঘটনাগুলোর দিকে যদি তাকাই, যেখানে সুসংগঠিত প্রস্তুতি ও দায়িত্বশীলতা কীভাবে বিপর্যয়কে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
‘হাডসনের মিরাকল’: প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত
২০০৯ সালে নিউইয়র্কের লা গারডিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি এয়ারবাস এ৩২০-এর দুটি ইঞ্জিন পাখির আঘাতে বিকল হয়ে যায়। ১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন সালি সুলেনবার্গার নিউইয়র্কের হাডসন নদীর বরফশীতল পানিতে বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করান। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের প্রতিটি যাত্রী ও ক্রু বেঁচে যান। এই ঘটনাকে অনেকে অলৌকিক বললেও, পাইলট সালি নিজেই ব্যাখ্যা করেছিলেন যে এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না, বরং ছিল ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা প্রস্তুতির ফলাফল’।

সালি ব্যাখ্যা করেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট জেফ্রি স্কাইলস প্রায় কোনো কথা না বলেই তাঁদের নিজ নিজ কাজ সুচারুভাবে করেছেন। কারণ তাঁরা একে অপরের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। ইঞ্জিন বিকল হওয়া বা পানিতে অবতরণের জন্য তাঁদের একটি সুনির্দিষ্ট চেকলিস্ট ছিল, তাঁরা ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি রুট নির্দেশ করে। যখন ‘ব্রেস ফর ইমপ্যাক্ট’ বা ‘এভাকুয়েট’-এর মতো নির্দেশনা দেওয়া হয়, তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা নিজেদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে দ্রুত কেবিন প্রস্তুত করেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। এমনকি নদীর ওপর নামার বিষয়টিও তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পরিবর্তন করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ধারকারী ফেরি বোট চালকেরা প্রতি মাসেই প্রশিক্ষণ নেন। বছরে একবার সিমুলেটর দিয়ে উদ্ধার অভিযান অনুশীলন করেন তাঁরা। বিমানটি হাডসন নদীতে অবতরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাঁরা। ফায়ারবোট, পুলিশ হেলিকপ্টার এবং শহরের হাসপাতালগুলো—সবাই প্রস্তুত ছিল। এমনকি অফ-ডিউটি চিকিৎসক, নার্সদেরও ডেকে আনা হয়েছিল। সালি জোর দিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট কেবল তাঁদের কাজ করেছেন। কিন্তু ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, ১৫০ জন যাত্রী, উদ্ধারকারী বোট এবং জল ও স্থল উভয় জায়গার ফার্স্ট রেসপন্ডাররা সবাই তাঁদের নির্ধারিত কাজ নিখুঁতভাবে করেছেন। এই সম্মিলিত ও নিখুঁত প্রস্তুতির ফলাফলই ছিল ‘মিরাকল’।
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনা
‘হাডসনের মিরাকল’-এর এই চিত্র, আর বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাটি মিলিয়ে দেখুন, আলাদা এক বাস্তবতা উঠে এসেছে। সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। এফোঁড়-ওফোঁড় করে যায় ভবন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায়। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জীবন ও ভবিষ্যৎ এক মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
এর পরের ঘটনাপ্রবাহ কেমন ছিল—উদ্ধারে অনেক সময় লেগেছে। আগুন আধপোড়া শিশু-কিশোরদের পাঁজাকোলা করে উদ্ধার করতে দেখা গেছে। সেখানে জরুরি চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা ছিল না। যদিও পরে ফায়ার সার্ভিস অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও করেছিল। শত শত উৎসুক জনতা উদ্ধারে হাত না লাগিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃতদেহ গুম করার গুজব ছড়িয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি অনেক ছবি ছড়ানো হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শোডাউন করেছেন। চিকিৎসকের কোনো পরামর্শ ও আহ্বান ছাড়াই রক্তদাতাদের ভিড়ও সমস্যা তৈরি করেছে। হাসপাতালেও উৎসুক জনতা ভিড় দেখা গেছে। অথচ এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের নিবিড় ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা জরুরি। অব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য দেরিও একজনের জীবন কেড়ে নিতে পারে।
দুর্ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো—দুর্ঘটনার পর সমাজ ও রাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। কিছু দেশ প্রস্তুত থাকে, যাতে প্রাণহানি কমানো যায়, আর কিছু দেশে বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়।
পাইলট সালি বলেছিলেন, ‘১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে হাডসনে বিমান নামানোর পরেও কোনো প্রাণহানি না হওয়া কোনো অলৌকিকতা ছিল না। এটা ছিল সিস্টেম, বছরের পর বছর ট্রেনিং, প্রস্তুতি আর দায়িত্বশীলতার ফলাফল।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৩ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১৭ ঘণ্টা আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে
২২ জুলাই ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৩ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে
২২ জুলাই ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১৭ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে
২২ জুলাই ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
১৭ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে
২২ জুলাই ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৩ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১৬ ঘণ্টা আগে