Ajker Patrika

কাজ শেষ না হতেই দুই সড়কে ফাটল

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) ও লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর কালাচান মোড় এলাকায় পিচের সড়কে ফাটল (বাঁয়ে)। নাটোরের লালপুরের গোপালপুর পৌরসভা এলাকায় কংক্রিটের রাস্তায় ফাটল। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর কালাচান মোড় এলাকায় পিচের সড়কে ফাটল (বাঁয়ে)। নাটোরের লালপুরের গোপালপুর পৌরসভা এলাকায় কংক্রিটের রাস্তায় ফাটল। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের দুই উপজেলার দুটি সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে একটি কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। আরেকটিতে ঢালাই দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। সড়ক দুটির একটি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায়। আরেকটি নাটোরের লালপুরে। আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন ভূরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক পাকা করার কাজ শুরু হয় গত বছরের জানুয়ারিতে। শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ৩০ জুন। এর মধ্যে গত রোববার থেকেই উপজেলার কালাচান মোড় এলাকায় কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক পাকাকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে।

এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার ২২৮ টাকা ব্যয়ে সড়কটি পাকা করার কাজ শুরু হয়। আরএবি-আরসি-বিসি-এইচটি জেভি নামের কুড়িগ্রামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক পাকা করার কাজ পায়। বেলাল নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি সড়ক পাকা করার কাজ বাস্তবায়ন করছেন।

ছমির উদ্দিন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সড়ক পাকা করার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে।

শহীদ আলী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সড়কটি পাকা করার ৩ দিন পর সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। পিচ উঠে যাচ্ছে।

ঠিকাদার বেলাল হোসেন বলেন, সড়ক পাকা করার কাজে অনিয়মের সুযোগ নেই। এলজিইডি অফিস সার্বক্ষণিক কাজ মনিটরিং করে। সড়ক পাকা করার পর তা জমাট বাঁধার আগেই যানবাহন চলাচল করায় ফাটল ও কার্পেটিং উঠে গেছে। যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেগুলো সমাধান করা হচ্ছে।

এলজিইডির ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, সড়ক নির্মাণে অনিয়ম হয়নি। কনসালট্যান্টসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।

এ দিকে লালপুরের গোপালপুর পৌরসভায় গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কের আরসিসি ঢালাই কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঢালাইয়ের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে।

গোপালপুর পৌরসভা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৫১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয়ে পৌরসভার রাজাপুর রোডের আখেরের আমবাগান থেকে বিজয়পুর রাফির বাড়ি পর্যন্ত ৫৯৫ মিটার রাস্তা আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ হামিদা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। পরে তার থেকে কাজটি কিনে নেন সাব ঠিকাদার নজরুল ইসলাম।

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, ঢালাইয়ের পরদিনই রাস্তা ফেটে গেছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব জায়গায় রাস্তায় ফাটল ধরেছে, সেগুলো আমরা ঠিক করে দেব। আর ভেকু দিয়ে ট্রাকে পাথর ওঠানোর সময় পাথরে বেশি পরিমাণে মাটি চলে আসছে। সেগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

গোপালপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত